• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
টিকা নিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট লাগবে হজযাত্রীদের 
হজযাত্রীদের টিকা গ্রহণের সময় স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট লাগবে। সরকার নির্বাচিত মেডিকেল সেন্টারগুলো থেকে টিকা নেওয়ার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার কিছু রিপোর্ট সাথে আনতে সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।  ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখা থেকে জারিকৃত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্টগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইউরিন আরএমই, আরবিএস, এক্সরে চেস্ট পিএ ভিউ, ইসিজি, সেরাম ক্রিয়াটিনিন, সিবিসি উইথ ইএসআর, ব্লাড গ্রুপিং এন্ড আরএইচ টাইপিং।  মোট ৮০টি স্বাস্থ্য সেবা ও টিকাদান কেন্দ্র থেকে টিকা গ্রহণ করতে পারবেন হজযাত্রীরা। সব জেলার সিভিল সার্জন অফিস ছাড়াও কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, সরকারী কর্মচারী হাসপাতাল, ফুলবাড়ীয়া, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, রাজারবাগ, বাংলাদেশ সচিবালয় ক্লিনিক, গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বগুড়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মোহম্মদ আলী হাসপাতাল ও দিনাজপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতাল।  এ সংক্রান্ত যে কোনো তথ্যের জন্য ১৬১৩৬ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। 
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২১

বোট ক্লাবে পরীমণির কাণ্ড: যেমন ছিল সেই রাত
আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে বোট ক্লাবের পরিচালক নাসির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর, হত্যাচেষ্টা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।  গত ১৮ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলার পিবিআই পরিদর্শক মো. মনির হোসেন অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে পরীমণিসহ জুনায়েদ বোগদাদী জিমিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ মেলেনি।  ২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন, পরীমণির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম। তদন্তের পর পরীমণির করা ধর্ষণ বা হত্যাচেষ্টার কোনো প্রমাণ পায়নি পুলিশ। তবে পিবিআই গত ১৮ মার্চ নাসিরের করা পাল্টা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে পরীমণি ও জিমির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে যা যা বলা হয়েছে: ২০২১ সালের ৮ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে পরীমণির কস্টিউম ডিজাইনার জিম মামলার সাক্ষী তুহিন সিদ্দিকি অমিকে ম্যাসেঞ্জারে কল করে বনানীর বাসায় যেতে অনুরোধ করেন। অমি তখন বনানী কিংস বেকারি শপে অবস্থান করছিলেন। বাসায় যাওয়ার পর অমির সঙ্গে পরীমণি এবং ফাতেমা তুজ জান্নাত বনিদের সাক্ষাৎ হয়। এরপর তারা অমির কাছে জানতে চান এত রাতে উত্তরা ক্লাবে যাওয়া যাবে কি না? উত্তরে অমি জানান, রাত বেশি হয়েছে, তাই এখন উত্তরা ক্লাবে যাওয়া যাবে না। তখন জিমি জানতে চান যে, তাহলে বোট ক্লাবে যাওয়া যাবে কি না? জবাবে ঢাকা বোট ক্লাবে যাওয়া যাবে মর্মে জানান অমি। তখন পরীমণির অনুরোধে অমিসহ তারা চারজন অমির কালো রঙের জিপ গাড়িতে করে রাত ১২টা ২২ মিনিটে ঢাকা বোট ক্লাবে আসেন। গাড়ির পেছনে পরীমণির সাদা রঙের খালি জিপ গাড়ি বোট ক্লাবে প্রবেশ করে। ক্লাবের দোতলায় উঠে প্রথমে পরীমণি ও ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি বারের সামনে থাকা টয়লেট ব্যবহার শেষে বারের ভেতরে প্রবেশ করেন এবং টিভির সামনের টেবিলে বসেন। টেবিলে সাক্ষী অমিও বসেন। সৌজন্যতার খাতিরে অমি তাদেরকে স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার নিজ খরচে পরিবেশন করে আপ্যায়ন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরীমণি একটি এক