• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চীনের নানজিং ইউনিভার্সিটিতে পহেলা বৈশাখ উদযাপন
চীনের নানজিং শহরের নানজিং ইউনিভার্সিটি অফ পোস্ট অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশনের (এনজেইউপিটি) বাংলাদেশি কমিউনিটির আয়োজনে পহেলা বৈশাখ- ১৪৩১ উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, দেশীয় ঘরোয়া খেলা, আবৃত্তি, বাংলা লোকসঙ্গীত পরিবেশনসহ বাংলাদেশি নানান পদের খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল। এতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নানান পর্বে বিদেশিদের অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। রোববার (১৪ এপ্রিল) চীনের নানজিং শহরের নানজিং ইউনিভার্সিটি অফ পোস্ট অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশনের বাংলাদেশি কমিউনিটির এই আয়োজনে চীন, পাকিস্তান, ভারত, মরক্কো, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিল। মরক্কোসহ কয়েকটি দেশের শিক্ষার্থীরা বাংলা ভাষায় গান ও নাচে অংশগ্রহণ করেন। এনজেইউপিটির পিএইচডি শিক্ষার্থী নাঈম মণ্ডল পুরো অনুষ্ঠানের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন মাস্টার্স শিক্ষার্থী তাজবিদ শ্রিজন। অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ-চায়না ইয়ুথ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ বি সিদ্দিক, সাবেক সেক্রেটারি খাইরুল ইসলাম, প্রথম আলো বন্ধুসভার সভাপতি আহনাফ আনন, সেক্রেটারি আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ-চায়না ইয়ুথ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও নানজিং ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক এ বি সিদ্দিক বলেন, ‘দেশীয় সংস্কৃতি সবার মাঝে আমরা ছড়াতে চাই। আমরা যে তা করতে পারছি, এর প্রমাণ হলো আজকের অনুষ্ঠানে বিদেশিদের অংশগ্রহণ।’ প্রথম আলো বন্ধুসভা চীনের সভাপতি আহনাফ আনন সবাইকে ধন্যবাদ জানান এমন সুন্দর আয়োজনের জন্য। তিনি জোর তাগিদ দেন এমন আয়োজন প্রতিবছর করার প্রতি। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি ও লোক সংগীতে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে ‘পহেলা বৈশাখ উদযাপন’ অনুষ্ঠানে সমাপ্ত করা হয়।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০০

মধ্যরাতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের যে বার্তা পাঠাল হিযবুত তাহরীর
বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের ইমেইল দিয়েছে নিষিদ্ধ উগ্রবাদী সংগঠন হিজবুর তাহরীর। বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) রাতে এ মেইল পাঠানো হয়। মেইলটির শিরোনামে লেখা রয়েছে, ছাত্রলীগের আগ্রাসন থেকে আমাদের মেধাবী সন্তানদের কে নিরাপত্তা দেবে? সেখানে আরও বলা হয়, বর্তমানে বুয়েট ক্যাম্পাস সরকারের গুন্ডাবাহিনী দ্বারা পদদলিত হচ্ছে। সরকার শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার আভাস দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবিকে দমন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ইমেইলের শেষে হিজবুত তাহরীরের পক্ষ থেকে এ সরকারের বিরুদ্ধে সেনা হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়, যা এই উগ্রবাদী সংগঠনটি নিয়মিতই করে আসছে। এ প্রসঙ্গে এক ফেসবুক পোস্টে বুয়েটে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার তন্ময় আহমেদ লেখেন, কিছুক্ষণ আগে রাত ১২ টায় বুয়েটের ছাত্র-ছাত্রীদের হিজবুততাহরীরের খিলাফত প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে মেইল। একই সঙ্গে আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিশ্চিত করেছে হিজবুত তাহরীর। বুয়েট শিক্ষার্থীদের কাছে হিজবুত তাহরীরের ইমেইল নতুন কিছু নয়। অভিযোগ রয়েছে, বুয়েটে নীরবে জঙ্গি কার্যক্রম বা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে হিবুজত তাহরীর। এর আগেও এই নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনটির পক্ষ থেকে বুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক আউটলুক ইমেইলে পাঠানো হয়েছে হিযবুত তাহরীরের ইমেইল। প্রাথমিকভাবে নির্দিষ্ট কিছু শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইলে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হওয়ার বার্তা পাঠানো হলেও সর্বশেষ তথ্য অনুসারে সকল শিক্ষার্থীদের রোল নম্বর ধরে একাধারে প্রেরণ করা হয় এসব ইমেইল। এছাড়া বুয়েটে ছাত্র রাজনীতির পক্ষে থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানায়, ক্যাম্পাসের ভেতরে বেশ কিছু স্থানে হিজবুত তাহরীর কিউআর কোডসহ তাদের জিহাদি বার্তার পোস্টার লাগিয়ে দিয়েছে যা নিয়ে কোন প্রতিবাদ বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। গত ২৯ মার্চ থেকে ফের ছাত্র রাজনীতি নিয়ে বুয়েটে আন্দোলন শুরু হয়। এ আন্দোলনের বিষয়টি গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। যেখানে উচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চলতে বাধা নেই।  