• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি নেই
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার তেমন কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।  সোমবার (১ এপ্রিল) রাতে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন। জাহিদ হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে খালেদা জিয়ার ফুসফুসের পানি অপসারণ করা হয়েছে। তবে অবস্থার তেমন কোনো উন্নতি নেই। বেশ কিছু পরীক্ষানিরীক্ষাও করা হয়েছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা প্রতিদিনই বেগম জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করছেন। ম্যাডাম সিসিইউতে আছেন। মেডিকেল বোর্ড সার্বক্ষণিক তার শারীরিক অবস্থা মনিটরিং করে ব্যবস্থা নিচ্ছে।  এদিকে খালেদা জিয়াকে দেখতে সোমবার দুপুরে হাসপাতালে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। পরে বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। সিসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। এর আগে, গত ৩০ মার্চ মধ্যরাতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনি ও ফুসফুস জটিলতাসহ নানা রোগে ভুগছেন। উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়। এরপর থেকে ছয় মাস পরপর তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২২

শারীরিক অবস্থার অবনতি, আবারও হাসপাতালে খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে আবারও। জরুরি ভিত্তিতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে তাকে।  রোববার (৩১ মার্চ) রাত আড়াইটার দিকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে গাড়িবহর হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন তার মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।  দিদার জানান, রাত ২টা ৫০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসনকে নিয়ে এভার কেয়ার হাসপাতালে পৌঁছেন তারা।   এর আগে ২৭ মার্চ রাতেও খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছিল। ওই দিনও তাকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়। তবে পরে আর নেওয়া হয়নি। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত ১৩ মার্চ এভারকেয়ারে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। সেখানে শারীরিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরে ১৪ মার্চ গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া। এরপর থেকে তার অসুস্থতা বাড়া-কমার মধ্যে রয়েছে।  লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন তিনি। করোনা মহামারিকালে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকবার হাসপাতালে যান। ২০২৩ সালের মাঝামাঝিতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২৬ অক্টোবর তার চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স হাসপাতালের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। পরে বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়। ওই দফায় ১৫৬ দিন হাসপাতালে থাকেন খালেদা জিয়া। গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন। এরপর থেকে সেখানেই ছিলেন। পরে গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। অবশেষে আবারও তাকে সেখানে নেওয়া হচ্ছে।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৪

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, নেওয়া হচ্ছে হাসপাতালে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রাতেই হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে তাকে।    বুধবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব আবদুস সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা চেয়ে ইতোমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে। খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ জানিয়ে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণে কমিশনারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে। আবদুস সাত্তার জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা খালেদা জিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করছেন। তবে, এখনও কোনও সিদ্ধান্ত দেননি তারা। বেশ কিছুদিন ধরেই খারাপ যাচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসনের শরীর; ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হচ্ছে শারীরিক অবস্থার।  এর আগে গত ১৩ মার্চ জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে যান খালেদা জিয়া। পরে সেখানে তার কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ১৪ মার্চ গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যাওয়ার পর থেকেই অসুস্থতা জেঁকে ধরে বিএনপি চেয়ারপারসনকে। করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকবার গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে যেতে হয় তাকে। সবশেষ গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। গত বছরের ২৬ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স হাসপাতালের তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বাংলাদেশে আসেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য। তাদের চিকিৎসা শুরুর পরই খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করে। সে যাত্রায় হাসপাতালে ১৫৬ দিন থেকে গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে কিছুদিন বিরতি দিয়ে দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে তাকে।
২৮ মার্চ ২০২৪, ০০:৪৮

