স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক হবে না বলে যুক্তরাষ্ট্রকে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ সৌদি আরব। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়তে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। তবে ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী পূর্ব জেরুজালেমের সীমান্তে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত এবং গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক হবে না বলে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দিয়েছে সৌদি আরব। এর আগে, মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, সৌদি আরব এবং ইসরায়েল তাদের সম্পর্ককে স্বাভাবিক করতে আলোচনা চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক। এ বিষয়ে বাইডেন প্রশাসন ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। এরপরই বুধবার পাল্টা বিবৃতি দিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলো সৌদি আরব। এতে সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, কিরবির করা মন্তব্যের আলোকে ফিলিস্তিন ইস্যুতে ওয়াশিংটনের কাছে নিজেদের অবিচল অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য সৌদি আরব এই বিবৃতি জারি করেছে। উল্লেখ্য, বিশ্বের বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র দেশ। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আব্রাহাম চুক্তির মাধ্যমে সৌদির প্রতিবেশী আরব আমিরাত এবং বাহরাইন ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এ ছাড়া মরক্কো ও সুদানও সেসময় ইসরায়েলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছিল। এরপর থেকে ইসরায়েল এবং সৌদি আরবের সম্পর্কের বিষয়ে নানান আলোচনা চলছে। অবশ্য স্বাধীন ফিলিস্তিন ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক হবে না বলে গত জানুয়ারিতেও জানিয়েছিল সৌদি আরব। সেসময় সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সউদ জানান, যতদিন পর্যন্ত ফিলিস্তিনিরা সম্পূর্ণ আলাদা, স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র না পাচ্ছে, ততদিন ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে না সৌদি আরব।

শক্ত হাতে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের হাল ধরেছেন বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে চারটায় তার নির্বাচনী এলাকা নওগাঁর সাপাহারে অনুষ্ঠিত এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের সময় এ মন্তব্য করেন তিনি। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর দেওয়া নির্দেশনা মতো এগিয়ে যাবে। তাই তারই যোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা আজ শক্ত হাতে বাংলাদেশের হাল ধরেছেন। পিতার মতো শেখ হাসিনা জাতিকে যে স্বপ্ন দেখান সে স্বপ্ন তিনি বাস্তবায়ন করে ছাড়েন তার জলন্ত প্রমাণ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী ইস্তেহারেই আছে দ্রব্যমূল্য সহনশীল রেখে জনগণকে স্বস্তি দেওয়া, মজুতদারদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রাখা। ইতোমধ্যেই ব্যবসায়ীদের সকল সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে সরকার দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আর যাতে কোনো মহল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে জনদুর্ভোগ বাড়াতে না পারে সে ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন খাদ্যমন্ত্রী। এর আগে টানা চতুর্থবার এমপি ও সরকারের দুবারের খাদ্যমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ায় সাপাহারবাসী তাকে গণসংবর্ধনা প্রদান করেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম শাহ্-এর সভাপতিত্বে উপজেলার জিরো পয়েন্টে এ গণসংবর্ধনা মঞ্চ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ মন্ত্রী মহোদয়কে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করে সংবর্ধিত করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান হোসেন মন্ডল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার মাসুদ প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।