লিটারের ব্লু-লেবেল মদের বোতল অর্ডার করেন। পরীমণি ও তার সঙ্গে থাকা জিম ও বনি নিমিষেই সেই বোতলের অ্যালকোহল পান করে বোতল খালি করে ফেলেন এবং অনুরূপ আরেকটি বোতলের অর্ডার করেন। তারা ঐ বোতলের আংশিক মদ পান করেন। ঘটনার সূত্রপাত যেভাবে : আড্ডার একপর্যায়ে তাদের ২/৩ টেবিল পেছনে বোটক্লাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাছির উদ্দিন মাহমুদকে আরো দুইজন ব্যক্তির সঙ্গে বসা দেখতে পান অমি। তখন অমি পরীমণিকে নিয়ে নাসির মাহমুদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন এবং পুনরায় তাদের টেবিলে এসে বসে মদ্যপানসহ গল্পগুজব করতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর নাসির মাহমুদ ও তার সঙ্গে থাকা আরও দুইজন যখন বার থেকে চলে যাচ্ছিলেন, তখন পরীমণি নাসির মাহমুদকে ডেকে বললেন, ‘ভাই আমি আসলাম, আর আপনি এক্ষুনি চলে যাচ্ছেন? আমাদের সঙ্গে আরেকটু বসেন। আসেন কিছুক্ষণ গল্প করি।’ তখন পরীমণির অনুরোধে নাসির মাহমুদ ফিরে এসে পুনরায় তার টেবিলে বসেন। কিছুক্ষণ পর ড্রিংকস শেষে পরীমণি ওয়েটারকে আরও এক লিটারের তিনটি ব্লু লেবেল মদের বোতলসহ দুই বোতল ওয়াইন পার্সেল দেওয়ার জন্য অর্ডার করেন। ওয়েটার তখন পরীমণিকে দুই বোতল ওয়াইন পার্সেল দিলেও ব্লু লেবেল মদের বোতল স্টকে না থাকায় পার্সেল দিতে পারেননি। তখন পরীমণি ডিসপ্লেতে থাকা একটি ব্লু লেবেল বোতল পার্সেল করে দিতে বললে ওয়েটার জানান, বোতলটি বিক্রির জন্য নয় এবং ক্লাবের মেম্বার ছাড়া পার্সেল দেওয়া যাবে না। কিন্তু পরীমণি জোর করে ওই বোতল নিতে চান এবং টেবিলে হট্টগোল করতে থাকেন। পরীমণি উত্তেজিত হয়ে কার্ডহোল্ডার বের করে দুই-তিনটি ব্যাংক কার্ড দেখিয়ে বলেন, ‘আমি কি ফকিরনি? আমার বিল আমি পরিশোধ করব। আমি এটা নেবই।’ তখন পরীমণির সঙ্গে থাকা ফাতেমা বনি বলেন, ‘ওনাদের যদি রুলস থাকে, মেম্বার ছাড়া নেওয়া যাবে না, তাহলে তুমি নিও না।’  তখন পরীমণি বনিকে থাপ্পড় মেরে বলে, ‘আমাকে দেখে কি মাতাল মনে হয়?’ পরীমণির সঙ্গে থাকা জিম তাকে শান্ত করতে গেলে তাকেও পরীমণি থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে পরীমণি খুবই উত্তেজিত হয়ে টেবিলের ওপর থাকা গ্লাস, অ্যাশট্রে, বোতল ফ্লোরে এদিক ওদিক ছুড়তে থাকেন। তখন নাসির মাহমুদ ক্লাবের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পরীমণিকে বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এতে পরীমণি আরও ক্ষেপে গিয়ে একটি অ্যাশট্রে নিয়ে তার দিকে ছুড়ে মারেন। যা তার ডান কানের ওপরে মাথায় লাগে। তখন নাসির মাহমুদ ক্লাবে পরীমণিকে সঙ্গে করে আনায় অমির ওপর রেগে যান এবং বলেন, ‘এরকম বেয়াদব মহিলা নিয়ে কেন ক্লাবে আসেন, কাল আপনার নামে নোটিশ হবে। এক্ষুনি এদেরকে নিয়ে বেরিয়ে যান।’ তখন জিম তেড়ে এসে বাদী নাসির মাহমুদকে গালমন্দ করতে করতে ২/৩ টা কিলঘুসি মারেন। এরপর আবারও পরীমণি বারের ভেতরে যত্রতত্র গ্লাস ছুড়ে ভাঙচুর করতে থাকেন। একটি গ্লাস নাসির মাহমুদের বুকে লাগলে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হন। তখন নাসির মাহমুদ বোট ক্লাব ত্যাগ করে চলে যান। ক্লাব ত্যাগ করার মুহূর্তে পরীমণিকে ক্লাব ছেড়ে চলে যেতে বলার জন্য ক্লাবের নিচে কর্মরত সিকিউরিটি গার্ডকে নির্দেশ দিয়ে যান। নাসির মাহমুদ আহত অবস্থায় ওই রাতে আড়াইটার দিকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। মদের বিল না দিয়েই চলে যান পরীমণি : বার ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য সিকিউরিটি গার্ড পরীমণিকে বারবার বললেও তারা যেতে চাননি। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর সিকিউরিটি গার্ড বারের লাইট ও এসি কমিয়ে দেয়। তারপরও পরীমণি যেতে না চাইলে অমি তাকে বার থেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং পরীমণির সঙ্গে থাকা জিম ও সিকিউরিটি গার্ড তাকে ধরে গাড়িতে তুলে দেয়। ক্লাবে তাদের খাওয়া দুই বোতল ব্লু লেবেলের দাম ও পার্সেলে নেওয়া দুই বোতল ওয়াইনের দাম পরিশোধ না করেই তারা ক্লাব থেকে চলে যায়। এই চারটি বোতলের দাম ৮৭ হাজার ৬৫০ টাকা। এ ছাড়া ক্লাবের বারের ভেতরে গ্লাস, অ্যাশট্রে, বোতল ভাঙচুর করায় আনুমানিক ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন বলেন, মামলার তদন্তভার পাওয়ার পর থেকে সচেতনতার সঙ্গে কাজ করেছি। বাদীর অভিযোগের বিষয়ে নিবিড় তদন্ত করে এ প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছি। ঘটনার চাক্ষুষ সাক্ষী আছে, মেডিকেল রিপোর্ট আছে। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ ও তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিবেদন দাখিল করেছি। মামলায় নাসির উদ্দিন উল্লেখ করেন, পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবনে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। এরপর পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢোকেন এবং দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। এতে আরও বলা হয়, বাদী (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত ১টা ১৫ মিনিটে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাসিরকে ডাক দেন। তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসারও অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে পরীমণি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনা মূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য চাপ দেন। নাসির উদ্দিন এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি তাকে গালমন্দ করেন। নাসির এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। বাদী মামলায় আরও উল্লেখ করেন, পরীমণি ও তার সহযোগীরা তাকে (নাসির উদ্দিনকে) মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন এবং বোট ক্লাবে ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমণি সাভার থানায় বাদী নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেন। বাদীর আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছি, পিবিআইয়ের তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এদিকে বোটক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে হত্যা করতে ভাঙা গ্লাস ছুড়ে মেরেছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। এমনটাই বলছেন নাসির উদ্দিন মাহমুদের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ বিষয়ে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। আইনজীবী বলেন, ঘটনার দিন রাতে পরীমণি মদ্যপ ছিলেন। মদ পার্সেল না দেয়ায় বোটক্লাবে ভাঙচুর ও মারধর করেন তিনি। নাসিরকে মেরে ফেলতে ভাঙা গ্লাস ছুড়ে মেরেছিলেন পরীমণি। এদিন পরীমণির বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদীপক্ষ। এ বিষয়ে আদেশ পরে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালত।   
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৪

৭ দিনের আশ্বাসের তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়েনি ১৭ দিনেও
শিক্ষক-সহপাঠীকে দায়ী করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তাৎক্ষণিক গঠিত তদন্ত কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় প্রশাসন। নির্দেশনার ১৭ দিন অতিবাহিত হলেও জমা পড়েনি তদন্ত প্রতিবেদন।তদন্ত কমিটি বলছে প্রতিবেদন কবে জমা দিতে হবে তার স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা তাদের দেওয়া হয়নি। গত ১৬ মার্চ মধ্যরাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আশ্বাস দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। উপাচার্য বলেন, ‘আমি কথা দিচ্ছি তদন্ত কমিটি সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন। তাছাড়া এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে ঘটা ঘটনারও তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। আর আমার হাতে যত আইন আছে, সব আইনের সর্বোচ্চ ব্যবহার করবো।’ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, এর আগেও বিভিন্ন ঘটনা তদন্ত কমিটি গঠন পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল। আজ পর্যন্ত সেসব তদন্তের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে অতিদ্রুত দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।  নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী কিশোর সাম্য বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের সব আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ছিল। তবে প্রশাসন যদি আমাদের আন্দোলন হালকাভাবে নেয় তাহলে হয়তো এরপরের আন্দোলনগুলো শান্তিপূর্ণ থাকবে না। ক্যাম্পাস এখন অফিসিয়ালি বন্ধ তাই প্রশাসন প্রকৃতিগত ভাবে এর সুবিধাটি পেয়ে গেছে।ঈদের পরেই প্রশাসনকে আমাদের মুখোমুখি হতে হবে এবং ছাত্ররা আরও কঠোর হবে। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইভান তাহসীব বলেন, আমরা যখন উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিই তখন তাদের পক্ষ হতে বলা হয়েছিল তদন্তের বিষয়গুলো একটা পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যায়। তাই একটু সময় লাগতে পারে। আর এখন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় আন্দোলন করাও সম্ভব নয়। আমরা দেখবো এই বন্ধের ভেতরে প্রশাসন কতটুকু কাজ করে৷ প্রশাসনের ঢিলেমি থাকলে আমরা ক্যাম্পাস খুললে আবারও আন্দোলন করবো। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, আমরা এখনও কাজ শেষ করতে পারিনি। তবে আমরা প্রতিদিনই এটা নিয়ে বসছি। এর আগে বর্তমান ও সাবেক প্রক্টর, আইন বিভাগের চেয়ারম্যান, তৎকালীন প্রোভস্ট ও একজন হাউজ টিউটরের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছিল। নতুন কিছু ইনফরমেশনের জন্য তাদের পুনরায় ডাকা হয়েছে। এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, সাত দিনের ভেতরে রিপোর্ট দিলে সেই রিপোর্ট অত্যন্ত কাঁচা হয়। যেহেতু রিপোর্টের কাজ চলছে, আমাদের শিক্ষকরা কেউ বসে নেই৷ তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে নিরলস পরিশ্রম করছেন। ইতোমধ্যে কয়েকবার কুমিল্লাতেও গিয়েছেন তারা। আশা করছি ঈদের পরপরই আমরা রিপোর্ট হাতে পাবো।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৬

বিশ্বকাপের তদন্ত রিপোর্ট ইস্যুতে বিসিবিকে কড়া হুঁশিয়ারি সুজনের
বিশ্বকাপ ব্যর্থতার তদন্ত রিপোর্ট আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ না হলেও দেশের বেসরকারি একটি গণমাধ্যম বিসিবির সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে টাইগারদের বিশ্বকাপ ব্যর্থতার মূল কারণ, বিসিবির দুই পরিচালকের হস্তক্ষেপ। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ ঝেড়েছেন বিশ্বকাপ দলের সঙ্গে থাকা বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরই দলের সঙ্গে থাকা বিসিবির দুই পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন ও জালাল ইউনুসের দিকে আঙুল উঠেছে । এরপরই অন্য একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন সুজন।  এ সময় তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে সুজন বলেন, আমি দেখলাম যে দুই পরিচালকের কথা বলা হচ্ছে। আমার কথা হলো, মিডিয়াতে ছোট ছোট করে তথ্য ছড়িয়ে লাভ কি। আমাদের বলে দিক, যে তোমাদের কারণে বিশ্বকাপ খারাপ হয়েছে। কিন্তু বিসিবিকে প্রমাণ করতে হবে, কিভাবে আমরা হস্তক্ষেপ করেছি। তিনি বলেন, মিডিয়াকে ফুসফাস করে না বলে সংবাদ সম্মেলন ডেকে বলে দেন আমার এবং জালাল ইউনুসের জন্য বিশ্বকাপে খারাপ পারফরম্যান্স হয়েছে। আমি তাদের চ্যালেঞ্জ করছি, তাদের বলতে হবে কেনো তারা মিডিয়াকে এই কথা বলেছে। আর তদন্ত রিপোর্টে কে কি বলেছে দেখাতে হবে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, আমাদের সম্মান আছে। আমরাও দেশের জন্য খেলেছি, আমি অধিনায়ক ছিলাম। আমাদের সম্মান নিয়ে যদি কেউ খেলা করে, তার কারণটা জানা খুবই জরুরী। তিনি আরও বলেন, হস্তক্ষেপ বলতে তদন্ত কমিটি কি বুঝিয়েছে সেটা জানতে হবে। আমরা কি করেছি, আমরা কি বলেছি এই ক্রিকেটারকে খেলাও এবং অন্যজনকে খেলিও না? এগুলো জানতে হবে। আমি তো দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনো জায়গাতেই ছিলাম না।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৬:০৬

