• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
সারাদেশে লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল ১০২৭
সারাদেশে লাইসেন্স ছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ব্ল্যাড ব্যাংকের সংখ্যা এক হাজার ২৭টি। আর লাইসেন্স রয়েছে ১৫ হাজার ২৩৩টি হাসপাতালের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য এসেছে বলে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টকে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। এর আগে রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুলে ইউনাইটেড হাসপাতালে খতনা করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থা মারা যাওয়া শিশু আয়ানের ঘটনায় করা রিটে হাইকোর্টে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চ পরবর্তী শুনানির জন্য ১৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী শাহজাহান আকন্দ মাসুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। এর আগে শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনা অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে ১৫ জানুয়ারি নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রুলে আয়ানের পরিবারকে কেন পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। এ ছাড়া সারাদেশে লাইসেন্স ও অনুমোদনহীন কতগুলো হাসপাতাল রয়েছে, তার তালিকা এক মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (স্বাস্থ্যসেবা) নির্দেশ প্রদান করা হয়।  পরে গত ২৯ জানুয়ারি অধিদপ্তরে উপপরিচালক ডা. পরিমল কুমার পালের সই করা ১৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়। শিশু আয়ানের মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ হাইকোর্টে রিট করেন। গত ৯ জানুয়ারি এ রিট করেন তিনি। রিটে আবেদনকারী হিসেবে যুক্ত হন শিশুটির বাবা শামীম আহমেদ। রিটের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩১ ডিসেম্বর সুন্নতে খতনার জন্য শিশু আয়ানকে বাড্ডার সাতারকুলের ইউনাইটেড  হাসপাতালে নিয়ে যান তার অভিভাবক। পরে সকাল ৯টার দিকে শিশুটিকে অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া হয়। তবে অনুমতি ছাড়াই ‘ফুল অ্যানেসথেসিয়া’ (জেনারেল) দিয়ে চিকিৎসক আয়ানের খতনা করান বলে অভিযোগ করা হয়। পরে জ্ঞান না ফেরায় শিশুটিকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠানো হয়।  সেখানকার পিআইসিইউতে (শিশু নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র) আয়ানকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। পরে গত ৭ জানুয়ারি মধ্যরাতে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:৪৯

লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক-হাসপাতাল বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ
লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক ও হাসপাতাল বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রায়হান গাজী নামে এক আইনজীবী এ নোটিশ পাঠান। নোটিশে বলা হয়, সম্প্রতি ঢাকা শহরসহ সারাদেশের জেলা, উপজেলা, থানা, পৌর, ইউনিয়ন পরিষদে সংশ্লিষ্ট মেডিকেল চিকিৎসা বিষয়ের সনদ ব্যতীত অর্থাৎ লাইসেন্সবিহীন নামধারী ভুয়া হাতুড়ি ডাক্তার, অদক্ষ নার্স, স্টাফসহ লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক, ভুয়া চেম্বারে সাধারণ সেবা প্রত্যাশী মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র অসহায় সহজ-সরল ব্যক্তিরা চিকিৎসাসেবা নিতে গিয়ে ব্যাপক শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এসব বিষয় বিবেচনা করে লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষকে লাইসেন্সবিহীন ভুয়া ডাক্তার, অদক্ষ নার্স, স্টাফ এবং লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক বন্ধ এবং আদালত ও অন্যান্য প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় রিট পিটিশন অথবা দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৩

লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
সারাদেশে লাইসেন্সবিহীন বেসরকারি হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকগুলো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।  মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে এ নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরও পড়ুন : বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী শহর দখলের দাবি আরাকান আর্মির   ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, শিশু আয়ানের মৃত্যুতে ওই হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত হচ্ছে, তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্প্রতি খাতনা করতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যু হয়। এর আগে আয়ানের মৃত্যুর সুষ্ঠু বিচারের দাবিসহ চার দফা দাবি নিয়ে সকালে সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ ও তার পরিবার। এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে আয়ানের বাবা সন্তানের মৃত্যুর ঘটনার বর্ণনা দেন।  রোববার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রী জীবনের প্রথম দিনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যদি সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করি, তবে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। পাঁচ থেকে পাঁচশ বেডে (বার্ন ইউনিট) উন্নীত করতে আমার অনেক কষ্ট হয়েছে। প্রথম প্রথম আমি অনেকের কাছে গিয়েছি। আমাকে অনেকে ফিরিয়ে দিয়েছেন, এমনকি আমার ফাইল ছুড়ে মেরেছে এরকম ঘটনাও আছে। কিন্তু আমি ধৈর্য ধরেছি। সবার সহযোগিতা পেয়েই এ জায়গায় এসেছি।’ আরও পড়ুন : ‘নির্বাচন শেষ হলেও দেশবিরোধীদের চক্রান্ত শেষ হয়নি’     ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য আমি চেষ্টা করবো। ওটা করতে পারলে ঢাকা শহরে ফ্লোরে শুয়ে চিকিৎসা নিতে হবে না। আমি প্রত্যেকটা হাসপাতালে যাবো। কী কী সমস্যা আছে, জানবো। তারপর আমি একটা কর্মপরিকল্পনা করবো।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:০২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়