• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ 
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বাসাবাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মোছা. আইরিন (৩২) ও মোছা. জান্নাত (২৪) নামে দুই গৃহবধূ দগ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সানারপাড় এলাকার নুরুল ইসলামের বাড়ির রান্নাঘরে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের রাত সাড়ে ১০টার দিকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। দগ্ধ গৃহবধূ আইরিনের স্বামী রুবেল জানান, সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকার নুরুল ইসলামের বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন তারা। বৃহস্পতিবার রাতে রান্নার সময় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে স্ত্রীসহ জান্নাত নামে এক প্রতিবেশীও দগ্ধ হন। দ্রুত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে দুই নারীকে দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে তাদের ভর্তি করা হয়েছে।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৩:২৪

কীভাবে বুঝবেন চুলার গ্যাস লিকেজ হয়েছে
দৈনন্দিন চাহিদার মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাস অন্যতম। কিন্তু প্রয়োজনীয় এই গ্যাস ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলেই ঘটে মারাত্মক দুর্ঘটনা। ছোট ছোট দুর্ঘটনা থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়ে থাকে। ফলে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে। তার জন্যই বাসা বা বাড়িতে গ্যাস লিকেজ হয়েছে কিনা, সেটি জানা জরুরি। সমস্যা শনাক্ত করতে পারলে ঝুঁকি রোধ করা সম্ভব হয়। এ জন্য গ্যাস লিকেজ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এবার তাহলে কনস্টেলোশনের এক প্রতিবেদনের বরাত গ্যাস লিকেজ শনাক্ত এবং সমাধানের উপায় জেনে নেওয়া যাক। জেনে নিন গ্যাস লিকেজের লক্ষণ কী কী- পচা ডিমের মতো দুর্গন্ধ: কয়েক প্রকার হাইড্রোকার্বনের এক ধরনের মিশ্রণ হচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাস। প্রকৃত অর্থে এটি গন্ধহীন হলেও এতে মার্কেপ্টেন নামক একপ্রকার গান্ধব পদার্থ যুক্ত করা হয়। ফলে গন্ধ হয়ে থাকে। এ কারণে বাসা-বাড়িতে কোথাও গ্যাস লিকেজ হলে অস্বাভাবিক দুর্গন্ধ আসে নাকে। এ থেকে সহজেই বুঝতে পারা যায় কোথাও গ্যাস লিকেজ রয়েছে। হিস হিস শব্দ: পাইপে বা সিলিন্ডারে উচ্চ চাপে গ্যাস আবদ্ধ থাকে। এ জন্য গ্যাস লিকেজ হলে পাইপ বা সিলিন্ডারের উচ্চ চাপের জায়গা থেকে গ্যাস ক্রমশ বের হতে থাকে। এ কারণে গ্যাস বের হওয়ার সময় প্রচুর হিস হিস শব্দ হয়। এ ধরনের শব্দ হলে সতর্ক হতে হবে। বাসা-বাড়ির ছোট ছোট গাছ মরে যায়: বাসা-বাড়িতে অনেকেই ছোট ছোট গাছ রাখেন সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য। কিন্তু গ্যাস যদি লিকেজ থাকে তাহলে বাগানের বা সৌন্দর্যের জন্য আনা ছোট ছোট গাছগুলো মরে যেতে থাকে। এ থেকেও বুঝতে পারেন গ্যাস লিকেজ হয়েছে কিনা। বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা: গ্যাস লিকেজ হলে অক্সিজেনের পরিমাণ ক্রমশ কমে যায়। এতে শরীর চাহিদা অনুযায়ী অক্সিজেন পায় না। যা থেকে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব ও মাথাব্যথার মতো নানা শারীরিক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গ্যাস লিকেজ হলে করণীয়- স্থান ত্যাগ করা: বাড়িতে গ্যাস লিকেজ হওয়ার বিষয়টি বুঝতে বা শনাক্ত করতে পারলে তাৎক্ষণিক ওই জায়গা ত্যাগ করে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে হবে। ঘর থেকে দূরত্বে ফাঁকা জায়গায় আশ্রয় নিতে পারেন। আগুন জ্বালানো ও বৈদ্যুতিক যন্ত্র চালু