• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
নোয়াখালীতে রোহিঙ্গা তরুণ আটক
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা থেকে এক রোহিঙ্গা তরুণকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।  আটক ফয়েজুল ইসলাম (২২) কক্সবাজার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে।  সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরের দিকে উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ভূঞারহাট বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে কবিরহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়।  পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোহিঙ্গা তরুণ ফয়েজুল কক্সবাজারের উখিয়া থেকে প্রথমে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে আসেন। পরবর্তী সময়ে কবিরহাট উপজেলার ভূঞারহাট বাজারে আসেন। স্থানীয় লোকজন তাকে বাজারে ঘোরাফেরা করতে দেখে সন্দেহ হলে আটক করে। তাৎক্ষণিক সোমবার দুপুরের দিকে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।    কবিরহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী তোবারক হোসেন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আটক তরুণ নিজেকে রোহিঙ্গা শরণার্থী বলে স্বীকার করেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। রোহিঙ্গা তরুণকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।  
১২ মার্চ ২০২৪, ১২:২০

সীমান্তে ফের গোলার শব্দ, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কা
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য পুনরুদ্ধারে আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর তুমুল যুদ্ধ চলছে। হেলিকপ্টার থেকে গোলাবারুদ ছোড়া হচ্ছে। তিনদিন ধরে থেমে থেমে উখিয়া-টেকনাফ সীমান্তের এপারে ভেসে আসছে গোলার বিকট শব্দ। ফলে রোহিঙ্গা অনুপ্রেবেশের আশঙ্কায় সর্তক অবস্থানে রয়েছেন বিজিবি ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা। সোমবার (৪ মার্চ) উখিয়ার থাইংখালি, টেকনাফের নাইটং পাড়া-হ্নীলা ও হোয়াইক্যং সীমান্তের এপারের বাসিন্দারা গোলার শব্দ শুনতে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন। এর আগে গত শনিবার (২ মার্চ) ও রোববার (৩ মার্চ) রাতভর গোলগুলির শব্দ শোনা গেছে বলে জানা গেছে। সোমবার সকালে মর্টারশেল ও হেলিকপ্টার থেকে ছোঁড়া গোলার শব্দ উখিয়া-টেকনাফ সীমান্তের এপারে ভেসে আসে। এ ঘটনায় সীমান্তের এপারের মানুষ চিংড়ি ও কাঁকড়া ঘেরসহ ধানচাষে যেতে ভয় পাচ্ছেন। হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী গণমাধ্যমকে বলেন, গত কয়েকদিনে হ্নীলা সীমান্তের এপারে দফায় দফায় বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পেয়েছি রাখাইনে আরাকান আর্মির হাতে দখলকৃত গ্রাম পুনরুদ্ধার, মংডুর রাচিডং-বুচিডং টাউনশিপ জান্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। তবে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা সর্তক পাহারায় রয়েছেন। হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী গণমাধ্যমকে বলেন, রাখাইনের সংঘাতের কারণে সীমান্তের এপারে  চিংড়ি-কাঁকড়ার ঘের, ধানচাষে যেতে না পেরে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন অনেক মানুষ। এদিকে একটানা তিন দিন ধরে থেমে থেমে হোয়াইক্যং সীমান্তের এপারে বিকট শব্দ ভেসে আসছে। সীমান্তের ওপারে ধোঁয়ার কুন্ডলি দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। উখিয়ার থাইংখালির বাসিন্দারা জানান, শনি-রোববার রাত থেকে থাইংখালি রহমতের বিল সীমান্তের ওপারের বিকট শব্দ এপারে ভেসে আসছে। সোমবার সকাল ১০টার পরে হঠাৎ পর পর বিকট আওয়াজ এপারে ভেসে আসলে স্কুলের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এ সময় যেসব চাষিরা সীমান্তবর্তী ক্ষেতে কাজ করছিলেন তারাও ভয়ে নিরাপদ স্থানে চলে আসেন।  টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতের কারণে সীমান্ত পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। বিজিবি, কোস্টগার্ড ও পুলিশের টহল বাড়ানোর পাশাপাশি সীমান্তে বসবাসরতদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।  
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৫:২০

ভাসানচরে পৌঁছাল আরও ১ হাজার ১৪১ রোহিঙ্গা
কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ২৪তম ধাপে নোয়াখালীর ভাসানচরে গেল ১ হাজার ১৪১ জন রোহিঙ্গা। এর মধ্যে ভাসানচর থেকে বেড়াতে যাওয়া ১১০ জন রয়েছে। শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুর ৩টার দিকে নৌবাহিনীর চারটি জাহাজে তারা চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌঁছান। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে রোহিঙ্গাদের প্রথমে উখিয়া কলেজ মাঠে নিয়ে আসা হয়। এরপর শুক্রবার দুপুরের দিকে তাদের চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। সেখান থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে তারা ভাসানচর পৌঁছান। এ নিয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণকেন্দ্রে রোহিঙ্গা নাগরিকের সংখ্যা ‌দাঁড়াল ৩৬ হাজারে।   বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওসার আলম ভূঁইয়া। তিনি বলেন, নতুন রোহিঙ্গাদের নৌবাহিনীর বানৌজা তিমি, বানৌজা টুনা, বানৌজা ডলফিন, বানৌজা পেঙ্গুইন জাহাজে করে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। এরপর নৌবাহিনীর পন্টুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে গাড়ির মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লাস্টারে বসবাসের জন্য হস্তান্তর করা হয়। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের চার ডিসেম্বর কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হয়েছিল। পরে বিভিন্ন ধাপে ৩৬ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হয়।
০১ মার্চ ২০২৪, ২২:১১

