• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
আইএমএফের হিসাবে দেশের রিজার্ভ কত, জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গণনায় দেশের রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসেবে তা ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।  বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৫৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত ২১ মার্চ সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।   এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। যা শুধু প্রকাশ করা হয় না, শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়। জানা গেছে, ওই হিসাবে বর্তমানে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মিটবে। অর্থাৎ, পণ্য কেনা বাবদ মাসিক প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। বাংলাদেশেরও সেই পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং রপ্তানি আয় বর্তমানে প্রায় স্থিতিশীল, অন্যদিকে ছোট বিদেশি দায় পরিশোধ করায় রিজার্ভ কিছুটা ক্ষয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা।
২১ ঘণ্টা আগে

রিজার্ভ চুরি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলা চলবে
রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকের (আরসিবিসি) বিরুদ্ধে করা বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলা চালিয়ে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে নিউইয়র্ক আদালত। এ মামলায় সারবস্তু আছে বলে মনে করছেন বিচারকরা।  রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় ১৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২৭ মে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাদের মধ্য থেকে ব্লুমবেরি ও ইস্টার্ন হাওয়াই নামে দুটি ক্যাসিনো প্রতিষ্ঠানকে অব্যাহতি দিয়েছেন নিউইয়র্ক কাউন্টি সুপ্রিম কোর্ট। তবে এ মামলা খারিজ করেনি আদালত। এ ছাড়া ব্যক্তিগত এখতিয়ার না থাকায় আরও চারজন বিবাদীকে মামলা থেকে খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। তাঁরা হলেন ইসমায়েল রেয়েস, ব্রিজিত ক্যাপিনা, রোমুয়ালদো আগারাদো ও নেস্তর পিনেদা। ফিলিপাইনের স্টক এক্সচেঞ্জে দাখিল করা এক পত্রে আরসিবিসি বলেছে, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তারা আদালতের এই সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরেছে বলে স্বীকার করেছে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারির সিদ্ধান্তে নিউইয়র্ক রাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, তিনটি ‘কজ অব অ্যাকশনের’ আইনি ভিত্তি নেই। আরসিবিসি ব্যাংক ও সব বিবাদীর বিরুদ্ধে অর্থ রূপান্তর, চুরি, আত্মসাৎ—এ ধরনের কর্মকাণ্ডে সহায়তা বা প্ররোচনা, জালিয়াতি (আরসিবিসির বিরুদ্ধে), জালিয়াতিতে সহায়তা বা প্ররোচনা—এসব অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। তবে নিউইয়র্কের আদালত জানিয়েছেন, আরসিবিসি ও অন্যান্য বিবাদীর বিরুদ্ধে অন্য অভিযোগে মামলা চলতে পারে, যেমন যে অর্থ আরসিবিসিতে গেছে, তা ফেরত দেওয়া। ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করে নেয় হ্যাকাররা। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, দেশের অভ্যন্তরে কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থপাচার করেছে। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। তিনি মতিঝিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়। পরের দিন ১৬ মার্চ মামলাটি তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেন আদালত।
০২ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৫

