• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া কিছুই নেই কাচ্চি ভাইয়ের, লাখ টাকা জরিমানা
আবাসিক ভবনে রেস্তোরাঁ ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ঘাটতি খুঁজতে রাজধানীর গুলশান-২ এলাকায় অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এরই অংশ হিসাবে ওই এলাকায় অবস্থিত কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (৬ মার্চ) বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন ও সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়। অভিযানে কাচ্চি ভাইকে এ জরিমানা করা হয়। জানা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণভাবে গ্যাস সিলিন্ডার রাখা আছে কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয়। অগ্নি নিরাপত্তার জন্য রাখা যন্ত্রাংশগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেই সেখানে। কাচ্চি ভাইয়ের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন বলেন, ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া কিছুই নেই কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁর। এ জন্য কাচ্চি ভাইকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে ৩ মাসের জেল দেওয়া হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে রেস্তোরাঁটি যদি ফায়ার সার্টিফিকেট, পরিবেশের ছাড়পত্রসহ সকল অনুমোদন সম্পন্ন করতে না পারে তাহলে এটি সিলগালা করা হবে। প্রসঙ্গত, রাজধানীর বেইলি রোডে রেস্তোরাঁয় আগুন লেগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে রাজধানীর বিভিন্ন ভবনে রেস্তোরাঁ তৈরি নিয়ে উদ্বেগ জানান বিশেষজ্ঞরা। এরপর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযানে নামে প্রশাসন। তারই অংশ হিসেবে আবাসিক ভবনে রেস্তোরাঁ ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ঘাটতি খুঁজতে রাজধানীর গুলশান-২ এলাকায় অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৭

লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ, ধামরাইয়ে হাসপাতাল সিলগালা
লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ঢাকার ধামরাইয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতাল সিলগালা করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।  সোমবার (৪ মার্চ ) দুপুরে অভিযান চালিয়ে মুনমুন চক্ষু হাসপাতাল ও ফ্যাকো সেন্টারটি সিলগালা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে ধামরাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, ধামরাই পৌর এলাকার ইসলামপুর মহল্লার মুনমুন চক্ষু হাসপাতাল ও ফ্যাকো সেন্টার এবং হেলথ এইড ডিজিটাল অ্যান্ড ডায়াগস্টিক সেন্টারে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এদের মধ্যে মুনমুন চক্ষু হাসপাতাল ও ফ্যাকো সেন্টারের ২০২০ সাল পর্যন্ত লাইসেন্স নবায়ন করা ছিল। এরপর আর লাইসেন্স নবায়ন না করায় হাসপাতালটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।    এছাড়া হেলথ এইড ডিজিটাল অ্যান্ড ডায়াগস্টিক সেন্টারে সেবার মূল্য তালিকা, অপারেশন পরিচালনাকারী টেকনোলজিস্টদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং পরিচালিত ডায়াগস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স না থাকায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর রিফফাত আরা উপস্থিত ছিলেন।
০৪ মার্চ ২০২৪, ২২:৪৫

এক যুগ পর রাসায়নিক গুদামের ট্রেড লাইসেন্স দিলো দক্ষিণ সিটি
