• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
ছিনতাই করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া ২ পুলিশ সদস্য রিমান্ডে
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব মহাসড়কে ছিনতাইয়ের সময় গ্রেপ্তার হওয়া দুই পুলিশ সদস্যকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে তাদের সাময়িক বহিষ্কার করেছে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান। বহিষ্কার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন, জেলার বাসাইল উপজেলার মিরিকপুর গ্রামের কৈলা রাজবংশীর ছেলে রিপন রাজবংশী এবং সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের ময়নাল হকের ছেলে মো. মোহসীন মিয়া। তারা দুইজন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানায় কর্মরত রয়েছেন। গত ২৪ মার্চ রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার ধেরুয়া এলাকায় ছিনতাই করার সময় স্থানীয়রা ওই পুলিশ সদস্যদেরকে আটক করে। পরে মহাসড়কের দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়িতে তাদের সোপর্দ করা হয়। ওই রাতেই মধুপুর উপজেলার পিকআপ চালক মো. রানা (৩১) বাদী হয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার ধেরুয়া ফ্লাইওভার ব্রিজের দক্ষিণ পাশে (সার্ভিস লেনে) একটি পিকআপ সিগনাল দেয় ওই দুই পুলিশ সদস্য। এ সময় চালক ও হেলপারকে গাড়ি থেকে নামিয়ে পাশেই দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে ১১ হাজার ৫৫০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে চালক ও হেলপারদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে আটক করে। এ সময় আটক পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে ৩০ হাজার ২১০ টাকা, একটি মোটরসাইকেল, একটি হ্যান্ডকাফ, পুলিশের পোশাক ও বেল্ট উদ্ধার করা হয়। টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ বলেন, এ মামলায় দুই পুলিশ সদস্যকে সোমবার ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরে বিচারক মনিরুল ইসলাম দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তারা বর্তমানে মির্জাপুর থানায় রিমান্ডে রয়েছে। মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম বলেন, তারা দুইজন পুলিশের পোশাক পরিহিত ছিলেন। তাদের দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খানের সঙ্গে মোবাইলে বারবার যোগাযোগ করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
২৬ মার্চ ২০২৪, ২২:২১

৭ দিনের রিমান্ডে কেজরিওয়াল
আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার ভারতের নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির (এএপি) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  শুক্রবার (২২ মার্চ) তাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চায় দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি)। শুনানি শেষে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ইডি দাবি করেছে, আবগারি কেলেঙ্কারির ‘মূলহোতা’ হলেন কেজরিওয়াল। এই কেলেঙ্কারিতে ৬০০ কোটিরও বেশি রুপি দুর্নীতি হয়েছে। যারমধ্যে ‘সাউথ গ্রুপ’ ১০০ কোটি রুপি দিয়েছে। দুর্নীতিতে জড়িত ‘সাউথ গ্রুপ’ এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গে মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছেন কেজরিওয়াল।  ইডি দাবি দুর্নীতির অর্থ নির্বাচনেও কাজে লাগিয়েছে আম আদমি পার্টি। এরমধ্যে তারা গোয়ার নির্বাচনে জয় পেয়েছে। তবে কেজরিওয়াল তার ওপর ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ভারতের ইতিহাসে কেজরিওয়ালই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পদে থাকাকালে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন। কিছুদিন আগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকেও গ্রেপ্তার করে ইডি। তবে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকাকালীন গ্রেপ্তার হননি। সূত্র : এনডিটিভি
২৩ মার্চ ২০২৪, ০১:৩৫

