• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের মাঝে পুলিশের ইফতার বিতরণ
পবিত্র মাহে রমজানে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে গরীব-দুস্থ রোহিঙ্গাদের মাঝে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ভাসানচরের আশ্রয়ণ প্রকল্প-৩ এ ৯ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহযোগীতায় রোহিঙ্গাদের মাঝে ইফতার সামগ্রী হিসেবে চাল, ডাল, ছোলা, চিনি ও সয়াবিন তেল বিতরণ করা হয়। ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পুলিশের ৯ এপিবিএন’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন এন্ডইন্টেলিজেন্স) মো. নুরুল আফছার ভূঁইয়া, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ক্যাম্প কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার এ কে এম ফসিহুর রহমান প্রমূখ। মাহে রমজানে ভাসানচরের গরিব ও দুস্থ রোহিঙ্গারা ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী পেয়ে আনন্দে উদ্ভাসিত হন এবং বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২৮

রোহিঙ্গাদের জন্য ইউএনডিপি’র বড় তহবিল গঠনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বড় আকারের আন্তর্জাতিক তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিতে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে সফররত ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত এবং সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে এক বৈঠকে এই আহ্বান জানান। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচরাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক তহবিলের হ্রাস পাওয়ার প্রবণতার প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের সহায়তায় যাতে আরও বড় পরিমাণ তহবিল আসে সে প্রচেষ্টা জোরদার করার জন্য ইউএনডিপির প্রতি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে ভাসানচরে তাদের জন্য উন্নত আবাসনের ব্যবস্থা করেছে। তিনি বলেন, ভাসানচরে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করতে পারে। ভাসানচরে আরও রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর করতে ইউএনডিপির সহায়তা চেয়েছেন সরকারপ্রধান। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বিশেষত অর্থনৈতিক অঞ্চলে বৃহত্তর বিনিয়োগের জন্য সুইডিশ ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, কার্বন নির্গমনে বাংলাদেশের অবদান নগণ্য হলেও দেশটি মারাত্মকভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়ে থাকে। স্থানীয় জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমন কর্মসূচি সম্পর্কে সরকারপ্রধান বলেন, স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও এবং তাদের জীবিকা রক্ষায় বাংলাদেশ একটি জলবায়ু ট্রাস্ট গঠন করেছে। তিনি বলেন, তার সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র্য বিমোচন করা। এর ফলে ইতোমধ্যে দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ১৮.৭ শতাংশে এবং চরম দারিদ্যের হার ২৫.১ শতাংশ থেকে ৫.৬ শতাংশে নেমে এসেছে। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে যাতে কোনো মানুষ গৃহহীন না থাকে সে লক্ষ্যে সরকার বিনামূল্যে সারাদেশে গৃহহীনদের ঘূর্ণিঝড় সহিষ্ণু ঘর বানিয়ে দিয়েছে।তিনি বলেন, তার সরকার দেশের উপকূলীয় এলাকায় সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ করেছে। শেখ হাসিনা ১৯৬৯ সালে তার প্রথম সুইডেন সফরের কথা উল্লেখ করেন যখন তার স্বামী পড়াশোনা করতে সেখানে অবস্থান করছিলেন। সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া বলেন, সুইডেন ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। তিনি দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদারের ব্যাপারে তার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এর আগে, চার দিনের সফরে ভিক্টোরিয়া সোমবার ঢাকায় আসেন। তিনি কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। সূত্র : বাসস  
১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:২৫

রোহিঙ্গাদের জন্য ৭৩ কোটি টাকা সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাজ্য