ভাসানচরের পথে আরও ১২৫০ জন রোহিঙ্গা
কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরের পথে রওনা হয়েছে আরও ১ হাজার ২৫০ জন রোহিঙ্গা।  বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন আশ্রয়শিবির থেকে বাসে করে কক্সবাজারের উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠে নেওয়া হয়। ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবাল গণমাধ্যমকে বলেন, স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যাওয়ার জন্য উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয়শিবির থেকে ১ হাজার ২৫০ জন রোহিঙ্গা উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। সেখান থেকে তারা জাহাজে করে ভাসানচরে যাবেন। তাদের মালামালগুলো কাভার্ডভ্যান নেওয়া হয়েছে। এর আগে একই প্রক্রিয়ায় কক্সবাজারের টেকনাফ-উখিয়া আশ্রয়শিবির থেকে ৩২ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে যায়।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৫:২০

বিস্ফোরণে দগ্ধ ৫ রোহিঙ্গা শিশুর কেউই বেঁচে রইল না
নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণের ঘটনায় রুশমিনা নামে ৩ বছর বয়সী আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে বিস্ফোরণে দগ্ধ পাঁচ রোহিঙ্গা শিশুর কেউই আর বেঁচে রইল না। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সবশেষ বেঁচে থাকা শিশুটির মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান। তিনি বলেন, সবশেষ মারা যাওয়ার রোহিঙ্গা শিশু রুশমিনার শ্বাসনালি ও শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। বিস্ফোরণে দগ্ধ মোট ৭ জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এর মধ্যে ৫ জন শিশু ছিল। তাদের সবাই মারা গেছে। এর আগে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮১ নম্বর ক্লাস্টারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ শিশুসহ ৯ জন রোহিঙ্গা দগ্ধ হয়। প্রথমে হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাসেল নামে আড়াই বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হয়। এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোবাশ্বেরা (৪) ও রবি আলম (৫) এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে সোহেল নামে সাড়ে ৫ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছিল।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৩

ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা
নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সিলেন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে রোহিঙ্গা নাগরিক ছৈয়দ নুর বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।  মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে সফি আলম (২৪) নামে এক রোহিঙ্গা নাগরিককে। সে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মো. তৈয়বের ছেলে এবং ৮১নং ক্লাস্টারের বাসিন্দা ছিল।                                                                                                                                                  মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভাসানচর আশ্রয়ন প্রকল্প-৩ এর ৮১নং ক্লাস্টারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা সফি আলম (২৪)। শনিবার ২৪ ফেব্রুয়ারি তার পরিবারে এনজিও থেকে এলপিজি গ্যাস পাওয়ার কথা ছিল। এজন্য ওই দিন সকাল সাড়ে ৮টার সফি আলম তার পরিবারে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডারে কিছু গ্যাস অবশিষ্ট থেকে যাওয়ায়, নতুন গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়ার আশায় রুমের বাহিরে বারান্দায় তাদের ব্যবহৃত সিলিন্ডার থেকে গ্যাস ছেড়ে দেয়। একই সময়ে ক্লাস্টার নং-৮১, পাশের রুম নং-ই/৭-এর আবদুস শুক্কুরের স্ত্রী আমিনা খাতুন এবং অপর পাশে রুম নং-ই/০৫-এর আব্দুল হাকিমের মেয়ে শমসিদা গ্যাসের চুলায় রান্না করছিলেন।  মামলার এজাহারে আরও বলা হয়েছে, সফি আলম ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে গ্যাস ছেড়ে দেওয়ায় গ্যাস বায়ুর সঙ্গে মিশে ক্লাস্টারের বিভিন্ন রুমে ছড়িয়ে পড়ে এবং রান্নার আগুনের সঙ্গে মিশে রুম নং-৩,৫,৬,৭,৮ সহ বারান্দায় ও রুমে আগুন লেগে যায়। ফলে রোহিঙ্গা শিশু রবি আলম (৫), সোহেল (৫), রাসলে (৪), মুবাসিরা (৩) রশমিদা (৩) ও আমনো আক্তার (২৬) জুবায়দা (২৩) বশির উল্লাহ (১৭) সফি আলম (২৪) সহ আরো কয়কেজন অগ্নিদগ্ধ হয়। খবর পেয়ে পুলিশসহ স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।  নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) আসাদুজ্জামান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সফি আলম সাবধান না থেকে অবহেলা ও তাচ্ছিল্য করার কারণে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৮