এ আন্দোলনের সূত্রপাত হয় গত ২৮ মার্চ। ছাত্রলীগের সভাপতি বুয়েটে প্রবেশ করে ছাত্রলীগের কমিটি দিচ্ছে এমন গুজব ছড়িয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হয়। এ সময় ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও তার সঙ্গে থাকা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়। তবে তাদের পক্ষ থেকে বুয়েটে জামায়াতে ইসলামির ছাত্র সংগঠন শিবির ও নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীরের কার্যক্রম নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। পরে গণমাধ্যমে একপাক্ষিক আন্দোলন নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে মৌলবাদী ছাত্র সংগঠন ও মৌলবাদী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে একাত্মতা প্রকাশ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের শুরুর দিকে গণমাধ্যমে প্রচারিত হিজবুত তাহরীর ও ছাত্র শিবির নিয়ে প্রকাশিত খবরকে অপপ্রচার বলে চালানোর চেষ্টা করেন বুয়েটের বর্তমান ও সাবেক কিছু শিক্ষার্থী। তারা এনিয়ে  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যও করে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪৪

টাঙ্গুয়ার হাওরে গ্রেপ্তার বুয়েট শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম 
সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে গত বছরের জুলাইয়ে গ্রেপ্তার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ৩৪ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করার দাবি জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। এই দাবি আদায়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে সংগঠনটি। রোববার (৩১ মার্চ) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে এই দাবি জানানো হয়।  সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, বুয়েটে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি যেভাবে মাথাচাড়া দিয়েছে, সেখানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, মৌলবাদী গোষ্ঠী একের পর এক রাষ্ট্রবিরোধী দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। আজকে বুয়েটে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির কণ্ঠ বন্ধ করে সেখানে তারা স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদী অপশক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হয়েছে। আজকে বুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে সেই ১৯৭১ সালের পরাজিত অপশক্তি জামায়াত-শিবির অন্ধকারে কার্যক্রম পরিচালিত করে জঙ্গীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করার চেষ্টা করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তিনি আরও বলেন, গত বছরের ৩১ জুলাই সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে বুয়েটের ৩৪ জন শিবির ক্যাডার রাষ্ট্রবিরোধী গোপন বৈঠক করে ষড়যন্ত্রের অপরাধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল। বুয়েট প্রশাসন এখনো সেই ৩৪ জন শিবির ক্যাডারকে বুয়েট থেকে বহিষ্কার করেনি। আমরা সুস্পষ্টভাবে বুয়েট প্রশাসনকে বলতে চাই, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই ৩৪ জন শিবির ক্যাডারকে বুয়েট থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। অবিলম্বে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে যে কালো আইন বুয়েট প্রশাসন তৈরি করেছে সেটি প্রত্যাহার করতে হবে। বুয়েট প্রশাসন দাবি না মানলে আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও জানান তারা।  