• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
অধ্যাপক জিয়া রহমানের মৃত্যুতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের শোক প্রকাশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্য অধ্যাপক জিয়া রহমানের আকস্মিক মৃত্যুতে ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’ গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন। পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক শোক প্রকাশ করে বলেন, অধ্যাপক জিয়া রহমান ছিলেন একজন ছাত্রবান্ধব শিক্ষক ও নিবেদিতপ্রাণ গবেষক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং অপরাধ বিশেষজ্ঞ হিসেবে দেশ-বিদেশে পরিচিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ এই শিক্ষক ছিলেন উদার, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ। তিনি কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্য ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন, হল প্রাধ্যক্ষ, শিক্ষক সমিতি, একাডেমিক কাউন্সিলসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমরা তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সহানুভূতি জানাই।  উল্লেখ্য, অধ্যাপক জিয়া রহমান শনিবার (২৩ মার্চ) ভোরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৪৩

ঢাবির অধ্যাপক ড. জিয়াউর রহমানের মৃত্যুতে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর শোক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়া রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। প্রতিমন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। অধ্যাপক জিয়া রহমান শনিবার (২৩ মার্চ) ভোররাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় তিন দশকের চাকরিজীবনে শিক্ষক সমিতি ও বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন জিয়া রহমান। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তিনি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন নির্বাচিত হন।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩৭

আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  শনিবার (১৬ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এক শোক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের এই নেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীসহ অনেকেই। এর আগে, এদিন ভোরে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল হাইয়ের মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে ও দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। পরিবার সূত্র প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, মরদেহ দেশে আসার পরে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান এ নেতা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ঝিনাইদহে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা তুলেছিলেন। তিনি  ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। নবম জাতীয় সংসদে মৎস‌ ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বরেন‌।  
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৪

গোলাম আরিফ টিপুর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, ভাষাসৈনিক ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে পৃথক বার্তায় তারা এই শোক প্রকাশ করেন। শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, গোলাম আরিফ টিপুর মৃত্যু দেশের আইন অঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তার অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। রাষ্ট্রপতি তার শোকবার্তায় প্রয়াতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এদিকে গোলাম আরিফ টিপুর মৃত্যুতে পৃথক বার্তায় শোক প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী প্রয়াতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও গুণগ্রাহীদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এর আগে, সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গোলাম আরিফ টিপু। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪১

গোলাম আরিফ টিপুর মৃত্যুতে প্রধান বিচারপতির শোক
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। শুক্রবার (১৫ মার্চ) এক শোকবার্তায় তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এর আগে সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গোলাম আরিফ টিপু। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। বার্ধক্য ও ঠান্ডাজনিত কারণে তিনি মারা গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর (এডমিন) মোখলেসুর রহমান বাদল। গোলাম আরিফ টিপু ১৯৩১ সালের ২৮ আগস্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কমলাকান্তপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আফতাব উদ্দিন আহমদ ছিলেন জেলা রেজিস্ট্রার। ৯ ভাই-বোনের মধ্যে টিপু দ্বিতীয়। তিনি কালিয়াচর বিদ্যালয় থেকে ১৯৪৮ সালে মাধ্যমিক ও রাজশাহী কলেজ থেকে ১৯৫০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। একই কলেজ থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক সম্পন্নের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৫৪ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি আইনজীবী, মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা আন্দোলন কর্মী ছিলেন।  এ ছাড়া তিনি ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর (অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদায়) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৫২ সালে রাজশাহীতে বাংলা ভাষা আন্দোলন মূলত তার নেতৃত্বে সংগঠিত হয়। তিনি রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের রাজশাহী অঞ্চলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০১৯ সালে একুশে পদকে ভূষিত করে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৮

ফুটবলার রাজিয়ার মর্মান্তিক মৃত্যুতে ক্রীড়ামন্ত্রীর শোক
সন্তান প্রসবের পর স্ট্রোক করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল দলের সদস্য রাজিয়া সুলতানার (২০) মৃত্যু হয়েছে। পুত্রসন্তান জন্ম দেওয়ার পর প্রসবকালীন জটিলতায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন তিনি। রাজিয়ার এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ক্রীড়াঙ্গনে। যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন আইসিসি সভায় যোগ দিতে দুবাই রয়েছেন। দেশের বাইরে থাকলেও তিনি রাজিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শোকবার্তায় মন্ত্রী মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।  শোকবার্তায় ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, ফুটবলার রাজিয়া খাতুন নারী ফুটবলে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। তার অকাল মৃত্যু নারী ফুটবলে এক অপূরণীয় ক্ষতি। দেশের নারী ফুটবলের উন্নয়নে তার যে অনবদ্য অবদান তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ২০১৮ সালে ভুটানে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৮ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে ১-০ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেই দলের অন্যতম সদস্য  ছিলেন রাজিয়া খাতুন। চ্যাম্পিয়ন হয়ে  প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পেয়েছিলেন সংবর্ধনা ও ১০ লাখ টাকা। এরপর সিনিয়র দলের সঙ্গে ক্যাম্প করার সুযোগও পান রাজিয়া। তবে ফর্ম খারাপ যাওয়ায় ২০১৯ সালে ক্যাম্প থেকে বাদ পড়েন তিনি। পরে ফুটবল থেকে সরে যান।  বাংলাদেশের নারী ফুটবল মূলত সাফকেন্দ্রিক। লিগ ফুটবল ছিল না আগে। কয়েক বছরে চালু করা হলেও তা অনিয়মিত। যে কারণে জাতীয় দল ছাড়া খেলার এবং রোজগারের তেমন সুযোগ নেই নারী ফুটবলারদের।  দীর্ঘদিন খেলার বাইরে থাকায় অনেকে ফিটনেস হারান, কারো ফর্ম পড়ে যায়, অনেকে আবার ফুটবলে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। রাজিয়ার ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে। 
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৬

