• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পদ্মায় রেল ও ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার, স্কুলছাত্র নিখোঁজ
মুন্সীগঞ্জে পদ্মায় গোসল করতে নেমে নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে রিয়াদ আহমেদ রাজু ও মো. জুয়েলের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন স্কুলছাত্র রামিন আরিদ। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ফায়ার তাদের মরদেহ উদ্ধার করে সার্ভিসের সদস্যরা। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দিঘিরপাড় পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ আনসার উজ্জামান। তিনি জানান, মো. জুয়েল (৪০) ও রিয়াদ আহমেদ রাজু (৪৫) নামে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মো. জুয়েল ঢাকা ব্যাংকের কর্মকর্তা ও রাজু বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি আরও জানান, এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ওই রেলওয়ের কর্মকর্তার ছেলে রিয়াদ রামিন আরিদ (২০)। তাকে উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল। এর আগে শুক্রবার বিকেলে ট্রলারে করে ঢাকা থেকে আসা ৩০-৩৫ জন মিলে দিঘিরপাড় ইউনিয়নের ধানকোড়া এলাকায় পদ্মার শাখা নদীতে ঘুরতে বের হন। পরে বেশ কয়েকজন ট্রলার থেকে গোসল করতে নামেন। এ সময় রামিন নদীর স্রোতে ভেসে যেতে থাকলে তার বাবা রিয়াদ আহমেদ রাজু ও খালু মো. জুয়েল উদ্ধার করতে গিয়ে তারাও স্রোতে ভেসে নিখোঁজ হন।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪২

‘ঈদে রেল যাত্রীরা নিরাপদে বাড়ি ফিরেছেন’
এবার ঈদ যাত্রায় মানুষ নিরাপদে বাড়ি ফিরেছেন বলে দাবি করেছেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছার কারণে ঈদে যাত্রীরা ট্রেনে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন। ঈদে যেমন তারা নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরেছেন। ঠিক ঈদ শেষেও তারা একইভাবে কর্মস্থলে ফিরতে পারবেন বলে আশা পোষণ করেন রেলমন্ত্রী। বুধবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে রাজবাড়ীর পাংশায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ এসব কথা বলেন তিনি। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সবার চেষ্টায় এই পথ এবার নিরাপদ হয়েছে বলে দাবি করে রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, আমরা যাত্রীদের ফিরতি টিকিট দিয়েছি। যাতে তারা আসার মত যাওয়ার সময়ও নিরাপদ বোধ করেন। এ সময় মন্ত্রী রেলের যাত্রী ও দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০২

৫ হাজার টাকার বাতি ২৭ হাজারে কিনেছে রেল
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে যন্ত্রাংশ ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করে ভয়াবহ দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বাজারে যে বাতির দাম সর্বোচ্চ ৫ হাজার, সেটাই ২৭ হাজার টাকায় কিনেছে রেলওয়ে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে এমন তথ্য পায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম।  অভিযান সূত্রে জানা যায়, দুদক টিম ট্রাক সাপ্লাই কর্মকর্তা কার্যালয় থেকে লিফটিং জ্যাক, ড্রিলিং মেশিন এবং কাটিং জ্যাক ক্রয়-সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে। তাতে দেখা যায়, এই পণ্যগুলোর প্রাক্কলিত দর ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সেখানে এই পণ্যগুলো ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার অধিক ব্যয়ে কেনা হয়। মূলত ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশ করে একই ঠিকানায় নিবন্ধিত দুটি প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে তাদের মধ্যে একটিকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এই অনিয়ম প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়। এ ছাড়া বাজারমূল্য নির্ধারণ কমিটি কিসের ওপর ভিত্তি করে ওই সব পণ্যের বাজারমূল্য নির্ধারণ করেছে, সেসব