• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আটালান্টার কাছে বিধ্বস্ত লিভারপুল
হঠাৎই ছন্নছাড়া লিভারপুল। ইংলিশ লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে ড্রয়ের পর এবার ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ইতালিয়ান ক্লাব আটালান্টার কাছে মানতে হলো বড় পরাজয়। পরাজয়টা আবার এসেছে লিভারপুলের ঘরের মাঠেই। দলটাকে যেন চিনতে পারছেন না স্বয়ং কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপও। যদিও প্রথম থেকে লিভারপুলই বেশি সুযোগ সৃষ্টি করে। কিন্তু ভাগ্য অনুকূলে না থাকায় গোল পায়নি দলটি। উল্টো ম্যাচের ৩৯তম মিনিটে গোল পায় আটালান্টা। কাঙ্ক্ষিত গোলটি করেন জিয়ানলুকা স্কামাকা।  গোল হজম করে যেন খেই হারিয়ে ফেলে লিভারপুল। সে সুযোগে ম্যাচের ৬০তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল আদায় করে নেয় স্কামাকা। আটালান্টা এগিয়ে যায় ২-০ গোলে।  এরপর ম্যাচের ৮৩তম মিনিটে মারিও পাসালিচ গোল করলে ৩-০ গোলের বড় জয় পায় ইতালিয়ান ক্লাবটি। এ জয়ে সেমিফাইনালের দিকে এক ধাপ এগিয়ে গেল আটালান্টা।    ইউরোপা লিগের আরেক ম্যাচে ইতালিয়ান জায়ান্ট এসি মিলানেরও নিজ মাঠে পরাজয় মানতে হয়েছে। নিজ দেশের এ এস রোমার বিপক্ষে তাদের পরাজয় ১-০ গোলের। ম্যাচের ১৭তম মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন জিয়ানলুকা মানচিনি।  ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মর্যাদার এ টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে একই দিনে আরও দুটি ম্যাচ হয়। যেখানে ফ্রান্সের মার্সেইকে ২-১ গোলে হারিয়েছে পর্তুগালের বেনফিকা। আরেক ম্যাচে ইংলিশ ক্লাব ওয়েস্ট হাম ইউনাইটেডের বিপক্ষে জার্মান ক্লাব লেভারকুসেনের জয় ২-০ গোলের।  ইউরোপা কাপের সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ১৯ এপ্রিল ফিরতি লেগের ম্যাচে মুখোমুখি হবে দলগুলো।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৭

দারুণ জয়ে টেবিলের শীর্ষে লিভারপুল
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে পয়েন্ট টেবিলের তলানির দল শেফিল্ড ইউনাইটেডের বিপক্ষে সহজ জয় পেয়েছে লিভারপুল। এই জয় নিয়ে হারানো শীর্ষস্থান ফিরে পেলো লিভারপুল।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাতে অ্যানফিল্ডে শেফিল্ড ইউনাইটেডকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে দ্য রেডস। ম্যাচ জুড়ে একচেটিয়া আধিপত্য নিয়ে লড়ে ক্লপের বাহিনী।  ম্যাচের ১৭তম মিনিটে ডারউইন নুনেজের গোলে লিড পায় রেডস। তার গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় জার্গেন ক্লপের শিষ্যরা। বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৫৮তম মিনিটে রাইট ব্যাক কনর ব্র্যাডলির ভুলে আত্মঘাতী গোল হজম লিভারপুল। আর তাতে সমতায় ফেরে শেফিল্ড ইউনাইটেড। তবে ৭৬তম মিনিটে ম্যাক অ্যালিস্টার আবারও এগিয়ে নেন লিভারপুলকে। তাকে গোলে সহায়তা করেন লুইস দিয়াজ। ম্যাচের শেষ মিনিটে অ্যান্ডি বরার্টসনের সহায়তায় কোডি গ্যাকপোর গোলে জয় নিশ্চিত করে ইয়ুর্গান ক্লপের দল। আরেক ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে চেলসি। এই জয়ে সেরা দশে জায়গা করলো পচেত্তিনোর শিষ্যরা। এই জয়ে তাদের সংগ্রহ এখন ৭০ পয়েন্ট। সমান ম্যাচ থেকে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়স্থানে আর্সেনাল। আর ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ম্যানচেস্টার সিটি। অন্যদিকে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে যথারীতি টেবিলের তলানিতে শেফিল্ড। রেলিগেশন এড়াতে অন্তত ৭ পয়েন্ট দরকার তাদের।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩০

