• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে, বেড়েছে মাদরাসায়
দেশে গত চার বছরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী কমেছে। তবে এ সময়ে কারিগরি, মাদরাসা ও ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষার্থী বেড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। তবে শিক্ষার্থী কমার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করেনি সংস্থাটি। ব্যানবেইসের প্রতিবেদনে দেখা যায়, করোনা মহামারির আগের বছরে ২০১৯ সালে দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ছিল ৯২ লাখের বেশি। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা কমে ৮১ লাখ ৬৬ হাজার ১৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ, ওই চার বছরে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী কমেছে। আর এই সংখ্যার ৫৫ শতাংশই ছাত্রী। যারা দেশের ১৮ হাজার ৯৬৮টি বিদ্যালয়ে পড়ত।  অন্যদিকে, চার বছরের ব্যবধানে সরকারের অধীনে থাকা মাদরাসাগুলোতে (দাখিল ও আলিম ধারার মাদরাসা) আড়াই লাখের বেশি শিক্ষার্থী বেড়েছে। বর্তমানে মাদরাসাগুলোতে শিক্ষার্থী ২৭ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি। এর মধ্যে ছাত্রী প্রায় ৫৪ শতাংশ। স্কুল অ্যান্ড কলেজগুলোতে এক লাখ ৮০ হাজারের মতো শিক্ষার্থী বেড়েছে। বর্তমানে ১২৩টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করছে ২৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী; যা চার বছর আগে ছিল ২৬ হাজারের বেশি। সরকার কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দেওয়ায় কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। বর্তমানে ৫ হাজার ৩৯৫টি (এর মধ্যে ৫৮৮টি সরকারি) কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থী প্রায় সাড়ে ৭ লাখ। চার বছর আগে যা ছিল ৭ লাখের মতো। ওই সময় কারিগরি প্রতিষ্ঠান ছিল ২ হাজার ৩০৯টি। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যায় সমতা এলেও কারিগরিতে ছাত্রীদের হার এখনো অনেক কম। কারিগরিতে যত শিক্ষার্থী পড়ে, তার মধ্যে ২৯ শতাংশের মতো ছাত্রী।  ব্যানবেইসের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান শেখ মো. আলমগীর বলেন, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যেসব তথ্য পেয়েছেন, সেগুলো তারা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন। দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আমার তা উপস্থাপন করেছি। এখানে ব্যানবেইসের নিজস্ব কোনো পর্যালোচনা নেই। এই তথ্য নিয়ে সরকারের নীতি নির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর কাজ করতে পারে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান বলেন, করোনা প্রতিঘাতের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের অনেকে কর্মজীবনে প্রবেশ করায় মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমে গেছে। তাদের ক্লাস রুমে ফিরিয়ে আনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানান সোলেমান খান।  
১৮ ঘণ্টা আগে

প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চাশের কম শিক্ষার্থী থাকলে পাশের স্কুলে একীভূত
দেশের যেসব প্রাথমিক স্কুলে বিগত ১০ বছরে শিক্ষার্থী সংখ্যা পঞ্চাশের কম—এমন স্কুলগুলোকে পাশের স্কুলের সঙ্গে মার্জ (একিভিূত) করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, আমরা বিগত ১০ বছরের চিত্র দেখে যেসব স্কুলে ৫০ জনের কম শিক্ষার্থী আছে, সেগুলো পাশের স্কুলের সঙ্গে একিভূত করা হবে। আমরা এ ধরনের প্রায় ৩০০টি স্কুল পেয়েছি। এগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করছি। তবে ঢালাওভাবে সব স্কুল বন্ধ করা হবে না। স্থানীয় বাস্তবতাসহ সব অবস্থা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, রাঙ্গামাটি জেলার বিলায়ছড়ি একটা উপজেলা আছে, সেখানে একটা স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৪২ জন। বিগত কয়েক বছরই ৪২ জন। ওই স্কুল আমরা মার্জ করবো না। কারণ, ওই ৪২ জন শিক্ষার্থী প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার জায়গা থেকে আসে। সুতরাং ওই প্রেক্ষাপট আমরা বিবেচনায় নেবো। আমরা একেবারে ইনজেনারেল সিদ্ধান্ত নেবো না। যেখানে বিগত কয়েক বছর ধরে ৫-৭ জন শিক্ষার্থী আছে, সেগুলো আমরা মার্জ করে দেবো, এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বরিশাল শহরের একটি স্কুলের উদাহরণ দিয়ে সচিব বলেন, ওই স্কুলে গত দশ বছরে ২০ জনের বেশি শিক্ষার্থী কখনো হয়নি। আবার দেখা যায় কোনো কারণে করোনার সময় ৫০ জনের নিচে চলে আসে, এখন আবার ৮০-৯০ হয়েছে আমরা এ স্কুল বন্ধ করবো না। আবার অন্যদিকে দেশের ৫০০ এর বেশি স্কুলে ১৫০০ বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। সেখানে ভর্তি জন্য আরও ১ হাজার শিক্ষার্থীর ডিমান্ড আছে। এসব স্কুলগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো উদ্যোগ নেওয়া হবে।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৮:৩৯

