• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
২ শতাধিক ড্রোন-মিসাইল ছুড়ে ইসরায়েলে ইরানের হামলা
সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের একটি কনস্যুলার ভবনে বিমান হামলায় দুই জেনারেলসহ রেভল্যুশনারি গার্ডের সাত সদস্য নিহত হয়৷ এই হামলার জন্য ইরান ইসরায়েলকে দায়ী করে প্রতিশোধ নেওয়া শুরু করে৷ এই প্রতিশোধের শুরুতেই ইরান ২০০টির বেশি ড্রোন-মিসাইল ছুড়ে ইসরায়েলে। এই প্রথম তেহরান সরাসরি ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামলা চালালো। বিবিসি জানায়, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইরান ২০০টিরও বেশি ড্রোন, ক্রুজ মিসাইল এবং ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে। তবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং এই অঞ্চলের মিত্ররা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনগুলোর বড় অংশকে প্রতিরোধ করতে পেরেছে, কয়েক ডজন ড্রোন ও মিসাইল ইসরায়েলি ভূখণ্ডের বাইরেই গুলি করে নামানো হয়েছে বলে জানান তিনি। ইরান, লেবানন ও ইয়েমেনের ত্রিমুখী এই হামলা চালায় ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড (আইআরজিসি), লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠী। ত্রিমুখী এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাত রাত ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে সাইরেন বেজে ওঠে ইসরায়েলের রাজধানী জেরুজালেম ও উত্তরাংশে। ভূখণ্ডের দিকে ধেয়ে আসা শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ইসরায়েলের নিরাপত্তায় তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র আটকেও দিয়েছে তারা। ইতোমধ্যে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি ফুটেজ থেকে ইসরায়েলের রাতের আকাশে দেখা মেলে আলোর ঝলকানির। পাশাপাশি বিস্ফোরণের শব্দও পাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইসরায়েলের দিকে ধেয়ে আসা কিছু ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করেছে তারা। তবে কোথায়, কীভাবে এসব ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে, সেসব তথ্য এখনও জানা যায়নি। এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা ইরনা বলছে, তেহরান ইসরায়েলের দিকে প্রথম দফায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। দেশটির রাজধানী জেরুজালেমের একাধিক লক্ষ্যবস্তু টার্গেট করে এসব ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী বিশদভাবে কিছু না জানালেও দেশটির আর্মি রেডিওর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শতাধিক ড্রোন ইসরায়েলের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সহায়তায় আটকে দেওয়া হয়েছে। আরেক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন সামরিক বাহিনী ইসরায়েলের দিকে আসতে থাকা ইরানি বেশ কয়েকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে ঠিক কোথায় কতগুলো ড্রোন আটকে দেওয়া হয়েছে, তা জানা যায়নি। ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ বলছে, রোববার রাতের এ হামলা ও বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্ক বিরাজ করছে ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে। তবে হামলা ঠেকাতে এই মূহুর্তে তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোদমে কাজ করছে। যেকোনো ধরণের পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা প্রস্তুত বলে জানিয়েছে আইডিএফ। এদিকে হোয়াইট হাউজও বলছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় মার্কিন নিরাপত্তা টিমের সদস্যরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে। পাশাপাশি অন্য মিত্র রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে আইআরজিসির দুই শীর্ষ কর্মকর্তাসহ প্রাণ হারান ইরানের সাতজন সামরিক কর্মকর্তা। সেই হামলার প্রতিশোধ হিসেবেই এই আক্রমণ চালানো হচ্ছে বলে বিবৃতি দিয়েছে আইআরজিসি।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩১