বিশ্বকাপ ব্যর্থতার তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে যা জানালেন সুজন
ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল বিসিবি। দীর্ঘ তদন্ত শেষে কমিটি ইতোমধ্যে রিপোর্ট জমা দিলেও প্রকাশ করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তবে সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি গণমাধ্যম বিসিবির সূত্রের বরাত দিয়ে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নিয়ে চঞ্চালকর তথ্য প্রকাশ করেছে। গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তামিম ইকবালের বিশ্বকাপ না খেলার পেছনে দায়ী হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। টাইগার কোচ চাননি বিশ্বকাপ দলে থাকুক তামিম। এ কারণে বিশ্বকাপ শুরুর আগে বিতর্ক তৈরি হয়। যার জেরে বিশ্বকাপ দল থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন তামিম। বুধবার (৬ মার্চ) বিসিবির তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয় বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন কাছে। তিনি বলেন, তদন্ত রিপোর্ট তো বিসিবি প্রকাশ করেনি। কোথা থেকে গণমাধ্যমে খবর এসেছে? বিসিবি নিশ্চয়ই দেবে (প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ)।  ‘আমি জানি না তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে কি না। যারা তদন্ত করেছেন তারা তো প্রেসিডেন্টকে রিপোর্ট দিয়েছেন। উনি যদি মনে করেন প্রকাশ করা উচিত তারপর বোঝা যাবে কী সত্যি কী মিথ্যা।' তামিম ইকবালের বিশ্বকাপ দলের থাকার পিছনে সেই সময় দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে অনেকেই দায়ী করেছিলেন। কারণ, সাকিব-তামিম দ্বন্দ্বের জন্য সবাই এমনই ভেবেছিল। কিন্তু তদন্ত কমিটির রিপোর্টে উঠে এসেছে তার উল্টোটা। সাকিব আল হাসান নয় তামিমের দলে না থাকার কারণ হাথুরুসিংহে। গত বছর আফগানিস্তান সিরিজ থেকে হুট করে অবসর নেওয়ার পরই তামিমকে বিশ্বকাপ দলে না নেওয়ার পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন টাইগার কোচ। যা বাস্তবে রূপে নানা নাটকীয়তার সৃষ্টি করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তামিমকে বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ দিতে সক্ষম হন হাথুরুসিংহে। তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে সুজন আরও বলেন, তবে আমার মনে হয় রিপোর্ট যেটাই এসেছে জনসম্মুখে প্রকাশ করা উচিত। প্রকাশ করলে ভালো। যদি আমাদের কোনো সমস্যা থাকে সমাধান হবে। যদি বোর্ড মনে করে প্রকাশ করা যাবে না, আমরা নিজেরাই সমাধান করব বোর্ড থেকে। সেটাও হতে পারে।  ‘এটা বিসিবির ব্যাপার, প্রেসিডেন্ট স্যারের ব্যাপার। কারও কারণে ম্যাচ হেরে যায়, এটা আমি বিশ্বাস করি না। ক্রিকেট টিম গেম। একজনের জন্য কিছু হয় বিশ্বাস করি না। পরিকল্পনায় ভুল থাকতে পারে। এটা ভিন্ন ইস্যু।'
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৭

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ : সনদের সঙ্গে ডোপ টেস্ট রিপোর্ট জমার নির্দেশ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম ধাপের চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট করার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী ১৪ মার্চের মধ্যে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্রের (সব সনদের মূল কপি ও পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম) সঙ্গে ডোপ টেস্টের রিপোর্টও জমা দিতে হবে বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্ব খাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলায় প্রার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের শর্তসাপেক্ষে সর্বমোট দুই হাজার ৪৯৭ জনকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। প্রার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯ অনুসরণ করে উপজেলাভিত্তিক মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রার্থী নির্বাচন করে তালিকা প্রণয়ন করেছে অধিদপ্তর। নির্বাচিত কোনও প্রার্থী কোনও ধরনের ভুল তথ্য প্রদান করলে কিংবা কোনও তথ্য গোপন করেছেন বলে প্রমাণিত হলে কর্তৃপক্ষ ওই প্রার্থীর ফলাফল বা নির্বাচন বাতিল করতে পারবে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীকে আগামী ১৪ মার্চের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জনের দেওয়া স্বাস্থ্যগত উপযুক্ততার সনদ বা প্রত্যয়নপত্র ও ডোপ টেস্ট রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে দাখিল করতে হবে। স্বাস্থ্যগত সনদে প্রার্থী কোনো দৈহিক বৈকল্যে ভুগছেন কিংবা উল্লিখিত পদে নিয়োগযোগ্য নন বলে  উল্লেখ থাকলে তিনি নিয়োগের জন্য বিবেচিত হবেন না। আরও বলা হয়েছে, নির্বাচিত প্রার্থীদের আগামী ১৪ মার্চের মধ্যেই পরিচিতি প্রতিপাদন ও সব ডকুমেন্টস যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সব সনদের মূল কপি, জাতীয় পরিচয়পত্র সশরীর উপস্থিত হয়ে জমা দিতে হবে। একইসঙ্গে তিন সেট পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরমও যথাযথভাবে পূরণ করে জমা দিতে হবে। কোনও প্রার্থীর পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্টে পূর্ব কার্যকলাপ সন্তোষজনক না হলে কিংবা নাশকতা বা সন্ত্রাসী কিংবা জঙ্গি কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট অথবা রাষ্ট্রবিরোধী কোনও কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলেন বলে প্রতীয়মান হলে তিনি নিয়োগের অনুপযুক্ত বলে গণ্য হবেন। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যগত উপযুক্ততার সনদ, সব মূল সনদসহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে উপস্থিত হতে না পারলে এবং পূরণকৃত পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম জমা না দিলে পরবর্তী সময়ে তিনি নিয়োগপত্র পাবেন না বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৩

টিআইবির রিপোর্ট অসত্য-মানহীন : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
নির্বাচন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রকাশিত রিপোর্ট অসত্য ও মানহীন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। তিনি বলেন, তাদের রিপোর্ট তৈরিতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখা হয়নি। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংসদ নির্বাচন নিয়ে যারা এই গবেষণা করেছেন, তাদের গবেষণার কোনো অভিজ্ঞতা নেই। আন্তর্জাতিক জার্নালে তাদের কোনো গবেষণা নেই। টিআইবির গবেষণা বৈজ্ঞানিক মিসকন্ডাক্টকে (অসদাচরণ) ছাড়িয়ে গেছে। তারা অসত্য তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আমি বিশ্বাস করি, দেশের সুশীল সমাজ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণের মাধ্যমে গবেষণা করে তার ফলাফল জনগণের সামনে তুলে ধরবে।  তিনি বলেন, টিআইবি যেটা করেছে, সেটা কোনো গবেষণা না, এটা তাদের মতামত। তারা মানুষের মতামতকে তথ্য হিসেবে দেখিয়েছে। ৪২ হাজার কেন্দ্র থেকে মাত্র ৫০টি কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে পুরো নির্বাচন ঘিরে তৈরি রিপোর্ট কখনো সঠিক হতে পারে না। মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, নির্বাচনে কিছু অনিয়ম হলে কমিশন ব্যবস্থা নিয়েছে। যারা অনিয়ম করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। টিআইবির রিপোর্টে অনিয়মের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের শক্ত অবস্থানকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বরং মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে তাদের মনোবল দুর্বল করার চেষ্টা করা হয়েছে। এর আগে, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে টিআইবি। প্রতিবেদনে সংস্থাটি দাবি করে, নির্বাচনে ২৯৯ আসনের মধ্যে ২৪১টি আসনেই প্রকৃত অর্থে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়