• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
লিভার সিরোসিস জটিলতায় সিসিইউতে ভর্তি খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে আবারও। জরুরি ভিত্তিতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে তাকে। সেখানে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে তাকে।  সিসিইউতে রেখেই তাকে চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নীরিক্ষা করানো হবে বলে নিশ্চিত করেছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। রোববার (৩১ মার্চ) রাত আড়াইটার দিকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে গাড়িবহর হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয় বলে নিশ্চিত করেন তার মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার। দিদার জানান, রাত ২টা ৫০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসনকে নিয়ে এভার কেয়ার হাসপাতালে পৌঁছেন তারা। রাত তিনটার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। তিনি জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে খবর পেয়ে রাতেই গুলশানের বাসা ফিরোজায় যান তার চিকিৎসকরা। সেখানে তার স্বাস্থ্যের পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয়। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে রাতেই তাকে হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। হাসপাতালের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, হাসপাতালে পৌঁছানোর পর পরই খালেদা জিয়াকে সরাসরি সিসিইউতে নেওয়া হয়। লিভার সিরোসিসের জটিলতা বেড়ে যাওয়ায় তাকে সিসিইউতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা। এর আগে ২৭ মার্চ রাতেও খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছিল। ওই দিনও তাকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়। তবে পরে আর নেওয়া হয়নি। তারও দুই সপ্তাহ আগে ১৩ মার্চ মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এভারকেয়ারে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। সেখানে শারীরিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরে ১৪ মার্চ গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান দেশের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। এরপর থেকে তার অসুস্থতা বাড়া-কমার মধ্যে রয়েছে। লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন তিনি। করোনা মহামারিকালে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকবার হাসপাতালে যান। ২০২৩ সালের মাঝামাঝিতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২৬ অক্টোবর তার চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স হাসপাতালের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। পরে বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়। ওই দফায় ১৫৬ দিন হাসপাতালে থাকেন খালেদা জিয়া। গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন। এরপর থেকে সেখানেই ছিলেন। পরে গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। অবশেষে আবারও তাকে সেখানে নেওয়া হলো।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১২:৪১

যে কারণে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন জনি লিভার