সোয়াপ চালুর ১০ দিনে রিজার্ভ বাড়ল ৫৯ কোটি ডলার
টাকা-ডলার অদলবদল (সোয়াপ) চালুর ১০ দিনে বাংলাদেশ ব্যাংকে ৫৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার জমা দিয়ে সমপরিমাণ টাকা নিয়েছে ১২টি ব্যাংক। এর ফলে দেশে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ খানিকটা বেড়েছে। সোয়াপ ব্যবস্থার কারণে রিজার্ভ বাড়ছে বলে মনে করছেন অর্থনীতির গবেষকেরা। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ হিসাবে বাংলাদেশের রিজার্ভ বেড়ে ২০ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে। সোয়াপ ব্যবস্থা চালুর আগের দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার। বৃহস্পতিবার তা বেড়ে ২০ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে ওঠে। অর্থাৎ ১০ দিনের ব্যবধানে রিজার্ভ ৫৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার বেড়েছে।  বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক জানান, বেশকিছু ব্যাংক ডলার জমা দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা নিয়েছে। এসব ডলার জমার কারণে রিজার্ভ বেড়েছে। সামনে সেই ডলার ফেরত নিলে রিজার্ভ হয়তো কমতে পারে; তবে এর মধ্যে বিভিন্নভাবে রিজার্ভ বাড়বে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এক সার্কুলার জারি করে টাকার সঙ্গে ডলার অদলবদল বা সোয়াপ ব্যবস্থা চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার নিয়ে সমপরিমাণ টাকা দিচ্ছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে। গত রবিবার পর্যন্ত ১২টি বেসরকারি ব্যাংক ৫৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দিয়ে তার বিপরীতে সমপরিমাণ টাকা নিয়েছে। এর বাইরে এই ১০ দিনে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ১৫ কোটি ডলারের মতো কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সময়ে আমদানি দায় মেটাতে সমপরিমাণ ডলার বিক্রিও করেছে। নতুন এ ব্যবস্থার ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ডলার-টাকা অদলবদল করতে পারছে। সর্বনিম্ন ৭ থেকে সর্বোচ্চ ৯০ দিনের জন্য টাকা-ডলার অদলবদলের এ ব্যবস্থা চালু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ সুবিধা চালুর পর প্রায় প্রতিদিনই ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডলার জমা দিয়ে সমপরিমাণ টাকা নিচ্ছে। ব্যাংক খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টাকা-ডলার অদলবদলের এ ব্যবস্থা উভয় পক্ষের জন্যই লাভজনক। কারণ, উদ্বৃত্ত ডলারের বিপরীতে ব্যাংকগুলো তাৎক্ষণিকভাবে টাকা পেয়ে যাবে। আবার নির্ধারিত সময় পর টাকা ফেরত দিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সমপরিমাণ ডলার পেয়ে যাবে। এ ব্যবস্থার আওতায় সর্বনিম্ন ৫০ লাখ ডলার বা তার সমপরিমাণ টাকা অদলবদল করা যাচ্ছে। সোয়াপ ব্যবস্থা রিজার্ভ বাড়তে অবদান রাখছে বলে মনে করছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, রিজার্ভ বাড়াতে সোয়াপ ব্যবস্থা ভালো কাজে দিচ্ছে। নতুন এই ব্যবস্থার ফলে ব্যাংকগুলো এখন প্রয়োজনের অতিরিক্ত ডলার রেখে বাকিটা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দিয়ে টাকা নিতে পারবে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডলারের জমা বাড়লে রিজার্ভও বাড়বে। তাই ডলার-টাকা অদলবদলে বাণিজ্যিক ব্যাংকের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকও লাভবান হচ্ছে।’
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩৪

রিজার্ভ চুরি মামলার প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৬ মে ধার্য করেছেন আদালত। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। তাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ নির্ধারণ করেন। ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করে নেয় হ্যাকাররা। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, দেশের অভ্যন্তরে কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থপাচার করেছে। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। তিনি মতিঝিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়। পরের দিন ১৬ মার্চ মামলাটি তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেন আদালত।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৫

‘রিজার্ভ সংকট কাটিয়ে উঠছে বাংলাদেশ’
রিজার্ভ সংকট থাকলেও বাংলাদেশ তা কাটিয়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ঊর্ধ্বমুখী। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (আইএফএডি) আবাসিক প্রতিনিধি আর্নড হেমলিয়ারসের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষেত্রে আমরা ধীরে ধীরে উন্নতি করছি। বাংলাদেশ যে সম্ভাবনার দেশ, আমরা সেই ট্র্যাকেই ফিরে এসেছি। তিনি বলেন, একটি প্রশ্ন অনেকেই বলেন যে, বাংলাদেশ কি দেউলয়া হয়ে গেল? না, বাংলাদেশ কোথায় দেউলিয়া। এত বড় একটা দেশে দেউলিয়া হতে পারে না। আমাদের রিজার্ভ উন্নতি করছে। সংকট অন গোয়িং। সংকট আছে, কিন্তু আমরা সেটাকে ওভারকাম করছি। বৈঠকের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর অ্যাগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্টের প্রজেক্ট কার্যক্রম চালু রয়েছে। সেখানে তারা নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে আসছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। প্রতিবছরই আমাদের সঙ্গে তাদের আলোচনা হয়। এ বছর ইনোভেশন (উদ্ভাবনী) বিষয়ে বাংলাদেশসহ অন্য সবার সঙ্গে তাদের আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, শুধু আইএফএডি একা নয়, আমাদের অনেক ডেভেলপমেন্ট পার্টনার আছে, যেমন: জাপান, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক; তারাও বিভিন্ন আইডিয়া নিয়ে আসে। তারপর মিলেমিশে আমরা একটি পথ বের করে কাজ শুরু করি। আমরা নির্দিষ্ট কোনো দেশের ওপর নির্ভরশীল না। তবে আমরা সবার সঙ্গে পরামর্শ করে কাজ করি।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৪

