• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নতুন বছর অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী
বাংলা নতুন বছর ১৪৩১ আমাদেরকে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে (১৩ এপ্রিল) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, শুভ নববর্ষ ১৪৩১। উৎসবমুখর বাংলা নববর্ষের এই দিনে আমি দেশবাসীসহ সব বাঙালিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন। এটি সর্বজনীন উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। আবহমান কাল ধরে নববর্ষের এই উৎসবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণ স্পন্দনে, নব-অঙ্গীকারে। সারা বছরের দুঃখ-জরা, মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে বাঙালি রচনা করে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, আনন্দ ও ভালোবাসার মেলবন্ধন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যে ‘পহেলা বৈশাখ’ বিশেষ স্থান দখল করে আছে। বাংলা নববর্ষ পালনের সূচনা হয় মূলত মুঘল সম্রাট আকবরের সময় থেকে। কৃষি কাজের সুবিধার্থে সম্রাট আকবর ‘ফসলি সন’ হিসেবে বাংলা সন গণনার যে সূচনা করেন, তা কালের পরিক্রমায় সমগ্র বাঙালির কাছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে। পহেলা বৈশাখ বাঙালিয়ানার প্রতিচ্ছবি। এই উদ্যাপন আমাদের শেকড়ের সন্ধান দেয়। এর মধ্য দিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় জাতিসত্তার পরিচয়। তিনি বলেন, বাঙালির প্রতিটি ঘরে, জনজীবনে এবং আর্থসামাজিক সংস্কৃতিতে পহেলা বৈশাখ এক অনন্য উৎসব। পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে হালখাতার পাশাপাশি যাত্রাগান, পালাগান, পুতুলনাচ, অঞ্চলভিত্তিক লোকসংগীত, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন পসরা নিয়ে মেলার বর্ণিল আয়োজনের মাধ্যমে যেমন লোকজ-সংস্কৃতি প্রাণ ফিরে পায় তেমনি দেশের অর্থনীতি তথা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমৃদ্ধ হয়, ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসে। শেখ হাসিনা বলেন, পহেলা বৈশাখ পূর্ণপ্রাণ নিয়ে অবারিতভাবে বেড়ে ওঠার বাতায়ন। এটি ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালন করতে শেখায়। অসাম্প্রদায়িকতার চর্চা ও অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পহেলা বৈশাখ আমাদের মনে আনে নতুন তেজ। এ কারণেই আমরা দুর্বার প্রতিরোধে রুখে দিতে পেরেছি পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক অপশক্তিকে, যারা বাঙালির ঐতিহ্য নস্যাৎ করতে চেয়েছিল। তিনি বলেন, আত্মপরিচয় ও স্বীয় সংস্কৃতির শক্তিতে বলিয়ান হয়ে আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম মুক্তির সংগ্রামে। সংস্কৃতি ও রাজনীতির মিলিত স্রোত পরিণত হয়েছিল স্বাধিকার ও স্বাধীনতার লড়াইয়ে। এভাবেই বিশ্বের বুকে অভ্যুদয় ঘটেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের। ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি লালনের মাধ্যমে বিশ্বসমাজে বাঙালি শ্রেষ্ঠ জাতি হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করে সরকারপ্রধান বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় ইউনেস্কো ২০১৬ সালে পহেলা বৈশাখের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। নববর্ষের-এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সারাবিশ্বের বাঙালির জন্য নিঃসন্দেহে বিরাট অর্জন। শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক, উদারনৈতিক, জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রের