সাংবাদিক মাসউদ হত্যা মামলায় ৭ আসামি রিমান্ডে
বরগুনায় সাংবাদিক তালুকদার মাসউদ হত্যা মামলার সাত আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে বুধবার (২০ মার্চ) বরগুনার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মো. হারুন অর রশীদ আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জামিন শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিদের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। সাংবাদিক মাসউদ তালুকদার হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরগুনা সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. হেলাল উদ্দিন জানান, মামলায় জেল হাজতে থাকা সাত আসামির পাঁচদিন করে রিমান্ড চেয়ে গত সোমবার আদালতে রিমান্ড আবেদন করলে আদালত বুধবার (আজ) শুনানির তারিখ ঠিক করেন। শুনানি শেষে ৩নং আসামি দৈনিক সংবাদ প্রকাশ পত্রিকার বরগুনা প্রতিনিধি কাসেম হাওলাদার ও সময় টিভির বরগুনা প্রতিনিধি মামলার ৫নং আসামি সাইফুল ইসলাম মিরাজকে থানা হাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার বাকি ৫ আসামি এনটিভির বরগুনা জেলা প্রতিবেদক সোহেল হাফিজ, তার (এনটিভির) ক্যামেরা পার্সন আরিফলু ইসলাম মুরাদ, বাংলা নিউজের বরগুনা প্রতিনিধি জাহিদুল ইসলাম মেহেদি, দৈনিক আজকের দর্পন পত্রিকার ওলি উল্লাহ ইমরাণ ও তাদের সহযোগী সোহাগ হাওলাদারকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বাদী পক্ষের নিয়োজিত আইনজীবী মো. নেসার উদ্দীন জানান, গত সোমবার আসামিদের পক্ষে জামিন চেয়ে আবেদন করার পর বুধবার (আজ) শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছিল আদালত। শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। এছাড়াও মামলার ১২নং আসামি মো. শহিদুল ইসলাম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানো আদেশ দেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. আবদুর রহমান বলেন, আদালত জামিন নামঞ্জুর করেছে। পরবর্তীতে আমরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করব। নিম্ন আদালতে জামিন নামঞ্জুর হলে উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করা হবে। উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বরগুনা প্রেসক্লাবে আটকে রেখে মারধর ও নির্যাতনের ১৩ দিন পর ২ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাংবাদিক তালুকদার মাসউদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ৪ মার্চ নিহতের স্ত্রী সাজেদা বাদী হয়ে বরগুনা সদর থানায় ১৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তালুকদার মাসউদ ‘দৈনিক ভোরের ডাক’ পত্রিকার বরগুনা প্রতিনিধি ও সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ছিলেন।
২০ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪৯

অবন্তিকার আত্মহত্যা / দ্বীন ইসলাম ও আম্মান রিমান্ডে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম এবং সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (১৮ মার্চ) ১১ টার দিকে অভিযুক্ত এ দুজনকে কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলার পর রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আবেদনের প্রেক্ষিতে রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক। সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের একদিনের এবং শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকীর দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।  রোববার রাতে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি দল ডিএমপির কাছ থেকে এই দুই ছাত্র-শিক্ষককে কুমিল্লায় নিয়ে আসে। এর আগে গত শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে মেয়ের আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দ্বীন ইসলাম ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকীকে আসামি করে মামলা করেন অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম। গত শুক্রবার রাতে কুমিল্লায় নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে নিজের মৃত্যুর জন্য সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মানকে দায়ী করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন তিনি। এরপর দায়ীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। ঘটনার পর দ্বীন ইসলাম ও আম্মান সিদ্দিকীকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর শনিবার তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  রোববার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের খণ্ডিত অংশের সত্যতা হয়তো আছে। যা প্রকাশিত হয়েছে সব মিলেছে, তা নয়। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা আছে বলে মনে হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নানা ঘটনায় অবন্তিকা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল। যাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।  
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৬

শিক্ষার্থীকে গুলি : সেই মেডিকেল শিক্ষক ৫ দিনের রিমান্ডে
সিরাজগঞ্জের শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীকে গুলির ঘটনায় শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফের পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. বেলাল হোসেনের আদালতে অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় পুলিশের সাত দিনের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই ইব্রাহিম হোসেন। এসআই ইব্রাহিম বলেন, ওই শিক্ষকের সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না, তার অস্ত্রের উৎপত্তি কোথায়, তিনি কোথা ও কার কাছ থেকে অস্ত্র কিনলেন এসবসহ সার্বিক বিষয়ে জানতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  এসআই ইব্রাহিম আরও বলেন, মাত্রই শুনানি শেষে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর হলো। এখন আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জেলহাজত থেকে আজ বিকেলেই তাকে রিমান্ডে আনা হবে। এর আগে গত বুধবার (৬ মার্চ) সকালে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. বেলাল হোসেনের আদালতে অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় ডা. রায়হানের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন। প্রসঙ্গত, গত সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করেন কলেজের শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর সন্ধ্যায় তাকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নেয় পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। পরে রাতে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা। পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫১

