• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভাসানচরে রোহিঙ্গা নাগরিককে গলা কেটে হত্যা
নোয়াখালীর ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মো. সুলতান (৫৫) নামে এক রোহিঙ্গা নাগরিককে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক এ হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি।    বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর দুইটার দিকে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১১৬ নং ক্লাস্টার থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সুলতান ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৭৮ নং ক্লাস্টারের মৃত মো. আব্দুল আলীর ছেলে।   ভাসানচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।  পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুলতান ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৭৮ নং ক্লাস্টারে বসবাস করতেন। ১১৬ নং ক্লাস্টারের খালি জায়গায় তিনি সবজি চাষ করতেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার তার ছেলে ১১৬ নং ক্লাস্টারে বাবাকে সকালের নাশতা দিয়ে যান। এরপর দুপুর সোয়া ১টার দিকে একই স্থানে তার ছেলে বাবার জন্য দুপুরের ভাত নিয়ে যান। ভাত নিয়ে গিয়ে বাবাকে দেখতে না পেয়ে তখন ছেলে তার বাবাকে ১১৬ নং ক্লাস্টারে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে সে তার বাবার গলা কাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিলে অন্য ক্লাস্টারের লোকজন এগিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।   এসআই নুর হোসেন আরও বলেন, পিছনের দিক থেকে গলা কেটে তাকে হত্যা করা হয়। শুক্রবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। পুলিশ হত্যার রহস্য উৎঘাটনে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫৩

৫ মাসের শিশু চুরির ৫ দিন পর উদ্ধার, ২ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার
কক্সবাজার উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চুরির ৫ দিন পরে ৫ মাসের শিশু কন্যাকে উদ্ধার করেছে টেকনাফ মডেল থানার আওতাধীন বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। এ সময় দুই রোহিঙ্গা নারী সদস্যকেও গ্রেপ্তার করেছে বলেও জানা যায়। উদ্ধার শিশু সুমাইয়া জান্নাত (৫ মাস), উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-এফ ব্লকের রহিম উল্লাহ ও দিলদার বেগমের মেয়ে। সোমবার (৮ এপ্রিল) রাত ১১ টার দিকে উখিয়া থানার সাধারণ ডায়েরির (জিডি) ভিত্তিতে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মশিউর রহমানের নির্দেশে এ এস আই শেখ মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে পুলিশ শামলাপুর নামার বাজার নামক স্থান থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুতুপালং ক্যাম্পের এফ ব্লকের ইলিয়াস প্রকাশ হাবুর মেয়ে মনোয়ারা প্রকাশ মনু (১৮), ইউসুফ জালালের মেয়ে পারভীন আক্তার (২২)। এ তথ্য নিশ্চিত করে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মশিউর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৮ টার দিকে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রহিম উল্লাহ ও দিলদার বেগম দম্পতির বাসা থেকে চুরি করে মনোয়ারা।  মা দিলদার বেগম জানান, ৭ বছর বয়সের মেয়ের কোলে দিয়ে অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। মনোয়ারা কৌশলে অবুঝ বোনকে দোকানে পাঠিয়ে পাঁচ মাসের সুমাইয়া জান্নাতকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন শিশুর পিতা রহিম উল্লাহ বাদী হয়ে উখিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেন। চুরি হওয়া শিশুকে পরিবারের নিকট বুঝিয়ে দিয়ে গ্রেপ্তার দুই মহিলাকে উখিয়া থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয় বলে জানিয়েছেন ইনচার্জ মছিউর রহমান।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০৫