কর্মসূচি থেকে সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র করার অপরাধে যে ৩৪ জন শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হয়েছিল এদের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড খুঁজলে দেখা যাবে এরা জামায়াতের প্রত্যক্ষ মদদে ষড়যন্ত্র করতেই সেখানে গিয়েছিল। তারা শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা এবং শিবিরের ক্যাডার। সেই সময় আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম, এই ৩৪ জন শিবির ক্যাডারকে স্বাধীনতার পক্ষের এই সরকারকে উৎখাত করার জন্য একত্রিত করা হয়েছিল। এই ৩৪ জনকে অবিলম্বে বুয়েট থেকে বহিষ্কার করতে হবে। সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের উপদেষ্টা ভাস্কর রাশা, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক কবীর চৌধুরী তন্ময়সহ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের অন্যান্য নেতারা।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৭

বুয়েট শিক্ষার্থীদের দাবি প্রসঙ্গে যা জানালেন উপাচার্য
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর সঙ্গে আমরাও সহমত, তবে এগুলো পূরণে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের জন্য সময় প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার। শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, ‌‘শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর সঙ্গে সহমত পোষণ করছি। কিন্তু সকাল ৯টা, দুপুর ২টা—এভাবে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়। দাবি পূরণ করার জন্য যা যা করার, করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন এলে আমরা নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’  তিনি বলেন, ‘নিয়মের বাইরে আমি কিছু করতে পারব না। নিয়মবহির্ভূতভাবে একজনকে বহিষ্কার করলে সেটা আদালতে টিকবে না। নিয়মের মধ্যে সবকিছু করার জন্য সময়ের প্রয়োজন। যেহেতু রোজার মাস, সময় একটু বেশি দেওয়া উচিত ছিল।’ এর আগে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রবেশ এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর প্রতিবাদসহ পাঁচ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। সকাল ৭টায় তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভ চলে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।  তবে বিক্ষোভ শেষ করার আগে শিক্ষার্থীরা রোববারও টার্ম ফাইনাল পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করার ঘোষণা দেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, আবরার ফাহাদ হত্যার পর বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরও গত বুধবার মধ্যরাতের পর বহিরাগত কিছু নেতাকর্মী বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালান। বুধবার মধ্যরাতের পর ক্যাম্পাসে ‘বহিরাগতদের’ প্রবেশ ও রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ইমতিয়াজ হোসেন। যিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। এ ঘটনায় শুক্রবার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল ছিল বুয়েট ক্যাম্পাস। এদিন পাঁচ দফা দাবিতে দুপুর আড়াইটা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত টানা বিক্ষোভ করেন তারা। তারা দাবি আদায়ে শনিবার ও রোববারের পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দেন। এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা স্থগিত করিনি। শিক্ষার্থীরা বর্জন করেছেন। তারা পরীক্ষা স্থগিতের আবেদনও করেননি। তারা আবেদন করলে আমরা বিবেচনা করতাম। তারা এখানে ভুল করেছেন। পরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু তারা পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী ঘণ্টা বাজবে, ছাত্ররা আসুক না আসুক—এমন ঘটনা বুয়েটে আগেও ঘটেছে। পরে তারা পরীক্ষার জন্য আবেদন করলে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল বিবেচনা করতে পারে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের প্রবেশের বিষয়ে নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে আমরা কারণ দর্শানোর নোটিশ দেব যে, কেন তিনি ঢুকতে দিলেন। তার তো ঢুকতে দেওয়া উচিত হয়নি। গভীর রাতে কেউ (ক্যাম্পাসে) ঢুকলে এটা অবশ্যই অমানবিক বা অনিয়মতান্ত্রিক। কে ঢুকেছে, তাকে তো আগে চিহ্নিত করতে হবে। চিহ্নিত না করে তো শাস্তি দেওয়া যাবে না। তার জন্য সময় প্রয়োজন। যদি কোনো নিরাপত্তারক্ষী বহিরাগত ব্যক্তিদের ঢুকতে দিয়ে থাকেন, তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব’  
৩০ মার্চ ২০২৪, ২২:৫০

বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আপাতত স্থগিত