ব্রাইটনকে হারিয়ে শীর্ষে লিভারপুল
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের (ইপিএল) গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্রাইটনকে ২-১ গোলে হারিয়েছে লিভারপুল। ম্যাচের শুরুর দিকেই পিছিয়ে পড়ে অলরেডরা। তবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নেয় ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠলো অলরেডরা। রোববার (৩১ মার্চ) ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে ব্রাইটনকে আতিথ্য দেয় লিভারপুল। ম্যাচের শুরুর দিকেই স্বাগতিক সমর্থকদের স্তব্ধ করে দিয়ে লিড নেয় ব্রাইটন। ওয়ান টু ওয়ান পাসে ডান পায়ের জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড ড্যানি ওয়েলবেক। পিছিয়ে পড়ে গোল শোধে মরিয়া হয়ে উঠে লিভারপুল। একের পর এক আক্রমণও চালায় দলটি। বেশ কয়েকবার সুযোগও তৈরি করেছিল ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। তবে কাঙ্ক্ষিত গোলের জন্য ম্যাচের ২৭তম মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় দলটিকে। ম্যাচের ২৭তম মিনিটে লুইজ দিয়াজের গোলে সমতায় ফেরে রেডস বাহিনী। দুর্দান্ত এক ভলিতে জাল খুঁজে নেন কলম্বিয়ান এই উইঙ্গার। এরপর ম্যাচের ৩২তম মিনিটে আরেকটি সুযোগ তৈরি করেছিলেন সালাহ। তবে তার বাঁ পায়ের নিখুঁত শট ঠেকিয়ে দেন ব্রাইটনের গোলরক্ষক। মিনিট পাঁচেক পর নুনেসের চেষ্টাও আশার আলো দেখেনি। শেষ পর্যন্ত ১-১ ব্যবধানের সমতায় নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল। বিরতি থেকে ফিরেও আধিপত্য ধরে রাখে লিভারপুল। ম্যাচের ৬৬তম মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন সালাহ। ম্যাক অ্যালিস্টারের পাস থেকে বাঁ পায়ের শটে বল জালে পাঠান তিনি। চলতি লিগে এটি তার ১৬তম গোল। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় তালিকার শীর্ষস্থানে উঠলো ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৮

চেলসিকে কাঁদিয়ে ইংলিশ লিগ কাপে চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
ইংলিশ লিগ কাপের (কারাবাও কাপ নামে পরিচিত) ফাইনালে চেলসিকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লিভারপুল। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ১১৮তম মিনিটে রোমাঞ্চে জল ঢেলে দিলেন লিভারপুল অধিনায়ক ভার্জিল ফন ডাইক। এ জয়ের মধ্য দিয়ে প্রথম ক্লাব হিসেবে রেকর্ড ১০ বার লিগ কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কীর্তি গড়ল লিভারপুল। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রানে লন্ডনের ঐতিহাসিক ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়ও গোলবন্ধ্যাত্বেই কাটতে যাচ্ছিল। শেষ মুহূর্তে ফন ডাইকের গোলেই চেলসিকে ১–০ ব্যবধানে হারিয়ে দিল লিভারপুল। ম্যাচের শুরুতে বেশ ভুগতে দেখা যায় মাওরিসিও পচেত্তিনোর দলকে। সেই সুযোগে তাদের ওপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করে লিভারপুল। টানা আক্রমণও করতে থাকে, যদিও তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না তারা। বরং আচমকাই ২০তম মিনিটে দারুণ একটা সুযোগ পেয়ে যায় চেলসি। গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন কোল পালমার। তবে তার জোরাল শট দারুণ নৈপুণ্যে রুখে দেন লিভারপুলের দ্বিতীয় সেরা গোলরক্ষক কুইভেন কেলাহার। ৩২তম মিনিটে নিকোলাস জ্যাকসনের পাস