জাবিতে শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বরের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হয়ে সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ প্রদক্ষিণ করে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।   আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিনদফা দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিল করতে হবে, মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করতে হবে, অটোমেশন চালু করতে হবে, অপ্রয়োজনীয় ২৭০ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত পাঠাতে হবে। মিছিল পরবর্তী সমাবেশে নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তামীম স্রোতের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সহসভাপতি আশফার রহমান নবীন বলেন, শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি অবৈধ। এই বিশ্ববিদ্যালয় আসা মেহনতি কর্মজীবী কৃষিজীবীদের সন্তানরা যেন পড়তে না পারে তারই একটা পাঁয়তারা করছে প্রশাসন। এ ছাড়া ২৭০ কোটি টাকা ব্যয় করে এই যে,  বিল্ডিংগুলো করছে এগুলো অপ্রয়োজনীয়। জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে  রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অর্থনৈতিক সংকটের সময়ে এই টাকাগুলো যেন ফেরত নেওয়া হয়। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ফারিয়া জামান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইসফার সাদী এবং সমাপনী বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সংগঠক সজীব আহমেদ জেনিচ।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২২:০৪

ডিআইইউতে ১০ শিক্ষার্থী বহিস্কারে ডিইউজের আল্টিমেটাম
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ) সাংবাদিক সমিতির কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ এবং সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। রোববার ( ১৭ মার্চ) সংগঠনের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানান।  বিবৃতিতে অবিলম্বে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে ক্যাম্পাসে বস্তুনিষ্ঠ ও স্বাধীন সাংবাদিকতা চর্চার অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিতের আহ্বান জানানো হয়।  সাংবাদিক নেতারা বলেন, অভ্যন্তরীণ অনিয়ম, দুর্নীতি ও শিক্ষার্থী হয়রানির মতো জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সংগঠনের সদস্যরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের কারণে এর আগেও বেশ কয়েকবার সমিতি বন্ধের পাঁয়তারা করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ মার্চ সমিতির নতুন কমিটি গঠনের পর এর কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ ও সংশ্লিষ্ট ১০ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে ডিআইইউ প্রশাসন। সাংবাদিক সমিতির মতো একটি পেশাজীবী সংগঠন তৈরির কারণে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও নজিরবিহীন।  তারা আরও বলেন, দেশের অন্য সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে প্রশাসন কর্তৃক সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হলেও ডিআইইউ কর্তৃপক্ষের ধৃষ্টতাপূর্ণ এমন আচরণ অত্যন্ত আপত্তিকর এবং অনভিপ্রেত। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসনের কাছে দাবি, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তারা ১০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নেওয়া অন্যায় বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করবেন এবং সংবিধানকে সম্মান জানিয়ে ক্যাম্পাসে সাংবাদিকবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করবেন। অন্যথায় কঠোরতম কর্মসূচি দেওয়া ছাড়া আর কোনো পথ থাকবে না ডিইউজের।    
১৭ মার্চ ২০২৪, ২৩:১৮

বাবার পাশেই শায়িত হবেন জবি শিক্ষার্থী অবন্তিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার জানাজা আজ জোহর নামাজের পর অনুষ্ঠিত হবে। এরপর কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা কবরস্থানে বাবার পাশেই শায়িত করা হবে তাকে। শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরের দিকে অবন্তিকার মামা লুৎফুর আনোয়ার ভূঁইয়া এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আমরা এখন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে আছি। এখানে তার ময়নাতদন্ত চলছে। ময়নাতদন্ত শেষ হলে মরদেহ নিয়ে যাব। জোহরের নামাজের পর কুমিল্লা সরকারি কলেজ মাঠে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে শাসনগাছা কবরস্থানে বাবার কবরের পাশেই সমাহিত করা হবে তাকে। ফাইরুজ অবন্তিকা কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকার বাসিন্দা। তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক শিক্ষক প্রয়াত অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের মেয়ে।  এর আগে শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে দায়ী করে যান অবন্তিকা। এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তদন্তে কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান আইন অনুষদের ডিন ড. মাসুম বিল্লাহ। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নির্দেশে অভিযুক্ত শিক্ষককে প্রক্টরিয়াল বডি থেকে অব্যাহতি এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযুক্ত সহপাঠীকে সাময়িক বহিষ্কার ও দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুতে উপাচার্য সাদেকা হালিম, কোষাধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। মৃত্যুর কারণ হিসেবে তার সুইসাইড নোটে দেওয়া আইন বিভাগের সহপাঠীকে সাময়িক বহিষ্কার ও দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সহায়তাকারী শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও প্রক্টরিয়াল বডি থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক করে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুত উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১২:৩০