ভাবাদর্শে আজীবন যে সংগ্রাম করে গেছেন তার মূলমন্ত্র জাতিগত ঐতিহ্য ও অহংকার। একারণেই  বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং দেশ পুনর্গঠনে কাজ করেছে তার অভিন্ন চেতনা। আমরা বীরের জাতি, এ জাতিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। কাল (রোববার) থেকে কালান্তরের পথ পরিক্রমায় বাঙালির অর্জন ও অগ্রগতি চির ভাস্বর হয়ে থাকবে, এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস। তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন আমরা বিগত বছরের গ্লানি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে চলি। সুখী, শান্তিময়, আনন্দপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ এই হোক আমাদের অঙ্গীকার। সূত্র : বাসস
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৩৩

রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে বায়ার্নকে রুখে দিলো আর্সেনাল
ঘরে ফেরার ম্যাচে গোল পেয়েছিলেন ইংলিশ স্ট্রাইকার হ্যারি কেইন। তবে তার ছন্দে ফেরার দিনেও আর্সেনালের মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরতে পারেনি বায়ার্ন মিউনিখ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে এই দুই দলের ম্যাচটি ২-২ সমতায় শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) এমিরেটস স্টেডিয়ামে খেলতে নেমে শুরুতেই এগিয়ে যায় আর্সেনাল। ম্যাচের ১২তম মিনিটে বেন হোয়াইটের দারুণ পাসে ঠান্ডা মাথার নিখুঁত বাঁকানো শটে দলকে এগিয়ে দেন বুকায়ো সাকা। তবে বেশিক্ষণ এই লিড ধরে রাখতে পারেননি মিকেল আর্তেতার দল। উল্টো পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করেছে স্বাগতিক দল। দ্বিতীয়ার্ধে লিন্দ্রো টোসার্ডের গোলে সমতায় ফিরলেও কোনো দলই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি। ম্যাচের ১৮তম মিনিটে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল মাগালিয়াইসের ভুলে সমতায় ফেরে বায়ার্ন। বক্সে অনেকটা এগিয়ে মাঝমাঠেই বল ফেরত পাঠান ব্রাজিলিয়ান এই তারকা। মুহূর্তেই গ্যানাব্রিকে খুঁজে নেন গোরেটস্কা। এরপর দারুণ এক স্লাইডে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। এরপর স্বাগতিকদের রক্ষণের ভুলেই এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বায়ার্ন। সফল স্পট কিকে এমিরেটস স্টেডিয়াম মাতান কেইন। চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বায়ার্নের হয়ে এটি তার ৩৯তম গোল। বিরতি থেকে ফেরার পরও একই তালে খেলতে থাকে দুই দল। আর্সেনাল বল দখলে এগিয়ে থাকলেও আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে স্বাগতিকদের ব্যস্ত রাখে বায়ার্ন। তবে কোনো দলই প্রত্যাশিত সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না। এরপর ম্যাচের ৭৬তম মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান ট্রোসার্ড। বক্সের ভেতরে অরক্ষিত ট্রোসার্ডকে খুঁজে নেন গ্যাব্রিয়েল জেসসু। এরপর বুলেট গতির শটে জাল খুঁজে নেন তিনি। পরে আর কোনো গোল না হওয়ায় সমতায় নিয়েই মাঠে ছাড়ে দুই দল।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২৯

ডব্লিউবিসি ও ডব্লিউবিএ বেল্টের লড়াইয়ে জয়ী বাংলাদেশি বক্সাররা