‘অর্থবছরের শেষে রিজার্ভ আগের অবস্থানে ফিরে আসবে’
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, মূল্যস্ফীতির চলমান চাপ চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে। এ সময় প্রবাসী আয়ও বাড়বে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত আগের শক্ত অবস্থানে ফিরে আসবে।  বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি)  জাতীয় সংসদে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই–সেপ্টেম্বর) বাজেট বাস্তবায়ন অগ্রগতির প্রতিবেদন তুলে ধরতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।  অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার ইতোমধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তাই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ খুব দ্রুতই আগের শক্ত অবস্থানে ফিরে আসবে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানিসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং বৈদেশিক মুদ্রার হারের দ্রুত পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে মূল্যস্ফীতির চাপ অনুভূত হচ্ছে। তবে মূল্যস্ফীতির বর্তমান চাপ চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে বলে আশা করা যায়। তিনি আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে এসেছে। আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক মনিটরি টার্গেটভিত্তিক মুদ্রানীতি থেকে সরে এসে সুদহার লক্ষ্যভিত্তিক মুদ্রানীতি বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে। নীতি সুদহার বেশ কয়েক দফায় বাড়ানো হয়েছে এবং ঋণের সুদহারের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়া হয়েছে।  অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক (জুলাই–সেপ্টেম্বর) শেষে রপ্তানি বৃদ্ধি, আমদানি ব্যয় হ্রাস এবং প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি হিসাব ভারসাম্য ধনাত্মক ছিল। তবে ফাইন্যান্সিয়াল একাউন্টে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধির কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২৩ সালের ৩০ জুনের তুলনায় কমেছে।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৫

রিজার্ভ নামল ১৯ বিলিয়নে
দেশে চলমান ডলার সংকটে ধারাবাহিকভাবে কমছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমেছে। বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী বর্তমানে গ্রস রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। বৃহস্পতিবার (১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে রিজার্ভের এ চিত্র পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি গ্রস রিজার্ভ ২৫ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলারে এসেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর শর্ত অনুযায়ী বিপিএম-৬ ম্যাথোডের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবের সঙ্গে ৫ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারের পার্থক্য রয়েছে। অর্থাৎ বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এক মাসে রিজার্ভ কমেছে ১৯১ কোটি ডলার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার। এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়; কিন্তু প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসেবে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে। প্রতি মাসে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো কষ্টসাধ্য হবে বাংলাদেশের জন্য। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৩

তিন সপ্তাহে পৌনে দুই বিলিয়ন ডলার কমলো রিজার্ভ 
দেশে ডলার সংকট চলছে দীর্ঘদিন। এ সংকট উত্তরণের অন্যতম উপায় রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়ানো। কিন্তু সেখানে নেই আশানুরূপ সুসংবাদ। অন্যদিকে আমদানির চাহিদা অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রা না থাকায় প্রতিদিনই ডলার বি‌ক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফ‌লে ধারাবাহিকভাবে কমছে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, গত তিন সপ্তাহে রিজার্ভ কমে গেছে প্রায় পৌনে দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩ জানুয়ারি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার। সংকটের কারণে ডলার বিক্রি অব্যাহত থাকায় ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রোস রিজার্ভ দাঁড়ায় ২ হাজার ৫২৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ এই ২১ দিনে ১৭৭ কোটি কমে গেছে রিজার্ভ।  বিপিএম-৬ অনুযায়ী ৩ জানুয়ারি রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ১৭৫ কোটি ডলার, যা ২৪ জানুয়ারি কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ২ কোটি ডলার।  আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী বিপিএম-৬ ম্যাথোডের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবের সঙ্গে ৫২১ কোটি (৫.২১ বিলিয়ন) ডলারের পার্থক্য রয়েছে।  এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব আছে, যা শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়; প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলারের নিচে। প্রতি মাসে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো কষ্টসাধ্য হবে বাংলাদেশের জন্য। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সংকটের কারণে রিজার্ভ থেকে বাজারে প্রচুর ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া এ মাসে আকুর বিলও পরিশোধ হয়েছে। রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কম থাকায় রিজার্ভ কমছে। উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রোস রিজার্ভ ছিল ২৯.৭৩  বিলিয়ন ডলার আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল ২৩ দশমকি ৩৭ বিলিয়ন ডলার। মূলত, বাজারে ডলার সংকট কাটাতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ থেকে ধারাবাহিকভাবে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১৬ জানুয়ারি  পর্যন্ত ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সময়ে বাণিজ্যিক কিছু ব্যাংক থেকে এক বিলিয়ন ডলারের মতো কেনে বাংলাদেশ ব্যাংক, যার পরিমাণ ১ বিলিয়ন ডলারের মতো। ২০২২-২৩ অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছিল। তার আগের অর্থবছরে ( ২০২১-২২) ডলার বিক্রি করেছিল ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫১