নিমতলী ও চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডের পর পুরান ঢাকা থেকে শ্যামপুরে স্থানান্তরিত হওয়ায় একটি প্রতিষ্ঠানকে ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এর ফলে দীর্ঘ এক যুগ পর রাসায়নিক গুদাম হিসেবে প্রথম কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্য করার অনুমতি দিলো দক্ষিণ সিটি।   রোববার (৩ মার্চ) ডিএসসিসির জনসংযোগ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক রাজধানীর শ্যামপুরে বাস্তবায়িত ‘অস্থায়ী ভিত্তিতে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য নির্মিত গুদাম’ প্রকল্পে স্থানান্তরিত হওয়ার প্রেক্ষিতে ‘মেসার্স রয়েল টন লেকার কোটিং’ নামে রাসায়নিক প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।  শ্যামপুরে স্থানান্তরিত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবসার অনুমতি নবায়নের আবেদন করা হলে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানকে নবায়নকৃত ট্রেড লাইসেন্স দেয় ডিএসসিসি। এ প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘শ্যামপুরে গুদাম স্থানান্তরিত করায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি, তাদের পথ অনুসরণ করে সব রাসায়নিক গুদাম ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও সেখানে স্থানান্তরিত হবে। নিরাপদ হবে আমাদের পুরান ঢাকার সামগ্রিক পরিবেশ।’ রাসায়নিক গুদাম যারা স্থানান্তরিত করবে না, পর্যায়ক্রমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শ্যামপুরে অস্থায়ী ভিত্তিতে যে রাসায়নিক গুদামগুলো নির্মাণ করা হয়েছে, সেখানে অগ্নিনির্বাপনের আধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া খোলামেলা পরিবেশ থাকায় সেখানে ঝুঁকির মাত্রাও অনেক কম। পাশাপাশি এসব রাসায়নিক গুদাম ও প্রতিষ্ঠানকে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ৩১০ একর জায়গার ওপরে যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, তা প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।’ মিজানুর রহমান আরও বলেন, জননিরাপত্তার জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টিকারী এসব রাসায়নিক গুদাম ও প্রতিষ্ঠান যদি সেখানে স্থানান্তরিত না হয়, তাহলে আমরা সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করব।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১০:২৫

বাণিজ্যিক কাজে হাতি ব্যবহারে লাইসেন্স বন্ধ
সারাদেশে সার্কাসসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক কাজে হাতির ব্যবহারে কোনও ব্যক্তিমালিকানায় লাইসেন্স দেওয়ার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে হাতির ওপর নির্যাতন ও নিষ্ঠুরতা বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং হাতিকে বিনোদনের কাজে ব্যবহারের জন্য ব্যক্তি মালিকানা নতুন করে লাইসেন্স ও লাইসেন্স নবায়ন কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সাকিব। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মানুষের নিয়ন্ত্রণে থাকা হাতির সার্কাস, হাতির পিঠে ভ্রমণ, বিয়ে বাড়িতে শোভাবর্ধন, বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের র‍্যালিতে বিজ্ঞাপনের মতো বিভিন্ন বিনোদন কাজে হাতির ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। অভিনেত্রী জয়া আহসান এবং প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন পিপল ফর এনিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন স্থপতি রাকিবুল হক এমিল এ রিট দায়ের করেন। 
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩২

লাইসেন্স ছাড়া চলছে বেশিরভাগ হাসপাতাল-ক্লিনিক (ভিডিও)
ফ্রি স্টাইলে চলছে দেশের বেশিরভাগ বেসরকারি ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার। অনেক প্রতিষ্ঠানের নেই অনুমোদন। যাদের আছে মেয়াদ শেষে তারাও নবায়ন করেন না। মানা হয় না শর্ত। আর এসব খবর সংগ্রহ করতে গেলে উল্টো সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয় মালিক পক্ষ। দিনের পর দিন অনিয়ম চললেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে দুর্ঘটনা ঘটলে।  