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে গত বুধবার মধ্যরাতে বহিরাগতদের নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রবেশের প্রতিবাদে ডাকা আন্দোলন আপাতত স্থগিত করেছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আজকের মতো আন্দোলন স্থগিত করে করা হয়। দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, বেলা সকাল ১১টার দিকে বুয়েট শহীদ মিনারের সামনে নতুন দাবি জানায় তারা। তবে তাদের দাবিতে আদায়ে অনড় থাকবেন তারা । শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের কোনো নতুন দাবি নেই। এই দাবিগুলোর সঙ্গে আন্দোলনে উপস্থিত সবার গণস্বাক্ষর নিয়ে আবেদনপত্র জমা দিয়েছি।  দেখি আমাদের স্যার পরবর্তীতে কথা বলতে চান কিনা, কোনো আপডেট দিতে চান কিনা। আবেদনপত্র জমা দিয়ে এসেছি এবং এখনো পর্যন্ত আমাদের দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা দাবির বাস্তবায়ন চাই এবং দাবির বাস্তবায়ন না হলে ফের আন্দোলন চলবে। শিক্ষার্থীরা বলেন, রোববার সকাল সাতটায় শহীদ মিনারের সামনে আমরা জড়ো হবো। আজ (শনিবার) দুপুর ২টা পর্যন্ত আলটিমেটাম ছিল তবে আন্দোলনরত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আন্দোলন আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৫

বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, যে সিদ্ধান্ত নিলো প্রশাসন
গত ২৭ মার্চ মধ্যরাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের ঘটনার জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধসহ ৬ দফা দাবি ও কর্মসূচি ঘোষণা করে শিক্ষার্থীরা। তাদের আংশিক দাবি মেনে নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বুয়েটে প্রশাসন। শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাত ১০টার দিকে এ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রশাসন। এতে বলা হয়, গত ২৭ মার্চ দিবাগত রাত ১টার দিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংঘটিত ঘটনার প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে- ১. বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের (স্টুডেন্ট নম্বর ২১০৪১৪১) হলের সিট বাতিল করা হল। ২. এছাড়া সার্বিক বিষয়ে তদন্তপূর্বক সুপারিশ প্রদান করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর টার্ম অথবা সেমিস্টার ফাইনালসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকবে। প্রসঙ্গত, বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বি ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করানোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বর্তমানে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ। তাই এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে নতুন করে রাজনীতি শুরুর পাঁয়তারা হিসেবে দেখছেন শিক্ষার্থীরা। যার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তারা আন্দোলন শুরু করেন।    
৩০ মার্চ ২০২৪, ০৪:৪৮

৬ দফা দাবি না মানলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা বুয়েট শিক্ষার্থীদের
মধ্যরাতে একটি রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের ঘটনার জেরে ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধসহ ৬ দফা দাবি ও কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।  শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে থেকেই শিক্ষার্থীদের স্লোগানে উত্তাল বুয়েট ক্যাম্পাস।   শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবিগুলো হলো- ১. বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে ২৮ মার্চ মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক ২১তম ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বিকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও হলের সিট বাতিল করতে হবে। ২. ইমতিয়াজের সঙ্গে বুয়েটের বাকি যেসব শিক্ষার্থী জড়িত ছিলেন তাদের বিভিন্ন মেয়াদে হল ও টার্ম বহিষ্কার করতে হবে। ৩. রাজনীতি সংশ্লিষ্ট বহিরাগত যারা ক্যাম্পাসে ঢুকেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তারা কেন ও কীভাবে প্রবেশের অনুমতি পেলেন- এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট জবাবদিহি দিতে হবে বুয়েট প্রশাসনকে। ৪. ১ ও ২ নম্বর দাবি শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৯টার মধ্যে বাস্তবায়ন করা না হলে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের (ডিএসডব্লিউ) পদত্যাগ চান। ৫. ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে বহিরাগতদের প্রবেশের কারণে শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। এর প্রতিবাদ হিসেবে আগামীতাল শনিবার ও পরদিন রোববার টার্ম ফাইনালসহ সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করা হবে। ৬. আন্দোলনরত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো রকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না, এই মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা বলেন, বুয়েটের নীতিমালা অনুযায়ী এখানে সাংগঠনিক রাজনীতি নিষিদ্ধ। এমন একটি ক্যাম্পাসে রাতের আঁধারে ঘটে যাওয়া এত বড় একটি রাজনৈতিক সমাগম এবং বহিরাগতদের আগমন বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদার প্রতি অপমানজনক। শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তর এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়ার দায় এড়িয়ে যেতে পারে না। ঘটনার দেড় দিন পার হলেও ছাত্রলকল্যাণ পরিদপ্তর থেকে ঘটনার কোনো সদুত্তর ও জবাবদিহিতা শিক্ষার্থীদের কাছে আসনি। জড়িতদের বহিষ্কারসহ ছয় দফা দাবিতে আগামী ৩০ ও ৩১ মার্চ ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণাও দেন শিক্ষার্থীরা। ৩০ মার্চ সকাল ৮টা থেকে বুয়েটের সব প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন শিক্ষার্থীরা।
২৯ মার্চ ২০২৪, ২২:১৩

পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে নওগাঁয় মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বেলা ১১টায় নওগাঁ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা শহরের মুক্তির মোড়ে এ মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সিফাত হোসেন, আরমান মন্ডল, বরকত মোল্লা, শাকিল, আরিফ, রিয়া, তামান্নাসহ অন্যান্যরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ১৯ মে থেকে শুরু হবে অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা। যেখানে রুটিনে প্রত্যেক পরীক্ষার মাঝে একদিন করে ছুটি রয়েছে। অথচ যেকোনো পরীক্ষা নিতে দেড় থেকে দুই মাস সময় বরাদ্দ থাকে। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্রুত পরীক্ষা শেষ করতে চাচ্ছে।  সেশনজট কমানোর নামে শিক্ষার্থীদের জীবন হুমকির মুখে ফেলে দিতে চায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই দ্রুত পরীক্ষার প্রকাশিত রুটিন পেছানোসহ প্রত্যেক পরীক্ষার মাঝে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ দিন করে ছুটির দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭:০১

শিক্ষার্থীদের ভাবনায় স্বাধীনতা দিবস
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা আমাদের কোটি প্রাণের চাওয়া ছিল। ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে এ কাঙ্ক্ষিত চাওয়ার বাস্তবায়ন ঘটেছে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করার মধ্য দিয়ে। স্বাধীনতার এত বছর পর অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে, আমরা আমাদের স্বপ্নের কতটা পূর্ণতা দিতে পেরেছি। স্বাধীনতা দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে তাদের ভাবনা তুলে ধরেছেন তারানা তানজিনা মিতু। স্বাধীনতা অর্জিত হলেই চিরস্থায়ী হয় না, তা যে কোনো সময় হরণ হতে পারে, তাই স্বাধীনতা অর্জনই মূল উদ্দেশ্য নয়। একে সমুন্নত রাখা একটি সার্বক্ষণিক কাজ। আমাদের স্বাধীনতা শুধু কোনোরকমে বেঁচে থাকার জন্য করা হয়নি। আমাদের দেশের নাম, পতাকা, শাসক ও শাসন পদ্ধতি বদলেছে।  আমরা নিজেদের স্বাধীন নাগরিক বলতে পারছি কিন্তু যে পরিমাণ ত্যাগ, ক্ষত এবং রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। সেই হারে আমাদের অর্জন হয়নি। রাজনৈতিক বিভেদ, ধর্মীয় কাদা ছোড়াছুড়ির মাধ্যমে সৃষ্ট অনৈক্য এর অন্যতম বড় কারণ, তাই নিজের মাতৃভূমিকে ভালোবাসে এমন মানুষগুলোর মধ্যে ঐক্য দরকার, মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, দেশকে ভালোবাসে- এমন তরুণ বাংলাদেশে লাখ লাখ।  তাদের সামনে দেশপ্রেমের উদাহরণ আরও বেশি তুলে ধরতে হবে, পরাধীন জাতি পশুর চেয়ে অধম। তাই স্বাধীনতা এত আনন্দের, এত গৌরবের। স্বাধীনতা দিবসের আনন্দ জাতীয় জীবনে নতুন প্রাণের সঞ্চার করুক। স্বাধীনতাকে রক্ষা করার শপথই হোক স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের মূলমন্ত্র।  