বড় ধরনের রিজার্ভ সংকটে ঢাকার পাশে থাকবে চীন
বাংলাদেশে বড় ধরনের রিজার্ভ সংকট হলে অগ্রাধিকারভিত্তিতে চীন পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। রোববার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা বলেন।  চীনা রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন অঙ্গীকারবদ্ধ। বাংলাদেশের সম্মতি পেলেই কাজ শুরু হবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ইয়াও ওয়েন বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে অস্ত্র বিরতি হলেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করবে চীন। রাখাইনে চলমান সহিংসতায় অস্ত্র বিরতির জন্য বেইজিং কাজ করছে। মিয়ানমারের পরিস্থিতি জটিল। তিন দেশের ত্রিপক্ষিয় সমঝোতার মাধ্যমে প্রত্যাবাসন শুরু হবে। চীনের রাষ্ট্রদূত ছাড়াও আজ (রোববার) পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস, নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি দেখা করবেন। এদিকে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। এতে সাধারণ রোহিঙ্গারা জীবন বাঁচাতে রাজ্য ছাড়ার চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে বিজিবি।  জানা গেছে, রাখাইনে চলমান সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে রোহিঙ্গারা বিচ্ছিন্নভাবে দু-এক দিন ধরে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে। তবে সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার হওয়ায় তারা পুনরায় তাদের আদিনিবাসে ফিরে গেছে।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩২

বিপিএলে প্লে-অফ আর ফাইনালে থাকছে রিজার্ভ ডে
বেজে উঠেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দামামা। আগামী শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) মাঠে গড়াচ্ছে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ এই টুর্নামেন্ট। বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হবে দুর্দান্ত ঢাকা। দিনের আরেক ম্যাচে মাঠে নামবে সিলেট ও চট্টগ্রাম। এবারের আসরে ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট, তিনটি ভেন্যুতে খেলা হবে। ১ মার্চ ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে এবারের আসরের। এবার গ্রুপ পর্বের ৪২ ম্যাচগুলো প্রতিদিন দুটি করে অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়াও আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি এলিমিনিটর ও প্রথম কোয়ালিফাই ম্যাচটিও একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন দুপুর দেড়টায় প্রথম ম্যাচ শুরু হবে ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু হবে। তবে শুক্রবার ম্যাচগুলো দুপুর ২টায় ও সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে। এবার ঘরোয়া এই টুর্নামেন্টে প্লে-অফ আর ফাইনালের জন্য থাকছে রিজার্ভ ডে। বিসিবি সূত্র জানিয়েছে, এবার বিপিএলে প্লে-অফ ও ফাইনালে যদি বৃষ্টি বা প্রাকৃতিক কারণে সময়ের মধ্যে ফল বের না করা যায়; তবে তা রিজার্ভ ডে-তে গড়াবে। তবে গ্রুপ পর্বে অমীমাংসিত ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি করবে দুই দল। এবারের আসরে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি দল দুর্দান্ত ঢাকা। এ ছাড়া গত আসরের ছয় ফ্র্যাঞ্চাইজি এবারও থাকছে। সেগুলো হলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, ফরচুন বরিশাল, সিলেট স্ট্রাইকার্স, রংপুর রাইডার্স ও খুলনা টাইগার্স।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়