• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
রাস্তায় বিরিয়ানি রান্না, এ কী দুর্দশা সুপারস্টারের (ভিডিও)
রাস্তার ধারে বিরিয়ানি রাঁধছেন দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির দাপুটে অভিনেতা অজিত কুমার। কয়েকদিন আগেই অস্ত্রোপচার হয়েছে তার। তারপরই হঠাৎ রাস্তার ধারে বিরিয়ানি রান্না করতে দেখা গেল অভিনেতাকে। ইতোমধ্যে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।  কী কারণে রাস্তার ধারে বিরিয়ানি রান্না করছেন অজিত? সত্যিই কি অর্থাভাব নাকি বিরিয়ানি তৈরির নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনো কারণ? এমন প্রশ্ন রীতিমতো ঘুরপাক খাচ্ছে অভিনেতার ভক্তদের মনে।  নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়— বড় মাপের একটি পাত্রে বিরিয়ানি রান্না করছেন অজিত। পাশে আরও কয়েকটি স্টোভ রয়েছে। স্তরে স্তরে মাংস সাজিয়ে, ভাজা পেঁয়াজ ভাতের উপরে ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন অজিত। ভাতের প্রতিটি লেয়ারও সুন্দর করে সাজাচ্ছিলেন তিনি। রাস্তার ওপর এভাবে তাকে বিরিয়ানি রান্না করতে দেখে রীতিমতো ভিড় জমায় সাধারণ মানুষ। জানা গেছে, বন্ধুদের সঙ্গে বাইক ট্রিপে গিয়েছিলেন অজিত। ওই ট্রিপের মাঝেই বন্ধুদের সঙ্গে বিরিয়ানি রান্নার প্ল্যানিং করেন তিনি। রীতিমতো ঘাম ঝরিয়ে বিরিয়ানি রান্না করতে দেখা গেছে অজিতকে। তবে এই ভিডিও থেকে এটা স্পষ্ট— দাপুটে অভিনেতা, ভিলেনের পাশাপাশি ভালো রাঁধুনিও তিনি।          প্রসঙ্গত, 'বিদা ময়ূর্চি' সিনেমার শুটিংয়ের জন্য আজারবাইজানে গিয়েছিলেন অজিত কুমার। অসুস্থতার কারণে কাজ শেষ হওয়ার আগেই দেশে ফিরে আসেন অভিনেতা। ছোট একটা অস্ত্রোপচারও হয় তার। চলতি মাসের শেষ দিকে আবার সিনেমাটির শুটিং শুরু করবেন অজিত। তার আগে বন্ধুদের সঙ্গে একটু কোয়ালিটি সময় কাটালেন এই অভিনেতা।    ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন সূত্র : এই সময়    
২২ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৯

রমজানের আলো নেই জেরুজালেমের রাস্তায়
বছরের এই সময়টায় রমজানের সাজে সেজে ওঠে জেরুজালেমের রাস্তা। গাজার সংঘাত সেই আলো কেড়ে নিয়েছে। রমজানের সময় পুরনো জেরুজালেম শহরের সরু সরু গলিগুলিতে অন্য সময়ের চেয়ে ভিড় বেশি থাকে। গলিতে লাগানো হয় আলোর মালা। কিন্তু এবার তার কোনো কিছুই নেই। বাতাসে কেবল একটিই চিন্তা, শেষপর্যন্ত কেমন যাবে এই রোজার মাস। উম আম্মার স্থানীয় বাসিন্দা। তিনি জানিয়েছেন, এবারের রমজানে কোনো উচ্ছ্বাস নেই। পুরনো জেরুজালেমে আল ওয়াদের রাস্তায় দেখা হয়েছিল তার সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন, সকলের মনে একটি বিষয়ই কেবল ঘুরছে, গাজার সংঘাত। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়ে দিয়েছে, এখনো পর্যন্ত ৩১ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। তার মধ্যে প্রচুর নারী ও শিশু আছে। পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠনগুলি আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, সেখানে কার্যত দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমরা তো ইফতার করব, কিন্তু গাজায় হয়তো হাজার হাজার মানুষ কিছু খেতেই পাবেন না। সেখানে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি। বলেছেন, উম আম্মার। তার কাছে এবারের রমজান শোকের। প্রতিদিন কিছু অসহায় মানুষের জন্য প্রার্থনা করার মাস। শুধু উম আম্মা নন, গোটা অঞ্চলে একইরকম ভাবনা ভেসে বেড়াচ্ছে। হাসিম তাহা মশলার দোকান চালান। তিনি বলেছেন, গাজায় যারা বসবাস করেন, তারা আমাদের লোক। তারা কষ্ট পাচ্ছেন। তা-ই আমরাও রমজানে কোনো আনন্দ করব না। রমজানের সময় পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত থাকবে বলে আশা করছেন অনেকে। কিন্তু একথা বলতে বলতেই তাহা সামনেই ইসরায়েলের পুলিশের দিকে আঙুল তোলেন। তার দোকান থেকে সামান্য দূরেই ইসরায়েল বর্ডার পুলিশের চেক পোস্ট। ফিলিস্তিনি যুবকদের আটকে তল্লাশি চালাচ্ছে তারা। তাহার বক্তব্য, জীবন দুর্বিসহ করে তুলছে ওই পুলিশেরা। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল হামাস। বহু মানুষের প্রাণ গেছিল। অসংখ্য মানুষকে হামাস আটক করে পণবন্দি করে। সেই তখন থেকে গাজায় অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলে। সব মিলিয়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। রমজানের সময় পবিত্র আল আকসা মসজিদের সামনে বহু মানুষ জড়ো হন। ওই মসজিদের সামনে তারা নামাজ পড়েন। ফেব্রুয়ারি মাসে ইসরায়েলের অতি দক্ষিণপন্থি দলের সদস্য তথা দেশের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির ওই মসজিদের সামনে জমায়েতে কড়াকড়ি জারি করেছেন। বস্তুত, এর আগে সেখানে সমবেত মানুষের সঙ্গে পুলিশের লড়াই হয়েছে। অশান্তি এড়াতেই ওই কড়াকড়ি জারি করা হয়েছে বলে ইসরায়েলের দাবি। কিন্তু ফিলিস্তিনিরা বিষয়টি ভালো চোখে দেখছেন না। তবে সম্প্রতি, গত ৫ মার্চ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর অফিস একটি নোটিস জারি করে। তাতে বলা হয়েছে, প্রথম সপ্তাহের জন্য মসজিদের সামনে জড়ো হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো কড়াকড়ি থাকবে না। প্রথম সপ্তাহে নিরাপত্তার বিষয়টি বুঝে নিয়ে দ্বিতীয় সপ্তাহে নতুন নিয়ম জারি করা হতে পারে। তবে ফিলিস্তিনিদের অভিযোগ, পূর্ব জেরুজালেমে বিশেষ করে দামাস্ক গেটের কাছে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা হচ্ছে। সেখানে ফিলিস্তিনি যুবকদের আটকে দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিম তীর থেকে মানুষেরা এখানে এসে প্রার্থনা করতে পারবেন কি না, তা-ও এখনো বোঝা যাচ্ছে না।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৭

রাস্তায় বসেই ইফতার করলেন ডিএমপি কমিশনার 
  রোজার প্রথম দিনে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান রাস্তায় বসেই ইফতার করেছেন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে রাজধানীর সোনারগাঁও ক্রসিংয়ে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে ইফতারে অংশগ্রহণ করেন। এ সময়  তিনি যানজট নিরসনে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। এর আগে বিকেলে তিনি তেজগাঁও থানার আয়োজনে দুস্থদের মধ্যে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, সোনারগাঁ ক্রসিং ঢাকা শহরের ব্যস্ততম একটি স্থান। এখান থেকে উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম সবদিকে গাড়ি যায়। সেই হিসেবে এখানকার অবস্থা সন্তোষজনক। ইফতারের ২০ মিনিট আগে দেখা গেছে রাস্তায় তেমন কোন চাপ নেই। ট্রাফিক ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কর্মব্যস্ত নগরবাসী কর্মস্থল থেকে নিরাপদে বাসায় ফিরে তাদের পরিবারের সঙ্গে ইফতার করতে পারেন, এ জন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক সদস্যদের সঙ্গে অতিরিক্ত জনবল মোতায়েন করা হয়েছে। মধ্য রমজান থেকে শপিং মল ও  মার্কেটগুলোর সামনে অতিরিক্ত যানজট সৃষ্টি হয়। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রমজানের ১০-১৫ দিন পর থেকে মানুষজন কেনাকাটায় বের হন। সে জন্য একটু যানযটের সৃষ্টি হয়। বেশির ভাগ মার্কেটেই পর্যাপ্ত পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নাই। আমরা সেখানে মার্কেট কমিটির লোকজন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ মিলে সেটি যাতে সহনীয় রাখা যায়, সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছি। এ সময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান, ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোস্তাক আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  
১২ মার্চ ২০২৪, ২১:৩০

অভাবের তাড়নায় শিশুকে রাস্তায় ফেলে গেলেন মা, ফিরিয়ে দিল পুলিশ