গরুর ঘাস খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে আহত শতাধিক
হবিগঞ্জে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ অন্তত শতাধিক লোকজন আহত হয়েছে।  শুক্রবার (১২ এপ্রিল) আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের পশ্চিমবাগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ঈদের দিন দুপুরে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্রকরে পশ্চিমবাগ গ্রামের মিজান মিয়ার লোকজনের সাথে একই গ্রামের শামসু মিয়ার লোকজনের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে শুক্রবার দুপুরে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে এক পক্ষ অপর পক্ষের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এতে নারী-পুরুষসহ অন্তত শতাধিক লোকজন আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ৪৪ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে অন্যান্যদের আজমিরীগঞ্জ ও বাণিয়াচং হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডালিম আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার গরুকে ঘাস খাওয়ানো নিয়ে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্য বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে আজ শিশুদের ফুটবল খেলার নিয়ে পুনরায় বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। 
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৮

কলেরার প্রাদুর্ভাবে দ্বীপ ছেড়ে যাত্রা, ফেরিডুবিতে নিহত বেড়ে শতাধিক
আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশ মোজাম্বিকে ফেরিডুবির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২০ জন। এর আগে ফেরিডুবির এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৯০ বলে জানানো হয়েছিল। মূলত আফ্রিকার এই দেশটিতে দেখা দেওয়া কলেরার প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচতে লোকগুলো অন্য কোথাও পালাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোজাম্বিকের উত্তর উপকূলে ফেরি ডুবে ১০০ জনেরও বেশি লোক মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ফিলিপ ন্যুসি। সোমবার তিনি বলেছেন, এই ঘটনায় অন্তত ২০ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। মোজাম্বিকের মেরিটাইম ট্রান্সপোর্ট ইনস্টিটিউটের (ইন্ট্রাসমার) একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ১৩০ জন যাত্রী বহনকারী এই নৌযানটি আসলে একটি ওভারলোডেড ফিশিং বোট ছিল এবং এতে যাত্রী পরিবহনের লাইসেন্স ছিল না। সংস্থাটির প্রশাসক লোরেঙ্কো মাচাদো রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেছেন, গত রোববার নামপুলা প্রদেশের লুঙ্গা থেকে মোজাম্বিক দ্বীপে যাচ্ছিল ফেরিটি। জোয়ারের ঢেউয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে এটি ডুবে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।  নামপুলা প্রদেশের সেক্রেটারি অব স্টেটের অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যাত্রীরা কলেরা প্রাদুর্ভাবের কারণে পালিয়ে যাচ্ছিল বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনার পর ১০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং অন্তত ২০ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। এদিকে এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট ফিলিপ ন্যুসি। একই সঙ্গে ঘটনার তদন্তের জন্য দেশটির পরিবহনমন্ত্রীকে দ্বীপে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।  উল্লেখ্য, গত বছর থেকে কলেরার প্রাদুর্ভাবের সম্মুখীন হয়েছে মোজাম্বিক এবং আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলো। মোজাম্বিকের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের অক্টোবর থেকে দেশটিতে ১৫ হাজার ৫১ জন কলেরায় আক্রান্ত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩২ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে শুধু নামপুলা প্রদেশে গত রোববার পর্যন্ত ৫ হাজার ৮৪ জন লোক কলেরায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১২ জন মারা গেছেন।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৫

সন্দ্বীপে শতাধিক অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ 
সন্দ্বীপে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ড্রিমস এলাইভ এর পক্ষ থেকে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সন্দ্বীপের মুছাপুর ইউনিয়নের শতাধিক পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে সেমাই, চিনি, দুধ, কিসমিস বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকাল ৩ টায় মুছাপুর ৫ নং ওয়ার্ডের আজিম শাহ ফকিরের তেমাথা সংলগ্ন দিলদার আজিমের বাসভবনে এ ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আহসান জামিল টেকনিক্যাল সেন্টারের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী কামরুল হাসান, সন্দ্বীপ অধিকার আন্দোলনের সভাপতি হাসানুজ্জামান সন্দ্বীপি, সংগঠনের ফাউন্ডার সাংবাদিক অপু ইব্রাহিম, সাংবাদিক ইলিয়াছ সুমন, সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবক দিলদার আজিম, মেহেদী হাসান রাব্বি, জাহিদ আরমান জিসান, আজিম শাহ ফকির জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মহিউদ্দিন, ধোপারহাটের ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন কবির সওদাগর, সংগঠক মাসুদ ফারভেজ, ছাত্রনেতা মো. শরীফ, ফাহিম নেওয়াজ ইপ্তু।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২২

বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতিতে শতাধিক ব্যক্তি জড়িত : র‍্যাব
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতিতে শতাধিক ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে র‍্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।  তিনি বলেন, রাত সোয়া ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফ এই হামলা চালায়। খন্দকার আল মঈন বলেন, হামলাকারীরা পুলিশের ১০টি অস্ত্র ও আনসারের ৪টি অস্ত্র লুট করে। ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিন ভল্টের চাবি না দেওয়ায় তাকেও অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরের দিন তারা থানচিতে আরও দুটি ব্যাংকে হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, এই ঘটনার পরে তাদের সঙ্গে শান্তি আলোচনার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। যা ইতোমধ্যে শান্তি কমিটি ঘোষণা করেছে। এখন সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বান্দরবানে সশস্ত্র হামলা ও ব্যাংকে লুটপাটের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  তিনি বলেন, কুকি-চিনের আস্তানা র‌্যাব ও সেনাবাহিনী নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল। পরে তারা ভিন্ন কোনো দেশে আশ্রয় নিয়েছিল। এখন তারা কোথা থেকে আসছে, কীভাবে আসছে- মাঝে মাঝে তাদের প্রতিনিধি এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলে। তারা বলতেছিল শান্তি চায়, এ এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য, অনেক কিছুই বলছিল। কিন্তু হঠাৎ করে আক্রমণ, হঠাৎ করে ব্যাংক ডাকাতি- আমাদের কাছেও এটা নতুন কোনো বিষয় মনে হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, ব্যাংকে ডাকাতি ছোট ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে না। কুকি-চিনকে কঠোরভাবে দমনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা আলোচনার মধ্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।  
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১২

তুচ্ছ ঘটনায় তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত শতাধিক 
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত শতাধিক লোক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।  বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে দুইভাগে বিভক্ত হয়ে গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। পরে বিজয়নগর থানা পুলিশ ও জেলা পুলিশের একাধিক টিম তিন ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তাত্ক্ষণিক আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এ সময় দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ৪ জন পুলিশ আহত হয়। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হলো পাইকপাড়া গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে মো. বাবুল মিয়া (৬০), মৃত হাসান আলীর ছেলে খুরশেদ আলম ওরপে আলফু ( ৬২), হাজীপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাসিমের ছেলে মো. আব্দুল বাছির (৫৫), মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. আনাস মিয়া (৩৮), খাটিংগা গ্রামের মোঃ আব্দুল হেমিকের ছেলে আব্দুর নুর (৫৫)।  পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। কয়েক মাস যাবত জমি বিক্রি ও দলিল করাকে কেন্দ্র করে এই বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। তার মধ্যে বুধবার দুপুরে দুই শিশুর মধ্যে ঝগড়া লাগার জেরে উভয় পক্ষ দাঙ্গায় জড়িয়ে পড়ে। বিজয়নগর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হাসান জামিল জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪৩

ইসরায়েলি হামলা / গাজায় এক সপ্তাহে শতাধিক ত্রাণকর্মী নিহত
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় গত এক সপ্তাহে শতাধিক ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর চালানো আট হামলায় এ নিহতের ঘটনা ঘটে। বুধবার (২০ মার্চ) এ তথ্য জানায় গাজার মিডিয়া অফিস। তাছাড়া নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। গাজায় অব্যাহত হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। বুধবার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ হাজার ৯২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এখন পর্যন্ত আহত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৯৬ জন। রামজানেও গাজায় বিরামহীন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। এতে প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। গাজায় দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। শুধু সংকটই নয় চলছে দুর্ভিক্ষ। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে বাড়ি-ঘরও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। যা চলছে আজও।
২১ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫৯

ত্রাণের জন্য অপেক্ষারতদের ওপর হামলা, হতাহত দেড় শতাধিক
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনের ভিড়ে নির্বিচার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। হামলায় ২৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও দেড় শতাধিক মানুষ।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, গাজার পৃথক দুটি হামলায় ত্রাণপ্রার্থীদের ওপর ইসরায়েল এই হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় অন্তত ২৯ নিহত এবং ১৫০ জন আহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে সংস্থাটি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) গাজা উপত্যকায় দুটি আলাদা হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে প্রথম হামলায় ৮ ফিলিস্তিনি এবং অপর হামলায় ২১ ফিলিস্তিনি নিহত হন। গাজার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, প্রথম ঘটনায় মধ্য গাজা উপত্যকার আল-নুসেইরাত ক্যাম্পে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরাইলের বিমান হামলায় আটজন নিহত হয়েছেন।  এরপর দ্বিতীয় হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় উত্তর গাজার একটি গোলচত্বরে ত্রাণবাহী ট্রাকের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ভিড়ে ইসরাইলি বাহিনী গুলিবর্ষণ করলে অন্তত ২১ জন নিহত এবং আরও ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আহতরা আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সে মেঝেতে পড়ে আছে। দুর্বল চিকিৎসা সক্ষমতার কারণে চিকিৎসা সেবা দানকারী দলগুলো এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে অক্ষম। অবশ্য ত্রাণ কেন্দ্রে হামলার কথা অস্বীকার করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। একইসঙ্গে হামলার এসব রিপোর্টকেও ‘মিথ্যা’ বলে বর্ণনা করেছে তারা। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, যেহেতু আইডিএফ সকল ঘটনাকে পুঙ্খানুপুঙ্খতার সাথে মূল্যায়ন করে, আমরা মিডিয়াকে একই কাজ করার এবং শুধুমাত্র বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের ওপর নির্ভর করার আহ্বান জানাই।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৩:০১

নির্বাচন ঘিরে সুপ্রিম কোর্টে দুই শতাধিক পুলিশ মোতায়েন, অস্বস্তিতে আইনজীবীরা
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের দুইদিন ব্যাপী নির্বাচনের শেষ দিনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এরই মধ্যে ৯ প্লাটুন পুলিশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির আশপাশে অবস্থান নিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরও সদস্য সুপ্রিম কোর্টে আসার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তারা।   নির্বাচনের শেষ দিন অতিরিক্ত এই পুলিশ মোতায়েনকে অশনি সংকেত হিসেবে দেখছেন বিএনপির প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তিনি বলেন, এতো পুলিশ মোতায়েন করার মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি। গত দুই বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি এটা অশনি সংকেত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন আইনজীবী বলেন, গতবার সুপ্রিম কোর্টে পুলিশের সঙ্গে আইনজীবীদের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছিল। এবারও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ কারণে আমরা অস্বস্তিতে ভুগছি। তবে, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান মনির বলেন, আইনজীবীদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বহিরাগতরা প্রবেশ করে যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে, সেজন্য কাজ করবে পুলিশ। এর আগে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যে দিয়ে গতকাল (৬ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের দুইদিন ব্যাপী নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। সকাল ১০টা ২০ মিনিট থেকে সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের মিলনায়তনে স্থাপিত ৫০টি বুথে এক যোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম দিনে তিন হাজার ২৬১ জন আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। নির্বাচনে মোট ভোটার ৭ হাজার ৮৮৩ জন।  জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল খায়েরের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের কমিটি নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। নির্বাচন পরিচালনায় উপ-কমিটিকে সহযোগিতা করছেন ১৫০ জন আইনজীবী। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল ও বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল অংশগ্রহণ করেছে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও কয়েকজন নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।   
০৭ মার্চ ২০২৪, ১২:২৯

