• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পরীক্ষার্থীদের হাতে নকল তুলে দিচ্ছেন শিক্ষকরা
পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পরীক্ষার্থীদের হাতে নকল তুলে দিচ্ছেন শিক্ষকরা। আবার কোনো শিক্ষককে দেখা যাচ্ছে ব্ল্যাকবোর্ডে উত্তর লিখে দিচ্ছেন। এমনটা দৃশ্য দেখা গেলো লক্ষ্মীপুরের বশিকপুর ডি.এস.ইউ. কামিল মাদরাসা (লক্ষ্মী-০২) পরীক্ষা কেন্দ্রে। দাখিল পরীক্ষা চলাকালীন সময়ের একটি শ্রেণিকক্ষের সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষকরা নিজ পকেট থেকে পরীক্ষার্থীদের হাতে নকল তুলে দিচ্ছেন। একজন শিক্ষক দরজায় দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছেন, আরেকজন পরীক্ষা কক্ষে শিক্ষার্থীদের বলে দিচ্ছেন।  আবার কোনো কোনো কক্ষে দেখা মেলে শিক্ষকরা নিজেই ব্ল্যাক বোর্ডে উত্তর লিখে দিচ্ছেন। গত ২২ ফেব্রুয়ারির সাধারণ গণিত পরীক্ষা ও ৩ মার্চ ইংরেজি ১ম পত্রের পরীক্ষা নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাবার পরেও শিক্ষকরা দরজা আটকে পরীক্ষা নিয়েছে বলে অভিযোগও উঠেছে। বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড নীতিমালা অনুযায়ী দাখিল পরীক্ষার কেন্দ্র কমিটিতে ৫ জন সদস্যের কথা থাকলে বশিকপুর ডি.এস.ইউ. কামিল মাদরাসার কেন্দ্রসচিব হামিদুল ইসলাম নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন পদ সৃষ্টি করে উক্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে অংশ নেওয়া বিভিন্ন মাদরাসার সুপার/অধ্যক্ষসহ ১০ জনকে নিয়ে কমিটি গঠন করেন। এই কমিটি নিজেরা তাদের মনগড়া সিদ্ধান্তনুযায়ী মাদরাসা বোর্ডের নীতিমালাকে উপেক্ষা করে পরীক্ষা কেন্দ্রে নকল সরবরাহসহ অনিয়মে সহযোগিতা করছেন, বলে অভিযোগ রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বশিকপুর ডি.এস.ইউ. কামিল মাদরাসা (লক্ষ্মী-০২) কেন্দ্রে ১০টি মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। ৮টি কক্ষে পরীক্ষা হলেও সিসিটিভির ক্যামেরা রয়েছে ৩টি কক্ষে। অপর ৫টি কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা নেই, তবে সে কক্ষগুলোতেও একইভাবে অসুদপায় অবলম্বন করে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসকের চলতি দায়িত্বে থাকা প্রিয়াংকা দত্ত। তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হবে।
০৭ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪১

ঈদে শতভাগ উৎসব ভাতা চান এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা
ঈদুল ফিতরের আগেই শতভাগ উৎসব ভাতা চান এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। এছাড়া চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ করা, সরকারিভাবে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সকল নিয়োগ দেওয়াসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট’। শনিবার (২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) স্বাধীনতা হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান মহাজোটের নেতারা। এ সময় তারা তাদের দাবি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পূরণ না করে তাহলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন। তাদের অন্যান্য দাবি, এমপিওভুক্ত প্রধান শিক্ষকদের ৬নং গ্রেডে ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের ৭নং গ্রেডে বেতন প্রদান, এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো সমসংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া এবং মাধ্যমিক ডিজি আলাদাকরণপূর্বক এমপিওভুক্ত শিক্ষকদেরকে শিক্ষা প্রশাসনে আনুপাতিক হারে প্রেষণে নিয়োগ দেওয়া। সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক-১ ও বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি অধ্যক্ষ মওলানা দেলোয়ার হোসেন আজিজীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহাজোটের সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন আহমদ। লিখিত বক্তব্যে জসিম উদ্দিন বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ২০১৮ সাল থেকে জোটভিত্তিক টানা আন্দোলনের ভিত্তিতে সরকারের পক্ষ থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের যাবতীয় বৈষম্য নিরসনের আশ্বাস দেওয়া হয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের যৌক্তিকতা নিয়ে একটি প্রশাসনিক ও একটি আর্থিক কমিটি গঠনেরও আশ্বাস দেওয়া হয়। এতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বকেও কমিটিতে রাখার আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি। তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ২৭ ও ২৮ জুলাই গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে দুই দিনের একটি কর্মশালা শিক্ষক নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ডিজি মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কারিগরী শিক্ষার অফিসারবৃন্দের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। কর্মশালায় শিক্ষক নেতৃবৃন্দ এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের বিষয়ে তাদের মতামত লিখিতভাবে প্রদান করেন। শিক্ষা প্রশাসনের নেতারা কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে আশ্বাস দিয়েছিলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরী অফিসাররা বসে শিক্ষকদের মতামতের যৌক্তিকতা যাচাই করে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের বিষয়ে একটি সমন্বিত প্রস্তাব তৈরি করা করা হবে। শিক্ষক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বসে সমন্বিত প্রস্তাবসমূহ চূড়ান্ত করে তা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পাঠানো হবে। কিন্তু তা এখনও আলোর মুখ দেখেনি। মওলানা দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ঈদে আমাদের অপমানজনক ও লজ্জাজনক বোনাস দেওয়া হয়। বড় বড় মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পক্ষে জাতীয়করণ করা কোনো ব্যাপারই না। অথচ পাঁচ লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা দিতে মাত্র ৫০০ কোটি টাকা লাগবে। সরকারের পক্ষে এটা দেওয়া কোনো বিষয়ই না। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মেজবাউল ইসলাম প্রিন্স, বাংলাদেশ এমপিওভুক্ত শিক্ষক পরিষদের সভাপতি মো. শাহ আলম, সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান ও বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের মহাসচিব মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
০২ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৬

শিক্ষকরা অনিয়মিত, শিক্ষার্থীরা নিয়মিত যে বিদ্যালয়ে
যে বিদ্যালয়ে দিনের শুরুতে গাওয়া হয় না জাতীয় সংগীত, সে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কীভাবে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করবে এই গানটিই আমাদের বাংলাদেশের পরিচয়। জাতীয় সংগীতেই শেষ নয়, বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত থাকেন না শিক্ষকরাও। কোমলমতি শিশুদের হাজিরাও ডাকা হয় বিকেলে। শিক্ষকদের এমন আচরণে শিশুরাই বা কি শিখবে!  খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলা থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরের ফাতেমা নগর এলাকায় অবস্থিত বিদ্যালয়টি। পাহাড়ি-বাঙালির সংমিশ্রণে গড়া এই গ্রামটিতে ১৯৮০ সালে গড়ে উঠেছে বড় পানছড়ি দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রাথমিক বিদ্যালয় যে শিশুদের সুশিক্ষায় গড়ার প্রথম কারিগর সেটি হয়তো ভুলেই গেছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। শিক্ষকদের নানা অজুহাত আর অনিয়মেই ধ্বংস হচ্ছে শিশুদের মেধা। প্রতিটি বিদ্যালয়ে দিনের শুরুতে জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্য দিয়েই পাঠদান শুরু হয়। অথচ এই বিদ্যালয়ের পাঠদান শুরু হয় জাতীয় সংগীত ছাড়াই। যেখানে শিশুদের হাজিরা ডাকার কথা ক্লাসের শুরুতেই, সেখানে হাজিরা ডাকা হয় বিকেল ৩টায়। নানা অজুহাত আর ক্ষমতার বলে শিক্ষকরাও নিয়মিত আসেন না বিদ্যালয়ে। বসে বসেই সরকারি অর্থ গুনছেন তারা। এতে নষ্ট হচ্ছে কোমলমতি শিশুদের মেধা বিকাশ। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় না বিদ্যালয়ে। আবার হাজিরা ডাকা হয় বিকেলে। এ ছাড়াও শিক্ষকরা নিয়মিত আসেন না বিদ্যালয়ে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সাংবাদিকদের একটি দল মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) হাজির হয় বড় পানছড়ি দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তখন বিকেল ৩টা। বিদ্যালয়ে দেখা যায় ৬ শিক্ষকের মাঝে শুধুমাত্র ১ জন শিক্ষক উপস্থিত। তার কাছে বাকিদের কথা জানতে চাইলে জানান ১ জন এসে চলে গেছে, ২ জন ট্রেনিংয়ে, ১ জনের স্বামী অসুস্থ এবং বাকি ১ জন ডেপুটেশনে।  