লাইসেন্সবিহীন হিসেবে কয়েকবার খবরের শিরোনাম হয়েছে রাজধানীর শনির আখড়ার লাইফ হাসপাতাল। খোঁজ নিয়ে দেখা যায় অনুমোদন ছাড়াই চলছে এর ডায়গনস্টিক সেন্টার। লাইসেন্স এর খবর জানতে চাইলে ক্ষুব্ধ হন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। লাইসেন্স থাকলেও ছয় বছর ধরে নবায়ন না করার অভিযোগ ডেমরার মেডিহোপ হাসপাতালের বিরুদ্ধে। জানতে চাইলে প্রতিবেদককে আটকে রেখে হুমকি দিতে থাকে মালিক পক্ষ। যাত্রাবাড়ীর ইউনিক হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্সের মেয়াদও ফুরিয়েছে ৬ বছর আগে। মাতুয়াইলের আনোয়ার মেডিকেল। সাইনবোর্ড ছাড়া ফ্ল্যাট বাসায় চলে অস্ত্রোপচার। নেই অভিজ্ঞ নার্স। মালিকের কাছ থেকেই নার্সের কাজ শিখেছেন বলে জানান কর্মরতরা। লাইসেন্স নিয়ে অভিযোগ আছে মোহাম্মদপুরের পিপলস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে। সাংবাদিক পরিচয় শুনেই চটে যান প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার।  লাইসেন্স এর আবেদন না করেই পরীক্ষা-নিরিক্ষা শুরু করে দিয়েছে কালশীর এশিয়ান ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও এ এইচ এস ডায়ালাইসিসি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সামনে রাখা হয়েছে ট্রেড লাইসেন্স ও জনপ্রতিনিধির ছবি। বেসরকারি ক্লিনিক হাসপাতালের অরাজক অবস্থার জন্য কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতার ঘাটতি আর সীমাবদ্ধতাকে দায়ী করেন এই বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, যত প্যাথলজি আছে, হাসপাতাল আছে সব অটোমেশিন। অনুমোদন ছাড়া কিছুতেই শুরু করা যাবে না, এটা নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া দ্রুত তাদের লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। আর কেউ যদি অসাধুভাবে কোনো ক্লিনিক হাসপাতাল খুলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া। তবে জরিমানা করে কোনো লাভ হবে না, জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই এর একটা উন্নতি হতে পারে।     স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে অবৈধ ক্লিনিক হাসপাতালের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগের দাবি সবার।    
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৪৯

লাইসেন্স ছাড়াই চলছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা
লাইসেন্সবিহীন এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিচালনা করার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দি ডাচ বাংলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।  বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া দুইটার দিকে জেলা শহরের পুরাতন জেল রোডে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিতে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।  ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জামশেদুল আলম। এসময় তার সাথে ছিলেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার এহসানুল হক শিপন, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে ডা. সম্বিতা চক্রবর্তী ও ডা. আরিফুল ইসলাম এবং স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ছফিউর রহমান প্রমুখ।  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জামশেদুল আলম জানান, দি ডাচ বাংলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে প্রতিষ্ঠানটিতে লাইসেন্সসহ বৈধতার কোনো কাগজপত্র ছিল না। এছাড়াও ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি অনেক অপরিচ্ছন্ন ছিল। তাই ভোক্তা অধিকার আইন এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর ৮ ধারা প্রতিষ্ঠানটিকে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদেরকে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হলে ম্যানেজার তা প্রদান করেন।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৬

এক দিনেই পরীক্ষা ও আঙুলের ছাপ, ড্রাইভিং লাইসেন্স পৌঁছে যাবে বাড়িতে