বাংলাদেশ প্রফেশনাল বক্সিং অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে দেশে প্রথমবারের মতো ঢাকায় ডব্লিউবিসি ও ডব্লিউবিএ বেল্টের লড়াই হয়েছে।  শুক্রবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় হোটেল লা মেরিডিয়ানে ডব্লিউবিএ সাউথ এশিয়া লাইটওয়েট টাইটেলের লড়াইয়ে বাংলাদেশের আবদুল মোতালিব (কিং কং) ভারতের মোহাম্মদ আজহারকে ১০ রাউন্ডের লড়াইয়ে পরাজিত করেন।  এ ছাড়া ডব্লিউবিসি ইয়ুথ ইন্টারন্যাশনাল সুপার ফ্লাই টাইটেলে বাংলাদেশের সাবিউল ইসলাম (কিং) ভারতের শুভম যাদবকে ৬ রাউন্ডের ম্যাচে হারান। তবে রাতের সবচেয়ে আকর্ষণীয় চ্যালেঞ্জ বাউটে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমএমএ বক্সার শাহ কামালি ও পোল্যান্ডের মার্সিওন লাজারেজ’র মধ্যেকার লড়াইটি ড্র হয়।  এর বাইরে বাংলাদেশের নূর মোহাম্মদ নাসিব, মোহাম্মদ জাওয়াদ, ওমর ফারুক, হাসান শিকদার, জয়নুল ইসলাম এবং মোহন আলী জয় লাভ করেন। আর নারীদের মধ্যে সানজিদা জান্নাত পরাজিত করেন সাদিয়া ইসলামকে এবং বৃষ্টি খাতুনকে হারান জুঁই লিমা।  দেশে প্রথমবারে মতো আয়োজিত অনুষ্ঠানে দ্য গ্রেটেস্ট শো’র মহা-আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রফেশনাল বক্সিং সোসাইটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।  অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, ইংল্যান্ডভিত্তিক সিকিউরিটিস এজেন্সি জে-ফোর’র সিইও জুয়েল চৌধুরি, সিলেট সানরাইজার্সের কর্ণধার শেখ কুদরাত জয়সহ অনেকেই।  এ সময়ে বাংলাদেশের প্রফেশনাল বক্সিংকে এগিয়ে নিতে দেশে আসা চারবারের ব্রিটিশ হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন জুলিয়াস ফ্রান্সিস স্থানীয় বক্সারদের উৎসাহিত করেন। এ ছাড়া শুক্রবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে একই অনুষ্ঠানে দেশের কয়েকজন কৃতি নারী ক্রীড়াবিদ ও সংগঠককে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
০৯ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৬

ফের ভোটের লড়াইয়ে উপস্থিত ট্রাম্প ও বাইডেন!
‘সুপার টিউসডে’ ১৬টি রাজ্য ও একটি অঞ্চলে ভোটাভুটির পর দুই দলের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে জিতছেন ট্রাম্প ও বাইডেন। এতেই এ দুইজন ভোটের লড়াইয়ে যে আসছেন তা অনেকটাই নিশ্চিত। ফলে গত নির্বাচনের মতো এবারও বাইডেন বনাম ট্রাম্পের লড়াই দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ও বার্তাসংস্থাগুলি জানিয়েছে, প্রত্যাশামতো রিপাবলিকানের হয়ে ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাটের হয়ে বাইডেনই জিতছেন বা জিততে চলেছেন। তারাই নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দুই দলের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে গেছেন। সুপার টিউইসডে-র লড়াইয়ে ট্রাম্প নর্থ ক্যারোলিনা, ভার্জিনিয়া, কলোরাডো, টেনেসি, টেক্সাস, আরাকানসাস, আলাবামা, ওকলাহোমা ও মেইনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী নিকি হ্যালির থেকে অনেকটাই এগিয়ে আছেন ও জিততে চলেছেন। ভেরমন্টে দুজনের সমানে সমানে লড়াই হচ্ছিল। বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী নিকি হ্যালি ভেরমন্ট জিতে নিয়েছেন। ট্রাম্প এবং বাইডেন মিনেসোটাতে জিততে চলেছেন। ট্রাম্পের বক্তব্য রিপাবলিকান প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ট্রাম্প সুবিধাজনক জায়গায় চলে গেছেন। ট্রাম্প বলেছেন, সুপার টিউসডে তার কাছে একটা অসাধারণ দিন হতে চলেছে। ২০২৪-এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনকে হারিয়ে তিনিই আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর সীমান্তের অবস্থা ভয়ংকর এবং সেখানে আইন বলে কিছু নেই। আমাদের সীমান্তে একটি তৃতীয় বিশ্বের দেশ রয়েছে। মার্কিন নির্বাচনী ব্যবস্থায় ভোটাররা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী নির্বাচন করার জন্য নিজেদের রাজ্যের উপর নির্ভর করে