সংক্রান্ত কোনো ডকুমেন্টস পায়নি দুদক। বৈদ্যুতিক প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে দুদক টিম ৯০টি এলইডি লাইট এবং এলইডি ল্যাম্প কেনার তথ্য সংগ্রহ করে। সেগুলোর ক্রয়সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করার জন্য সিওএসএর দপ্তরে যায়। সেখান থেকে ডকুমেন্ট সংগ্রহ পর্যালোচনা করে দুদক টিম দেখে, প্রতিটি এলইডি লাইট ২৭ হাজার ৭০০ টাকায় কেনা হয়েছে। একই টিম পরে পাহাড়তলীতে রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ও জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে অভিযান চালায়। সেখানে তারা অভিযোগ সংশ্লিষ্ট আর-অ্যান্ডআইয়ের মেরামত করা কক্ষ পরিদর্শন করে। ওয়াকিটকি ক্রয়-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনায় প্রাথমিকভাবে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়। অভিযানে ভয়াবহ দুর্নীতির প্রমাণের বিষয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক এনামুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, রেলে লিফটিং জ্যাক, ড্রিলিং মেশিন এবং এবং কাটিং জ্যাক ক্রয়-সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে দেখা যায়, এই পণ্যগুলোর প্রাক্কলিত দর ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সেখানে এই পণ্যগুলো ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার অধিক ব্যয়ে কেনা হয়; যা পিপিপি এবং পিপিআরের সুস্পষ্ট লংঘন। এছাড়া আরও কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালানো হয়, যেগুলোর প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। আমরা এগুলো ভালো করে পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।
২৯ মার্চ ২০২৪, ২৩:১৬

বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর পৌনে ৪ কিলোমিটার দৃশ্যমান
প্রমত্তা যমুনার বুকে দেশের অন্যতম মেগা প্রকল্প দীর্ঘতম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণের কাজ ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এরমধ্যে টাঙ্গাইল অংশে ৯২ শতাংশ ও সিরাজগঞ্জ অংশে ৮০ শতাংশের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। ফলে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর ৩ দশমিক ৭ কিলোমিটার এখন দৃশ্যমান। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এ মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।  সেতুটি চালু হলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। অভ্যন্তরীণ রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি ট্রান্সএশিয়ান রেলপথে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন করবে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতি বেগবান হবে। যমুনার ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে দেশের দীর্ঘতম ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। ডুয়েলগেজের এ সেতুতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো যাবে। তবে শুরুতে (উদ্বোধনের ১ বছর) সেতুর ওপর দিয়ে দুইটি ব্রডগেজ ও মিটারগেজ ট্রেন ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করতে পারবে। প্রায় ৭ হাজার দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী ও শ্রমিকের দিনরাত পরিশ্রমে দ্রুত এগিয়ে চলেছে রেল সেতুর নির্মাণকাজ।  টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ অংশে দুইটি প্যাকেজের আওতায় ৫০টি পিলার ও ৪৯টি স্প্যানের সমন্বয়ে এ রেল সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৪৯টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা ৩৭টি স্টিলের স্প্যান পিলারের ওপর বসানো হয়েছে। বাকি ১৬টি স্প্যান বসানোর কাজ চলছে। রেল সেতুতে ব্রডগেজ ও মিটারগেজ দুই ধরনের ট্রেনই সেতুর সঙ্গে রেল সংযোগ তৈরি করতে দুই প্রান্তে ভায়া ডাক ও ৩০ কিলোমিটার ডাবল লাইনের রেলপথের কাজও দ্রুতগতিতে চলছে। সেতুর স্প্যানে স্লিপারবিহীন রেললাইন বসানো হচ্ছে। দেশের রেললাইনে জাপানি এ প্রযুক্তির