• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হবে ১০ লেন’
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম মিন উল্লাহ নূরী বলেছেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হবে ১০ লেন। ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। এ মহাসড়কে কোনো ফিটনেস বিহীন যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে না। কেউ টোকেন বানিজ্য কিংবা অবৈধভাবে জিপি আদায় করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিন চাকার গাড়ি সড়কে উঠলে জরিমানা করা হবে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকেলে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ আয়োজিত ঈদ যাত্রা ও সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে গণশুনানি ও মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  তিনি বলেন, ঈদের পাঁচ দিন আগে থেকেই ফিটনেসবিহীন গাড়ি মহাসড়কে উঠলে আটক করে ডাম্পিং স্টেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যেখানে ফিটনেসবিহীন গাড়িটি আটক হবে, সেখানেই যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হবে। যাত্রীদের এই ভোগান্তির জন্য পরিবহন মালিককে জরিমানা করা হবে। ঈদ প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে আমরা নানা উদ্যাগ নিয়েছি। এ রোডের ভাড়া কামানো হয়েছে, বাড়তি ভাড়া নিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ২৪ ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন খোলা থাকবে।  এ সময় তিনি সড়কে পথে পথে টোল প্লাজায় ভোগান্তি কমানোর জন্য পরিবহন মালিকদের ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) পদ্ধতি ব্যবহারের অনুরোধ জানান। সভায় সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান।   সভায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ২৭৫ কিলোমিটারে ৬ জেলার মানুষদের ঈদ যাত্রা নিরাপদ করার জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হয়।  সভায় বক্তব্য রাখেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান, কুমিল্লা সড়ক ও জনপদের প্রধান প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা, হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিওনের পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলম, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম খন্দকার আশফাকুজ্জামান প্রমুখ। এ ছাড়া কুমিল্লা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির প্রতিনিধিসহ জেলার বিভিন্ন দপ্তর, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জেলা প্রধানগণ, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১২

ঢাকা-চট্টগ্রাম আট লেন প্রকল্পের সমীক্ষা শুরু হচ্ছে মার্চে
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী জানিয়েছেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক আট লেন প্রশস্তকরণ ও উভয় পাশে সার্ভিস লেন নির্মাণ প্রকল্পের সমীক্ষা আগামী মার্চে শুরু হচ্ছে।  রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আয়োজনে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এই তথ্য জানান। আমিন উল্ল্যাহ জানান, কোন এলাকায় ছয় লেন; কোন এলাকায় আট লেন হবে তা সমীক্ষায় নির্ধারণ করা হবে। এটি নির্ধারিত হবে যানবাহনের চাপের ওপর ভিত্তি করে। তবে এটি আমাদের ফাইনাল মিটিং নয়। আমরা সবগুলো স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বসবো। সবার পরামর্শ নেওয়া হবে। তারপর চূড়ান্ত ডিজাইন করা হবে। সভায় জানানো হয়, নতুন প্রকল্পের আওতায় নারায়ণগঞ্জের মদনপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রামের বারইয়ারহাট থেকে সিটি গেট পর্যন্ত যেসব স্থানে যানজট তৈরি হতে পারে, সেসব স্থানে ওভারপাস করে দেওয়া হবে। যেসব স্থানে সড়ক বাঁকা, সেগুলো সোজা করা হবে। এটি সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প। প্রকল্পটিতে অর্থায়নে অনেক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা আগ্রহ দেখিয়েছে। সভায় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের গভীর সমুদ্র বন্দর চালু হলে আট লেনে হবে না। তাই চট্টগ্রাম থেকে রামগড় পর্যন্ত এই সড়কে দশ হাজার গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করা দরকার। একই সঙ্গে রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য ব্যবহার করে সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার ৩ ঘণ্টায় যাতায়াত করা যাবে। এটি বাস্তবায়ন করতে পারলে আমাদের সময় ও অর্থ খরচ দুটোই কম হবে। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি আট লেনে উন্নীত করার দাবি জানিয়ে আসছি। আট লেনে উন্নীত হলে যানজট কমবে, খরচও কমবে। তবে চট্টগ্রাম ছাড়া সারাদেশে কোথায় ওয়েট স্কেল নেই। এটির কারণে দেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় আমাদের পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। এটি সমাধান করা উচিত।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়