টাঙ্গাইলে ৫ শতাধিক রেস্তোরাঁ-বহুতল ভবন অগ্নিঝুঁকিতে
ঢাকার বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হতাহতের পর নড়েচড়ে উঠেছে টাঙ্গাইলের জেলা-উপজেলা প্রশাসন। জেলার বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁসহ বহুতল ভবনগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান ও তদারকি জোরদার করা হয়েছে। জেলা রেস্তোরাঁ ও মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, সমিতির আওতায় জেলা শহরে ১৬০টি রেস্তোরাঁ রয়েছে। এর বাইরেও জেলায় চার শতাধিক হোটেল-রেস্তোরাঁ আছে। সব মিলিয়ে টাঙ্গাইলের পাঁচ শতাধিক হোটেল-রেস্তোরাঁসহ বহুতল ভবনগুলো অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। অধিকাংশ হোটেল-রেস্তোরাঁয় রান্নার কাজে এলপিজি গ্যাসের পরিবর্তে উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন সিএনজি গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে। বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আগেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টাঙ্গাইল শহরের অনেক বহুতল বাণিজ্যিক ভবনে হোটেল-রেস্তোরাঁ রয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে বহুতল ভবন। এসব ভবনে পর্যাপ্ত ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা নেই। ভবনগুলোতে অবস্থিত রেস্তোরাঁয় ওঠানামার জন্য একটা মাত্র সিঁড়ি রয়েছে। অনেক বহুতল ভবনে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাসহ ফায়ার সেফটি প্ল্যানও নেই। শহরের রেস্তোরাঁগুলোতে পর্যাপ্ত ফায়ার এক্সটিংগুইশার নেই। অনেকেই অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করছেন। অনেক হোটেল-রেস্তোরাঁয় এলপিজি গ্যাসের পরিবর্তে অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ সিএনজি গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে। হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোয় যেখানে-সেখানে গ্যাসের বোতল রাখা হচ্ছে। এসব ভবন ও রেস্তোরাঁয় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে বাইরে বের হওয়ার তেমন সুযোগ নেই। স্থানীয় কলেজ শিক্ষক মোজাম্মেল হক জানান, বহুতল ভবন ও অভিজাত রেস্তোরাঁ প্রতিষ্ঠা করার আগে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। শহরের অনেক বহুতল ভবন ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা নেই। সকলকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ও অগ্নিপ্রতিরোধকে গুরুত্ব দিতে হবে। টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ওয়ারহাউস ইন্সপেক্টর মো. রবিউল আওয়াল জানান, এ পর্যন্ত তার পরিদর্শন করা হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোর প্রত্যেকটি অগ্নিনির্বাপনের ক্ষেত্রে ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া বহুতল আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনগুলোও ঝুঁকিতে রয়েছে। অনেক ভবনে ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন নেই। অনেক ভবনে একটিমাত্র সিঁড়ি রয়েছে। তিনি আরও জানান, ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন ছাড়া যেসব ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে তাদের সেফটি প্ল্যানের মাধ্যমে ভবন নির্মাণের জন্য প্রতিনিয়ত নোটিশ দেওয়া হয়। যারা ওই নোটিশ অমান্য করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। টাঙ্গাইলের ১০তলা কোনো ভবনে আগুন লাগলে তা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা তাদের নেই। এ বিষয়ে ঢাকায় চাহিদা দেওয়া হয়েছে। টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান বিন মুহাম্মদ আলী জানান, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে রেস্টুরেন্ট ও বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধ এবং নির্বাপণের যে ব্যবস্থাগুলো রয়েছে সেখানে কোনো ঘাটতি আছে কিনা বা ফায়ার লাইসেন্স রয়েছে কি না সেসব বিষয় মনিটর করা হচ্ছে। তাদের প্রাথমিকভাবে সতর্ক করার পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অর্থদণ্ড প্রদান করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, সম্প্রতি শহরের চারটি স্বনামধন্য রেস্টুরেন্টে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়। তাদের ফায়ার লাইসেন্স আছে কিনা, ফায়ার এক্সটিংগুইশার, সিওটু এক্সটিংগুইশার ও সেখানে ফায়ার নির্বাপক পয়েন্ট এবং ওয়াটার সোর্সের পয়েন্ট আছে কিনা সবই লক্ষ্য করা হচ্ছে। অনেক রেস্টুরেন্টে এলপিজি গ্যাসের পরিবর্তে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ সিএনজি গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে।
০৬ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়