জবি শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহত্যা, ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি
শিক্ষক ও সহপাঠীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি এবং মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তদন্তে কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান আইন অনুষদের ডিন ড. মাসুম বিল্লাহ। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নির্দেশে অভিযুক্ত শিক্ষককে প্রক্টরিয়াল বডি থেকে অব্যাহতি এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।   তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ এ বিষয়ে বলেন, আমরা খুবই মর্মাহত। আমাদের পুরো আইন বিভাগ মর্মাহত। মেয়েটি খুব ভালো ছিল, সত্যিকার অর্থেই মেধাবী ছিল। কিছু বলার ভাষা নেই। আমি মাত্র জানলাম আমাকে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। সত্যিকারের ঘটনা বের করে আনার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আমরা চাই দোষীরা যেন শাস্তি পায়। এর আগে শুক্রবার রাত ১০টায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে দায়ী করে যান অবন্তিকা।
১৬ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪৫

ইফতার পার্টিতে নিষেধাজ্ঞা, প্রতিবাদে ঢাবিতে ‘গণইফতার’ কর্মসূচি
দেশের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইফতার পার্টি’ বন্ধের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ‘গণইফতার’ কর্মসূচি পালন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম রোজায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন বলেন, বাঙালি মুসলমানের ঐতিহ্য ইফতার মাহফিল। দেশের দুটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের ক্যাম্পাসে ইফতার মাহফিল নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে দেশ থেকে ইসলামি সংস্কৃতি বাদ দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই গণইফতার কর্মসূচি পালন করেছি।  তিনি বলেন, ওই দুই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আহ্বান জানাই— তারা যেন তাদের আদেশ প্রত্যাহার করে নেয়। আশা করি, আর কোনো কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেবে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ইফতার মাহফিল করা একটি ঐতিহ্য। ইফতার মাহফিল বন্ধ করলে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়াতে পারে। তাই ওই দুই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আমাদের আহ্বান, তারা যেন তাদের আদেশ প্রত্যাহার করে নেয়। আমাদের সব সাধারণ শিক্ষার্থীর এটিই দাবি। এর আগে রোববার (১০ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা উল্লেখ করে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ইফতার পার্টি আয়োজন না করার অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এরপরের দিন  সোমবার (১১ মার্চ) নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই ধরনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে এবারের রোজায় ইফতার পার্টি আয়োজন না করার অনুরোধ জানানো হয়।  এদিকে ‘ইফতার পার্টি’ বন্ধের প্রতিবাদে মঙ্গলবার দেশব্যাপী কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‌‘গণইফতার কর্মসূচির’ আয়োজন করা হয়।
১২ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪১

শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে শাবিপ্রবিতে হল থেকে বহিষ্কার ৮ শিক্ষার্থী
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) ২০২১-২২ সেশনের ব্যাচের নামকরণ নিয়ে কোন্দল এবং ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় জড়িত আট শিক্ষার্থীকে নিজ নিজ হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। বহিষ্কৃতরা শাবি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সাময়িক বহিষ্কারাদেশ বহাল থাকা অবস্থায় তারা আবাসিক হলে প্রবেশ করতে পারবে না। বহিষ্কৃতরা হলেন- সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সাদমান হাফিজ ও রিফাত চৌধুরী রিয়াজ, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের মোবাশ্বির বাঙালি, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের মহসিন নাইম ও ইংরেজি বিভাগের তৈমুর সালেহীন তাউস, সমাজকর্ম বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের হৃদয় মিয়া, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শান্ত তারা আদনান ও পরিসংখ্যান বিভাগের তানভীর আহমেদ। জানা যায়, ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থীদের ব্যাচের নামকরণ নিয়ে মেসেঞ্জার গ্রুপে এক শিক্ষার্থীর মন্তব্যের জের ধরে শাহপরাণ হলের সামনে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। পরে সমাধানের উদ্দেশ্যে ওই হলের গেস্ট রুমে ছাত্রলীগের একাধিক গ্রুপের কর্মীরা বসে। বিষয়টি সমাধান না হয়ে আবারও তর্কাতর্কিতে রূপ নেয় এবং ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সহসভাপতি মামুন শাহের অনুসারীরা বঙ্গবন্ধু হলে অবস্থান নিলে ছাত্রলীগ নেতা সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমান, সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক সজীবুর রহমান, সাবেক সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুমন মিয়াসহ অন্যান্য গ্রুপের কর্মীরা তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি এবং হলের প্রভোস্ট বডির সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। বহিষ্কার ও ঘটনার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, হল প্রশাসনের প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে তাদের হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়াও অন্যান্যরা জড়িত কিনা চূড়ান্ত তদন্ত করার জন্য আরও একটি পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক আজিজুল বাতেন। আশাকরি, তিনি খুব দ্রুত এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৮:৪২