নীলফামারীর সৈয়দপুরে অভাবের তাড়নায় এক শিশুকে হাসপাতালের পাশের গলির রাস্তায় ফেলে যায় রেহেনা নামে এক গৃহবধূ। পরে যাচাই বাছাই শেষে শিশুটিকে উদ্ধার করে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।   সোমবার (১১ মার্চ) শিশুটিকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সৈয়দপুর থানার ওসি শাহ আলম। রোববার শিশুটিকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।  শিশুটির মা রেহেনা বেগম শহরের কামারপুকুর এলাকার ঈদগাহ ময়দান পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।   পুলিশের বরাতে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে শিশুটিকে হাসপাতালের গলির রাস্তায় কুড়িয়ে পান সেলিনা বেগম। এরপর শিশুটি অসুস্থ থাকায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। মানুষের মাঝে শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়ার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে বাচ্চার মা দাবি করে শিশুকে ফেরত নিতে আসেন রেহেনা বেগম। এরপর শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়ার বিষয়ে থানায় জিডি করেন ওই গৃহবধূ। তাদের দুজনকে শিশুটিকে নিয়ে থানায় ডাকেন পুলিশ। তারপর খোঁজখবর নিয়ে প্রকৃত মায়ের কাছে শিশুকে হস্তান্তর করা হয়।  শিশুর মা রেহেনা বেগম বলেন, আমার বাচ্চাটি হওয়ার পর তার বাবা আমার আর তার কোনো খোঁজখবর নেননি। অভাবের তাড়নায় শিশুটিকে আমি রাস্তায় ফেলে যাই। নিজের সন্তানকে ফেলে দেওয়ায় আমি অনুতপ্ত হই৷ পরে পুলিশকে জানালে তারা আমার শিশুকে আজকে ফেরত দেয়।  শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়া সেলিনা বেগম জানান, আমি শিশুটিকে কুড়িয়ে পেয়েছিলাম। শিশুটিকে অসুস্থ থাকায় তাকে আমি চিকিৎসা করিয়েছি। শিশুটি ভালো থাকুক তার মায়ের কাছে।  এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, একজন মা তার শিশুকে রাস্তায় ফেলে যায় এমন একটি খবর শুনতে পাই। পরে সেই শিশুকে কুড়িয়ে পাওয়ার বিষয়ে সেলিনা বেগম নামে একজন থানায় জিডি করেন। আমরা তদন্ত করে তার প্রকৃত মায়ের কাছে শিশুটিকে ফিরিয়ে দেই।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৪

অভাবের তাড়নায় শিশুকে রাস্তায় ফেলে গেলেন মা 
নীলফামারীর সৈয়দপুরে অভাবের তাড়নায় নিজের শিশুকে হাসপাতালের পাশের গলির রাস্তায় ফেলে যায় রেহেনা নামে এক মা।  শনিবার (৯ মার্চ) রাতে সৈয়দপুর থানায় শিশুটিকে নিয়ে আসেন কুড়িয়ে পাওয়া সেলিনা বেগম। এর আগে বৃহস্পতিবার শিশুটিকে কুড়িয়ে পায় তিনি। কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে এ শিশুটিকে কুড়িয়ে পায় সেলিনা বেগম। তবে শিশুটিকে নিজের সন্তান বলে দাবি করছেন শহরের কামারপুকুর ঈদগাহ এলাকার রেহেনা বেগম। স্বামীর অত্যাচারে আর অভাবে শিশুকে হাসপাতালের পাশের গলির রাস্তায় ফেলে যায় তিনি।  জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকালে কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে শিশুটিকে হাসপাতালের গলির রাস্তায় কুড়িয়ে পায় সেলিনা বেগম। এরপর শিশুটি অসুস্থ থাকায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। এরপর মানুষের মাঝে শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়ার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে বাচ্চার মা দাবি করে শিশুকে ফেরত নিতে আসেন রেহেনা বেগম। এরপর শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়ার বিষয়ে থানায় জিডি করেন ওই গৃহবধূ। আজকে তাদের দুজনকে শিশুটিকে নিয়ে থানায় ডাকেন দায়িত্বরত কর্মকর্তা৷  বাচ্চার মা দাবি করা রেহেনা বেগম জানায়, আমার বাচ্চাটি হওয়ার পর তার আর আমার কোন খোজ খবর নেয়না আমার স্বামী। আমার বাচ্চা হওয়ার পর কয়েকদিন না খেয়ে ছিলাম। তারা বলে এটা অন্যের ছেলে এজন্য তারা আমাকে খাবার দেয় না। আমি অভাবের তাড়নায় শিশুকে ফেলে দিয়েছি। এখন আমি আমার শিশুকে ফেরত চাই৷  বাচ্চা কুড়িয়ে পাওয়া সেলিনা জানায়, আমি কাজ শেষ করে বাসায় যাচ্ছিলাম এ সময় শিশুটিকে দেখতে পাই৷ তারপর শিশুটিকে কুড়িয়ে নিয়ে হাসপাতাল যাই। বাচ্চাটি খুব অসুস্থ ছিলো তারপর তার চিকিৎসা করার পর সে কিছুটা সুস্থ হয়েছে। এখন যাকে ফেলে দিয়েছে এটা তার বাচ্চা আমি বুঝব কিভাবে। আমি বাচ্চাটিকে কুড়িয়ে পেয়েছি তাকে আমি রাখতে চাই।  স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলার রুবিনা বেগম জানায়, আমি শুনেছি উনি বাচ্চাটিকে কুড়িয়ে পায়। তারপর হাসপাতালে গিয়ে বাচ্চাটিকে কাপড় কিনে দেয়, তারপর থানায় এসে জিডি করি। আজকে থানায় ডেকেছে পুলিশ এখানে এসে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত করবে শিশুটি কার। আমি চাই প্রকৃত মালিককে শিশুকে ফেরত দেওয়া হোক।  এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ বলেন, থানায় সবাইকে ডাকা হয়েছে, তদন্ত করে শিশুটিকে তার প্রকৃত মালিক বা মায়ের হাতে তুলে দিব।