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রো‌হিঙ্গা‌ শরণার্থীদের জন্য অতি‌রিক্ত ৫ দশমিক ২ মি‌লিয়ন পাউন্ড (৭৩.২ কো‌টি টাকা) মানবিক সহায়তা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় রোহিঙ্গাদের জন্য ২০২৪ সালের জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানে (জেআরপি) এ সহায়তার ঘোষণা দেয় যুক্তরাজ্য। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশন।      বৈশ্বিক খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মাধ্যমে এ সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য ও রান্নার গ্যাস সরবরাহে নতুন এ অর্থ সহায়তা ব্যয় করা হবে বলে জানিয়েছে হাইকমিশন। ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেছেন, কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরের জন্য এ সহায়তার ঘোষণা দিতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। এর মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গাদের খাবার ও রান্নার গ্যাস সরবরাহ করা হবে। তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী ও আক্রান্ত স্থানীয় বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর পাশে সবসময় থাকবে যুক্তরাজ্য। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বাংলাদেশের চেষ্টাকে আমরা স্বাগত জানাই। এ সংকটের একটি স্থায়ী সমাধানেও আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। তবে এর আগ পর্যন্ত আমরা রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা করে যাবো। চলতি বছরের শেষ দিকে রোহিঙ্গাদের জন্য আরও অর্থ সহায়তা ঘোষণা করা হবে বলেও জানান সারাহ কুক। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সাল থে‌কে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং প্রতিবেশী সম্প্রদায়ের জন্য ৩৭৯ মিলিয়ন পাউন্ড মানবিক সহায়তা দিয়েছে।
১৪ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫০

রোহিঙ্গাদের জন্য স্থানীয় জনগণই এখন সংখ্যালঘু : প্রধানমন্ত্রী
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে এখন কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণই সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোহিঙ্গারা এখন বাংলাদেশের পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সোমবার (৪ মার্চ) সংসদ ভবন কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আইনজীবী ডক্টর পায়াম আখভান। এ সময় এসব কথা তুলে ধরে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছেন শেখ হাসিনা।    আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের আইনজীবীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তার স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবাসন এখন সেখানকার অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে জটিল বলে মনে হচ্ছে। রোহিঙ্গারা এখন বাংলাদেশের জন্য বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা, ডক্টর পায়াম আখভানকে বলেন, মিয়ানমারের নাগরিকদের আগমনে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণ এখন সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে। তারা আমাদের পরিবেশের ক্ষতি করছে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর একটা অংশ ইতোমধ্যে অস্ত্র, নারী ও মাদক পাচারের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের জন্য এটি বড় উদ্বেগের বিষয়। সাক্ষাতে ‘জলবায়ু ব্যবস্থার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে’ বিভিন্ন রাষ্ট্রের বাধ্যবাধকতার বিষয়ে পরামর্শমূলক মতামতের জন্য আইসিজে-তে বাংলাদেশের আইনগত উপস্থাপনা প্রস্তুত করতে সহায়তার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য ড. পায়ম আখভানকে ধন্যবাদ জানান তিনি। ড. পায়ম আখভানও এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশ এখন জলবায়ু ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে বিশ্বনেতা হয়ে উঠেছে।
০৫ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫০

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে যাবে তুরস্ক