না করা: আবদ্ধ ঘরে যদি কখনো গ্যাস লিকেজ হয় তাহলে তা ঘরে বা রুমে জমে থাকে। এ অবস্থায় ছোট্ট একটি আগুনের ফুলকি বা শিখা থেকেও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হতে পারে। এ জন্য লিকেজ শনাক্ত হলে কখনোই আগুন জ্বালাবেন না এবং বৈদ্যুতিক কোনো যন্ত্র চালু করবেন না। ঘরের দরজা-জানালা খুলে দেওয়া: আবদ্ধ জায়গায় জমে থাকা গ্যাস থেকেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়। এ জন্য ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ থাকলে তা খুলে রাখুন। গ্যাস উন্মুক্ত হয়ে যাবে। বাইরে থেকে বাতাস প্রবেশ করবে ভেতরে। বিপদের কোনো ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যাবে। গ্যাস সরবরাহের মূল জায়গা বন্ধ করা: পাইপলাইন বা সিলিন্ডার থেকে গ্যাস লিকেজ যদি শনাক্ত করা সম্ভব হয়, তাহলে গ্যাসের যে মূল সরবরাহ রয়েছে সেটি বন্ধ করুন। ফায়ার সার্ভিসকে অবহিত করা: গ্যাস লিকেজে শনাক্ত করতে পারলে কালক্ষেপণ না করে নিকটস্থ ফায়ার সার্ভিস বাহিনীকে বিষয়টি অবহিত করতে হবে। প্রয়োজনে তারা ওই স্থানে আসবে এবং এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা মোকাবিলা রোধ করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নিয়মিত গ্যাসলাইন রক্ষণাবেক্ষণ করা, অপ্রয়োজনে গ্যাস লাইন ব্যবহার না করা, গ্যাস সরবরাহের লাইন বন্ধ রাখার সুইচ হাতের কাছে রাখা, বাসা-বাড়িতে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখা ও সম্ভব হলে কার্বন মনোক্সাইড শনাক্তকারী যন্ত্র রাখতে পারেন।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৩:০৩

শাহজাহানপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে একই বাড়িতে দুই দফা আগুন, দগ্ধ ৭
রাজধানীর শাহজাহানপুরে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে এক বাড়িতেই দুইবার আগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে প্রথম আগুন লাগার পর লাইন ঠিক করতে গেলে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আবারও আগুন লাগে সেখানে। এতে দুই দফায় বাড়ির বাসিন্দা, প্রতিবেশী ও মিস্ত্রীসহ ৭ জন দগ্ধ হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।  শাহজাহানপুরের ঝিল মসজিদ এলাকায় মোহনা টেইলার্স গলির ৫৩ নম্বর ৫ তলা বাড়ির নিচতলায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। দগ্ধদের মধ্যে বাবা-মেয়েসহ ৬ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি একজনকে নেওয়া হয়েছে ইসলামিয়া হাসপাতালে।  এর মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তিদের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, দুর্ঘটনা কবলিত বাসাটির বাসিন্দা মিন্টু হাওলাদার (৪০), তার মেয়ে মারিয়া ইশরাত (১৯), প্রতিবেশী আলী আকবর (৩৫), বাচ্চু মিয়া (৪৫) এবং সেনেটারি মিস্ত্রি মনির হোসেন (৪১) ও দেলোয়ার হোসেন (৫৭)।   বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আগুনে মিন্টু হাওলাদারের শরীরের ৪০ শতাংশ ও তার মেয়ে মারিয়ার ২২ শতাংশ পুড়ে গেছে। বাকিদের তেমন একটা ক্ষতি হয়নি।  দগ্ধ মিন্টু হাওলাদার জানান, বাড়ির নিচতলায় তাদের ভাড়া বাসায় বাথরুমে ও রান্নাঘরে মাঝেমধ্যেই গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যেত। তবে কোন জায়গা থেকে লিকেজ হয়ে গ্যাস বের হতো তা খুঁজে পাননি তিনি। মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ করেই আগুন লেগে যায় রান্নাঘরে। এতে তিনি ও তার প্রতিবেশী বাচ্চু মিয়া দগ্ধ হন। মিন্টুর স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার জানান, সকালেই মিন্টু ও বাচ্চুকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। পরে সন্ধ্যায় লিকেজ হওয়া গ্যাসের লাইন মেরামতের জন্য ওই বাসায় যান সেনেটারি মিস্ত্রি। মেরামতকালে সেখানে আবারও আগুন লাগে। এতে অন্যদের সঙ্গে দগ্ধ হয় মিন্টু ও ঝর্ণার মেয়ে মারিয়াও। পরে তাদেরকেও বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজিত কুমার সাহা জানান, শাহজাহানপুর ঝিল মসজিদের পাশে ৫৩ নাম্বার বাড়ির নিচ তলায় গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনের ঘটনায় বেশ কয়েকজন দগ্ধ হয়েছেন। বিস্তারিত জানার জন্য ঘটনাস্থলে কাজ করছে পুলিশ।