বলিউড অভিনেতা জনি লিভার, পর্দায় উপস্থিতি মানেই দর্শকদের পেট ফাটা হাসি। প্রায় পাঁচ দশকের অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য সিনেমা উপহার দিয়েছেন। রুপালি পর্দায় হাজির হয়ে লোক হাসালেও তার ব্যক্তিগত জীবন ছিল রংহীন। কারণ, তার বাবা ছিলেন মাতাল; অর্থ-কষ্টে বেড়ে উঠেছেন তিনি। বলা যায় সংগ্রামী এক জীবন পার করে বর্তমান অবস্থান তৈরি করেছেন এই অভিনেতা। এর চেয়েও বড় বিষয় হলো, পর্দায় লোক হাসানো মানুষটি আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন। রণবীর আল্লাহবাদিয়াকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন জনি লিভার। এ আলাপচারিতায় আত্মহত্যার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, আমার বয়স যখন ১৩ বছর, তখন পাশের রেললাইনে গিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করি। রেললাইনে মাথা দিয়ে রেখেছি, ট্রেন অনেকটা কাছাকাছি চলে আসছে। এমন সময়ে আমার তিন বোন চোখের সামনে চলে আসে। তারা আমাকে বলে, এটা তুমি কি করতেছো? এটা পাপ। তারপর কীভাবে নিজেকে সরিয়ে নেই, তা আমি বলতে পারব না। এর আগে ম্যাশেবল ইন্ডিয়াকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন জনি লিভার। এ আলাপচারিতায় সংগ্রামী জীবনের গল্প শুনিয়েছিলেন তিনি। সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন জনি লিভার। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, আমার বাবা একজন মাতাল ছিলেন। তিনি কখনো আমাদের খেয়াল রাখতেন না। আমার বড় কাকা আমাদের স্কুলের বেতন এবং রেশনের জন্য অর্থ দিতেন। তাই কিছুদিন পর আমি বিরক্ত হয়ে স্কুল ছেড়ে দিই। কিন্তু আমি যখন স্কুলে পড়তাম তখন অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। আমি সবার মিমিক্রি (নকল) করতাম। এমনকি শিক্ষকদেরও। এখনও স্কুলের শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ৬৬ বছর বয়সী জনি লিভার। তা উল্লেখ করে এই অভিনেতা বলেছিলেন, আমার ক্লাস শিক্ষক দময়ন্তী ম্যাডাম খুব ভালো মানুষ ছিলেন। আমি এখনো তার সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমি যখন স্কুল ছেড়ে চলে আসি, তখন তিনি ছাত্রদের দিয়ে আমাকে ডেকে নিয়ে স্কুলের ফি, জামাকাপড় কিনে দিতে চেয়েছিলেন; যাতে আমি পুনরায় স্কুলে ফিরে যাই। অর্থের জন্য রাস্তায় কলম-প্যান্ট বিক্রি করতেন জনি লিভার। ভিক্ষাবৃত্তি না করে বেঁচে থাকার জন্য মুম্বাইয়ের রাস্তায় এ কাজ করতেন তিনি। পরবর্তীতে বাবার কারখানায় কাজ নেন জনি। মিমিক্রি করার কারণে সেখানেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। প্রসঙ্গত, ১৯৮০ সালে কল্যাণ-আনন্দর দপ্তরে ক্যারাম খেলছিলেন জনি লিভার। হঠাৎ সেখানে হাজির হন দক্ষিণী সিনেমার পরিচালক কে বিজয়ন। ওই সময়ে তিনি ‘ইয়ে রিস্তা না টুটে’ সিনেমার কৌতুকাভিনেতার চরিত্রে নতুন মুখ খুঁজছিলেন। গায়ক কল্যাণ জনির নাম সুপারিশ করলে তাকে কাস্ট করেন তিনি।১৯৮১ সালে মুক্তি পায় সিনেমাটি। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি জনিকে। তারপর সঞ্জয় দত্ত, গোবিন্দ, শাহরুখ খানের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করতে শুরু করেন। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে সাড়ে তিন শতাধিক সিনেমায় কৌতুকাভিনেতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনি লিভার।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৫

আমি শাহরুখের চেয়ে বিখ্যাত ছিলাম : জনি লিভার
বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের চেয়েও নাকি একসময় বেশি বিখ্যাত ছিলেন কৌতুকাভিনেতা জনি লিভার। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন এই অভিনেতা।    ভারতীয় এক গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে শাহরুখের সঙ্গে নিজের কাজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন জনি। পাশাপাশি অতীতের অনেক না-জানা গল্পও জানান তিনি।  