চার দিনের রিমান্ডে ব্যারিস্টার কাজল
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ঘিরে মারামারির মামলায় বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (১০ মার্চ) মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতে শাহবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক নিজাম উদ্দিন ফকির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনের তোপখানা রোডে নিজ চেম্বার থেকে ব্যারিস্টার কাজলকে আটক করে সিআইডি। পরে তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়। গত ৭ মার্চ বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোটগ্রহণ শেষে গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল ও মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ২০ জনকে আসামি করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ। এ ছাড়া মামলায় ৩০ থেকে ৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামসের (পরশ) স্ত্রী আইনজীবী নাহিদ সুলতানাকে (যুথী)। দুই নম্বর আসামি ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। এই মামলায় পূর্বে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ আইনজীবীর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তারা হলেন- অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহমেদ, অ্যাডভোকেট তুষার, অ্যাডভোকেট তরিকুল, অ্যাডভোকেট এনামুল হক সুমন ও ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী।
১০ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৭

সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে সহিংসতা / সেই ৫ আইনজীবী রিমান্ডে
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সহিংসতায় ঘটনায় করা মামলায় পাঁচ আইনজীবীর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার (৯ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার এ আদেশ দেন।  এর আগে, এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পাঁচ আইনজীবী হলেন অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহমেদ, অ্যাডভোকেট তুষার, অ্যাডভোকেট তরিকুল, অ্যাডভোকেট এনামুল হক সুমন ও ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী। তাদেরকে রাজধানীর বনানীসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।  গত ৬ মার্চ সকাল ১০টা থেকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির প্রথম দিনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় ভোট শেষ হয়। এরপর গণনা নিয়ে হট্টগোল ও মারধরে ঘটনায় আটকে যায় নির্বাচনের ফল। এ ঘটনায় শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ বাদী হয়ে ২০ জনকে আসামি করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন। এ ছাড়া মামলায় ৩০ থেকে ৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, সহিংসতায় জড়িত সবাইকে খোঁজা হচ্ছে। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া গ্রেপ্তারদের কারা ইন্ধন দিয়েছে, সেটাও জানার চেষ্টা চলছে। এদিকে, নানান নাটকীয়তার পর শনিবার (৯ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে ভোট গণনা শুরু হয়। ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এবার আওয়ামী লীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ মনোনীত প্যানেল থেকে সভাপতি পদে আবু সাঈদ সাগর, সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক, সহ-সভাপতি পদে রমজান আলী শিকদার ও দেওয়ান মো. আবু ওবাঈদ হোসেন সেতু, কোষাধ্যক্ষ পদে মোহাম্মদ নুরুল হুদা আনসারী, সহ-সম্পাদক পদে মো. হুমায়ুন কবির ও মোহাম্মদ হুমায়ন কবির প্রার্থী হয়েছেন। এই প্যানেল থেকে সাতটি সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ভূইয়া, মাহমুদা আফরোজ, মো. বেলাল হোসেন, খালেদ মোশাররফ, মো. রায়হান রনি, সৌমিত্র সরদার ও রাশেদুল হক খোকন। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল থেকে সভাপতি পদে এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সম্পাদক মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, সহ-সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির ও সরকার তাহমিনা বেগম, কোষাধ্যক্ষ মো. রেজাউল করিম এবং সহ-সম্পাদক পদে মাহফুজুর রহমান ও মো. আব্দুল করিম প্রার্থী হয়েছেন। এ ছাড়া সাতটি সদস্য পদে আছেন ফাতিমা আক্তার, সৈয়দ ফজলে এলাহী, মো. শফিকুল ইসলাম শফিক, মো. রাসেল আহমেদ, মো. আশিকুজ্জামান নজরুল, মহিউদ্দিন হানিফ ও মো. ইব্রাহিম খলিল। এই দুই প্যানেলের বাইরে সভাপতি পদে মো. ইউনুছ আলী আকন্দ ও মো. খলিলুর রহমান বাবলু (এম কে রহমান) স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন। আর সম্পাদক পদে নাহিদ সুলতানা যুথী ও ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভুইয়া এবং কোষাধ্যক্ষ পদে মো. সাইফুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫১