নাইজেরিয়ায় স্কুল চলাকালীন ২৮৭ শিক্ষার্থী অপহৃত
নাইজেরিয়ায় দুটি স্কুল থেকে ৩১২ জনকে অপহরণ করেছে বন্দুকধারীরা। এর মধ্যে অপহরণকারীদের হাত থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছে ২৫ জন। পালিয়ে আসাদের মধ্যে একজন শিক্ষকও আছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কুরিগায় এ ঘটনা ঘটে। স্কুল দুটিতে অ্যাসেম্বলি চলছিল ওই সময়। খবর বিবিসির।    প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কুল প্রাঙ্গণে অ্যাসেম্বলি চলার সময় মোটরসাইকেলে করে সেখানে ঢুকে পড়ে কয়েকজন বন্দুকধারী। অপহৃত শিক্ষার্থীদের বয়স ৮ থেকে ১৫ বছর। কুরিগা শহরটি নাইজেরিয়ার কাদুনা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। এ রাজ্যের গভর্নর উবা সানি অপহরণের খবরটি নিশ্চিত করে বলেন, একটি সরকারি মাধ্যমিক স্কুল থেকে ১৮৭ জন ও প্রাথমিক স্কুল থেকে ১২৫ জনকে অপহরণ করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজন শিক্ষকও ছিলেন। পরে ওই শিক্ষকসহ ২৫ জন পালিয়ে আসেন। বাকি ২৮৭ জন শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের জন্য অভিযানে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।  অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে আসা ওই শিক্ষক বলেন, স্থানীয় লোকজন অপহৃত শিশুদের উদ্ধারের চেষ্টা করেছিলেন। তবে বন্দুকধারীদের সঙ্গে তারা পেরে ওঠেননি। এ সময় এক ব্যক্তি নিহতও হন। নাইজেরিয়ায় অপহরণকারী চক্রগুলো দস্যু বাহিনী হিসেবে পরিচিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কয়েকশো মানুষকে অপহরণ করেছে তারা। বিশেষ করে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অপহরণের ঘটনা বেশি ঘটেছে। এর আগে গত জানুয়ারিতে কুরিগাতে দস্যু বাহিনীর হামলায় একটি স্কুলের অধ্যক্ষ নিহত হন। সেইসঙ্গে তার স্ত্রীকে অপহরণ করা হয়।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৯

ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষা আজ, প্রতি আসনে লড়বেন ৯৩ শিক্ষার্থী
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ ও মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার (৮ মার্চ)। এবার প্রতিটি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৯৩ জন শিক্ষার্থী। সকাল ১০টায় ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে বেলা ১১টা। পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি, ‘এ’ লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সর্বমোট নম্বর থেকে ৫ (পাঁচ) নম্বর বাদ দিয়ে এবং পূর্ববর্তী বছরের সরকারি মেডিকেল কলেজ বা ডেন্টাল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটে ভর্তি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বমোট নম্বর থেকে ১০ (দশ) নম্বর বাদ দিয়ে মেধাতালিকা নির্ধারণ করা হবে। লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় ১০০টি প্রশ্নের প্রতিটি ১ নম্বর করে মোট (এইচএসসি বা সমমান সিলেবাস অনুযায়ী) ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পদার্থবিদ্যা ২০, রসায়নবিদ্যা ২৫, জীববিজ্ঞান ৩০, ইংরেজি ১৫ ও সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ) ১০ অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পেলে অকৃতকার্য বিবেচনা করা হবে। ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পেলে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবেন না।
০৮ মার্চ ২০২৪, ০৭:৩৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়