ধরে বল জালে পাঠান চেলসির রাহিম স্টার্লিং; তবে সঙ্গে সঙ্গে অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। জ্যাকসন কিঞ্চিৎ ব্যবধানে অফসাইডে থাকায় ভিএআরেও সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। ধীরে ধীরে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে উঠতে শুরু করে লড়াই। ৪০তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত লিভারপুল, কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। কোডি হাকপোর হেড বাধা পায় পোস্টে। গোল শূন্য থেকে বিরতে যায় দুই দল। ৬০তম মিনিটে ফন ডাইকের শক্তিশালী হেডে জাল কাঁপলে বুনো উদযাপনে মাতে লিভারপুলের দর্শকরা। কিন্তু লম্বা সময় ধরে ভিএআর যাচাইয়ের পর ওয়াতারু এন্দোর বিরুদ্ধে অফসাইডের রায় দেন রেফারি। এই ভুলের মাশুল দিতে বসেছিল লিভারপুল। ৭৭তম মিনিটে লিড নিতে পারতো চেলসি। পালমারের পাস থেকে কনর গালাঘেরের শট লক্ষ্যে ছুটছিল। কিন্তু দূরের পোস্ট বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ৮৫তম মিনিটে চেলসির এই দুজন আরেকটি সুযোগ তৈরি করেন। এবার দুর্দান্ত সেভে তাদের ব্যর্থ করেন কেলেহের। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার ও গাকপোর বদলি নামেন দুই টিনএজার জেমস ম্যাককনেল ও জেইডেন ড্যানস। লুটন টাউনের বিপক্ষে গত সপ্তাহে অভিষিক্ত ড্যানস অতিরিক্ত সময়ে গোল করার খুব কাছে ছিলেন।  কিন্তু তার হেড গোলবারের ওপর দিয়ে মাঠ ছাড়া করেন পেত্রোভিচ। গোলের জন্য মুখিয়ে ছিল লিভারপুল। হার্ভি ইলিয়টের দূরের পোস্টে নেওয়া হেড ফিরিয়ে দেন চেলসি গোলকিপার।  অবশেষে আসে আকাঙ্ক্ষিত গোল। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল হেড করে জালে জড়ান ফন ডাইক। ওয়েম্বলিতে তখন লিভারপুল সমর্থকদের গর্জন। এতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লিভারপুল।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪০

চেলসির স্বপ্ন গুড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
হয়ে গেল ইংলিশ লিগ কাপের (কারাবাও কাপ) ফাইনাল। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বির দ্বৈরথ দেখলো ফুটবল বিশ্ব। একদিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে দারুণ ছন্দে থাকা লিভারপুল। অন্যদিকে চিরচেনা জৌলস হারিয়ে শীর্ষ লীগে খোঁড়াতে থাকা চেলসি। কিন্তু, কাপ ফাইনালে এ ব্যবধান বোঝাই গেল না তেমন একটা। মৌসুমে  শিরোপা ছোঁয়ার একমাত্র সুযোগটা কাজে লাগাতে প্রাণপণ লড়ে গেছেন মারিসিও পচেত্তিনোর শিষ্যরা। কিন্তু, বিধি বাম! একেবারে শেষ সময়ে গিয়ে আর গোলবার আগলে পারলেন না চেলসির সার্বিয়ান গোলরক্ষক দোর্দে পেত্রোভিচ। খেলা শেষের দুই মিনিট আগে কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে ট্রেডমার্ক হেডে চেলসির স্বপ্ন গুড়িয়ে দেন ভার্জিল ভ্যান ডাইক। আর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো অল রেড শিবির।  ম্যাচের বেশিরভাগ নিয়ন্ত্রণ ক্লপ শিষ্যদের দখলে থাকলেও খুব একটা পিছিয়ে ছিল না চেলসি। মূহুর্মূহু আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের ভীড়ে উত্তেজনায় ঠাসা এক ম্যাচের সাক্ষী হয়েছে ফুটবল ফ্যানরা। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষে অক্ষত ছিল দুই দলের গোলবারই। নির্ধারিত সময়ের দুই অর্ধে গোলের দেখা অবশ্য পেয়েছিল দুই দলই। কিন্তু দুবারই দুই শিবিরকে হতাশায় পোড়ায় ভিএআর। ফলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। সেখানেও নিজেদের অতিমানবীয় রূপ ধরে রেখেছিলেন কেলেহার ও পেত্রোভিচ। রোমাঞ্চকর টাইব্রেকারের দিকেই এগোচ্ছিল ম্যাচ। কিন্তু, হঠাৎই দৃশ্যপটে ৮৭ মিনিটে মাঠে নামা কন্সটেন্টিনোস সিমিকাস। অতিরিক্ত সময়ে মাত্র ২ মিনিট বাকি থাকতে কর্ণার পায় লিভারপুল। আর ম্যাচের অন্তিম ওই মূহুর্তেই কর্ণার থেকে দূর্দান্ত এক কিক নেন অল রেডদের তরুণ গ্রিক লেফটব্যাক। খুব সহজেই উড়ে আসা সেই বল খুঁজে নেয় ডাচ ডিফেন্ডার ভ্যান ডাইকের মাথা। আর তাতেই বাজিমাত! নিজের দারুণ ট্রেডমার্ক হেডে এবার ফাঁকি দিতে সক্ষম হন চেলসির সার্বিয়ান ওয়ালকে। একইসঙ্গে মৌসুমের প্রথম শিরোপা উপহার দেন বিদায়ী কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপকে।  ফাইনালে নিজেদের আক্রমণভাগের তিন কাণ্ডারি মোহাম্মদ সালাহ, ডিয়েগো জোটা ও ডারউইন নুনেজকে ছাড়াই খেলতে নেমেছিলো লিভারপুর। ইনজুরির কারণে ছিলেন না তারা। ক্লপকে শেষ পর্যন্ত তাদের অভাব বোধ করতে দেয়নি অল রেড শিবির। আর এফএ কাপের এ ফাইনাল হারার সঙ্গে সঙ্গে ধূলিস্মাৎ গেল পচেত্তিনো শিবিরের এ মৌসুমে শিরোপা জেতার একমাত্র বাস্তব সুযোগটাও।  ম্যাচে সব মিলিয়ে ৫৪ শতাংশ বল পসেশন ধরে রেখেছিল লিভারপুল। আর ৪৬ শতাংশ বল পসেশন ছিল চেলসির। যেখানে অল রেড শিবিরের ২১টি ফাউলের বিপরীতে ১৪টি ফাউল করেছে ব্লুজ শিবির। পুরো ম্যাচে সব মিলিয়ে গোলবারের দিকে ২৪টি শট নিয়েছেন ক্লপ শিষ্যরা। এর মধ্যে ১১টি ছিল অন টার্গেট শট, যার ১০টিই পরাস্ত হয়েছে চেলসির সার্বিয়ান ওয়ালের সামনে। আর বিপরীতে প্রতিপক্ষের গোলবারের দিকে ১৯টি শট শানিয়েছেন পচেত্তিনো শিষ্যরা। এর মধ্যে ৯টি ছিল অন টার্গেট শট, যার সবকটি রুখে দিয়েছেন লিভারপুলের আইরিশ গোলরক্ষক কোয়াইমিন কেলেহার। 
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৯

বড় জয়ে ‘অ্যানফিল্ড’ রাঙালো লিভারপুল
ইয়ুর্গেন ক্লপকে আর লিভারপুলের ডাগ-আউটে আর দেখা যাবে না; এমন ঘোষণার পর প্রথমবার হোম ভেন্যু অ্যানফিল্ডে খেলতে নেমেছিল ফুটবলাররা।  ম্যাচের আগ থেকেই ‘ক্লপময়’ হয়ে উঠেছিল অ্যানফিল্ড। দোকানে দোকানে লাল রঙের টি-শার্ট ঝুলছিল, আর তাতে লেখা ‘থ্যাঙ্কস, বস’। আর ম্যাচ শেষেই সমর্থক-ভক্তদের এমন ভালোবাসার প্রতিদান দিয়েছেন তিনি।  নরউইচ সিটিকে ৫-২ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ইংলিশ এফএ কাপ ফুটবলের পঞ্চম রাউন্ডে উঠেছে ইংলিশ ক্লাবটি। পঞ্চম রাউন্ডে ওয়াটফোর্ড কিংবা সাউদাম্পটনের বিপক্ষে খেলবে লিভারপুল। রোববার (২৮ জানুয়ারি) অ্যানফিল্ডে নরউইচ সিটিকে ৫-২ গোলে হারিয়েছে লিভারপুল। এদিন লিভারপুলের হয়ে একটি করে গোলের দেখা পেয়েছেন কার্টিস জোন্স, ডারউইন নুনেজ, ডিওগো জোটা, ভ্যান ডিজক ও  রায়ান গ্রেভেনবার্চ। আর নরউইচকে হার ব্যবধান কমাতে সহায়তা করেছেন বেন গিবসন ও বোর্জা সেঞ্জের গোল। ম্যাচজুড়ে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল ইয়ুর্গান ক্লপ বাহিনী। ফলে ম্যাচের ১৬তম মিনিটেই কার্টিস জোন্সের গোলে এগিয়ে যায় ইংলিশ দলটি। তবে মিনিট ছয়েক পরই নরউইচকে সমতায় ফেরান বেন গিবসন।  এরপর ম্যাচের ২৮তম মিনিটে আবারও লিড নেয় লিভারপুর। দলকে এগিয়ে নেন দারউইন নুনেজ। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে লিভারপুল। বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৫৩তম মিনিটে ব্যবধান ৩-১ করেন দিয়েগো জোতা। আর মিনিট দশেক পর দলীয় স্কোর শিটে নাম লেখান বদলি নামা ভার্জিল ফন ডাইক। এরপর ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে নরউইচের বোরহা সাইঞ্জের ব্যবধান কমালেও শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ দিকে রায়ান গ্রাভেনবার্চের গোলে ৫-২ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে লিভারপুল।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৮