স্বামীকে দুলাভাই পরিচয় দেওয়া সেই মিম রিমান্ডে
প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পাবনা পৌর যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি মিম খাতুন ওরফে আফসানা মিম (২৬) ও তার স্বামী ওবাইদুল্লাহের (৩৬) এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত শুনানি শেষে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে, বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে পাবনা শহরের মাসুম বাজার এলাকার বাসা থেকে পাবনা সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। নিজের স্বামীকে অন্য মানুষের কাছে দুলাভাই হিসেবে পরিচয় করিয়ে প্রতারণা করতেন মিম। গ্রেপ্তারকৃত মিম খাতুন পাবনা পৌর সদরের পুরাতন মাসুম বাজার এলাকার মিন্টু মোল্লার মেয়ে এবং তার স্বামী ওবাইদুল্লা একই এলাকার মৃত মাওলানা কেসমত উল্লাহর ছেলে। মিম পাবনা পৌর যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি। এর আগে, সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন মনিরুজ্জামান ওরফে বাবু। মামলার বাদী মনিরুজ্জামান ওরফে বাবু (৩২) পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা হাটপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। পেশায় তিনি ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী। বর্তমানে রাজধানীর শাহজানপুরে বসবাস করেন। গুলশান-২ এ তার এবিএস নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মামলার এজাহারে মনিরুজ্জামান ওরফে বাবু বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে মিমের সঙ্গে তার পরিচয়। এর কিছুদিন পর ওবাইদুল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে দুলাভাই হিসেবে তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন মিম। পরবর্তীতে পাবনা শহরের রবিউল মার্কেটে ব্যবসার কথা বলে ও সেই ব্যবসায়ী অংশীদার রাখার আশ্বাসে বিভিন্ন সময়ে তার কাছ থেকে ১৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৯০ টাকা ধার নেন মিম ও ওবাইদুল্লাহ। গেলো বছরের ২ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত আমার কাছ থেকে উল্লেখিত টাকা ধার নেন তারা। তিনি বলেন, বিশ্বাসের কারণে দলিল ছাড়া লেনদেন হলেও পরে দলিল করতে চাইলে তারা টালবাহানা শুরু করেন। সর্বশেষ গত ১৬ ফেব্রুয়ারি টাকা ফেরত চাইলে তারা পাওনা টাকা ফেরত দেবেন না বলে মনিরুজ্জামান ওরফে বাবুকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। মনিরুজ্জামান আরও বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জেনেছি দুলাভাই বলে পরিচয় দিলেও মূলত মিমের চতুর্থ স্বামী ওবাইদুল্লাহ। তারা দু’জন মিলে পরিকল্পিতভাবে আমাকে প্রতারণার জালে ফেলে। এর আগেও অনেকের সঙ্গে এমনটা করেছে। উপায় না পেয়ে এক পর্যায়ে আমি পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করি। আশা করছি, আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে এ বিষয়ে সুষ্ঠু বিচার পাবো। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতারণার মামলায় আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি। তিনি কোন দল করেন সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। এজাহারভুক্ত আসামি এটাই তার বড় পরিচয়। আসামির বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৮