ব্যবহার এটাই প্রথম। এ প্রযুক্তিতে স্টিল স্ট্রাকচারের গার্ডারের সঙ্গে রেললাইনের সংযোগ প্রযুক্তিতে কোনো স্লিপার থাকবে না। সরেজমিনে দেখা যায়, যমুনার বুকে ভারি ভারি যন্ত্র বসিয়ে সারিবদ্ধভাবে নদীতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ৪৯টি পিলার। উত্তাল যমুনার ওপর দেশের এ মেগা প্রকল্পকে ঘিরে নদীর টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জের দুই প্রান্তে দিন-রাত দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী ও নির্মাণ শ্রমিকরা বিরতহীনভাবে কাজ করছেন। কেউ পাইলিং করছেন, কেউ স্প্যানের কাজ করছেন। আবার কাউকে ঢালাইয়ের কাজ করতে দেখা গেছে। বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর ৫০টি পিলারের মধ্যে ৪৯টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে এবং মাত্র একটি পিলার বসানো বাকি রয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে স্টিলের অবকাঠামোর সেতুটি চালু করা হবে। মেগা প্রকল্পের এ সেতুর অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল হবে ১০০ বছর। বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, দেশের সবচেয়ে বড় এ রেলসেতুতে মোট পিলার (খুঁটি) রয়েছে ৫০টি। ক্রেনের সাহায্যে হ্যামার দিয়ে বসানো হচ্ছে পাইলিং পাইপ। রেলসেতুতে কংক্রিটের পিলার বসানো হচ্ছে। ওপরের সুপার স্ট্রাকচার হচ্ছে স্টিলের। অপরদিকে, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) নিবিড় পরিবীক্ষণ প্রতিবেদনে প্রকল্প বাস্তবায়নে নির্মাণকালীন কিছু ঝুঁকির কথা বলা হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনুমোদিত ইএমপি অনুযায়ী সড়কের ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রকল্প এলাকার জনগণ ও সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পরিবেশগত ঝুঁকিতে রয়েছে। আইএমএডি প্রতিবেদনে প্রকল্পের কিছু দুর্বল দিকও প্রকাশ করা হয়েছে। এরমধ্যে রেলওয়ে সড়কবাঁধ নির্মাণে যথাযথ এবং অনুমোদিত পদ্ধতি অনুসরণ না করা, প্রকল্পের কার্যক্রম সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত না করা, চুক্তি মোতাবেক প্যাকেজ ডব্লিউডি-২-এর ল্যাবরেটরিতে মেশিনারি ও জনবল মোবালাইজ না করা, প্রকল্পের ম্যানেজমেন্ট সাপোর্ট কনসালট্যান্ট নিয়োগ না করা, অনুমোদিত ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক পালস (ইএমপি) অনুযায়ী নির্মাণকালীন সড়কের ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়নি ও প্যাকেজে ডব্লিউডি২ সম্পূর্ণ ল্যাবরেটরি টেস্টিং ইক্যুইপমেন্ট শ্রেণি বিন্যাস করা হয়নি ইত্যাদি। এক্সিট প্ল্যান হিসেবে প্রকল্প বাস্তবায়নের পরে প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার প্যাকেজ ভিত্তিক এক বছর সেতু রক্ষণাবেক্ষণ করবে। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছে প্রকল্পের আওতায় নির্মিত সেতু ও যাবতীয় ভৌত অবকাঠামো হস্তান্তর করার কথা রয়েছে। নিয়মিত ও প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের দক্ষ জনবল, যন্ত্রপাতি ও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করে এই সেতু এবং ভৌত অবকাঠামোর ডিজাইন লাইফ ১০০ বছর সচল রাখার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানবিরুল ইসলাম জানান, সেতুর পিলারগুলোর ফাউন্ডেশন জাপানি এসপিএসপি ফাউন্ডেশন পদ্ধতিতে দেওয়া হয়েছে। আগামি মে মাসের মধ্যে পুরো স্প্যান বসানো সম্ভব হবে। এ সেতুর ফলে রেলের মাধ্যমে প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে পণ্য পরিবহনে নিজেদের সক্ষমতা তৈরি হচ্ছে। সেতুটি চালু হলে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগে যেমন গতি বাড়বে, তেমনি প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে রেলে পণ্য পরিবহনে সক্ষমতা তৈরি হবে। তিনি আরও জানান, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৩৮টি রেল চলাচল করতে পারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু চালু হলে প্রতিদিন ৬৮টি রেল চলাচল করতে