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়া সহজতর করার পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। প্রতিষ্ঠানটির সব সার্কেলে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের আবেদন অনলাইনে দাখিল করতে পারবেন পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নকারীরা। এরই মধ্যে নবায়নের আবেদনসমূহ অনলাইনে দাখিল শুরু করেছে বিআরটিএ। ফলে আবেদনকারীকে শুধুমাত্র একদিন বিআরটিএর পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে হবে। সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়া সহজতর করার লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রো সার্কেল-১ (মিরপুর), ঢাকা মেট্রো সার্কেল-২ (ইকুরিয়া), ঢাকা মেট্রো সার্কেল-৩ (দিয়াবাড়ি, উত্তরা), ঢাকা মেট্রো সার্কেল-৪ (পূর্বাচল) ও ঢাকা জেলা সার্কেলের অন্তর্ভুক্ত আবেদনসমূহ bsp.brta.gov.bd এই ওয়েসাইটের মাধ্যমে গ্রহণ কার্যক্রম (পাইলটিং) শুরু করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে এ প্রক্রিয়ায় বিআরটিএর অন্যান্য সকল সার্কেলের অন্তর্ভুক্ত পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া চালুর ফলে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সধারীকে শুধুমাত্র একবার বিআরটিএর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বা পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে বায়োএনরোলমেন্ট প্রদান ও দক্ষতা যাচাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। আবেদন করবেন যেভাবে প্রথমে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ ও মোবাইল নম্বর দিয়ে ইউজার আইডি খুলতে হবে। এর জন্য  bsp.brta.gov.bd যেতে হবে। আবেদনকারী কর্তৃক তার bsp একাউন্টের মাধ্যমে প্রথমে অনলাইন ভেরিফিকেশন বেজড কিউআর কোড সংবলিত প্রবেশপত্র গ্রহণ করতে হবে। পরবর্তীতে রিফ্রেশার ট্রেনিং ও দক্ষতা যাচাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর অনলাইনেই ফি প্রদান ও ডোপ টেস্ট রিপোর্ট স্ক্যান কপি সংযুক্ত করে আবেদন সাবমিট করতে হবে। এখন থেকে আবেদনকারীর পরীক্ষার ফলাফল এবং আবেদন প্রক্রিয়াকরণের প্রতিটি পর্যায়ের স্ট্যাটাস অনলাইনে তার bsp একাউন্টে জানতে পারবেন। কিউআর কোড বেজড সিস্টেম জেনারেটেড মোটরযান চালনার ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণ করতে পারবেন। প্রিন্টিং কার্যক্রম শেষে আবেদনকারীর চাহিত ঠিকানায় ডাকযোগে ড্রাইভিং লাইসেন্স স্মার্ট কার্ড পৌঁছে দেওয়া হবে। তবে এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ বা পরামর্শ থাকলে এই ইমেইলে [email protected] পাঠানো যাবে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৮

চালের দাম বাড়ালে মিলের লাইসেন্স বাতিল : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানো আমাদের নির্বাচনী ওয়াদা ছিল। এই কারণে চালসহ সকল নিত্য পণ্যের দাম কমাতে সরকার জিরো টলারেন্স। আশা করছি আমরা সফল হবো। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দেশের বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগর পরিদর্শন ও জেলা চালকল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।  খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কর্পোরেট ব্যবসায়ীরা সুপার শপে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে নিম্ন পর্যায়ের খুচরা বাজারেও দাম বেড়ে যাচ্ছে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ও অতি মুনাফার লোভে কিছু মানুষ এটা করছে। তিনি আরও বলেন, কুষ্টিয়াতে এ অভিযান প্রথম নয়। সারাদেশেই অভিযান চলছে। কুষ্টিয়ায় যে দাম বেধে দেওয়া হয়েছে সেটাই থাকবে। সেটা বাস্তবায়নে আমরা তীক্ষ্ন দৃষ্টি রাখছি। যারা প্রতিযোগিতা করে চালের দাম বাড়াচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, জেল জরিমানা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে এদের