প্রাথমিক নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যায়৷ দ্বিতীয় দফায় সম্মেলনের সময় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। ২০২৪ সালের নভেম্বর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে৷ বাইডেন এগিয়ে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার এই দৌড়ে বাইডেন ১৩টি রাজ্যে জিততে চলেছেন। এছাড়া আইওয়াতেও তিনি জিতবেন বলে সমীক্ষার ফল বলছে। ফলে বাইডেনই ডেমোক্র্যাটদের প্রার্থী হওয়ার লড়াইয়ে অনেকটা এগিয়ে আছেন। বাইডেন একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ট্রাম্প আমেরিকাকে আবার পিছিয়ে নিয়ে যেতে চান। তার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ভোটদাতারা তাকেই বেছে নিয়েছেন। বাইডেন দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্ট হিসাবে তিনি মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করেছেন, তাদের আয় বাড়িয়েছেন। মানুষের সামনে এখন বিকল্প একটাই, তারা তাদের কর্মসংস্থান ও আয়ের নিশ্চয়তা চান, নাকি তারা চান ট্রাম্প আবার আগের মতো দেশ চালান। বাইডেন বলেছেন, ট্রাম্প প্রতিশোধ নিতে চান, তিনি এলে মেয়েদের অধিকার খর্ব হবে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে নিজের সিদ্ধান্ত কার্যকর করবেন। যারা স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আমেরিকায় বিশ্বাস করে, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তাদের সামনে তাই এটাই সুযোগ। তাদের সেই সুযোগ কাজে লাগাবার অনুরোধ করেছেন বাইডেন।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৮:১৪

বিপিএল-২০২৪ / ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে টস হেরে ব্যাটিংয়ে রংপুর
চলমান বিপিএলে প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হয়েছে রংপুর রাইডার্স। লিগ পর্বের দুই দেখায় একটি করে জয় পেয়েছে দল দুটি। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আবারও মুখোমুখি হয়েছে রংপুর-কুমিল্লা।  সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে রংপুর রাইডার্সকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এই ম্যাচে তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামছে রংপুর। আগের ম্যাচের চার বিদেশির মধ্যে একাদশে জায়গা পেয়েছেন শুধু জেমি নিশাম এবং বাদ পড়েছেন ইমরান তাহির, টম মুরাস ও ব্যান্ডন কিং। এই ম্যাচে দিয়ে রংপুরের হয়ে চলতি আসরে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছেন নিকোলাস পুরান ও ফজল হক ফারুকী। এ ছাড়াও একাদশে ফিরেছেন মোহাম্মদ নবী। অন্যদিকে দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। মোহাম্মদ এনামুলের পরিবর্তে বিপিএলে অভিষেক হচ্ছে রোহানতদৌল্লাহ বর্ষণ। আর ম্যাথিউ ফোর্ডের জায়গায় একাদশে সুযোগ পেয়েছেন জনসন চালর্স। রংপুর রাইডার্স একাদশ : সাকিব আল হাসান, নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), রনি তালুকদার , শেখ মেহেদী, শামীম হোসেন, হাসান মাহমুদ, আবু হায়দার রনি, নিকোলাস পুরান, ফজল হক ফারুকী, জেমি নিশাম ও মোহাম্মদ নবী। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স একাদশ : লিটন দাস (অধিনায়ক), মাহিদুল ইসলাম অঙ্গন, তাওহীদ হৃদয়, জনসন চালর্স, জাকের আলী (উইকেটকিপার), মঈন আলি, আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন, রোহানতদৌল্লাহ বর্ষণ, মুসফিক হাসান ও তানভীর ইসলাম।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৭

সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ / শিরোপা রক্ষার লড়াইয়ে প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। শিরোপা রক্ষা লড়াইয়ে ফাইনালে ভারতকে মোকাবিলা করছে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে ভারতকে হারালেও ফাইনালে প্রথমার্ধে এক গোলে পিছিয়ে পড়েছে স্বাগতিকরা।  বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতেই স্বাগতিক দর্শকদের চুপ করিয়ে দেয় ভারতের মেয়েরা। ম্যাচের ৮ মিনিটের মাথায় লিন্ডার পাস থেকে ভারতকে ১-০ গোলের লিড এনে দেন শিবানী দেবী।  ১৭ মিনিটের সময় আরও একবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ মিস করে ভারত। ডি-বক্সের মধ্যে একা বল পেলেও ক্রসবারের উপর দিয়ে মারেন ভারতের রাইট উইঙ্গার। এরপর বার বার আক্রমণ করে গোলের সুযোগ তৈরি করলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। এতে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতে যায় ভারত।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২১

শিরোপা রক্ষার লড়াইয়ে ভারতকেই সঙ্গে পেল বাংলাদেশ
ঘরের মাঠে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সবার আগে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। তবে ফাইনালে কে হবে প্রতিপক্ষ সেই অপেক্ষায় ছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে নেপালকে ৪-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত।   মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ভারত-নেপালের ম্যাচ হয়ে উঠেছিল অঘোষিত সেমিফাইনাল। রাজধানীর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে নেপালকে ৪-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত। লিগ পর্বে বাংলাদেশের কাছে ভারতের হার একটা সম্ভাবনা তৈরি করেছিল নেপালের সামনে। হিমালয়ের দেশটি জিতলেই উঠতো ফাইনালে। ভারতের দরকার ছিল ড্র। তবে নেপাল এই টুর্নামেন্টে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে উঠতে পারবে তেমন সামর্থ্য দেখাতে পারেনি। বাংলাদেশের কাছে ৩-১ গোলে হেরে ভুটানকে কোনোমতে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রতিযোগিতায় টিকেছিল নেপাল। অন্যদিকে শক্তিশালী দল হিসেবেই নেপালকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে উঠেছে ভারত। ২০২১ সালের ফাইনালে বাংলাদেশের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল ভারত। এদিন ম্যাচের ৫৩ মিনিট পর্যন্ত ভারতকে আটকে রেখেছিল নেপাল। এরপরই গোলে উৎসব শুরু করে ভারতীয় মেয়েরা। ৫৪, ৮১, ৮৬তম মিনিট ও ইনজুরি সময়ে গোল করে সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বর্তমান রানার্সআপরা। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি একই ভেন্যুতে শিরোপা লড়াইয়ে ভারতকে মোকাবিলা করবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৬

নেপালের বিপক্ষে দাপুটে জয়ে সেমির লড়াইয়ে টিকে রইল বাংলাদেশ
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে কঠিন সমীকরণের বোঝা মাথায় নিয়েই সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে উঠতে এই ম্যাচে জয় অপরিহার্য ছিল জুনিয়র টাইগারদের। তবে সব চাপ সামাল দিয়ে নেপালকে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।  বুধবার (৩১ জানুয়ারি) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে ১৭০ রানের লক্ষ্য দেয় নেপাল। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৪৮ বল এবং পাঁচ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। এতে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে টিকে রইল শিবলি-রাব্বিরা। পরের ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাতে পারলেই সেমিফাইনাল খেলতে পারবে বাংলাদেশ। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু এনে দেয় দুই টাইগার ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি ও জিশান আলম। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি শিবলি। ৩৪ বলে ১৬ রান করে ক্যাচ আউট হন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে রিজওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন জিশান। টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট চালিয়ে ৩৯ বলে ফিফটি পূরণ করেন জিশান। এরপর পিচে বেশি সময় টিকতে পারেনি এই ডান হাতি ব্যাটার। ৪৩ বলে ৫৫ রান করে সুভাষ ভান্ডারিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন তিনি। ১১ বলে ১৫ রান করে জিশানকে সঙ্গ দেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। এরপর আহার আমিনকে সঙ্গে নিয়ে টাইগার শিবিরে হাল ধরেন আরিফুল ইসলাম। ১৭ বলে ১২ রান করে আউট হলেও রান রেটের হিসাব মাথায় রেখে টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট চালাতে থাকেন আরিফুল। তিন বলে শূন্য রান করে শিহাব জেমস আউট হলেও, ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন আরিফুল ইসলাম। শেষ পর্যন্ত পারভেজ জীবনের ৬ বলে ৫ রান এবং আরিফুলের ৩৮ বলে অপরাজিত ৫৯ রানের ভর করে ১৪৮ বল এবং পাঁচ উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। এদিন নেপালের হয়ে বোলিংয়ে একাই লড়াই করতে থাকেন সুভাষ ভান্ডারি। সেই সঙ্গে শিকার করেন পাঁচ উইকেট।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩৭

বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি বাংলাদেশ
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে চলমান অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে বাংলাদেশ। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে জুনিয়র টাইগারদের প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড। এই ম্যাচ দিয়ে জয়ের ফিরতে চায় শিবলি-রাব্বি। সোমবার (২২ জানুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকার ব্লুমফন্টেইনে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় শুরু হবে ম্যাচটি। গ্রুপ পর্বের বাঁধা টপকে সুপার সিক্সে খেলার দৌড়ে ভালোভাবে টিকে থাকতে গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জিততেই হবে বাংলাদেশকে।  এর আগে শনিবার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ছিল জুনিয়র টাইগাররা। ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে ২৫২ রানের লক্ষ্য দেয় ভারত। জবাব দিতে নেমে মাত্র ১৬৭ রানেই গুটিয়ে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এতে ৮৪ রানের জয় দিয়ে বিশ্বকাপে শুভসূচনা করল ভারত। তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলে, সুপার সিক্সের লড়াইয়ে ভালোভাবেই টিকে থাকবে বাংলাদেশ। এজন্য আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের কাছে।   অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ দল : মাহফুজুর রহমান রাব্বি (অধিনায়ক), আহরার আমিন (সহ-অধিনায়ক) আশিকুর রহমান শিবলি, জিসান আলম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, আদিল বিন সিদ্দিক, মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান, আরিফুল ইসলাম, শিহাব জেমস, শেখ পারভেজ জীবন, মোহাম্মদ রাফি উজ্জামান রাফি, রোহানাত দৌল্লাহ বর্ষণ, ইকবাল হোসেন ইমন, ওয়াসি সিদ্দিক ও মারুফ মৃধা।