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৭

জুরাইনে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, দেবর-ভাবি দগ্ধ
রাজধানীর কদমতলী থানার জুরাইন ঋষিপাড়া এলাকায় রান্না করতে গিয়ে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দুইজন দগ্ধ হয়েছেন। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। পরে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসা হয়।  বিস্ফোরণে দগ্ধরা হলেন বিনা রানী দাস (৩৮) ও তার দেবর শ্রী বনমালী দাস (৩০)। দগ্ধ শ্রী বনমালী দাস বলেন, সন্ধ্যায় আমার ভাবি রান্না করছিল। হঠাৎ গ্যাস লিকেজ করে আগুন ধরে যায়। ভাবির চিৎকার শুনে রান্না ঘরে গিয়ে দেখি তার সমস্ত শরীরের আগুন ধরে গেছে‌। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আমিও দগ্ধ হই। পরে আমাদের দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। আমার শরীরের কোমর থেকে দুই পা এবং বাঁ হাত সম্পূর্ণ দগ্ধ হয়েছে। আর ভাবি সমস্ত শরীরই দগ্ধ হয়েছে। ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, জুরাইন থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে দুইজন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটিরে জরুরি বিভাগে এসেছেন। সেখানে তাদের চিকিৎসা শেষে ভর্তি রাখা হয়েছে। বিনা রানী দাসের শরীরের ৫০ শতাংশ এবং তার দেবর বনমালী দাসের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত চিকিৎসক।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৪২

নরসিংদীতে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, শিশুসহ দগ্ধ ৬
নরসিংদীর মাধবদীতে অবৈধ গ্যাস সংযোগের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন। সোমবার (৮ জানুয়ারি) সদর উপজেলার মাধবদী থানার নূরালাপুর ইউনিয়নের গদাইরচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আরও পড়ুন : ঢাকায় কর্মসূচি দিলো ইসলামী আন্দোলন   বিস্ফোরণের পর এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গুরুতর দগ্ধরা হলেন টেক্সটাইল শ্রমিক শামীম মিয়া (৪০) তার স্ত্রী আকলিমা বেগম (৩৫)। এছাড়াও  তাদের কন্যা সানজিদা (১৮) ও রিয়া মনি (৯), শামীমের বড় ভাই গাফফার মিয়া (৪০) এবং ছোট ভাই রশিদ মিয়া (৩২)। আরও পড়ুন : হাসিনাকে মোদির ফোন, বললেন টানা চতুর্থ মেয়াদের বিজয় ঐতিহাসিক   আহতদের পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই আলগী এলাকার মানিক মিয়া নামক এক ব্যক্তি ওই গ্রামের কুচক্রী মহলের নেতৃত্বে এলাকায় বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে অবৈধ ভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে আসছিল। সেরকমই এক বাড়ির শৌচাগারের পাইপ দিয়ে অবৈধ সংযোগের লিকেজ থেকে তাদের রান্না ঘরে গ্যাস প্রবেশ করে। রান্নার সময় চুলায় আগুন দিতে গেলে তখনই ঘটে বিকট বিস্ফোরণ। এ সময় একই পরিবারের তিন ভাই এবং তাদের স্ত্রী, কন্যাসহ ৬ জন আহত হয়। মাধবদী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে, জ্বালানি গ্যাসের বিস্ফোরণ থেকেই এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:০৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়