যাকে উপস্থিত পাওয়া যায়, তিনি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলম। তিনি জানান, আমি সকালে আসি। এসে দাপ্তরির কাজও আমিই করি আবার শিশুদের পাঠদানও আমিই করি। কোনো শিক্ষক সকালে এসে আবার চলে যায় দুপুরের আগেই। তাদেরকে নিষেধ করেছি। ওরা ওদের মতো করে আসে আবার চলে যায়। একটি শ্রেণিতে ১ ঘণ্টায় ক্লাস হয়েছে ৫টি বিষয়ের ওপর। এমন মন্তব্যসহ শিক্ষকদের নানা অনিয়ম তুলে ধরে ওই এলাকার মো. আব্দুল জলিল জানান, এই বিদ্যালয়ের পাশেই আমার দোকান। আমি বহুদিন যাবৎ দেখছি যে কোনো শিক্ষক ৯টায় আসলে ১০টায় চলে যায়। আবার ১০টায় আসলে ১১টায় চলে যায়। তারা নিয়মিত স্কুলেও আসে না এবং যাওয়ারও কোনো নিয়ম থাকে না। বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করলে বলে জাতীয় সংগীত হয় না, ক্লাসও ঠিকমতো হয় না। তারপর ১ ঘণ্টায় ১ জন শিক্ষক ৫টা ক্লাস নিছে। কীভাবে নিয়েছে তা আমার মাথায় ধরে না। এ ছাড়াও বিদ্যালয়েই রয়েছে পরিত্যক্ত এক ভবন। সেটি যেকোনো মুহূর্তেই ধসে পড়তে পারে বলে জানায় এলাকাবাসীরা। শিক্ষার এমন নাজেহাল অবস্থা আর কতোদিন। অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান কোমলমতি শিশুদের স্বজনরা। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. শুক্কুর আলী জানান, শিক্ষকরা নিয়মিত স্কুলে আসেন না। জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় না। স্কুলে অনিয়ম হচ্ছে। শিক্ষকরা যে যার মতো করে চলে যায়। স্কুল যেন সঠিকভাবে চলে এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। পানছড়ি উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এডিন চাকমা জানান, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা সরকারেরর নীতিমালায় বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবো।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৮

সুখবর পেতে যাচ্ছেন বেসরকারি শিক্ষকরা
বদলি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে হতাশায় ভোগা বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা অবশেষে সুখবর পেতে যাচ্ছেন। বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে প্রাথমিক উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নীতিমালার খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা প্রশাসন। ফলে নিজ জেলায় বদলির সুযোগ পাবেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। আপাতত বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশকৃত  বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে কর্মরত এক লাখ ১৩ হাজার শিক্ষক পর্যায়ক্রমে নিজ জেলায় বদলি হওয়ার সুযোগ পাবেন। জানা গেছে, বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত ও ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে দ্বিতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে। কর্মশালায় বদলির বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কর্মশালায় বদলির ক্ষেত্রে ৭টি শর্তারোপ করার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকের পর এসব সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে। কর্মশালা সূত্রে জানা গেছে, বদলির ক্ষেত্রে এনটিআরসিএর সুপারিশের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্তরা বিবেচিত হবেন। এক্ষেত্রে কমিটির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্তরা বদলির সুযোগ পাবেন না। অধিক সংখ্যক প্রার্থীর বদলির বিষয়টি বিবেচনা করা কঠিন হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বদলির শর্তাবলীর ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়া শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ দুই বছর পূর্ণ হওয়ার পর তিনি বদলির আবেদন করতে পারবেন। এর আগে কেউ আবেদন করলে সেটি গ্রহণযোগ্য হবে না। চাকরিজীবনে কেবল একবারই বদলি হওয়ার সুযোগ থাকবে। বদলির কারণে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক শূন্যতা তৈরি করা যাবে না। শিক্ষকের পদ শূন্য না থাকলে বদলির সুযোগ দেওয়া হবে না। এমনকি আবেদনই বিবেচনায় নেওয়া হবে না। পারস্পরিক বদলির ক্ষেত্রে উভয়ের সম্মতিপত্র থাকতে হবে। দুইজনের সম্মতিপত্র জমা দেয়ার পর এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তবে একজনের সম্মতিপত্রের ভিত্তিতে পারস্পরিক বদলি দেওয়া হবে না। পারস্পরিক বদলির ক্ষেত্রে উভয়ের সম্মতিপত্র থাকতে হবে। একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একই পদে একাধিক ব্যক্তি বদলির আবেদন করলে এনটিআরসিএ কর্তৃক প্রদত্ত মেধাতালিকা বিবেচনায় নেওয়া হবে। মেধাতালিকায় যে এগিয়ে থাকবে তাকেই বদলির সুযোগ দেওয়া হবে। বদলি প্রক্রিয়া সফটওয়্যারের মাধ্যমে হবে। সফটওয়্যারের মাধ্যমেই অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হবে। তবে এজন্য নতুন করে সফটওয়্যার তৈরি করা হবে না। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলির জন্য যে সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে সেটি আপডেট করা হবে। এরপর ওই সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে।  