‘ক্লপ লিভারপুল ছাড়ায় নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারব’  
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সফল ক্লাবগুলোর মধ্যে একটি হলো লিভারপুল। দলটির সাফল্যের অন্যতম কারিগর কোচ  ইয়ুর্গেন ক্লপ। তবে হঠাৎ করে লিভারপুল ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। অনেকের কাছেই খবরটা ছিল অপ্রত্যাশিত। ক্লপের এমন সিদ্ধান্তের পর মন্তব্য করেছেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব ম্যানসিটির কোচ পেপ গার্দিওয়ালা। অনেক দিন ধরেই ইংল্যান্ডের ঘরোয়া মৌসুমে লিভারপুল কোচের মূল প্রতিপক্ষ ছিলেন গার্দিওয়ালা। সিটির হয়ে গার্দিওয়ালা সাফল্য পেলেও স্প্যানিশ কোচ ভালো করেই জানেন লিগে তাকে কতটা চাপে রাখতেন ক্লপ।  শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডে টটেনহামের বিপক্ষে সিটির ১-০ গোলের জয়ের পর ক্লপের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে গার্দিওয়ালা বলেন, তিনি একজন অবিশ্বাস্য কোচ। তাকে খুব কাছ থেকে হয়তো জানি না। কিন্তু আমার মনে হয় তিনি একজন অসাধারণ মানুষও। তিনি বলেন, বলতে পারেন তার চলে যাওয়ার খবরে আমি কিছুটা আনন্দিত। তখন লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আরেকটু ভালো করে ঘুমাতে পারবো। তবে আমি তাকে শুভকামনা জানাই।  ২০১২ সালে একই কারণে গার্দিওয়ালাও বার্সেলোনা ছেড়েছিলেন। তিনি বলেন, অনেক বছর ধরে চলতে থাকলে সব কোচই এক সময় ক্লান্তি বোধ করে। আমিও বার্সেলোনায় এমনটা অনুভব করেছিলাম। ফলে আমি তার অবস্থাটা বুঝতে পারি। সে আমার সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী। তাই আমি তাকে ভীষণ মিস করবো।  
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:০০

ড্র করেও ফাইনালে লিভারপুল
ফুলহ্যামের সঙ্গে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ১-১ গোল ব্যবধানে ড্র করেও লিগ কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে লিভারপুল। আগামী মাসে ওয়েম্বলিতে অনুষ্ঠেয় ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ চেলসি।  এর আগে,  প্রথম লেগে ২-১ গোলে জয়ী হয়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। সেই সুবাদে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে ফুলহ্যামের বিদায় নিশ্চিত করেছে অল-রেডসরা। ক্রাভন কটেজে রুইস দিয়াজের গোলে ম্যাচের ১১তম মিনিটেই লিড নিয়েছিল সফরকারীরা। এই গোলের পরই সহজ জয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছিল জার্গেন ক্লপের দল। কিন্তু বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করে তারা। এরপর ম্যাচের ৭৬তম মিনিটে গোল করে ফুলহ্যামকে সমতা ফেরান ইসা ডিওপে। ম্যাচের শেষদিকে বেশ চাপ সৃষ্টি করলেও শেষ পর্যন্ত অবশ্য আর পেরে ওঠেনি ফুলহ্যাম।  আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি ওয়েম্বলিতে চেলসির মোকাবিলার ম্যাচটি হবে অল-রেডসের ১৪তম লিগ কাপের ফাইনাল। ২০২২ সালের ফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। লিভারপুল রেকর্ড ৯ বারের মতো লিগ কাপে শিরোপা জিতেছে। অন্যদিকে সেমিফাইনালে চেলসি মিডলসব্রোকে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-২ ব্যবধানে পরাজিত করে ফাইনালে উঠেছে। ২০১৫ সালে সর্বশেষ শিরোপা জয়ী চেলসি পাঁচবার লিগ কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়