উম্মে হানি তানহা, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আলো ব্যতিত যেমন পৃথিবীর সুন্দরতম দৃশ্যগুলো জাগ্রত হয় না, স্রোত ছাড়া নদী যেমন টেকে না, তেমনিভাবে স্বাধীনতা ছাড়া একটি জাতিকে কল্পনা করা যায় না। আর সে স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ এবং ৩০ লাখ শহীদের বিনিময়ে। ব্রিটিশদের হাত থেকে স্বাধীনতা পেলেও আমরা হারিয়েছিলাম নিজেদের আত্মস্বাধীনতা, হারাতে বসেছিলাম নিজেদের ভাষা এবং সংস্কৃতি। ঠিক তখনই দেশের তরুণ-যুবক, বুদ্ধিজীবী, কৃষক-শ্রমিকরা এক হয়ে দেশকে পাক হানাদার বাহিনী থেকে রক্ষার জন্য রাস্তায় নেমে পড়ে। কাঙ্ক্ষিত এই স্বাধীনতা পেয়েছি তাদের রক্তের বিনিমিয়ে ১৯৭১ সালে। আজ আমরা স্বাধীন হয়েও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য কতটুকু কাজ করছি তা ভাবনার বিষয়। দেশের কৃষক-শ্রমিকরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, বঞ্চিত হচ্ছে দেশের আগামীর নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীরা ভালো শিক্ষা থেকে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিণত হচ্ছে একেকটা টর্চার সেল। রাজনৈতিক অস্থিরতা আর মারামারি-হানাহানির জন্য দক্ষ শিক্ষার্থী বের হচ্ছে না এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে। এমনকি শিক্ষার্থীরাও হারাচ্ছে নিজেদের অধিকার। অথচ এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোই ছিলো স্বাধীনতার ধারক এবং বাহক। তাই আমাদের স্বাধীনতার নতুন বছরের শপথ নেওয়া উচিত, এই বাংলায় স্বাধীনতার সুফল বয়ে আনা এবং দেশকে আরও উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। তাওরাত তানিজ, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। স্বাধীনতা শব্দটার গুরুত্ব পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদগুলোর চেয়েও ভারী। প্রতিটি মানুষ স্বপ্ন দেখে নিজের স্বাধীনতার। কে চায় বন্দী জীবন! অতঃপর বহুল প্রত্যাশিত স্বাধীনতা অর্জন করি। সেই অর্জনের মান রাখার দায়িত্ব এখন আমাদের, এই জেনারেশনের সকলের। কথায় আছে স্বাধীনতা অর্জনের চেয়েও রক্ষা করা কঠিন। প্রতিটি বাঙালির জীবনে স্বাধীনতা দিবস গৌরবময় ও তাৎপর্যপূর্ণ, সেই সঙ্গে এই অর্জন বহন করে তার মর্যাদা দেওয়াও আমাদের বড় দায়িত্ব। রাহেলা আকতার পপি, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি স্বাধীনতা ছাড়া জীবন মানে আত্মাছাড়া শরীর। স্বাধীনতার এই দিনটি প্রতিটি বাঙালির জীবনে বয়ে আনে আনন্দ, বেদনা, গৌরবের এক অম্লমধুর অনুভূতি। একদিকে হারানোর কষ্ট অন্যদিকে মুক্তির আনন্দ। বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য ৩০ লক্ষ মানুষ তাদের জীবন দিয়েছে। তাদের এই আত্মত্যাগকে যথাযথ মর্যাদা দিয়ে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। স্বাধীনতা বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। স্বাধীনতার ইতিহাস আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে। মো. আরিফ হোসেন, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি লেখক- শিক্ষার্থী, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ।
২৬ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫৫

অস্ট্রেলিয়ায় যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ
অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসীর সংখ্যা রেকর্ড অবস্থায় পৌঁছেছে, ফলে চলতি সপ্তাহে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসানীতি আরও কঠোর করতে যাচ্ছে দেশটি। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ওনিলের বিবৃতির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিবাসনের মাত্রা কমিয়ে আনতে আগামী ২৩ মার্চ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় স্টুডেন্ট ও গ্রাজুয়েট ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার স্কোর আরও বাড়ানো হবে। সেই সঙ্গে বারবার নিয়ম ভঙ্গ করলে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত হবে। অন্যদিকে, ভ্রমণের জন্য দেশটিতে আশা বিদেশিদের জন্য আরও বেশি সংখ্যায় ‘নো ফারদার স্টে’ (আর থাকা যাবে না) শর্ত আরোপ করা হবে।  উল্লেখ্য, করোনার পর ২০২২ সালে বিদেশি শিক্ষার্থী ও কর্মী গ্রহণ বাড়িয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া। এতে দেশটির শ্রমবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়লেও আবাসনে দেখা দিয়েছে নেতিবাচক প্রভাব। সামগ্রিকভাবে দেশটির জনসংখ্যা ২ দশমিক ৫ শতাংশ হারে বেড়ে রেকর্ড হয়েছে। আর গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেশটির লোকসংখ্যা বেড়েছে ২ কোটি ৬৮ লাখেরও বেশি।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়