পারবে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক রুট হিসেবে ভারতের সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে নীলফামারীর চিলাহাটি এবং চিলাহাটি বর্ডারের মধ্যে ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজও চলছে। ভারতের ফুলবাড়ী অংশে শিলিগুড়ি পর্যন্ত সেখানকার রেল বিভাগ রেলপথ নির্মাণ করছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জিএম অসীম কুমার তালুকদার জানান, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচলের গতি সর্বোচ্চ ২০ কিলোমিটার। এ ছাড়া সেতুর ওপর দিয়ে একই সময়ে একটির বেশি ট্রেন চলাচল করতে পারেনা। নতুন রেলসেতু চালু হলে একদিকে যেমন ট্রেনে গতি ফিরবে তেমনি যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। সংশ্লিষ্টরা জানান, সেতু থেকে রাজশাহী স্টেশন পর্যন্ত রেললাইন সংস্কার ও ডাবল লাইন না করা গেলে এই রেলসেতু পুরোপুরি কাজে আসবে না। তা ছাড়া ট্রেনে লাগেজ বগিও যুক্ত করতে হবে। স্টেশনগুলোতে পণ্য পরিবহনে বিশেষ করে কাঁচামাল পরিবহনের উপযোগী অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। রাজশাহীতে উৎপাদিত আম, সবজি ও মাছের মতো কাঁচামালের ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। একইভাবে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আমদানি করা শিল্প কলকারখানার জন্য কাঁচামাল রেলযোগে সরাসরি উত্তরবঙ্গে আনার সুব্যবস্থাও করতে হবে। তবেই এই রেলসেতুর পুরোপুরি সুফল আসবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ট্রেন চলাচলের উপযোগী হবে। ইতোমধ্যে মোট প্রকল্পের ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে টাঙ্গাইল অংশে ৯২ শতাংশ ও সিরাজগঞ্জ অংশে ৮০ শতাংশ রয়েছে। এটি রেলের জন্য যুগান্তকারী একটি প্রকল্প। সেতুর ওপর দিয়ে ১২০ কিলোমিটার বেগে একত্রে চলচল করতে পারবে দুটি ট্রেন। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে। উল্লেখ্য, অভ্যন্তরীণ, ক্রস বর্ডার এবং ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে ট্রাফিকের বর্ধিত চাহিদা বিবেচনায় রেখে নির্বিঘ্নে নিরবচ্ছিন্ন রেল চলাচল নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিদ্যমান সড়ক সেতুর ৩০০ মিটার উজানে যমুনা নদীর ওপর আরেকটি ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাক সম্পন্ন ৪ দশমিক ৮০ কিমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু ও প্রায় ৭ দশমিক ৬ কিলোমিটার ডাবল লাইন সমন্বিত রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ অ্যামবাঞ্চমেন্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে রেলসেতুটি নির্মাণ করার কথা থাকলেও প্রথম সংশোধনীর পর সেতু প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে দেশীয় অর্থায়ন থাকছে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ বা চার হাজার ৬৩১ কোটি টাকা এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিচ্ছে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা। যা পুরো প্রকল্পের ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ।
২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৫২

ঈশ্বরদী রেল ক্রসিংয়ে মালবাহী দুই ট্রেনের সংঘর্ষ
পাবনার ঈশ্বরদী রেল ক্রসিং পারাপারের সময় মালবাহী দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বন্ধ হয়ে গেছেঢাকা-খুলনা রেল যোগাযোগ । মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত পৌনে ১২টার দিকে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন এলাকায় ঘটে এ দুর্ঘটনা। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শাহ সূফী নূর মোহাম্মদ। তিনি বলেন,পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে ৪-৫ ঘণ্টা সময় লাগব বলেও জানান তিনি। তিনি আরও জানান, আপাতত খুলনা থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে অন্যান্য রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে। এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঈশ্বরদীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুদীপ কুমার দাস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) টি এম রাহসান কবীর ও ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম । জানা যায়, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে ঈশ্বরদী রেল ইয়ার্ড থেকে মালবাহী ট্রেনের শানটিং চলছিল। ইতোমধ্যে ঈশ্বরদী রেলইয়ার্ড থেকে অপর আরেকটি তেলবাহী ট্রেন (ফাঁকা) পশান অর্ডার মনে করে ভুলবশত (লাইন ক্লিয়ার পেয়েছে মনে করে) খুলনা অভিমুখে যাত্রা করে। এতে মালবাহী দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে মালবাহী ট্রেনের একটি ওয়াগনের চার চাকা তেলবাহী ট্রেনের লোকোমোটিভ ইঞ্জিনের ছয় চাকা লাইনচ্যুত হয়। পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, একটি তেলবাহী ট্রেন পার্বতীপুরে তেল নামিয়ে দিয়ে খুলনার দিকে যাবার পথে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে এসে দাঁড়ায়। ঘটনার সময় পাথর বোঝাই একটি মালবাহী ট্রেন ভারত থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে একই স্টেশনে দাঁড়ায়। এ সময় পাথর বোঝাই ট্রেনটি শানটিং করার সময় (বগি এক লাইন থেকে আরেক লাইনে নেওয়ার সময়) তেলবাহী ট্রেনের সাথে ধাক্কা লাগে। তখন তেলবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন ও মালবাহী ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। ঘটনার পরপরই উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন বগি উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে। ভোর পাঁচটা নাগাদ উদ্ধার কাজ শেষ হয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে বলে জানান তিনি। যানজট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।
২৭ মার্চ ২০২৪, ০৮:২৯

১৪ ঘণ্টা পর ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল চলাচল স্বাভাবিক
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ৯ বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ১৪ ঘণ্টার পর চট্টগ্রামের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। তবে, এখন পর্যন্ত লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধার সম্ভব হয়নি।  সোমবার (১৮ মার্চ) ভোররাত ৪টার দিকে ট্রেন চলাচলের জন্য ডাউন লাইনকে উপযুক্ত ঘোষণা করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (চট্টগ্রাম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।  তিনি জানান, বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার পর আপ লাইন একেবারেই চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গেছে। বগিগুলোর বেশিরভাগ ডাউন লাইনে ছিটকে পড়েছে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে দুটি রিলিফ ট্রেন উদ্ধার কাজ শুরু করে। রাত ৪টা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টা চেষ্টার পর ডাউন লাইনের ওপর পড়া বগিগুলো টেনে লাইন থেকে সরানো হয়েছে। এখন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক। ইতোমধ্যেই চট্টগ্রামে আটকে থাকা সব ট্রেন ছেড়েছে। প্রথমে কক্সবাজার এক্সপ্রেস দিয়ে শুরু করে এক এক করে সব ট্রেন পাসিং দেওয়া হবে।  বিজয় এক্সপ্রেস খুব বাজেভাবে লাইনচ্যুত হয়েছে জানিয়ে এ রেল কর্মকর্তা বলেন, উদ্ধার কাজ শেষ হতে দুয়েকদিন সময় লাগতে পারে। তবে আপাতত ডাউন লাইন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার উপযোগী করা হয়েছে। দুই লাইনের ট্রেনই ডাউন লাইন দিয়ে চলাচল করবে। আপ লাইন একেবারেই চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেছে। নতুন করে লাইন তৈরি করা লাগতে পারে। কবে নাগাদ তা ঠিক করা হতে পারে তা নির্দিষ্ট করে বলা দায়। প্রসঙ্গত, রোববার (১৭ মার্চ) বেলা ২টার দিকে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনের ১৮টি বগির মধ্যে ইঞ্জিন সংলগ্ন ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ছিটকে পড়ে যায়। এতে সারা দেশের সঙ্গে চট্রগ্রামের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় ৫০০ মিটার রেললাইন। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত থাকলেও কারও আঘাত গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেবদাস দেব। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে গন্তব্যে ফিরে গেছেন। আর দূরদূরান্তের যাত্রীদের বিকল্প মাধ্যমে গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়। এ ঘটনায় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৪