স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের বদলির বিষয়টি দেখবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। আর মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বদলির বিষয়টি দেখবে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ। বদলির আবেদনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান কিংবা ম্যানেজিং কমিটির কোনও অনুমতি নিতে হবে না। শিক্ষকরা সরাসরি অনলাইনে আবেদনের সুযোগ পাবেন। বদলির আবেদন ১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বদলির কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য নতুন করে এই সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।  কর্মশালা সূত্রে আরও জানা গেছে, নারী শিক্ষকদের বদলির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বদলির ক্ষেত্রে কর্মরত শিক্ষকের নিজ জেলার ঠিকানা, নারী শিক্ষকদের স্বামীর কর্মস্থল, স্বামীর স্থায়ী ঠিকানার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। বর্তমানে কর্মরত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শিক্ষকদের নিজ জেলার দূরত্বও বদলির ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হবে। এছাড়া বদলির ক্ষেত্রে শিক্ষক নিবন্ধনের ব্যাচ বিবেচনায় নেওয়া হবে বলেও জানা গেছে। এনটিআরসিএ প্রথম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ২০১৫ সালে। এ নিয়োগ সম্পন্ন হয় ২০১৬ সালের দিকে। প্রথম গণবিজ্ঞপ্তির আগে যারা নিয়োগ পেয়েছেন, তারা নিজে প্রতিষ্ঠান পছন্দের সুযোগ পেয়েছেন। ফলে তাদের বদলির প্রয়োজন নেই। তাই এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্তরাই বদলির সুযোগ পাবেন বলে জানা গেছে।  
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৮

জাবিতে নির্বাচন বর্জনের প্রচারণায় বিএনপিপন্থি শিক্ষকরা
‘ডামি নির্বাচন’ বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনে লিফলেট বিতরণ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনে লিফলেট বিতরণ করে এ প্রচারণা করেন তারা। লিফলেট বিতরণ শেষে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, জাতীয় সংসদের মত একটা জায়গায় বিরোধী দল না থাকা আমাদের সংবিধানের সঙ্গে যায় না। আমরা সর্বসাধারণকে এই নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানাই। এই বর্জন সামনের দিনে দল মত নির্বিশেষে সকলকে নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ উন্মুক্ত করবে এবং এতে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। ইউট্যাবের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক মো. নূরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে একটি ডামি নির্বাচনের আয়োজন করেছে যা বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল যে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে তারই অংশ হিসেবে আজকের এই লিফলেট বিতরণ। আমরা বলতে চাই, এই নির্বাচন যদি অনুষ্ঠিত হয়ে যায় তাহলে এদেশে গণতান্ত্রিক ধারা চিরদিনের জন্য শেষ হয়ে যাবে। তাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, এদেশের মানুষের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য অবশ্যই সকলকে ভোট কেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।    ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার বলেন, মুক্তবুদ্ধি ও গণতন্ত্রকামী সকলেই আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে একদলীয় নির্বাচন হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা মনে করেছিলাম নির্বাচন কমিশনের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। তারা তফশিল স্থগিত রাখবে, কিন্তু তারা তা করেননি। আগামীতেও আমাদের এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে৷ জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সদস্য সচিব সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. শামছুল আলম বলেন, বর্তমানে বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করার প্রচেষ্টা চলছে। অথচ বিএনপির শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচিতে জনগণ আরও বেশি করে সম্পৃক্ত হচ্ছে। দেশের জনগণ এবং গণতন্ত্রকামী সব দেশ এ আন্দোলনকে সমর্থন জানাচ্ছে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মো. নূরুল ইসলাম, অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার অধ্যাপক মো. সোহেল রানা, অধ্যাপক মো. শাহাদাত হোসেন, অধ্যাপক মো. মাসুম শাহরিয়ার, অধ্যাপক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক আমিনুর রহমান খান, অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।  
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:০০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়