শারীরিক আকৃতি দমাতে পারেনি ৩ ফুট ১০ ইঞ্চির সোনিয়াকে
কিছু দুঃখ মানুষকে হতাশায় তলিয়ে দেয়। শারীরিক বাধা এমনি এক কষ্ট। আবার এমন প্রতিবন্ধকতাই কারও জীবনে শক্তি হয়ে অনুপ্রেরণা দেয়। এমনি এক শিক্ষার্থী নোয়াখালীর কবিরহাট সরকারি কলেজের জান্নাতুল ফেরদাউস সোনিয়া। পড়ছেন দ্বাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে। সোনিয়া দেখতে শিশুর মত হলেও তার বয়স (২১)। লম্বায় তিন ফুট ১০ ইঞ্চি। বয়স বাড়লেও তার শারীরিক গঠন বাড়েনি। শরীরের গঠন শিশুদের মতো দেখায়।  তিন বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় সোনিয়া। ছোটবেলা থেকেই সে পড়াশোনায় বেশ আগ্রহী ছিল। ২০১৬ সালের ঘটনা। ছোট বোন জান্নাতুল নাঈমের সাথে স্থানীয় রাজুরগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তখন পঞ্চম শ্রেণি ছাত্রী সোনিয়া। যখন ছোট বোনের শারীরিক গঠন বাড়তে থাকে, তখনই তার শারীরিক অস্বাভাবিকতা ধরা পড়ে। এরপর শিক্ষাঙ্গন থেকে শুরু করে রাস্তাঘাটে তাকে পড়তে হতো কটু কথার বেড়াজালে। রাস্তাঘাটে হয়রানির বিরুদ্ধে তার লড়াই ছিল ব্যতিক্রমী। সে মানুষের কোনো উপহাস বা টিপ্পনী কখনোই কানে লাগাননি। কোনো কটু কথা তাকে দমাতে পারেনি। সোনিয়া নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের সগির ফাইক গ্রামের জমিদার বাড়ির নুরুল হকের মেয়ে।      এভাবে বাড়ির পাশের প্রাথমিকের গন্ডি শেষ করে ২০২২ সালে স্থানীয় মিয়ার হাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩.৫৬ পেয়ে এসএসসি পাস করেন। এরপর কলেজে ভর্তি হতে বাধা হয়ে দাঁড়ান মা রহিমা খাতুন। একাধারে তিন দিন কান্নার পর মেয়ের প্রবল ইচ্ছার কাছে হার মানেন মা। দিনমজুর বাবার একান্ত সহযোগিতায় কলেজে ভর্তি হন সোনিয়া। এখন বাড়ি থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে কলেজে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্বপ্ন দেখেন প্রতিবন্ধকতাকে ছিন্ন করে একজন ব্যাংকার হয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন। কিন্ত দিনমজুর বাবা পরপর দু’বার হার্ট অ্যাটাক করে অসুস্থ হয়ে পড়ায় সোনিয়ার উচ্চ শিক্ষা অর্জনের স্বপ্ন ভেস্তে যেতে বসেছে।   জান্নাতুল ফেরদাউস সোনিয়া বলেন, আমার বাবা একজন দিনমজুর, পরিবারে ছিল আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য। বাবা পরপর দু’বার স্ট্রোক করার কারণে পরিবারে অভাব অনটন দেখা দেয়। এতে আমার পড়ালেখার খচর এখন বহন করা পরিবারের পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার স্বপ্ন পড়ালেখা শেষ করে একজন ব্যাংকার হওয়া। আমি চাই সরকার ও সমাজের বিত্তবান মানুষ আমার পাশে দাঁড়াক।   মা রহিমা খাতুন বলেন, আমার বড় কোনো ছেলে নেই। আমার মেয়ে যেন তার পড়ালেখা আরেকটু চালিয়ে যেতে পারে। সরকার ও বিত্তবান মানুষের সহযোগিতায় আমার মেয়ে যেন তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। এমনটাই প্রত্যাশা করেন তিনি।     মামা জাকির হোসাইন বলেন, সোনিয়া আমার বড় বোনের মেয়ে। সে ছোটবেলা থেকে অনেক কষ্ট করে এ পর্যন্ত এসেছে। আর্থিক সংকটে পড়ে তার লেখা পড়া এ পর্যন্ত এসে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।    নোয়াখালীর কবিরহাট সরকারি কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ নূরুল হক মিলন বলেন, সোনিয়া আমাদের একজন নিয়মিত ছাত্রী। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও সে পড়াশোনা করে আসছে। এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। সকল ছাত্রছাত্রীদের জন্য এটা অনুকরণীয় বিষয়।   কবিরহাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, এ অবস্থায় সোনিয়ার যে উদ্যম, তা কলেজের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে। তার উচ্চ শিক্ষার সুবিধার জন্য যদি সম্ভব হয় আমি আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকেও সর্বাত্মক সাহায্য করার চেষ্টা করব। একই সঙ্গে আমি আহ্বান জানাই সমাজের হৃদয়বান, বিত্তবান মানুষ যেন তার পাশে দাঁড়ায়।       
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:০৮