ভাসানচরে বিস্ফোরণ : আরও এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণের ঘটনায় সোহেল নামে সাড়ে ৫ বছর বয়সী আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চার রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হলো। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।  চমেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, সবশেষ মারা যাওয়া রোহিঙ্গা শিশু সোহেলের শ্বাসনালি ও শরীরের ৫২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এর আগে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮১ নম্বর ক্লাস্টারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ শিশুসহ ৯ জন রোহিঙ্গা দগ্ধ হয়। প্রথমে হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাসেল নামে আড়াই বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হয়। এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোবাশ্বেরা (৪) ও রবি আলম (৫) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৮

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণে মৃত বেড়ে ৩
নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ৩ জনের মৃত্যু হলো।   সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত রবি আলম (৪) ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সফি আলমের ছেলে এবং ৮১নং ক্লাস্টারের ৬নং কক্ষের বাসিন্দা ছিল।   নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।       এর আগে, একই দিনে সকাল ৯টায় মোবাশ্বেরা (৩) নামে আরও এক শিশু মারা যায়। সে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সফি আলমের মেয়ে। বিস্ফোরণে তার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়েছিল। এ ছাড়া চিকিৎসাধীন থাকা জোবায়দার (২২) শরীরের ২৫ শতাংশ, রোসমিনার (৫) ৫০ শতাংশ, আমেনা খাতুনের (২৪) ৮ শতাংশ ও সোহেলের (৫) শরীর ৫২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।  উল্লেখ্য, শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮১ নম্বর ক্লাস্টারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ শিশুসহ ৯ জন দগ্ধ হয়। আহতদের প্রথমে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ৭ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২৪

ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ : আরও ১ শিশুর মৃত্যু
নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুজন।   নিহত মোবাশ্বেরা (৩) ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সফি আলমের মেয়ে। বিস্ফোরণে তার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়েছিল।    সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাকিরা হলেন, জোবায়দা (২২), রশমিদা (৫), রবি আলম (৫), আমেনা খাতুন (২৪) ও সোহেল (৫)। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ৯ জনের মধ্যে ৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে রাসেল (৪) নামে এক শিশুকে গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে মোবাশ্বেরা নামে আরও এক শিশু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। বাকি ৫ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে রোসমিনার ৫০ শতাংশ, রবি আলমের ৪৫ শতাংশ, আমেনা খাতুনের ৮ শতাংশ সোহেলের ৫২ শতাংশ ও জোবায়দার ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়। আহতদের মধ্যে আমেনা খাতুন ছাড়া বাকি সবারই শ্বাসনালী দগ্ধ হয়েছে। তাই তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।  উল্লেখ্য, শনিবার সকালে হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮১ নম্বর ক্লাস্টারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ শিশুসহ ৯ জন দগ্ধ হয়। আহতদের প্রথমে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ৭ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৩

ভাসানচরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আহত এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ওই সময় রোহিঙ্গা নারী, শিশুসহ অগ্নিদগ্ধ হয়েছে ৯ জন।  শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্রগ্রাম নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এর আগে, একই দিন সকাল সোয়া ৮টার দিকে ৮১নং ক্লাস্টারে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।  নিহত মোহাম্মদ রাসেল (৪) ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আজিজুল হকের ছেলে।   আহতরা হচ্ছেন, ওই ক্লাস্টারের সফি আলমের মেয়ে মোবাশ্বেরা (৩), আবদুল হাকিমের ছেলে বশির উল্যাহ (১৫), আবদুর শুক্কুরের মেয়ে রশিদা (৩), আজিজুল হকের মেয়ে জোবায়েদা (১১), আমেনা খাতুন (২৪), মোহাম্মদ তৈয়বের ছেলে সফি (১২), সফি আলমের ছেলে রবিউল (৫), আজিজুল হকের ছেলে সোহেল (৫)।   খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সকালে ক্যাম্পের ৮১ নং ক্লাস্টারের আব্দুর শুকুরের কক্ষের বারান্দায় থাকা গ্যাসের সিলিন্ডার লিকেজ হয়। একপর্যায়ে গ্যাসের সিলিন্ডারটি বিকট শব্দে বিষ্ফোরণ ঘটে। এতে ৫ শিশু সহ ৯ জন আহত হয়। পরে অন্য রোহিঙ্গারা এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করায় কোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে নি। পরে অগ্নিদগ্ধদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।  নোয়াখালীল পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শিশু মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আহত শিশুকে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্রগ্রাম মেডিকেলে নেওয়ার পথে সন্ধ্যার দিকে তার মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে আরও ৬ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে মেডিকেলে ভর্তি করা হচ্ছে।   
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:১০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়