জাতিসংঘে ফের রোহিঙ্গা সংকট উত্থাপন বাংলাদেশের
বাংলাদেশে অবস্থান করা রোহিঙ্গাদের বিষয়টি ফের জাতিসংঘে উত্থাপন করেছে বাংলাদেশ। নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদ আয়োজিত এক উন্মুক্ত বৈঠকে এ বিষয়টি জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর, বিশেষ করে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের ওপর এর প্রভাব নিয়ে উন্মুক্ত বৈঠকটি হয়। মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, রাখাইনে সাম্প্রতিককালে উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াও ব্যাহত হচ্ছে। এসময় তিনি প্রত্যাবাসন ইস্যুতে প্রকৃত রাজনৈতিক ইচ্ছা প্রদর্শন ও ২০১৭ ও ২০১৮ সালে স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক প্রত্যাবর্তন চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে আঞ্চলিক সংস্থাসমূহ এবং আঞ্চলিক ও প্রতিবেশী দেশগুলোকে রাখাইনে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করা এবং ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তনকারীদের সফলভাবে পুনর্বাসনে সহায়তা করার জন্য অর্থপূর্ণ এবং কার্যকর ভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার অনুরোধ জানান।  স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, রাখাইনে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্যে রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণগুলো মোকাবিলা করা জরুরি যা মূলত মিয়ানমারের বিদ্যমান বৈষম্যমূলক আইনি ও রাজনৈতিক কাঠামোর মধ্যে অন্তর্নিহিত। যা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন ২৬৬৯ উল্লেখ করা হয়েছে। এই অন্তর্নিহিত সমস্যাসমূহের সমাধান করা না গেলে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক প্রচেষ্টাসমূহের সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। রেজ্যুলেশন বাস্তবায়নের বিষয়ে নিয়মিত রিপোর্টিং, রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং রাখাইনে সংকট সমাধানে বিভিন্ন সময়ে গৃহীত চুক্তি ও সুপারিশ বাস্তবায়নের বিষয়ে জোর দেন মুহিত। মিয়ানমারের অন্য সকল জাতিগোষ্ঠীর মত রোহিঙ্গারাও যেন সমাজে সমান মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন সে লক্ষ্যে উপযুক্ত এবং টেকসই পরিবেশ তৈরিতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের যথাযথ ভূমিকার ওপর জোর দেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী উপস্থিতির কারণে বাংলাদেশ যে নেতিবাচক সামাজিক, অর্থনৈতিক, পরিবেশগত এবং নিরাপত্তা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। রাখাইন পরিস্থিতির প্রতি নিয়মিত দৃষ্টি রাখা এবং রোহিঙ্গা সংকটের একটি পূর্ণাঙ্গ ও টেকসই সমাধানে দ্রুত ও অর্থপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নিরাপত্তা পরিষদকে আহ্বান জানান। রাখাইন রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদকে অবহিত করেন জাতিসংঘের রাজনৈতিক এবং শান্তি বিনির্মাণ বিষয়ক সহকারী মহাসচিব খালিদ খিয়ারি এবং মানবিক সহায়তা সমন্বয় অফিসের পরিচালক লিসা ডাউটন। নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ ছাড়াও সভায় মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। সভায় বক্তব্য প্রদানকারী অন্যান্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিবৃন্দ মিয়ানমারে সম্প্রতি সংঘাত ও সহিংসতা বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে রাখাইন সংঘাতের মূল কারণগুলো মোকাবিলায় সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এবং সকল বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা এবং অভ্যন্তরীণ ভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের নিরাপদ, টেকসই এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। দেশে দশ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এতে যে মানবিক নেতৃত্বের নিদর্শন রেখে যাচ্ছে বাংলাদেশ, বক্তারা তার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা নিরাপদে নিজ গৃহে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য সকলকে আহ্বান জানান।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৫

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন সুইডেনের রাজকুমারী
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও খুরুশকুলে বিশ্বের বৃহত্তম আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত ও সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া। বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে হেলিকপ্টারযোগে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেলিপ্যাডে পৌঁছান তিনি। সেখানে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান ও জাতিসংঘের কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রথমে তিনি যান ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম ও ইউএনএইচসিআরের নিবন্ধন ও খাবার বিতরণের ই-ভাউচার আউটলেটে। সেখানকার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে ক্যাম্প-৪ এ ইউএন ওমেন এবং ইউএনএফপিএ পরিচালিত মাল্টি পারপাস ওমেনস সেন্টার পরিদর্শনকালে রোহিঙ্গা নারীদের সঙ্গে কথা বলেন রাজকুমারী। এরপর ক্যাম্প-৫ এ জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর পরিচালিত দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে একটি বেকারি শপ ও পাটজাত পণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন এবং সেখানে কর্মরত নারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সুইডেন প্রিন্সেস। পরে তিনি ১৮ নম্বর ক্যাম্পে রোহিঙ্গা কালচারাল মেমোরি সেন্টার দেখতে যান। রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে বিকেলে সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুলে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য নির্মিত বিশ্বের বৃহত্তম আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়ার সফরসঙ্গী হিসেবে আছেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব উলরিকা মোদের এবং সুইডেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী ইয়োহান ফরসেল। প্রসঙ্গত, সোমবার (১৮ মার্চ) পাঁচ দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া। ঢাকায় সুইডেন দূতাবাস ও ইউএনডিপির তথ্যমতে, ২০২৩ সালে ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়ার এটি প্রথম বাংলাদেশ সফর। এর আগে ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন তিনি।
২০ মার্চ ২০২৪, ২২:২৪

