• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মৃত্যুর দিনেই শিল্পকলা পদকের ফরম পূরণ করেছিলেন সাদি মহম্মদ
রবীন্দ্রসংগীতের বরেণ্য শিল্পী সাদি মহম্মদ অনেকটা অভিমান করেই গেল বুধবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পদকপ্রাপ্ত শিল্পীর ফরম। যেখানে দেখা যায়, নিজের ছবি যুক্ত এই ফরম পূরণ করেছেন সাদি মহম্মদ। করেছেন স্বাক্ষরও। যেখানে তারিখটাও লিখা ১৩ মার্চ! তার মৃত্যুদিনে!  শিল্পীর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসার পরই ফরমটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। আসতে থাকে নানা ধরনের প্রশ্নও। তাহলে কি ফরমটি ফিলআপের আক্ষেপই সাদির শিল্পসত্তাকে আরও ক্ষুব্ধ করে তুলেছিল? নাকি পদকের জন্য শেষ অবধি ফরম পূরণে বাধ্য হয়েছিলেন এই কীর্তিমান? আবার অনেকেই প্রশ্ন তুলেছে ফরমের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলা হয় সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে। তারা নিশ্চিত করেছে এটি শিল্পকলার একাডেমি থেকে প্রেরিত ফরম। একাডেমির ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ কর্মকর্তা হাসান মাহমুদ বলেন, শিল্পকলা পদকের জন্য দুটি নিয়ম আছে। একটি হলো, কেউ নিজেই এটির জন্য আবেদন করবেন। অন্যটি, মূল্যায়ন কমিটি খুঁজে বের করেন। এই কমিটি স্বপ্রণোদিত হয়ে গুণী শিল্পীর জন্য আবেদন করে থাকে। প্রয়াত সাদি মহম্মদ কখনই নিজ থেকে আমাদের পদকের জন্য আবেদন করেননি। শিল্পকলার তরফ থেকে তার নামটি প্রস্তাব করা হয় গত বছর। মূল্যায়ন শেষে চলতি বছর জানুয়ারিতে পদকপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়। যেখানে ওনার নামটি রাখা হয়। তার মৃত্যুর আগেই তাকে এ পদকে ভূষিত করা হয়েছিল। জানা যায়, যায়, চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি শিল্পকলা একাডেমি ২০২১ ও ২০২২ সালের পদকপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করে। সেই তালিকায় ছিলেন সাদি মহম্মদ। নাম ঘোষণার আগে একাডেমি থেকে সাদি মহম্মদকে বিষয়টি জানানো হয় এবং অনুমতিও নেওয়া হয়। তবে সাদি বিষয়টিতে বাড়তি আগ্রহ দেখাননি। হাসান মাহমুদ আরও বলেন, পদক প্রদান অনুষ্ঠানে ওনার শর্ট বায়োগ্রাফি দেখানো হবে। এ কারণে আনুষ্ঠানিকতার জন্য ওনাকে ফরমটি পাঠানো হয়েছিল। উনি বেশ কিছু দিন সময় নেওয়ার পর ১৩ মার্চ পূরণকৃত ফরমটি অফিস টাইমে লোক মারফত পাঠিয়েছিলেন শিল্পকলায়। পদক প্রদান অনুষ্ঠানের প্রকাশনা ও বায়োগ্রাফি নির্মাণের দায়িত্বে আছেন শিল্পকলার গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগ। এর পরিচালক অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। তিনি বলেন, সাদি মহম্মদ স্যারের মৃত্যুর খবর যখন জানতে পারি ঠিক তখনই আমি ডিজি অফিস থেকে ফরমটির সফট কপিটি পাই। পরদিন হার্ড কপিটি হাতে আসে। সেই মুহূর্তটির কথা আমি এখনও ভুলতে পারছি না। শর্ট বায়োগ্রাফি তৈরির জন্য একটা ফর্ম আমরা পদকপ্রাপ্তদের চিঠির সঙ্গে দেই। সাদি মহম্মদকেও পাঠিয়েছিলাম। তখন তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমাকে কেন পদক দিচ্ছে শিল্পকলা?” আরো বলেন “কেন এই ফর্ম, এসব কী দরকার?” অভিমান নিয়ে একটা সময় তিনি বলেন, ফর্ম পূরণ করবেন না। কিন্তু মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তার দায়িত্বটা তিনি পালন করে গেছেন। ফরমটি আমাদের পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। জ্যোতি মনে করেন, অনেকে শিল্পকলার এই ফরম জড়িয়ে নানা নেতিবাচক মন্তব্য করে যাচ্ছেন, তা আসলে সঠিক নয়। একাডেমির জন্য আক্ষেপের বিষয়, সবকিছু প্রস্তুত করেও পদকটি গুণী শিল্পীর হাতে তুলে দিতে পারছে না।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৮