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩৬

শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে দ্বিতীয় সুপার ওভারে ভারতের জয় 
পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে প্রথম সুপার ওভার মিস হলেও দ্বিতীয় সুপার ওভারে আফগানদের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য এক জয় তুলে নিয়েছে ভারত। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয়ের জন্য শেষ ওভারে আফগানিস্তানের দরকার ছিল ১৯ রান। তারা করতে পারে ১৮। ভারতের ২১২ রানের জবাবে তাদের স্কোরও ২১২। এরপর প্রথম সুপার ওভারে আফগানরা করে ১৬, ভারতও একই রানে গিয়ে আটকা পড়ে। দ্বিতীয় সুপার ওভারে প্রথম দুই বলে চার ও ছক্কার পরও ভারত করতে পারে স্রেফ ১১ রান। তবে আফাগানরা এ  রান নিতে না পারলে জয় পায় ভারত। এর আগে মুকেশ কুমারের এলোমেলো বোলিং আর গুলবাদিন নাইবের দারুণ ব্যাটিংয়ে ম্যাচ হয় ‘টাই’। সেখান থেকেই ম্যাচে রোমাঞ্চ, উত্তেজনা ও নাটকীয়তার মাত্রা যেন আরও বেড়ে যায়। ‘টাই’ হওয়া ম্যাচ যে সুপার ওভার হয় তাতেও ম্যাচের জয়-পরাজয় নির্ধারণ করা যায় না। সুপার ওভারেও ম্যাচ হয় ‘টাই’। আরেকটি সুপার ওভারে খেলতে হয় দুদলকে। অবশেষে দ্বিতীয় সুপার ওভারে জয়-পরাজয়ের মাধ্যমে আলাদা করা যায় দুদলকে। লেগ স্পিনার রাভি বিষ্ণইয়ের দারুণ বোলিংয়ে আফগানিস্তানের হৃদয় ভাঙে ভারত। যেখানে প্রথম সুপার ওভারে আফগানরা করে ১৬, ভারতও সে রানই করে। দ্বিতীয় সুপার ওভারে প্রথম দুই বলে চার ও ছক্কার পরও ভারত করতে পারে স্রেফ ১১ রান। তবে আফগানিস্তান দ্বিতীয় সুপার ওভারে লড়াই জমাতেই পারেনি। বিষ্ণইয়ের প্রথম বলের পর তৃতীয় বলেও উইকেট হারায় তারা। মাঝে করতে পারে স্রেফ ১ রান। বিষ্ণই শেষের নায়ক হলেও ভারতের মূল নায়ক অধিনায়ক রোহিত শার্মা। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে পাঁচটি সেঞ্চুরির কীর্তি গড়ে ৬৯ বলে অপরাজিত ১২১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন তিনি। সঙ্গে রিঙ্কু সিংয়ের ৩৯ বলে অপরাজিত ৬৯ রানের খুনে ইনিংসের সুবাদে ৪ উইকেটে ২৪ রানের বিপর্যয় থেকে দুইশ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা। পরে প্রথম সুপার ওভারেও আজমাতউল্লাহ ওমারজাইয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ বল ছক্কায় উড়িয়ে জয়ের সমীকরণ ২ বলে ৩ রানে নামিয়ে আনেন রোহিত।  পরের বলে এক রান নেওয়ার পর স্বেচ্ছায় মাঠ ছেড়ে যান তিনি। যেটির কেতাবি নাম ‘রিটায়ার্ড আউট’। মূলত ডাবল নেওয়ার ভাবনায় রোহিতের জায়গায় নন স্ট্রাইকে ব্যাটিংয়ে পাঠানো হয় রিঙ্কুকে।  শেষ বলে ২ রানের প্রয়োজনে ইয়াশাসবি জয়সওয়াল অবশ্য ঠিকমতো ব্যাটে খেলতে পারেননি, বল যায় কিপারের কাছে, আসে ১ রান। দ্বিতীয় সুপার ওভারেও রোহিত শুরুটা করেন ফারিদ আহমেদের প্রথম দুই বলে ছক্কা ও চার মেরে। কিন্তু রিঙ্কুর বিদায়ের পরের বলে রোহিতও রান আউট হয়ে গেলে ১১ রানেই থমকে যায় ভারত। সেটিই যথেষ্ট হয় বিষ্ণইয়ের দারুণ বোলিংয়ে।  এই স্পিনারের প্রথম বলে লং অফে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মোহাম্মদ নাবি। পরের বলে আসে ১ রান। তৃতীয় বলে ক্যাচ তুলে দেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তিন ম্যাচের সিরিজ শেষ পর্যন্ত ৩-০ ব্যবধানেই আফগানদের ওয়াটওয়াশ করে জিতে নিল ভারত। মূল ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাটে আফগানদের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। পাওয়ার প্লেতে রান এসে পড়ে ৫১। ১০ ওভারে তাদের রান ছিল বিনা উইকেটে ৮৫। যদিও এরপরই দ্রুত ৩ উইকেট হারায় আফগানরা। গুরবাজকে (৩২ বলে ৫০) ফিরিয়ে ৯৩ রানের শুরুর জুটি ভাঙেন বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার কুলদিপ ইয়াদাভ। গুরবাজের মতো ইব্রাহিমও থামেন পঞ্চাশ ছুঁয়েই (৪১ বলে ৫০)। ওমারজাই ফেরেন শূন্য রানে। এরপর উইকেটে গিয়ে ১৬ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারে ৩৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন আফগানিস্তানের আশা বাঁচিয়ে রাখা নাবি। এ দিন ব্যাট হাতে ভালো করতে না পারলেও বাউন্ডারিতে দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে ৫ রান বাঁচিয়ে দেন কোহলি। শেষ ২ ওভারে ৩৬ রানের প্রয়োজনে নাজিবউল্লাহ জাদরান চার মেরে শুরু করলেও দারুণ রানিং ক্যাচে এ ব্যাটসম্যানকে ফেরাতেও বড় ভূমিকা রাখেন ভারতীয় তারকা ক্রিকেটার। সবশেষ ৮ বলে দরকার যখন ২৬, আভেশ খানকে ছক্কায় ওড়ান গুলবাদিন। তিনে নামা এই ব্যাটসম্যান শেষ ওভারে মুকেশের দ্বিতীয় বলে মারেন চার। তার আগে-পরে দুটি ওয়াইড দেন ভারতের পেসার। চতুর্থ বলে মুকেশকে ছক্কায় উড়িয়ে সমীকরণ ২ বলে ৫ রানে নামিয়ে আনেন গুলবাদিন। শেষ দুই বলে তার দুটি ডাবলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। ২৩ বলে ৪টি করে চার ও ছক্কায় ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এর আগে হালকা ঘাসের ছোঁয়া থাকা উইকেটে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বিনা উইকেটে ১৮ থেকে ৪ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় ভারত।  জয়সওয়াল ও শিভাম দুবে মিলে ৫ রান করতে পারলেও কোহলি ও স্যামসন পান ‘গোল্ডেন ডাক’ এর তেতো স্বাদ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি শূন্যের রেকর্ডে সাচিন টেন্ডুলকারকে (৩৪ বার) তাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছেন বিরাট কোহলি (৩৫ বার)। ১৪ মাস পর এই সিরিজ দিয়ে ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে ফিরে প্রথম দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন রোহিত।  সেই রোহিতই এবার ধ্বংসস্তূপ থেকে দলকে টেনে তোলেন, তাকে দারুণ সঙ্গ দেন রিঙ্কু। তাদের ব্যাটে চার-ছক্কা আসে প্রায় প্রতি ওভারেই। শেষ দিকে আফগান বোলারদের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালান দুজন। ৪১ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর রোহিত শতকে পা রাখেন ৬৪ বলে। করিম জানাতের শেষ ওভারে রেকর্ড ৩৬ রানসহ শেষ দুই ওভারে আসে ৫৮ রান। রোহিত ও রিঙ্কুর জুটির রান ৯৫ বলে ১৯০, এই সংস্করণে পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি, আর ভারতের যে কোনো উইকেটেই সর্বোচ্চ। দলীয়-ব্যক্তিগত রেকর্ড হয়েছে আরও বেশ কিছু। রেকর্ডময় ম্যাচে শেষটা হলো আরও রোমাঞ্চকর, নাটকীয়তায় ঠাসা। শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি যেখানে রোহিত-কোহলিদেরই। সংক্ষিপ্ত স্কোর ভারত- ২০ ওভারে ২১২/৪ (জয়সওয়াল ৪, রোহিত ১২১*, কোহলি ০, দুবে, ১, স্যামসন ০, রিঙ্কু ৬৯*; ফারিদ ৪-০-২০-৩, ওমারজাই ৪-০-৩৩-১, কাইস ৪-০-২৮-০, সেলিম ৩-০-৪৩-০, শারাফউদ্দিন ২-০-২৫-০, জানাত ৩-০-৫৪-০) আফগানিস্তান- ২০ ওভারে ২১২/৬ (গুরবাজ ৫০, ইব্রাহিম ৫০, গুলবাদিন ৫৫*, ওমারজাই ০, নাবি ৩৪, জানাত ২, নাজিবউল্লাহ ৫, শারাফউদ্দিন ৫*; মুকেশ ৪-০-৪৪-০, আভেশ ৪-০-৫৫-১, বিষ্ণই ৪-০-৩৮-০, ওয়াশিংটন ৩-০-১৮-৩, দুবে ২-০-২৫-০, কুলদিপ ৩-০-৩১-১) ফল : ম্যাচ টাই, প্রথম সুপার ওভার টাই, দ্বিতীয় সুপার ওভারে জয়ী ভারত সিরিজ : ৩ ম্যাচের সিরিজ ভারত ৩-০তে জয়ী ম্যান অব দা ম্যাচ : রোহিত শার্মা ম্যান অব দা সিরিজ : শিভাম দুবে
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়