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছে তুরস্ক। একই সঙ্গে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অন্যান্য ইস‌্যু‌তেও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছে দেশটি। রোববার (৩ মার্চ) তুরস্কের আনতালিয়ায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের স‌ঙ্গে বৈঠক ক‌রেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৈঠ‌কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব ইউরোপ শাখার মহাপরিচালক শাহ আহমদ শফী এবং তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই নিজ দেশের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ফিদান।  বৈঠকে আনতালিয়া ফোরামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ফিরতি চিঠি হাকান ফিদানকে হস্তান্তর করেন হাছান মাহমুদ। একইসঙ্গে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উপযুক্ত সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণও জানান তিনি।  এ সময় ড. হাছান মাহমুদ দুই দেশের মধ্যে চুক্তিভিত্তিক চাষাবাদের প্রস্তাব করেন। যেখানে বাংলাদেশি কৃষক ও বিশেষজ্ঞরা তুরস্কে মৌসুমি চাষ করবেন এবং ফলনের পর বাংলাদেশে ফিরে যাবেন। তার এ প্রস্তাবের প্রেক্ষি‌তে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান জানান, তুরস্ক বিষয়টি পরীক্ষা করবে এবং আগামী জুলাই মাসে ঢাকায় পররাষ্ট্র দপ্তরের পরবর্তী পরামর্শের সময় এটি নিয়ে আলোচনার সু‌যোগ র‌য়ে‌ছে।  এ সময় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে দেওয়া প্রশংসাপত্রের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এবং ফোরামে উপস্থিতির জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান ফিদান। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করা ও রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে তার দেশের অব্যাহত সমর্থনেরও আশ্বাস দেন। এ ছাড়া ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধ করতে এবং আরব দেশগুলোর সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে তুরস্কের আরও বৃহত্তর ভূমিকা কামনা করেন ড. হাছান মাহমুদ। বৈঠকে উভয় নেতা আশা প্রকাশ করেন যে, ইউক্রেনের যুদ্ধ শিগ‌গিরই শেষ হবে এবং জ্বালানি, এলএনজি ও ফসলের দাম কমবে, যা এখন উভয় দেশের পাশাপাশি উন্নয়নশীল বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বৈঠকে তুরস্কের স্বাধীনতার শতবর্ষ এবং বাংলাদেশ ও তুরস্কের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষ্যে হাকান ফিদানকে অভিনন্দন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তুরস্কের জাতির পিতা কামাল আতাতুর্কের সংগ্রাম থেকে শক্তিশালী অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন এবং দুই ভ্রাতৃপ্রতিম জাতির বন্ধুত্বের উষ্ণ বন্ধন প্রতিনিয়ত দৃঢ়তর হচ্ছে।
০৪ মার্চ ২০২৪, ০২:২৭

রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট বানিয়ে দিয়ে কুলি থেকে কোটিপতি
রাজু শেখ। বছর কয়েক আগেও তার পরিচয় ছিল কুলি। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাবার সঙ্গে তরকারির বস্তা টেনে যে সামান্য রোজগার হতো, তাই দিয়ে খেয়ে না খেয়ে চলতো সংসার। হঠাৎই রাজুর জীবনে আলাদীনের চেরাগ হয়ে ধরা দেয় দেশে শরাণার্থী হিসেবে জায়গা পাওয়া রোহিঙ্গারা। জাল পরিচয়পত্রের মাধ্যমে তাদের পাসপোর্ট করে দিতে দিতে ঘুরে যায় তার ভাগ্যের চাকা। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানেই বনে যান কোটিপতি। নিজের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে গড়ে তুলেছেন কোটি টাকা মূল্যের বাড়ি, উত্তরায় কিনেছেন ১৬০০ স্কয়ার ফিটের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট এবং রাজউকে নিয়েছেন ৬ কাঠার প্লট। রোহিঙ্গা ছাড়াও দাগী অপরাধী ও আসামীরাও ছিলেন রাজুর কাস্টমার। জাল জন্ম নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে তাদেরকে পাসপোর্ট বানিয়ে দেওয়ার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা নিতেন তিনি। কিন্তু, একাই এই অসাধ্য সাধন করেননি রাজু, এ কাজে তার সঙ্গে জড়িত বড় এক চক্র। দীর্ঘ তিন মাসের কঠোর অনুসন্ধান শেষে এই চক্রের ২৩ সদস্যকে ধরতে সক্ষম হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আটকদের মধ্যে রাজু শেখ ছাড়াও আছেন কয়েকজন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ, যারা পাসপোর্ট করার জন্য ঢাকায় এসেছিলেন। এরপর শেখ রাজুকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।  গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা ও দাগী আসামীদের পাসপোর্ট বানিয়ে দিয়ে গোপালগঞ্জে কোটি টাকার বাড়ি করেছেন রাজু শেখ। উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরে কিনেছেন ১৬০০ স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাট। পূর্বাচলে ৬ কাঠার একটি প্লটও কিনেছেন তিনি। পাসপোর্ট জালিয়াতি কার্যক্রমের ধারাবাহিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে রাজু জানান, পাসপোর্ট অফিসের সামনেই তাদের দোকান। সেখানে প্রতিদিন ১০-১৫ জন বাঙালি ফরম পূরণের জন্য আসেন। তখন কৌশলে দীর্ঘ সময় দোকানে বসিয়ে রাখা হয় তাদেরকে। এভাবে যখন ৯-১০ টি ফাইল জমা হয় তখন তাদের সঙ্গে তিনজন রোহিঙ্গার ফাইল মিলিয়ে পাসপোর্টের জন্য জমা দেওয়া হয়। রাজু আরও জানান, কোনভাবেই যেন ভেতরে কী হচ্ছে, তা যেন কেউ বুঝতে না পারেন সেজন্য পাসপোর্ট করতে আসা রোহিঙ্গাদের নতুন নাম-পরিচয় ধারণে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়ম যেন সবাই একসঙ্গে থাকেন। মানসিকভাবে শক্ত থাকার জন্য রোহিঙ্গাদের বারবার সতর্ক করে দেওয়া হয়। জাল নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে স্বাক্ষর দেওয়ার জন্যও আগে-ভাগেই দেওয়া হয় প্রশিক্ষণ। একইসঙ্গে পাসপোর্ট প্রত্যাশী রোহিঙ্গাদের কথায় যেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিকতার কোনো টান না আসে সেটিও নিশ্চিত করা হয়। প্রায় তিন বছর ধরে এভাবেই অসংখ্য রোহিঙ্গার হাতে বাংলাদেশের পাসপোর্ট তুলে দিয়েছেন রাজু শেখ। মশিউর রহমান বলেন, ২০১৬ সাল থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন এবং পাসপোর্ট জালিয়াতির কাজে জড়ান রাজু শেখ। এর মধ্যে গত তিন বছর ধরে রোহিঙ্গা ও দাগী আসামিদের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি।  আর এক্ষেত্রে কক্সবাজার থেকে রাজুকে রোহিঙ্গা গ্রাহক জোগাড় করে দেয় চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়ির এজেন্টরা। তাদেরকে নিয়ে আসা হয় তার কাছে। এরপর দোকান থেকে ফরম পূরণ করে পাসপোর্ট অফিসে বায়োমেট্রিক করার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় চক্রে জড়িত আনসার সদস্যদের কাছে। সেখান পাসপোর্ট তৈরির বাকি দাপ্তরিক কাজগুলো সম্পন্ন করতে সহায়তা করেন ওই আনসার সদস্যরা।  তিন মাসের অনুসন্ধান শেষে রাজধানীর আগারগাঁও, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও বাড্ডায় ধারাবাহিক অভিযান চালায় ডিবির লালবাগ বিভাগের একাধিক টিম। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট সংক্রান্ত ডকুমেন্টস, পাসপোর্ট এবং কম্পিউটারসহ তিনজন রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষ ও ১০ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেন ডিবি সদস্যরা। পরে তাদের দেওয়া তথ্য এবং সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ও রাতে কক্সবাজার, টাঙ্গাইল এবং ঢাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে পাসপোর্ট অফিসের দুই আনসার সদস্যসহ রোহিঙ্গা ও বাঙালি দালাল চক্রের ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের হেফাজত থেকে মোট ১৭টি পাসপোর্ট, ১৩টি এনআইডি, ৫টি কম্পিউটার, ৩টি প্রিন্টার, ২৪টি মোবাইল ফোন এবং পাসপোর্ট তৈরির সংশ্লিষ্ট শত শত দলিলপত্র জব্দ করা হয়। মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শিশু, নারী ও পুরুষদেরকে লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে জন্ম সনদ, এনআইডি ও পাসপোর্ট বানিয়ে দিতো শক্তিশালী এই চক্রটি। এদিকে এই জালিয়াত চক্রের পেছনে আরও কেউ জড়িত আছে কি না সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, পাসপোর্ট জালিয়াতি কিংবা অবৈধভাবে পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কেউ জড়িত আছেন কি না বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। আমার মনে হয় এভাবে হাজার হাজার পাসপোর্ট রোহিঙ্গারা ও দাগী আসামিরা নিয়ে যাচ্ছে। দাগী আসামিদের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক দাগী আসামিও এভাবে পাসপোর্ট করেছে। তাদের নাম-পরিচয় আমরা তদন্তের স্বার্থে জানাচ্ছি না। গ্রেপ্তারদের আদালতে সোপর্দ করে আবেদন করা প্রেক্ষিতে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আরও যারা যারা জড়িত তাদের নাম-পরিচয়ও বেরিয়ে আসবে বলে আশা করি।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:০৬

সেনাবাহিনীতে যোগ দিলে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেবে মিয়ানমার সরকার