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সুইডেনের রাজকন্যা
বাংলাদেশ সফররত ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত ও সুইডেনের রাজকুমারী ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন। বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে তিনি উখিয়ার ক্যাম্পে পৌঁছান।  প্রথমে যান ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনের ইউএনএইচসিআরের নিবন্ধন ও খাদ্য বিতরণের ই-ভাউচার সেন্টারে। সেখানকার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে ক্যাম্প-৪ এ ইউএন ওমেন এবং ইউএনএফপিএ পরিচালিত মাল্টিপারপাস ওমেন্স সেন্টার পরিদর্শনকালে রোহিঙ্গা নারীদের সঙ্গে কথা বলেন রাজকুমারী ভিক্টোরিয়া। এর আগে নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে হেলিকপ্টারে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছালে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান, এপিবিএন (এফডিএমএন) ডিআইজি মো. আব্দুল্লাহিল বাকী, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন, পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম তাকে স্বাগত জানান। এ দিকে দুপুরে ক্যাম্প-৫-এর ইউএনএইচসিআর পরিচালিত দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন, একটি বেকারি শপ ও পাটজাত পণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এবং সেখানে কর্মরত নারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তারপর ক্যাম্প-১০ এর ইউএনডিপি পরিচালিত ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন ন্যাচার বেইজড সলিউশন সাইট স্লোপ স্টাবিলাইজেশন ফর ল্যান্ডসাইড রিস্ক মিটিগেইশন, ক্যাম্প-১৮ এর আইওএম পরিচালিত রোহিঙ্গা কালচারাল মেমোরি সেন্টার পরিদর্শন করেন। আর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে বিকেলে কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুলে নির্মিত দেশের সর্ববৃহৎ আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে সুইডেন রাজকুমারী ভিক্টোরিয়ার।
২০ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩৮

নোয়াখালীতে রোহিঙ্গা তরুণ আটক
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা থেকে এক রোহিঙ্গা তরুণকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।  আটক ফয়েজুল ইসলাম (২২) কক্সবাজার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে।  সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরের দিকে উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ভূঞারহাট বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে কবিরহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়।  পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোহিঙ্গা তরুণ ফয়েজুল কক্সবাজারের উখিয়া থেকে প্রথমে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে আসেন। পরবর্তী সময়ে কবিরহাট উপজেলার ভূঞারহাট বাজারে আসেন। স্থানীয় লোকজন তাকে বাজারে ঘোরাফেরা করতে দেখে সন্দেহ হলে আটক করে। তাৎক্ষণিক সোমবার দুপুরের দিকে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।    কবিরহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী তোবারক হোসেন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আটক তরুণ নিজেকে রোহিঙ্গা শরণার্থী বলে স্বীকার করেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। রোহিঙ্গা তরুণকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।  
১২ মার্চ ২০২৪, ১২:২০

সীমান্তে ফের গোলার শব্দ, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কা
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য পুনরুদ্ধারে আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর তুমুল যুদ্ধ চলছে। হেলিকপ্টার থেকে গোলাবারুদ ছোড়া হচ্ছে। তিনদিন ধরে থেমে থেমে উখিয়া-টেকনাফ সীমান্তের এপারে ভেসে আসছে গোলার বিকট শব্দ। ফলে রোহিঙ্গা অনুপ্রেবেশের আশঙ্কায় সর্তক অবস্থানে রয়েছেন বিজিবি ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা। সোমবার (৪ মার্চ) উখিয়ার থাইংখালি, টেকনাফের নাইটং পাড়া-হ্নীলা ও হোয়াইক্যং সীমান্তের এপারের বাসিন্দারা গোলার শব্দ শুনতে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন। এর আগে গত শনিবার (২ মার্চ) ও রোববার (৩ মার্চ) রাতভর গোলগুলির শব্দ শোনা গেছে বলে জানা গেছে। সোমবার সকালে মর্টারশেল ও হেলিকপ্টার থেকে ছোঁড়া গোলার শব্দ উখিয়া-টেকনাফ সীমান্তের এপারে ভেসে আসে। এ ঘটনায় সীমান্তের এপারের মানুষ চিংড়ি ও কাঁকড়া ঘেরসহ ধানচাষে যেতে ভয় পাচ্ছেন। হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী গণমাধ্যমকে বলেন, গত কয়েকদিনে হ্নীলা সীমান্তের এপারে দফায় দফায় বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পেয়েছি রাখাইনে আরাকান আর্মির হাতে দখলকৃত গ্রাম পুনরুদ্ধার, মংডুর রাচিডং-বুচিডং টাউনশিপ জান্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। তবে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা সর্তক পাহারায় রয়েছেন। হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী গণমাধ্যমকে বলেন, রাখাইনের সংঘাতের কারণে সীমান্তের এপারে  চিংড়ি-কাঁকড়ার ঘের, ধানচাষে যেতে না পেরে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন অনেক মানুষ। এদিকে একটানা তিন দিন ধরে থেমে থেমে হোয়াইক্যং সীমান্তের এপারে বিকট শব্দ ভেসে আসছে। সীমান্তের ওপারে ধোঁয়ার কুন্ডলি দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। উখিয়ার থাইংখালির বাসিন্দারা জানান, শনি-রোববার রাত থেকে থাইংখালি রহমতের বিল সীমান্তের ওপারের বিকট শব্দ এপারে ভেসে আসছে। সোমবার সকাল ১০টার পরে হঠাৎ পর পর বিকট আওয়াজ এপারে ভেসে আসলে স্কুলের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এ সময় যেসব চাষিরা সীমান্তবর্তী ক্ষেতে কাজ করছিলেন তারাও ভয়ে নিরাপদ স্থানে চলে আসেন।  টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতের কারণে সীমান্ত পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। বিজিবি, কোস্টগার্ড ও পুলিশের টহল বাড়ানোর পাশাপাশি সীমান্তে বসবাসরতদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।  
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৫:২০

ভাসানচরে পৌঁছাল আরও ১ হাজার ১৪১ রোহিঙ্গা
কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ২৪তম ধাপে নোয়াখালীর ভাসানচরে গেল ১ হাজার ১৪১ জন রোহিঙ্গা। এর মধ্যে ভাসানচর থেকে বেড়াতে যাওয়া ১১০ জন রয়েছে। শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুর ৩টার দিকে নৌবাহিনীর চারটি জাহাজে তারা চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌঁছান। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে রোহিঙ্গাদের প্রথমে উখিয়া কলেজ মাঠে নিয়ে আসা হয়। এরপর শুক্রবার দুপুরের দিকে তাদের চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। সেখান থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে তারা ভাসানচর পৌঁছান। এ নিয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণকেন্দ্রে রোহিঙ্গা নাগরিকের সংখ্যা ‌দাঁড়াল ৩৬ হাজারে।   বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওসার আলম ভূঁইয়া। তিনি বলেন, নতুন রোহিঙ্গাদের নৌবাহিনীর বানৌজা তিমি, বানৌজা টুনা, বানৌজা ডলফিন, বানৌজা পেঙ্গুইন জাহাজে করে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। এরপর নৌবাহিনীর পন্টুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে গাড়ির মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লাস্টারে বসবাসের জন্য হস্তান্তর করা হয়। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের চার ডিসেম্বর কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হয়েছিল। পরে বিভিন্ন ধাপে ৩৬ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হয়।
০১ মার্চ ২০২৪, ২২:১১

ভাসানচরের পথে আরও ১২৫০ জন রোহিঙ্গা
কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরের পথে রওনা হয়েছে আরও ১ হাজার ২৫০ জন রোহিঙ্গা।  বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন আশ্রয়শিবির থেকে বাসে করে কক্সবাজারের উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠে নেওয়া হয়। ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবাল গণমাধ্যমকে বলেন, স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যাওয়ার জন্য উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয়শিবির থেকে ১ হাজার ২৫০ জন রোহিঙ্গা উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। সেখান থেকে তারা জাহাজে করে ভাসানচরে যাবেন। তাদের মালামালগুলো কাভার্ডভ্যান নেওয়া হয়েছে। এর আগে একই প্রক্রিয়ায় কক্সবাজারের টেকনাফ-উখিয়া আশ্রয়শিবির থেকে ৩২ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে যায়।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৫:২০

বিস্ফোরণে দগ্ধ ৫ রোহিঙ্গা শিশুর কেউই বেঁচে রইল না
নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণের ঘটনায় রুশমিনা নামে ৩ বছর বয়সী আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে বিস্ফোরণে দগ্ধ পাঁচ রোহিঙ্গা শিশুর কেউই আর বেঁচে রইল না। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সবশেষ বেঁচে থাকা শিশুটির মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান। তিনি বলেন, সবশেষ মারা যাওয়ার রোহিঙ্গা শিশু রুশমিনার শ্বাসনালি ও শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। বিস্ফোরণে দগ্ধ মোট ৭ জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এর মধ্যে ৫ জন শিশু ছিল। তাদের সবাই মারা গেছে। এর আগে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮১ নম্বর ক্লাস্টারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ শিশুসহ ৯ জন রোহিঙ্গা দগ্ধ হয়। প্রথমে হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাসেল নামে আড়াই বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হয়। এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোবাশ্বেরা (৪) ও রবি আলম (৫) এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে সোহেল নামে সাড়ে ৫ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছিল।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়