• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নেসলের শিশুখাদ্য নিয়ে ভয়াবহ তথ্য
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নেসলের শিশুখাদ্যের মধ্যে সেরেলাক এবং নিডো খুবই জনপ্রিয়। সবচেয়ে বেশি বিক্রির মধ্যে থাকা এই দুটি পণ্য নিয়ে এবার ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা পাবলিক আই ও ইন্টারন্যাশনাল বেবি ফুড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিক্রি করা নেসলের শিশুখাদ্যে উচ্চমাত্রায় চিনির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। অথচ একই পণ্য যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড এবং অন্যান্য উন্নত দেশে বিক্রি করা শিশুখাদ্যে কোনো ধরনের অতিরিক্ত চিনি যুক্ত করা হয়নি। পাবলিক আইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, নেসলে সুইজারল্যান্ডে বাজারজাত করা তাদের পণ্য সেরেলাকে বাড়তি চিনি ব্যবহার না করলেও বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলোতে বাড়তি চিনি যুক্ত করছে। একই অবস্থা নিডোর। বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া, সেনেগাল এবং দক্ষিণ আফ্রিকাতেও নিডো খুব জনপ্রিয়। এসব দেশেও এক থেকে তিন বছর বয়সী ছোট বাচ্চাদের জন্য তৈরি করা নেসলের সব পণ্যে বাড়তি চিনি রয়েছে।  যা স্থূলতা এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক নীতিমালার লঙ্ঘন। শুধু তাই নয়, বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে নেসলের ৯টি খাদ্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে। সবগুলো পণ্যতেই বাড়তি চিনি রয়েছে। অতিরিক্ত পরিমাণ চিনি ও মধু মেশানো থাকা খাবার শিশুরা খেয়ে বিভিন্ন রোগের শিকার হতে পারে।  পাবলিক আই বলেছে, আমরা নেসলের প্রধান বাজার আফ্রিকা, এশিয়া এবং লাতিন আমেরিকায় বিক্রি করা ১১৫টি পণ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। এর মধ্যে অধিকাংশ পণ্যেই বাড়তি চিনি পাওয়া গেছে। নেসলের খাদ্যপণ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ চিনির উপস্থিতি পাওয়া গেছে ফিলিপাইনে। ব্রাজিলের পারাইবা ফেডারেল ইউনিভার্সিটির পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও মহামারি বিশেষজ্ঞ রদ্রিগো ভিয়ান্না বলেন, এটা বড় ধরনের উদ্বেগের বিষয়। শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের খাবারে বাড়তি চিনি যুক্ত করা উচিত নয়।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ২০:২০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়