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের কথা বলে সেনাবাহিনীতে নিচ্ছে জান্তা সরকার। এ জন্য অনেক গ্রাম এবং ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গা পুরুষদের ধরে আনা হচ্ছে।  শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) থাইল্যান্ড থেকে পরিচালিত দেশটির ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ইরাবতি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। রাখাইনের অধিকারকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, যেসব রোহিঙ্গা পুরুষ সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন তাদের এক বস্তা চাল, নাগরিকত্বের একটি পরিচয়পত্র এবং মাসিক ১ লাখ ১৫ হাজার কিয়াট বেতন দেওয়া হবে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরাকান আর্মির কাছে হারানো শহরগুলো পুনরায় নিজেদের দখলে নিতে রোহিঙ্গা পুরুষদের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হচ্ছে। জান্তার পক্ষে যুদ্ধে যোগদানের জন্য বিভিন্ন ক্যাম্প এবং গ্রাম থেকে ৪০০ রোহিঙ্গাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জান্তা বাহিনী ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী সকলের তালিকা তৈরির জন্য বুচিডং, মংডু এবং সিত্তের গ্রাম প্রশাসক ও নেতাদের চাপ দিয়েছে।এরমধ্যে ছোট গ্রাম থেকে অন্তত ৫০ জন, বড় গ্রাম ও প্রতিটি শরণার্থী ক্যাম্প থেকে অন্তত ১০০ জনের তালিকা দেয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নে সান বলেছেন, প্রশিক্ষণের সময় মাত্র দুই সপ্তাহ। যাদের দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তাদের জান্তা বাহিনী শুধুমাত্র মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি বুধবার পর্যন্ত সিত্তের শরণার্থী ক্যাম্প থেকে ৩০০ জনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তারা এখন প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এর আগে বুচিডং থেকে গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি শতাধিক মুসলিম রোহিঙ্গা পুরুষকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে তাদের সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয়। প্রসঙ্গত, গত ১০ ফেব্রুয়ারি ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী সব নারী-পুরুষের সামরিক বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। 
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:৪৭

রোহিঙ্গাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিতে চায় জান্তা
রাখাইনে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) কাছে পরাস্ত হয়ে ভিন্ন পথে এগুতে চাচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। সেই ছকেই বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চল মিয়ানমারের মংডু অঞ্চলের মুসলিম নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে জান্তা বাহিনীর কমান্ডাররা। বৈঠকের এক পর্যায়ে তাদের প্রস্তাব দেওয়া হয়, যদি তারা জান্তা বাহিনীর হয়ে কাজ করেন; তাহলে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হবে। তবে বেশিরভাগ নেতা এতে দ্বিমত পোষণ করেছেন।  বৈঠকে উপস্থিত এক মুসলিম নেতার বরাত দিয়ে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ নিয়ে এক প্রতিবেদন করে রাখাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নারিনজারা নিউজ।  এতে বলা হয়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি মংডুর ময়ো থু গি গ্রামের ৫নং বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নে বৈঠকটি হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন জান্তার ডিভিশন কমান্ডার থুরেন তুন এবং বিভাগীয় প্রশাসক নায়ো ও। তাদের আয়োজিত এ বৈঠকে স্থানীয় মুসলিমদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।  মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের তিন বছরের মাথায় সম্প্রতি দেশটির জান্তা সরকার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সশস্ত্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জোট থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের যোদ্ধাদের তীব্র আক্রমণে বর্তমানে দিশেহারা জান্তারা। এর পরেই এ বৈঠক করলো তারা। নারিনজারা নিউজকে এক মুসলিম নেতা বলেছেন, বৈঠকে কমান্ডার থারুন তুন আমাদের বলেছেন, রাখাইনের মানুষের (বৌদ্ধ আরাকান আর্মি) কারণে আমরা মুসলিমরা ভুগছি। ফলে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অস্ত্র তুলে নেওয়া উচিত। এমনকি এই কমান্ডার আমাদের নিশ্চয়তা দিয়েছেন, যদি আমাদের গ্রামের কাছে যুদ্ধ শুরু হয় তাহলে সেনারা আমাদের গ্রামে হামলা চালাবে না। তারা শুধুমাত্র রাখাইনের গ্রামে হামলা চালাবে। এজন্য আমরা যেন জান্তার হয়ে কাজ করি। তবে বৈঠকে উপস্থিত মুসলিম নেতাদের একটি অংশ বলেছেন, যদি তাদের সত্যিকার অর্থে মিয়ানমারের নাগরিকের মর্যাদা দেওয়া হয়; তাহলে তারা এই প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখবেন। তবে বেশিরভাগ নেতা এতে রাজি হননি। ওই নেতা নারিনজারাকে আরও বলেছেন, কিছু নেতা আমাদের সত্যিকার নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তবে রাখাইনের মানুষের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন বেশিরভাগ নেতা। তা সত্ত্বেও সেনা কমান্ডার তাদের আহ্বান জানিয়েছেন, বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিতে। এদিকে, স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতীর প্রতিবেদনে জানা যায়, মিয়ানমারের পুরানো রাজধানী শহর ইয়াঙ্গুন ও অন্যতম বড় শহর মান্দালয়সহ জাতিগত বামার সংখ্যাগরিষ্ঠ শহরগুলোতে জাতিগত রোহিঙ্গাবিরোধী পোস্টার, ব্যানার ও লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।  এসব পোস্টার ও লিফলেটের মাধ্যমে জাতিগত রোহিঙ্গাদের বয়কটের আহ্বান জানানো হচ্ছে। রোহিঙ্গা মালিকানাধীন দোকানপাট, হোটেল-রেস্তোঁরায় না যেতে বলা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এইসব শহরে যেসব জাতিগত রোহিঙ্গা বসবাস করেন তাদেরকে তাদের নিজ রাজ্য রাখাইনে ফিরে যেতে বলা হচ্ছে।  
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:৫৫

রোহিঙ্গাদের জন্য পাসপোর্ট তৈরির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
কুমিল্লায় রোহিঙ্গা তরুণকে পাসপোর্ট করতে সহায়তার চেষ্টা করার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ১৪টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি রাজেস বড়ুয়া। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মুরাদনগর উপজেলার ব্রাহ্মণচাপিতলা গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে মো. ফয়সাল মিয়া (২৮), কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আড়াইওরা পশ্চিম পাড়া এলাকার আবুল বাশার মিস্ত্রির ছেলে মো. মোশারফ হোসেন (৪২) ও মুরাদনগর উপজেলার বাখরনগর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম শরিফ (২২)। পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে কাগজ জমা দিয়ে আঙুলের ছাপ ও ছবি তুলতে গেলে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের সন্দেহ হওয়ায় রোহিঙ্গা তরুণ মো. ইয়াছিরকে আটক করা হয়। পরে তাকে ডিবি পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।  কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি রাজেস বড়ুয়া বলেন, রোহিঙ্গা নাগরিক মো. ইয়াছিরের আদালতে দেওয়া জবানবন্দির সূত্র ধরে জেলা ডিবি ও কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৬

রোহিঙ্গাদের জন্য বিদেশি অনুদান কমছে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবন ধারণের জন্য সার্বিক খরচ বেড়ে গেলেও বিদেশি অনুদানের পরিমাণ কমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান। এ অবস্থায় অনুদান বাড়ানোসহ রোহিঙ্গাদের দ্রুত মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেকজান্ড্রা বের্গ ভন লিনডের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান প্রতিমন্ত্রী। মহিববুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যসহ সার্বিক খরচ বাড়লেও বিদেশি অনুদান কমছে। এ পরিস্থিতিতে অনুদান বাড়ানোসহ দ্রুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে ভূমিকা রাখতে সুইডেনের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। মিয়ানমারের যুদ্ধ পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের যুদ্ধ পরিস্থিতি ও তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই। বর্তমানে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে।  
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়