• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে আইনের শাসন সুসংহত করতে হবে : রাষ্ট্রপতি
গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পরমত সহিষ্ণুতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন সুসংহত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। একইসঙ্গে প্রত্যেক নাগরিকের নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও বেশি দায়িত্বশীল ও কার্যকর ভূমিকা পালন জরুরি বলে মনে করেন তিনি। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পরিদর্শন বইয়ে এ মন্তব্য করে সই করেন রাষ্ট্রপতি। সেখানে তিনি লিখেছেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আমি দেশে ও প্রবাসে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন। ঐতিহাসিক এ দিনে আমি পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন ও সমর্থক, বিদেশি বন্ধু এবং সর্বস্তরের জনগণকে, যারা আমাদের অধিকার আদায় ও মুক্তি সংগ্রামে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন। আমি পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি ১৫ আগস্ট কালরাতে খুনিদের বুলেটের আঘাতে শহীদ বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও বঙ্গবন্ধুর তিন পুত্রসহ সব শহীদকে। আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তিনি আরও লিখেছেন, স্বাধীন-সার্বভৌম ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে অগ্রসরমান। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে ইতোমধ্যে আমরা উন্নয়নশীল দেশের কাতারে অবস্থান করে নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ‘রূপকল্প ২০৪১’ অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে জনমুখী ও টেকসই উন্নয়ন, সুশাস, সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে প্রত্যেক নাগরিককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এরপর লিখেছেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পরমত সহিষ্ণুতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন সুসংহত করতে হবে। প্রত্যেক নাগরিককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অধিকতর দায়িত্বশীল ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনা বাংলা বিনিময়ে কার্যকর অবদান রাখতে আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে এবং উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে, প্রতিষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা - ইনশাআল্লাহ।  
২৬ মার্চ ২০২৪, ১১:২৩

শাসন করায় শিক্ষককে হাসপাতালে পাঠাল ছাত্র-অভিভাবক
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বিনয় কৃষ্ণ আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে শাসন করায় ওই শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষককে বেধরক মারপিট করে গুরুতর আহত করেছে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে বেধরক মারপিটের শিকার হয়েছেন বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারীরাও।  মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর প্রধানশিক্ষক বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস ও বিদ্যালয়ের ল্যাব অপারেটর সুদীপ অধিকারীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।  এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ শিক্ষক, যারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। সর্বশেষ রাত সোয়া ৯টা পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছ থেকে জানা গেছে, এদিন সকালে মাত্র একটি খাতা হাতে বিদ্যালয়ে আসে বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রীতাশ হালদার। কিন্তু সে এ্যাসেম্বলীতে অংশ না নিয়ে পাশেই আড্ডা দিচ্ছিল বিধায় প্রধানশিক্ষক তাকে বকাঝকা করে। এতে ওই শিক্ষার্থী ক্ষুব্ধ হয়। পরে বিকেলে বিদ্যালয় ছুটি হলে পরিকল্পিতভাবে ওই শিক্ষার্থীসহ তার পরিবার ও অভিভাবকরা শতাধিক নারী-পুরুষ দলবদ্ধভাবে বিদ্যালয় অভ্যন্তরে প্রবেশ করে প্রধান শিক্ষককে বেধরক মারপিট শুরু করে।  এ সময় বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক কর্মচারীরা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে বিক্ষুব্ধরা তাদেরকেও বেধরক মারপিট করে। এতে প্রধান শিক্ষকসহ ১০-১২ জন শিক্ষক-কর্মচারী আহত হন। পরে খবর পেয়ে কোটালীপাড়া থানার পুলিশ গিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদেরকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।  স্থানীয়রা জানায়, শিক্ষার্থী প্রীতাশ হালদার অনেকটা বখাটে প্রকৃতির। তার চলফেরা ও কাজকর্মের মধ্যে চরম উগ্রতা রয়েছে। এর আগেও ওই শিক্ষার্থী বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়ে অস্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে উগ্র ব্যবহার করেছে।  কোটালীপাড়া উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার জসিম উদ্দীন শেখ জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস ও বিদ্যালয়ের ল্যাব অপারেটর সুদীপ অধিকারীকে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকী আহতদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।  তিনি আরও জানান, দুজনেরই মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ আলম জানিয়েছেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দোষীদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে, এ ব্যাপারে এখনো কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি।  
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৫

শাসন করায় যেভাবে প্রতিশোধ নিলো ভাতিজা
নড়াইলে মাদকাসক্ত ভাতিজাকে শাসন করায় কুপিয়ে চাচার পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ফাহিম নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে মেহেদী মুন্সী নামের ওই চাচাকে। এমন অভিযোগই করছেন স্বজনরা। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে লোহাগড়া উপজেলার চাপুলিয়া গ্রামে হামলার শিকার হন মেহেদী মুন্সী। তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। মেহেদী চাপুলিয়া গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে।  ভুক্তভোগী ও তার স্বজনরা জানান, কোটাকোল ইউনিয়নের চাপুলিয়া গ্রামের মেহেদী মুন্সীর বড় ভাই মাহাবুব মুন্সীর ছেলে ফাহিম মাদক সেবনসহ নানা অপকর্ম করে আসছিল। ফাহিমের বখাটেপনায় অতিষ্ঠ হয়ে শুক্রবার রাতে মেহেদী ভাতিজা ফাহিমকে শাসন করতে গিয়ে লাঠি দিয়ে শরীরে আঘাত করেন তার চাচা মেহেদী মুন্সী। এরই জেরে ফাহিম শনিবার সকালে তার কয়েক সহযোগী সন্ত্রাসী নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেহেদীর ওপর হামলা চালায়। এতে তার বাম পায়ের রগ কেটে দেওয়াসহ এলোপাতাড়ি আঘাতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়।  স্বজনরা আরও জানান, জখম করে মেহেদী মুন্সীকে রক্তাক্ত অবস্থায় রেখেই ভাতিজা ফাহিম পালিয়ে যায়। পরে স্বজনরা গিয়ে মেহেদীকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে।  এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন রায়।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৩

মুঠোফোন ব্যবহার নিয়ে শাসন করায় কিশোরীর আত্মহত্যা
নোয়াখালীর চাটখিলে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত নিপা আক্তার (১৫) উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের মো. রিপনের মেয়ে। তিনি স্থানীয় ফয়জুর নেছা মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।    বুধবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এর আগে, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের নাহারখিল গ্রামের পুরাতন দেওয়ান বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।   পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত নিপা তার এক ভাইসহ নানার বাড়িতে থাকত। তার মা চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। গত কিছু দিন ধরে নিপা মুঠোফোন ব্যবহারে আসক্ত হয়ে পড়েন। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কলহ দেখা দেয়। একপর্যায়ে মুঠোফোন ব্যবহার নিয়ে তাকে নানার পরিবারের সদস্যরা শাসন করে। এতে অভিমান করে নানার বাড়ির মানিক নামের এক আত্মীয়ের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেন নিপা। স্বজনরা পুলিশে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে এসে নিপার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।   চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে।      
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়