অস্ত্রধারী ২২ রোহিঙ্গা ৩ দিনের রিমান্ডে
মিয়ানমারে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে অস্ত্রসহ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী ২৩ রোহিঙ্গার মধ্যে ২২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যা শুনানি শেষে প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উখিয়ার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাছির উদ্দিন মজুমদার। গ্রেপ্তারের পর কারাগারে থাকা মো. সাদেক নামের এক রোহিঙ্গা অসুস্থ হওয়ায় তার রিমান্ডের অনুমতি প্রদান করেননি বিচারক। সংঘাতের মধ্যে বিদ্রোহীদের তাড়া খেয়ে প্রাণ বাঁচাতে ৬ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্তের বিভিন্ন স্থান দিয়ে বিজিপি সদস্যদের পাশাপাশি ২৩ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন। পরে ৯ ফেব্রুয়ারি বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের পালংখালী বিওপির নায়েব সুবেদার মো. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা করে তাদের ১২টি অস্ত্রসহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এর আগে, শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে ২৩ রোহিঙ্গাকে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন পুলিশ। বিচারক ফাহমিদা সাত্তার আবেদন আমলে নিয়ে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) শুনানির দিন ঠিক করে দেন। পরিদর্শক নাছির উদ্দিন বলেন, মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশের সময় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ২৩ রোহিঙ্গার সবাই উখিয়ার বালুখালী ও কুতুপালং ক্যাম্পের বাসিন্দা। স্বাভাবিক কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছেড়ে তাদের মিয়ানমারে যাওয়ার কথা না। কিন্তু কী কারণে মিয়ানমারে গেল আর তাদের হাতে অস্ত্র কেন? এসব রহস্য বের করার চেষ্টা করা হবে। ২৩ রোহিঙ্গা হলেন, উখিয়ার বালুখালী ৮ নম্বর ক্যাম্পের কবির আহমদের ছেলে মো. হোসেন আহমদ (৩০), একই ক্যাম্পের মো. ইউনুসের ছেলে মো. রফিক (২৩), আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আয়াতুল্লাহ (৩০), ৯ নম্বর ক্যাম্পের মো. রফিকের ছেলে মো. জুনাইদ (১৯), একই ক্যাম্পের নুর কালামের ছেলে মো. হারুন (২৩), সমসের আলমের ছেলে মো. কায়সার (১৯), রশিদ আহমেদের ছেলে মো. সাবের (১৯), ১০ নম্বর ক্যাম্পের আবদুল্লাহর ছেলে ওসামা (১৯), একই ক্যাম্পের জাফর আলমের ছেলে ওমর ফারুক (১৯), মো. তোহার ছেলে মো. সাদেক (১৯), মকবুল আহমদের ছেলে হারুন অর রশিদ (২৪), হামিদ হোসেনের ছেলে ইয়াসিন আরাফাত (১৯), দিল মোহাম্মদের ছেলে মো. ইসমাইল (১৯), মো. হোসেনের ছেলে মো. রহিম (১৯), ১১ নম্বর ক্যাম্পের আতা উল্লাহর ছেলে নজু মোল্লা (৩৮), ১৫ নম্বর ক্যাম্পের মো. সৈয়দের ছেলে সৈয়দ উল্লাহ (১৯), একই ক্যাম্পের দিল মোহাম্মদের ছেলে হাফেজ আহমেদ (১৯), ২০ নম্বর ক্যাম্পের মো. রশিদের ছেলে মো. জোবায়ের (১৯), কুতুপালং এলাকার ৬ নম্বর ক্যাম্পের ইউসুফের ছেলে আব্দুল্লাহ (২০), একই এলাকার ৩ নম্বর ক্যাম্পের আবুল হাসেমের ছেলে এনামুল হাসান (২২), ২ নম্বর ক্যাম্পের ইমাম হোসেনের ছেলে মো. রফিক (২৪), একই ক্যাম্পের আবুল কালামের ছেলে সৈয়দুল ইসলাম (২৪) ও ৭ নম্বর ক্যাম্পের মো. জলিলের ছেলে মো. আরমান (২১)। এ ঘটনায় উদ্ধার ১২টি অস্ত্রের মধ্যে পাঁচটি এসএমজি (সাবমেশিন গান), একটি জি-৩ রাইফেল, দুইটি পিস্তল ও চারটি রিভলভার রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে এসএমজি গুলি ১৯৮ রাউন্ড, এমজি গুলি ৯৮ রাউন্ড, রাইফেলের গুলি ২৭৬ রাউন্ড, জি-৩ রাইফেলের গুলি ১০৩ রাউন্ড, পিস্তলের গুলি ১৯৩ রাউন্ড, পিস্তলের খালি কার্তুজ ২৫ রাউন্ড, রাইফেলের গ্রেনেড ফিউজ ৫ রাউন্ড, এসএমজি ম্যাগজিন ছয়টি, এলএমজি ম্যাগজিন চারটি, জি-৩ ম্যাগাজিন একটি, পিস্তল ম্যাগজিন দু’টি।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২১

আ.লীগ নেতাকে হত্যা : ছাত্রলীগের ২ নেতা রিমান্ডে
কুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা ও পরিবহন ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম সোহানকে (৪০) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ছাত্রলীগের স্থানীয় ২ নেতাকে ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।  শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) কুড়িগ্রাম আমলি আদালত এ রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভীর কবির চৌধুরী বিন্দু ও কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সভাপতি ঝিনুক মিয়া। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা আদালতের কাছে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছিলাম। আদালত দুজনকে ৩ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন। বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। তিনি আরও বলেন, শনিবার বিকেলে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে সোহানের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। সোহান জেলা শহরের ঘোষপাড়ার আমজাদ হোসেন বুলুর ছেলে। তিনি একই সঙ্গে কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সদস্য। উল্লেখ্য, শুক্রবার দিনগত রাত ১২টায় নিহত আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী বাদী হয়ে মারপিট করে হত্যার অভিযোগ করেন। তার অভিযোগটি শনিবার মামলা আকারে নথিভুক্ত করা হয়। মামলায় মোট চারজনের নামোল্লেখ এবং ৭-৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ২ ছাত্রলীগ নেতা ছাড়াও অন্য দুজন পলাতক আসামি হলেন স্বাধীন ও সৌরভ।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৪০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়