বিয়ের ২২ দিন পর বর জানলেন নববধূ ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, অতঃপর...
স্ত্রীর শারীরিক পরিবর্তন দেখে সন্দেহ হয় স্বামীর। এরপর স্থানীয় চিকিৎসকের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর স্বামী নিশ্চিত হন তার স্ত্রী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিয়ের মাত্র ২২ দিন পর এমন খবরে স্বামীর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ওই কিশোরী ও তার সৎ বাবা আলতাফ হোসেনকে (৪৫) পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। এরপর বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরী নববধূ জানিয়েছে, তার সৎ বাবা তাকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেছেন। এর ফলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে।  এদিকে ঘটনার পরপরই বৃহস্পতিবার রাতে মেয়েটির মা বাদী হয়ে নিজের স্বামীর নামে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত আলতাফ হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পুলিশে ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের পর থেকে কিশোরী নববধূর শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করেন স্বামী। বিষয়টি সন্দেহজনক হলে স্ত্রীকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানতে পারেন তার স্ত্রী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বাড়িতে এসে পরিবারকে জানান তিনি। দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনা শেষে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত হয়। অভিযুক্ত আলতাফ হোসেনের বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানাধীন মুন্সীগঞ্জ গ্রামে। তিনি গত ১৭ বছর আলমডাঙ্গা উপজেলার একটি গ্রামের দুই কন্যাসন্তানের জননীকে বিয়ের পর থেকে ঘর জামাই হিসেবে থাকতেন।  আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক শেখ গনি মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ওই কিশোরী ও তার সৎ বাবাকে আমরা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। মেয়েটি জানিয়েছে তার সৎ বাবা তাকে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করেছেন। সৎ বাবাও ধর্ষণের বিষয়টি আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন। আসামিকে শুক্রবার আদালতে পাঠানো হবে।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৬:০৭

শারীরিক অসুস্থতার কারণে আনন্দটা অনুভব করতে পারছি না : ডলি জহুর
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার ২১ বিশিষ্টজনকে একুশে পদক-২০২৪ প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আইরীন ফারজানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই তালিকায় আছে ঢাকাই চলচ্চিত্রের নন্দিত অভিনেত্রী ডলি জহুর। অভিনয়ে অবদান রাখার জন্য একুশে পদক পাচ্ছেন তিনি। একুশে পদক-২০২৪ তালিকা প্রকাশের পর আরটিভির সঙ্গে কথা হলে ডলি জহুর বলেন, এই সম্মাননা আসলেই বেশ আনন্দের। তবে আমি শারীরিকভাবে বেশ অসুস্থ। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আমার করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে আনন্দটা অনুভব করতে পারছি না। এর আগেও  ২০২২ সালেও একবার করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ডলি জহুর। সেবার বেশ কিছুদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সে সময় এক ভিডিও বার্তায় নি‌জের শারী‌রিক অবস্থার কথা জা‌নি‌য়ে ব‌লেছিলেন, আমার তেমন কিছু হয়‌নি, অল্প ঠান্ডা লে‌গে‌ছে। দ্রুত সুস্থ হ‌য়ে উঠ‌ব। দুই বছরের মাথায় ফের করোনা আক্রান্ত হলেন তিনি।  মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ডলি জহুর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ১৯৭৪-৭৫ সালের দিকে মঞ্চে অভিনয় শুরু করেন। পরে টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রে পা রাখেন। এখন পর্যন্ত এক শ’ ৬০টির অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন। এবার পেলেন একুশে পদক।  প্রসঙ্গত, ডলি জহুর ছাড়াও এবার একুশে পদক পাচ্ছেন- ভাষা আন্দোলনে মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর)। শিল্পকলায় সংগীতে জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ, বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর), শুভ্র দেব, নৃত্যকলায় শিবলী মোহাম্মদ, এম এ আলমগীর, আবৃত্তিতে খান মো. মুস্তাফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তাফা), রূপা চক্রবর্তী, চিত্রকলায় শাহজাহান আহমেদ বিকাশ। শিল্পলায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিংয়ে কাওসার চৌধুরী।সমাজসেবায় মো. জিয়াউল হক ও আলহাজ রফিক আহামদ। ভাষা ও সাহিত্যে মুহাম্মদ সামাদ, লুৎফুর রহমান রিটন, মিনার মনসুর ও রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ (মরণোত্তর)। শিক্ষায় প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:০২