১০ মার্চ ২০২৪, ১০:১৯

যানজট কমাতে রাস্তায় পে-পার্কিং চালু করতে যাচ্ছে চসিক
চট্টগ্রাম নগরীতে যানজট কমাতে শহরের রাস্তায় পে-পার্কিং ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ। এ ব্যবস্থায় টাকার বিনিময়ে সড়কের পাশে গাড়ি পার্কিং করতে দেওয়া হবে চালকদের। এতে বন্দর নগরীর যানজট কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ও সংশ্লিষ্টদের।  রোববার (৩ মার্চ) চসিক সম্মেলন কক্ষে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর উপস্থিতিতে এই পে-পার্কিং চালুর জন্য সমঝোতা চুক্তিতে সই করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ও বি-ট্র্যাক সলিউশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম তানভীর সিদ্দিকী। চসিক জানায়, আগামী ৭ মার্চ থেকে নগরীর নির্ধারিত স্থানে পে-পার্কিং চালুর জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করবে বি-ট্র্যাক সলিউশন। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পে-পার্কিং চালু করতে পারবে বলে আশা করছে তারা। যানজট কমাতে নগরীর প্রত্যেকটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পে-পার্কিংয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মন্তব্য করে মেয়র রেজাউল করিম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নগরীতে যে যানজট লেগে আছে, তা নিরসনের জন্য চসিক ও সিএমপি ট্রাফিক বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে আপাতত আগ্রাবাদ এলাকায় পে-পার্কিংয়ের পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বি-ট্র্যাক সলিউশনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এ চুক্তি সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়িত হলে পরবর্তীতে আরও পে-পার্কিং প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, নগরের নিউ মার্কেট এলাকায় ফুটপাতগুলো অবৈধ দখল মুক্ত করে সেখানে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ চলছে। নগরবাসী যেন ফুটপাতে অবাধে ও নিরাপদভাবে চলতে পারে সেজন্য কঠোর নজরদারি আছে চসিকের।  সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরকালে চসিক মেয়র ও প্রধান নির্বাহী ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমী এবং প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ও মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম।  
০৪ মার্চ ২০২৪, ০৪:০৯

রাস্তায় দাঁড়িয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন এমপি
বিশ্বের নবম ধীরগতির ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নিজেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাজ করেছেন ময়মনসিংহ-৪ সদর আসনের সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্ত।  এ সময় তিনি সড়কের মাঝে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে দুপাশে চলাচল করা যান নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সোমবার (১৯ ফ্রেব্রুয়ারি) নগরীর ত্রিশাল বাসস্ট‍্যান্ড সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন এই সংসদ সদস্য। ভিডিওতে দেখা যায়, সড়কে চলাচলরত এলাকাবাসীর সঙ্গেও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। এর আগে রোববারও সড়কের যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন মোহিত উর রহমান শান্ত।  এ দৃশ‍্যে দেখে উচ্ছ্বসিত নগরবাসী। তারা বলেন, এমপি শান্ত এ শহরের সন্তান। এ শহরের প্রতি তার দরদ অনেকটাই বেশি। স্থানীয়রা বলেন, মোহিত উর রহমান শান্তের প্রয়াত বাবা প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান এ আসনের সংসদ সদস্য ও ধর্মমন্ত্রী ছিলেন। তিনিও এ সদরের মানুষের জন‍্য আজীবন কাজ করে গেছেন। তার ছেলে পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন এটাই স্বাভাবিক।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:১৮