৭০০ শিক্ষার্থীকে হলে পৌঁছে প্রশংসায় ভাসছেন রেল কর্মকর্তা অসীম
মানবহিতৈষী আমাদের ‘রেলওয়ে ম্যান’ অসীম কুমার তালুকদার। যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরেছেন প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী। এতে প্রশংসায় ভাসছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ওই মহাব্যবস্থাপক। জানা গেছে, গত ৫ মার্চ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা ছিল। এদিন এই ইউনিটের চতুর্থ ও শেষ শিফটের পরীক্ষা দুপুর সাড়ে ৩টায় শুরুর কথা ছিল। পরীক্ষা দিতে ধূমকেতু ট্রেনে আসছিলেন প্রায় ৭০০ পরীক্ষার্থী। আর তাদেরকে নির্দিষ্ট সময়ে হলে পৌঁছাতে ঘটে এক রুদ্ধশ্বাস ঘটনা। পরীক্ষার্থীদের পৌঁছাতে ট্রেনের ইঞ্জিন খুলে আরেক ট্রেনে লাগাতে হয়েছে। সেই সঙ্গে ৮৫ কিলোমিটার বেগে চালাতে হয়েছিল ট্রেন। অসীম কুমার তালুকদার ৫ মার্চের সেই ভ্রমণের কাহিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখে পোস্ট করেছেন। হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘আজকের ধূমকেতুর যাত্রা’ শিরোনামে ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা যায়, গতকাল (৫ মার্চ) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ঢাকা থেকে প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী ধূমকেতু এক্সপ্রেস নামের ট্রেনে রওনা হন। ট্রেনটি ঢাকা থেকে ছাড়তেই দেরি হয়ে যায়। বেলা ১১টায় হিসাব করে দেখা যায়, ট্রেনটি বেলা ৩টা নাগাদ রাজশাহীতে পৌঁছাবে। পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে ট্রেনটি অন্য ট্রেনকে বসিয়ে দিয়ে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। লাহেড়ী মোহনপুর স্টেশনে এসে ধূমকেতুর ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে শরৎনগরে বসা চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন এনে ধূমকেতু এক্সপ্রেস আবার চালু করা হয়। তখন হিসাব করে দেখা যায়, ট্রেনটি বিকেল ৪টায় রাজশাহীতে পৌঁছাবে, তখন পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে অসীম কুমার তালুকদার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানান। ট্রেন সর্বোচ্চ অনুমোদিত গতিতে চলছিল। তবে দুশ্চিন্তা ছাড়ছিল না। সময়মতো পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ক্রমেই অনিশ্চিত হয়ে পড়ছিল। উপায় না পেয়ে আড়ানী স্টেশনের স্টপেজে ট্রেন না থামিয়ে থ্রু পাস করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বেলা ৩টা ৩৮ মিনিটে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে ট্রেনটি থামে। পরে শিক্ষার্থীরা দ্রুত দৌড়ে পরীক্ষার হলে গিয়ে বসেন। অসীম কুমারের পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনরা তাকে নিয়ে সিনেমা বানানোর দাবিও তুলেছেন। একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশন টেস্ট ছিল। ঢাকা থেকে আসা একটি ট্রেনের ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়। থ্যাংকফুলি পশ্চিমাঞ্চল ট্রেনের মহাব্যবস্থাপক সেটা মনিটর করেছেন। নিজে রাবি’র ভিসির সঙ্গে কথা বলে পরীক্ষায় লেট এন্ট্রির ব্যবস্থা করেছেন। অন্য ট্রেনের ইঞ্জিন ওই নষ্ট ট্রেনে সেট করে দ্রুত রাজশাহী পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছেন। এতো কষ্ট না করে নাকে তেল দিয়ে ঘুমালেও কারও কিছু করার ছিল না। একটু সহমর্মিতা, একটু আন্তরিকতা দেখিয়েছেন বলে অন্তত ৭০০ শিক্ষার্থীকে চোখের পানি ফেলতে হয়নি। তার নাম অসীম কুমার তালুকদার।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘একটা পচে যাওয়া সময়ে অসীম যা করেছেন, তা আসলেই রেলওয়ের ইতিহাসে লেখা থাকবে। আমরাও সুর মিলিয়ে বলতে পারি- অসীম, আপনি যা করলেন, তার জন্য ইতিহাস আপনাকে মনে রাখবে। এই শত শত শিক্ষার্থীর মধ্যে কেউ যদি ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না-ও হয়, তবু আপনার ঠাঁই হবে মহাকালের অনন্ত যাত্রায়।’