মিলের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে দুপুরে অবৈধ মজুতসহ কেউ কোনো অনিয়ম করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চালের দাম বাড়াচ্ছে কি না এসব খতিয়ে দেখতে দেশের অন্যতম বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগর পরিদর্শন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের নেতৃত্বে অভিযানিক দল। এ সময় লাইসেন্স এর মেয়াদ না থাকা ও প্রয়োজনের অতিরিক্ত আটা মজুত করায় মেসার্স সুবর্ণা অটো ফ্লাওয়ার (আটার) মিলের গোডাউন সিলগালা করা হয়। এছাড়াও অবৈধ ধান মজুতের দায়ে আল্লাহর দান রাইচ মিলের ধানের গোডাউন সিলগালা করা হয়েছে। অভিযানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারসহ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছাড়াও কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা, পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব, কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অভিযান শেষে বিকেলে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার চালকল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন খাদ্যমন্ত্রী। বৈঠকে সাংবাদিকদের ক্যামেরা ঢুকতে দেয়া হয়নি। বৈঠক শেষে বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটের সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন খাদ্যমন্ত্রী। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এদিকে, মন্ত্রীর এই অভিযান ও বৈঠক শেষে চালকল মালিকরা বলছেন, তারা সরকারকে সহযোগীতা করতে চান। কুষ্টিয়া জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, বেধে দেওয়া দামেই বিক্রি করছেন তারা। তবে ধানের দাম বেড়ে গেলে কিছু করার থাকবে না। আপাতত চালের দাম কমার সম্ভাবনা নেই।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:২৬

স্মার্ট কার্ড নেই বিআরটিএতে, বিপাকে লাইসেন্স প্রত্যাশীরা
স্মার্ট কার্ডের জন্য আবেদন করে মাসের পর মাস বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) কার্যালয়ে ঘুরপাক খাচ্ছেন ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশীরা। সমাধান না পেয়ে ব্যক্তিগত বাহন মালিকদের পাশাপাশি বিপাকে পড়েছেন পেশাদার চালকরাও। নির্ধারিত সময়ে লাইসেন্স না পেয়ে চাকরি পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চালক পদে আবেদনকারী অনেকে। রুজির সন্ধানে বিদেশ গমনও আটকে গেছে অনেকের।  বিআরটিএ কার্যালয়ে গিয়ে কথা হয় সগীর আহমেদ নামে এমন একজনের সঙ্গে। সৌদি আরব যাওয়ার জন্য ইতোমধ্যে সব প্রয়োজনীয় কাগজ প্রস্তুত তার। ঝুলে আছেন শুধুমাত্র ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য। ভিসার শর্তানুযায়ী অবশ্যই তাকে ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে সেদেশে যেতে হবে। সগীর বলেন, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আমি যেতে না পারলে ভিসা বাতিল হয়ে যাবে। দ্রুত যাওয়ার জন্য আমার মালিক ও অ্যাম্বেসি থেকে বারবার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। আমার মেডিকেলের মেয়াদও শেষ হয়ে যাচ্ছে। শুধু ড্রাইভিং লাইসেন্সটার জন্য ঝুলে আছি। সময়মতো কার্ড না পেলে আমার সব টাকা আর শ্রম জলে যাবে।   অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য (বিআরটিএ) সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন আল আমিন হোসেন। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই ড্রাইভিং লাইসেন্সের নির্ধারিত ফিও পরিশোধ করেছেন। কিন্তু এই ঘটনার প্রায় ৬ মাস পার হতে চললেও এখন পর্যন্ত তার ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ডটি প্রিন্ট করতে পারেনি বিআরটিএ। আল আমিন বলেন, লাইসেন্সের জন্য লিখিত, মৌখিক, ব্যবহারিক পরীক্ষা ও টাকা জমা দিয়েছি গত বছরের জুলাই মাসে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমার লাইসেন্স কার্ডটি প্রিন্ট হয়নি। এ বিষয়ে কারও কাছ থেকে কোনো তথ্যও পাচ্ছি না। বিআরটিএতে গেলে তারা জানায়, হয়ে যাবে। কিন্তু কবে হবে, সেটি কেউ আর জানায় না। দেখতে দেখতে ৬ মাস হয়ে গেল। অথচ জানতাম এক মাসের মধ্যে বিআরটিএ ড্রাইভিং লাইসেন্সের কার্ড সরবরাহ করে। শুধু এই দুজনই নয়, এমন সমস্যা নিয়ে নিয়মিতই বিআরটিএর সদর কার্যালয়সহ সার্কেল অফিসগুলোতে ভিড় করছে হাজারো লাইসেন্স প্রত্যাশী। নির্ধারিত সময়ে বিআরটিএ কার্ড সরবরাহ করতে না পারায় সাধারণ আবেদনকারীদের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে বিদেশগামী ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনকারীরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাপানোর কার্ড সংকট হওয়াতে এমন জটিলতায় পড়েছে বিআরটিএ। গত বছরের মাঝামাঝিতেও এমন ভয়াবহ কার্ড সংকটে পড়েছিল সরকারি এই সংস্থাটি। বিআরটিএ সূত্র বলছে, ২০২০ সালের ২৯ জুলাই লাইসেন্স কার্ড মুদ্রণের জন্য বিআরটিএ’র সঙ্গে চুক্তি হয় মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স (এমএসপি) প্রাইভেট লিমিটেডে। এই কোম্পানির কাছে এখন কার্ড নেই। ২৫ হাজার স্মার্টকার্ড বিমানবন্দরে দুই সপ্তাহ আগে এলেও সেটি খালাস করতে পারেনি কোম্পানিটি। যদিও এই ২৫ হাজার কার্ডে চাহিদা মেটানো সম্ভব না।   জানা গেছে, কোম্পানিটি ডলার সংকটের অজুহাত দেখিয়েছে। যখন চুক্তি হয় তখন ডলারের দাম ছিল ৮৫ টাকা। যা বর্তমানে ১২৫ টাকায় পৌঁছেছে। এই কারণে বিআরটিএ কার্ড আনতে পারছে না ভারত থেকে।  চুক্তির  তিন বছরে ২৪ লাখ কার্ড সরবরাহের কথা থাকলেও এ পর্যন্ত ১৬ লাখের মত সরবরাহ করা হয়েছে। এখনও প্রায় ৮ লাখ কার্ডের ঘাটতি আছে।   নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিআরটিএর দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, ভারতীয় প্রিন্টিং কোম্পানিটি এখন বিআরটিএ'র জন্য বড় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এর আগে গত বছরের মাঝামাঝিতে লাইসেন্স কার্ডের চরম সংকটে পড়ে বিআরটিএ। তখন ঘাটতি ছিল প্রায় ৫ লাখের মতো। তবে তখন ৬ লাখ কার্ড দেশে এসেছিল আইপির (আমদানি অনুমতি) মাধ্যমে। সেটিও শেষ হয়েছে পুরোনো আবেদনকারীদের দেওয়ার জন্য। নতুন করে আর কাউকে কার্ড দিতে পারছে না বিআরটিএ।   কার্ড সংকট নিয়ে মাদ্রাজ প্রিন্টার্সের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক আশরাফ বিন মুস্তফা বলেন, আগে এলসি নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল, এখন এলসি নিয়ে সেই সমস্যা নেই। তবে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্যাংক তাদের বড় সংখ্যার এলসি দিতে চাইছে না।   তিনি বলেন, এলসির কারণে ছোট সংখ্যায় কার্ড আনা হচ্ছে। তবে সেটাতে বিআরটিএ খুশি নয়। এখন ৫০ হাজার করে কার্ড আনা যাচ্ছে। শুধু শেষবার ২৫ হাজার কার্ড এসেছে। সম্প্রতি তারা সাফটা (দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক মুক্তবাণিজ্য চুক্তি) চুক্তি করেছে। তবে সেই চুক্তিতে নাম ভুল থাকায় বিমানবন্দর শুল্ক কর্তৃপক্ষ কার্ড ছাড় দিচ্ছে না। ভারতীয় কোম্পানিতে তাদের পাঁচ লাখ কার্ড পড়ে থাকা স্বত্বেও কার্ড বাংলাদেশে আনা যাচ্ছে না।     এদিকে বিআরটিএ সূত্রমতে, বাংলাদেশে বর্তমান প্রতি বছর অন্তত ৭ লাখ কার্ড প্রয়োজন। এখন ঘটতি আছে আরও ৮ লাখ। এর সঙ্গে চুক্তি পরিবর্তনের সময় প্রায় ১২ লাখ আবেদন জমা পড়েছিল। ফলে এতো বিপুল সংখ্যক কার্ডের চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ ঠিক রাখতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। এসব বিষয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, কার্ড নিয়ে কিছু সমস্যা আছে। এটা বৈশ্বিক সমস্যার একটি অংশ। তবে দেশে গাড়ি চালানোর জন্য এখন বিআরটিএ থেকে ‘ই-লাইসেন্স’ দেওয়া হচ্ছে। কার্ডের এই সমস্যা দ্রুতই কেটে যাবে। বিমানবন্দরে কিছু কার্ড এসেছে। দুই একদিনের মধ্যেই এগুলো ছাড় পাবে।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়