‘জীবন কৃতি সম্মান’ পাচ্ছেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক
ভারতের ‘জীবন কৃতি সম্মান’ এ ভূষিত হচ্ছেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকী। রোববার (২১ জানুয়ারি)  কলকাতায় এ সম্মাননায় ভূষিত হবেন তিনি। কলকাতার নাট্য সংগঠন সুখচর পঞ্চম তাদের ৩৪ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দর্শকের দরবার ২৯ বর্ষ পর্বে এই সম্মাননা দেওয়া হবে। ইতোপূর্বে এই সম্মাননা পেয়েছেন উপমহাদেশের খ্যাতিমান নাট্যব্যক্তিত্ব রতন থিয়াম ও বাউল সমাজ্ঞী পার্বতী বাউল। ঋদ্ধিমান নাট্যব্যক্তিত্ব লিয়াকত আলী লাকী বাংলা নাটককে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এবং বাংলাদেশে নাটকের প্রকাশকে ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে গেছেন। পাশাপাশি শিশু নাটককে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় পরিসরে ভিন্নমাত্রা প্রদান করার নিরলস প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি স্বরূপ লিয়াকত আলী লাকীকে এ সম্মাননা প্রদান করছে কলকাতার নাট্য সংগঠন সুখচর পঞ্চম। প্রসঙ্গত, লিয়াকত আলী লাকী সর্বপ্রথম শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদের দায়িত্ব পান ২০১১ সালের ১০ এপ্রিল। এরপর থেকে এ পদেই আছেন তিনি। দুই বছর করে টানা ৫ দফা এই পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০২০ সালে তিন বছরের জন্য এই পদে ৬ষ্ঠ বারের মতো নিয়োগ পান তিনি। এরপর সপ্তমবারের মতো ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটির মহা পরিচালকের দায়িত্ব পান 
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:০৬

এক প্রতিষ্ঠান ও ২০ ব্যক্তি পাচ্ছেন শিল্পকলা পদক
শিল্প ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় ১২টি ক্ষেত্রের মধ্যে ১০টিতে ২০ জন গুণী শিল্পী ও এক প্রতিষ্ঠান ২০২১ এবং ২০২২ সালের শিল্পকলা পদক পাচ্ছেন। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠান হিসেবে পদক পাচ্ছে সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ। ব্যক্তিদের মধ্যে যন্ত্রসঙ্গীতে মো. নূরুজ্জামান, নৃত্যকলায় শারমীন হোসেন, কণ্ঠসংগীতে সাদি মহম্মদ, চারুকলায় শিল্পী বীরেন সোম, নাট্যকলায় অধ্যাপক আবদুস সেলিম, লোকসংস্কৃতিতে মো. নহীর উদ্দিন, চলচ্চিত্রে ড. মতিন রহমান, আবৃত্তিতে কাজী মদিনা, যাত্রাশিল্পী ক্যাটাগরীতে এম এ  মজিদ পদক পাচ্ছেন। ২০২২ সালে যন্ত্রসঙ্গীতে ফোয়াদ নাসের, নৃত্যকলায় সাজু আহম্মেদ, কণ্ঠসংগীতে এলেন মল্লিক, চারুকলায় অধ্যাপক অলক রায়, নাট্যকলায় খায়রুল আলম সবুজ, লোক সংস্কৃতিতে সুনীল কর্মকার, ফটোগ্রাফিতে রফিকুল ইসলাম, আবৃত্তিতে মীর বরকতে রহমান, যাত্রাশিল্পে অরুণা বিশ্বাস এবং সৃজনশীল ক্যাটাগরিতে সাংস্কৃতিক গবেষক ড. সফিউদ্দিন আহমদ পদক পাচ্ছেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতির ইতিহাসে শিল্পকলা পদক প্রবর্তন একটি অনন্য পদক্ষেপ। গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ২০১৩ সাল থেকে এ পদক দেওয়া হচ্ছে। মনোনীত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১টি করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাম এবং মনোগ্রাম সম্বলিত স্বর্ণ পদক, সনদপত্র এবং ১ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়।  
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:০০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়