• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শাহবাগে ফুল দোকানিদের মারধরের শিকার ৩ সাংবাদিক
ফুলের দোকানগুলোতে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অতর্কিত হামলা ও মারধরের শিকার হয়েছেন তিন সাংবাদিক।  মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শাহবাগের পাইকারি ফুলের দোকান মালিক সমিতির নেতা শেখ মো. মেরিনের ‌‘ফুলতলা ফ্লাওয়ার শপে’ এ ঘটনা ঘটে।  হামলার শিকার ওই তিন সংবাদকর্মী হলেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি  রাসেল সরকার, নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম এবং রেডিও টুডের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মো. ইমদাদুল আজাদ। জানা গেছে, এ ঘটনায় রেডিও টুডের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মো. ইমদাদুল আজাদ মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। তকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে  (ঢামেক) চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমের মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ছয়-সাতজনকে অভিযুক্ত করে শাহবাগ থানায় মামলার আবেদন করেছেন।  পুলিশকে দেওয়া লিখিত অভিযোগে স্বাক্ষর করেছেন ভুক্তভোগী মনিরুল ইসলাম। এতে বলা হয়েছে, ‘মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে আমি ও আমার সহকর্মী রাসেল সরকার শাহবাগ মোড়ের ফুল মার্কেটের ফুলতলা ফ্লাওয়ার শপে ফুলের দাম বাড়ার কারণ বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাই। ওই দোকানে কর্মরত পায়েলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে তিনি আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ শুরু করে দেন এবং আমাদের ভুয়া সাংবাদিক আখ্যায়িত করেন। মৌখিকভাবে এর প্রতিবাদ করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুসি ও চড়থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। আমার সহকর্মী রাসেল তার প্রতিবাদ করতে গেলে পায়েল, সাল্লু, আ. রাজ্জাক, বুলু, দিদার, বাবু, জাহাঙ্গীরসহ অজ্ঞাতনামা ছয়-সাতজন এসে আমাদের দুজনকে মারধর করেন।’ অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ‘মারধরের ঘটনার খবর পেয়ে ইমদাদুল আজাদ (২৪) নামের আমাদের আরেক সহকর্মী সাংবাদিক পরিচয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনার বিবরণ জানতে চাইলে ওই ব্যক্তিরা তাকেও মারধর করেন এবং বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দেন। আমরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় আসামিরা পেছন দিক থেকে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। এ সময় ইমদাদুল আজাদকে রাস্তায় ফেলে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। এতে তাঁর ডান চোখ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী আমাদের চিনতে পেরে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন এবং ইমদাদুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।’ মনিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের গায়ে হাত তোলার খবর জানতে পেরে আমার সহকর্মী ইমদাদুল আজাদসহ আরও কয়েকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিক পরিচয়ে ঘটনার বিবরণ জানতে চাইলে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের গায়ে হাত তোলার চেষ্টা করেন। পরে মূল অভিযুক্ত পায়েল পালিয়ে যাচ্ছেন এ রকম সংবাদ পেয়ে তারা পায়েলের গতিবিধি অনুসরণ করে তার পিছু নেন। তবে সে পালাচ্ছে না বুঝতে পেরে তারা ফিরে আসতে চাইলে অভিযুক্তরা পেছন থেকে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। এ সময় ইমদাদের ডান চোখে রক্তক্ষরণ হওয়ায় তিনি গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে শাহবাগ থানার কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্তকে হেফাজতে নেন। এ বিষয়ে শাহবাগ ফুলতলা ফ্লাওয়ার শপের মালিক মো. মেরিন শেখ বলেন, আমি ঢাকার বাইরে আছি। শুনেছি দোকানে ঝামেলা হয়েছে। আমাদের দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাজিরুর রহমান বলেন, তিন সাংবাদিককে শাহবাগ মোড়ের ফুল মার্কেটে মারধরের অভিযোগ পেয়েছি। এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। আমরা আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নিচ্ছি।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়