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিবের মৃত্যুতে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর শোক
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। আজ এক শোকবার্তায় প্রতিমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। এর আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইহসানুল করিম শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এ বিষয়ে বিএসএমএমইউর উপাচার্য ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, গত দেড় মাস ধরে শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা নিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। গত সপ্তাহে বিএসএমএমইউতে আসেন তিনি। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে, প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৫ সাল থেকে সচিব পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে কাজ করছিলেন ইহসানুল করিম। ২০২২ সালের ১৯ জুন দুই বছরের জন্য নতুন করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান তিনি। ইহসানুল করিম রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন।
১১ মার্চ ২০২৪, ০০:১০

বেইলি রোড ট্র্যাজেডিতে শোক জানালেন ক্রিকেটাররা 
রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শোক জানিয়েছেন সাকিব-তামিমসহ বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। শুক্রবার (১মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজ নিজ ভেরিফাইড পেজে শোক প্রকাশ ও দোয়ার আবেদন জানিয়েছেন তারা। সাকিব আল হাসান তার ফেসবুক পেজে এক ফটো পোস্টে লেখেন, ‘বেইলি রোড ট্রাজেডিতে ক্ষতিগ্রস্ত ও তাদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা ও প্রার্থনা।’ তামিম ইকবাল ফেসবুক পেজে নিজের পোস্টে সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সতর্ক না হলে এই ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতীয় দলের সেরা ওপেনার।    তামিম আরও লেখেন, ‘বেইলি রোডের ঘটনায় রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। আমাদের পরিবর্তন হওয়া উচিত নয়তো তা কখনই বদলাবে না।’ একই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিকও। নিজের ফেসবুক পেজে মুশফিক লেখেন, ‘আসসালামুয়ালাইকুম ও জুমা মোবারক সবাইকে। গতকাল দুর্ভাগা অগ্নিকাণ্ডে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের বিদেহী আত্মার জন্য প্রার্থনা করুন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন।’ জাতীয় দলের তারকা পেসার তাসকিন আহমেদ লেখেন, ‘বেইলি রোড ফায়ার ট্রাজেডির খবরে গভীরভাবে শোকাহত। আমার প্রার্থনা ক্ষতিগ্রস্ত ও বিদেহী আত্মার সঙ্গে। যারা আহত হয়েছেন তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক।’ আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল ঢাকার বেইলি রোডের একটি বহুতল ভবনে অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ও মর্মান্তিক অগ্নি দুর্ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো সকলের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি ও চিকিৎসাধীন সকলের দ্রুত সুস্থতা করছি। শোকসন্তপ্ত প্রতিটি পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’ অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ লেখেন, ‘গতকাল ঢাকার বেইলি রোডের একটি ভবনে ঘটা মর্মান্তিক অগ্নি দুর্ঘটনায় ইতোমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় অর্ধশত মানুষ। এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং কঠিন সময়ের মধ্যে যাওয়া তাদের পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। সঙ্গে ভয়ংকর এই অগ্নিকাণ্ডে আহত অবস্থায় হাসপাতালে থাকা সকলের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।’ গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনে আগুন লাগে। মাত্র দুই ঘণ্টায় ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গেছে ৪৩ জনের। আজ শুক্রবার সর্বশেষ পাওয়া তথ্যানুসারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৮:১২

কালকিনিতে জিহাদের বাড়িতে শোক
ঢাকার বেইলি রোডে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া জিহাদ শিকদার (১৯) পরিবারে চলছে মাতম। স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে বাড়ির পরিবেশ। শেষবারের মতো তাকে দেখতে ভিড় করছেন এলাকার মানুষ। জিহাদের বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের আলিমাবাদ গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের জাকির শিকদারের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, তিন বছর আগে জিহাদ শিকদার পরিবারের হাল ধরতে ঢাকার বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে কাজ নেন। তার আয়ে চলতো তাদের সংসার। এ বিষয়ে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাশ বলেন, জিহাদের মৃত্যুতে সমবেদনা জানানোর ভাষা নেই। তার পরিবার থেকে কোনো সহযোগিতা চাওয়া হলে সবসময় পাশে থাকবে প্রশাসন। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে নারী-শিশুসহ ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ৪১ জনের মরদেহ শনাক্ত হয়েছে। পরিচয় নিশ্চিত হয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে ৩৮টি মরদেহ।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৮

বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড : রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোকবার্তায় দগ্ধ হয়ে নিহতদের মাগফেরাত কামনার পাশাপাশি  শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান তারা। এছাড়া বেঁচে যাওয়াদের দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।  শুক্রবার (১ মার্চ) বঙ্গভবন থেকে এ সংক্রান্ত একটি বার্তা পাঠানো হয়। এর আগে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে । শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি নিহতদের রুহের মাগফিরাত ও শান্তি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি।   আর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো শোক বার্তায় জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী আগুনে পুড়ে মৃত্যুবরণকারীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন ও তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।  এছাড়া আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আহতদের দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তায়।  বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ এই আগুনের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ২৫ জনের মরদেহ এরইমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশের নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার রেফাতুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পরিবারের সদস্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুনে মোট ৪৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে ১ জন, ঢামেক হাসপাতালে ৩৩ জন ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জনের মরদেহ রয়েছে। এদিকে আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে।    
০১ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়