মেডিকেল বুলেটিনে জানা গেল মিঠুন চক্রবর্তীর সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা
ভারতীয় সিনেমার অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী তিন দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বর্তমানে তাটা শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। আরও কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার পর হাসপাতাল থেকে ছুটি মিলবে মিঠুনের।  কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালের মেডিকেল বুলেটিনের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আরও কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার পর হাসপাতাল থেকে ছুটি মিলবে মিঠুনের। আপাতত তাকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল টিম। মেডিকেল বুলেটিনে বলা হয়েছে, মিঠুন চক্রবর্তীর স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে। তার পরিস্থিতি অনেকটাই স্বস্তিদায়ক। তিনি এখন সম্পূর্ণ সজাগ, সক্রিয়। পারিপার্শ্বিক বিষয়ে ওয়াকিবহাল। অভিনেতাকে নরম খাবার দেওয়া হয়েছে। তার আরও শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা বাকি।  হাসপাতালের বিছানায় আধা শোয়া অবস্থায় মিঠুনের কয়েকটি ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে রোববার। ওই সব ছবিতে মিঠুনকে স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে দেখা গেছে।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৯

ছেলের শারীরিক পরিস্থিতির কথা জানালেন পরীমণি (ভিডিও)
রাস্তার ফল খেয়ে অসুস্থ হয়ে ছেলে পুণ্যকে নিয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পরীমণি। কিন্তু সেখানে ছেলের অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় গত ১৭ জানুয়ারি তাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যান এই নায়িকা। বর্তমানে রাজ্যকে নিয়ে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন পরীমণি। এবার সেখান থেকে পুণ্যর শারীরিক পরিস্থিতির কথা জানালেন তিনি। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) নিজের ফেসবুক থেকে পুণ্যর একটি ভিডিও শেয়ার করে পোস্ট দিয়েছেন পরীমণি। ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন— ‘পুণ্য এখন ভালো আছে আলহামদুলিল্লাহ। দোয়া করবেন।’  ভিডিওটি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে ১৬ হাজারেরও বেশি প্রতিক্রিয়া পড়েছে নেটিজেনদের। রীতিমতো মন্তব্যের ঝড় উঠেছে পরীমণির কমেন্টসবক্সে।  এর আগে কলকাতায় পৌঁছেই অসহায় বোধ করছেন জানিয়ে আরকেটি পোস্ট দিয়েছিলেন ফেসবুকে। ওই স্ট্যাটাসের ক্যাপশনে চিত্রনায়িকা লিখেছিলেন— ‘জীবনে আগে কখনও এতোটা অসহায় অনুভব করিনি। আল্লাহ সহায়।’  জানা গেছে, গেল সপ্তাহে ছেলে রাজ্যকে সঙ্গে নিয়ে নানার বাড়ি ঘুরতে গিয়েছিলেন পরীমণি। সেখান থেকে ঢাকায় ফেরার পথে রাস্তায় ফল কিনে খান পুণ্য, পরীমণি, পরিবারের সদস্যরাসহ চিত্রনায়িকার গাড়ি চালক। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। ফলগুলো খাওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তারা। পরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন তারা। অসুস্থ হওয়ার খবরটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেই জানিয়েছিলেন পরীমণি। পাশাপাশি রাস্তার ফল কিনে খাওয়ার ব্যাপারে সবাইকে সাবধানও করেন এই নায়িকা। গত ১১ জানুয়ারি থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এ নায়িকা। ফেসবুকের স্ট্যাটাসে পরীমণি লিখেছিলেন, ‘শীতকালে সবাই খাবার-দাবার বুঝে খাবেন। বিশেষ করে বাইরের খাবার। এতো ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস শীতের সময় এসব থেকে সেফ থাকা মুশকিল। বরিশাল থেকে ফেরার পথে একটা ফলের দোকান থেকে কিছু ফল কিনেছিলাম। বাসায় ফল খাওয়ার আগে রেগুলার যেভাবে ক্লিন করা হয় সেভাবে না করেই শুধু মিনারেল ওয়াটার দিয়ে ধুয়ে খেয়েছিলাম। বাবু খুবই অল্প পরিমাণ মানে দুই একটা বাইট নিয়েছিল। ব্যাস! বাচ্চা, আমি, আমার গাড়ি চালকসহ আমার বাসার মোট পাঁচ জন ফুড পয়জনিং নিয়ে ১১ তারিখ রাত থেকে হাসপাতালে।’ প্রসঙ্গত, স্বামী রাজের সঙ্গে ডিভোর্সের পর পরীমণির দুনিয়া এখন রাজ্য। বলা যায়, রাজ্যকে ঘিরেই তার সব। কাজের বাইরে পুরো সময়টা ছেলেকেই দেন এই নায়িকা। রাজ্যর বাবা-মা বলতে এখন পরীমণিই। সংসার ভাঙার পর থেকে ছেলের দেখাশুনা একাই করছেন তিনি।  
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়