এ সময় অভিনেতা জানান, তখনও তারকা হয়ে উঠতে পারেননি শাহরুখ। যখন তাকে আব্বাস মাস্তানের ‘বাজিগর’ সিনেমায় সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তখন শাহরুখের চেয়ে নাকি অনেক বেশি জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। জনি বলেন, ১৯৯১ সালে ‘বাজিগর’ সিনেমায় একসঙ্গে কাজ শুরু করি আমরা। তার আগে শাহরুখ ‘রাজু বান গ্যায়া জেন্টলম্যান’ এবং আরও কয়েকটি সিনেমায় কাজ করেছিলেন। কিন্তু আমি তার চেয়ে বেশি বিখ্যাত ছিলাম। লোকজন আমাকে চিনত। আমি তখন তারকা ছিলাম। আর শাহরুখ ছিলেন আসন্ন তারকা। তবে আমাদের বোঝাপড়া ছিল দারুণ। অভিনেতা আরও বলেন, শাহরুখ অ্যাকশন নাচের দৃশ্যে ভালো ছিলেন না। তবে তিনি কঠোর পরিশ্রম করে নিজেকে তৈরি করেছেন। আমি তার মতো এত পরিশ্রমী কাউকে দেখিনি। শাহরুখকে ঠিক যেমনটা পছন্দ করেন জনি, তেমনি শাহরুখের কাছেও তিনি একজন চমৎকার মানুষ। একসময় শাহরুখ তার প্রসঙ্গে বলেছিলেন, জনি তার চোখে দেখা শ্রেষ্ঠ মানুষ এবং অভিনেতা। এমনকি গৌরীর চেয়েও তিনি শাহরুখকে ভালো বোঝেন। নব্বইয়ের দশক থেকে একসঙ্গে বহু সিনেমায় কাজ করেছেন শাহরুখ-জনি। বলিউড বাদশাহর ক্যারিয়ারের বহু সেরা সিনেমার অংশ ছিলেন জনি।  প্রসঙ্গত, ‘বাজিগর’, ‘কয়লা’, ‘করণ অর্জুন’, ‘বাদশা’, ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’র মতো চলচ্চিত্রে একসঙ্গে দেখা গেছে শাহরুখ-জনিকে। সর্বশেষ রোহিত শেঠির ‘দিলওয়ালে’ সিনেমাতে একসঙ্গে কাজ করেছেন দুজন। বলিউডে দুজনের বন্ধুত্বও দীর্ঘদিনের।  সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া 
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৯

এবার সিনেমায় জনি লিভারের কন্যা
বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় কমেডিয়ান জন প্রকাশ রাও জানুমালা। সিনেমাপ্রেমীরা যাকে জনি লিভার নামেই চেনেন। ব্যক্তিগত জীবনে দুই সন্তানের বাবা জনি। মেয়ের নাম জেমি লিভার ও ছেলের নাম জেসি লিভার। বাবার পথ অনুসরণ করে অভিনয়ে নাম লেখিয়েছেন জেমি লিভার। বেশ কটি হিন্দি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। এবার দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অভিষেক হতে যাচ্ছে তার। তেলেগু ভাষার ‘আ ওকাতি আড়ুকু’ সিনেমার মাধ্যমে এ যাত্রা শুরু করবেন জেমি। ফিল্ম কোম্পানিয়ন এ খবর প্রকাশ করেছে। তেলেগু জেমির মাতৃভাষা। নিজ ভাষার সিনেমায় অভিনয় করতে পারা তার কাছে বিশেষ। এ যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত জেমি লিভার বলেন, আ ওকাতি আড়ুকু’ সিনেমার মাধ্যমে তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অভিষেক হবে। এর মাধ্যমে স্বপ্ন সত্যি হয়ে ধরা দিয়েছে। এটি কেবল পেশাগত যাত্র নয়, এটি আমার শিকড়ের প্রতি ব্যক্তিগত শ্রদ্ধা। তেলেগু আমার মাতৃভাষা। এ ভাষার সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে আমি আমার দাদিকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। আমার দাদি মাতৃভাষায় (তেলেগু) কথা বলতে অধিক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। সিনেমাটির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করবেন জেমি লিভার। তবে তার সহশিল্পী হিসেবে কে কে রয়েছেন তা এ প্রতিবেদনে জানানো হয়নি। প্রসঙ্গত,  বাবার মতো মেয়ে জেমিও দারুণ মেধাবী। ৩৬ বছর বয়সী জেমি লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টমিনিস্টার থেকে মার্কেটিং বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছেন। যখন পেশা বেছে নেওয়ার সময় আসে, তখন মোটা বেতনে কোনো করপোরেট প্রতিষ্ঠানে চাকরি খোঁজেননি। বরং বাবার মতো কৌতুককেই নিজের পরিচয় আর পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। তারকাসন্তান হিসেবে সুবিধা নেননি জেমি। বরং নিজস্বতা দিয়ে ভক্তদের মন জয় করেছেন। গায়ের রং শ্যামবর্ণের হলেও নিজের মাধুর্য দিয়ে দর্শকের মন জয় করেছেন। ২০১৫ সালে ‘কিস কিস কো পেয়ার কারু’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটে জেমির। এরপর ‘হাউজফুল ফোর’, ‘ভূত পুলিশ’, ‘ইয়াত্রি’ সিনেমায় অভিনয় করেন জেমি।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়