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৭

ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগা‌যোগ স্বাভাবিক
টাঙ্গাইলের বাসাইলে টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হওয়ার ৩ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন যোগাযোগ শুরু হয়েছে।  এর আগে সকাল ৮টার দিকে ট্রেনটি জেলার বাসাইল উপজেলার সোনালিয়া এলাকায় বিকল হয়। এ সময় টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জে বেশ কয়েকটি স্টেশনে বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেন আটকা পড়ায় ভোগান্তি পড়তে হয় যাত্রীদের। বঙ্গবন্ধু পূর্ব রেলস্টেশনের টিকিট মাস্টার রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। বিকল ইঞ্জিনটি প্রথমে টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা স্টেশনে নিয়ে আসা হয়। পরে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে চলে যায়। এ বিষয়ে ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) ওমর আলী বলেন, টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা থেকে ছেড়ে আসার ১৫ মিনিট পরই ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। এর পর থেকে আর ইঞ্জিন চালু হচ্ছিল না। পরে ঢাকা থেকে একটি সাহায্যকারী ট্রেন এসে ওই ট্রেনটি উদ্ধার করে।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪৯

ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল, ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগা‌যোগ বন্ধ
টাঙ্গাইলে একটি কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হ‌য়ে‌ ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ আছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দি‌কে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ক‌রো‌টিয়া-সোনালিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জের বেশ কয়েকটি স্টেশনে বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেন আটকা পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। এর আগে, ইঞ্জিন বিকল হওয়া ক‌মিউটার ট্রেন‌টি টাঙ্গাইল স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বঙ্গবন্ধু পূর্ব রেলস্টেশনের টিকিট মাস্টার রেজাউল ক‌রিম ঘটনার সতত্য নিশ্চিত করে জানান, ট্রেনটির ইঞ্জিন দ্রুত সচল করার চেষ্টা চলছে। 
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১৯

৭ ঘণ্টা পর উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সারাদেশের রেল চলাচল শুরু
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মালবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুতির ঘটনায় রংপুরের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়েছিল। পরে ৭ ঘণ্টা চেষ্টার পর উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ফের ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পার্বতীপুর স্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম। তিনি বলেন, আজ সকালে পার্বতীপুর-রংপুর রেলপথের গুলপাড়া এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে গম ভর্তি ৩১টি বগি নিয়ে পার্বতীপুরে আসার সময় মালবাহী ট্রেনটির ইঞ্জিনের পেছনের বগি লাইনচ্যুত হয়। তিনি আরও বলেন, সকাল পৌনে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি টুলভ্যান এসে গাড়ি উদ্ধার কাজ শুরু করে। পরে সাত ঘণ্টা চেষ্টার পর লাইচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করা হয়। ফলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:২১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়