৯ মাসের শিশুকে রাস্তায় ফেলে পালায় চোর
লক্ষ্মীপুরে গভীর রাতে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কম্বল মোড়ানো একটি শিশুকে দেখতে পান এক পথচারী। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধারের পর পুলিশ তার পরিচয় শনাক্ত করে। এরপর মাকে থানায় ডেকে নিয়ে শিশুটিকে তার কোলে তুলে দেওয়া হয়।   পুলিশ জানায়, রাস্তায় পড়ে থাকা শিশুটির নাম মালিহা ইসলাম ওহি। তার বয়স মাত্র ৯ মাস। তার মায়ের নাম মরিয়ম বেগম। গত চারদিন আগে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ অগ্রণী স্কুলের ক্যাম্পাস থেকে তাকে চুরি করে নিয়ে যায় অজ্ঞাত এক নারী।   এ বিষয়ে কমলনগর থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল জলিল বলেন, রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে থানার কাছে উপকূল কলেজের পেছনে মাটির রাস্তা দিয়ে জনৈক পথচারী ইউছুপ বাড়ি যাওয়ার সময় কম্বল মোড়ানো একটি শিশুটি দেখতে পান। তিনি চিৎকার দিয়ে লোকজন জড়ো করেন। পরে এলাকার লোকজন থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে। তার পরিচয় নিশ্চিত করা গেছে। এর আগে শিশুর মা থানায় একটি জিডি করেছিলেন। সে সূত্রে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছিল।   শিশু মালিহার মা মরিয়ম বেগম বলেন, গতরাত ১২টার আগ পর্যন্ত আমরা থানায় ছিলাম। সেখান থেকে বাড়ি আসার ১০ মিনিটের মাথায় থানা থেকে আমাদের কাছে ফোন আসে। থানায় গিয়ে আমার মেয়েকে দেখতে পাই। পরে আমার কাছে মালিহাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।   এদিকে পুলিশ ঘটনাস্থলের একটি বিদ্যালয়ের ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা যাচাই করে দেখতে পায় মাথায় লাল হিজাব, মুখে মাস্ক ও কালো বোরকা পরিহিত এক নারী শিশুটিকে কোলে নিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে। বাজারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরা যাচাই করেও একই দৃশ্য দেখা গেছে।  
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৯

নোয়াখালীতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে রাস্তায় দাঁড়ালেন এলাকাবাসী
নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চর বৈশাখী বধূগঞ্জ এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।   শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চর বৈশাখী বধূগঞ্জ এলাকায় তারা এ কর্মসূচি পালন করে। এতে এলাকার জনপ্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, গৃহবধূ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অশোক বিক্রম চাকমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এর সত্যতা পেয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ রাখতে আদেশ দেন। একই সঙ্গে সরঞ্জামাদি স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় দেন। কিন্তু কয়েকদিন পর তারা পুনরায় স্থানীয় প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে সেখান থেকে বালু উত্তোলন শুরু করেন। এতে ৭০০-৮০০ পরিবার হুমকির মধ্যে পড়বে। এ ছাড়া একই গ্রামের সরকারি সড়ক, স্কুল, কবরস্থান এবং বিভিন্ন স্থাপনা বিলীন হয়ে যাবে।   ইউপি সদস্য তানভীর উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ঢাকা গ্রুপ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গত ২০-২৫ দিন ধরে কৃষি জমি, বাড়ি এবং সরকারি সড়কের পাশে তাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। সেখান থেকে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করার কথা হয়েছে। তারা আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে বালু উত্তোলন পুনরায় শুরু করেছে।   অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা গ্রুপের ম্যানেজার গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা না বলে এড়িয়ে যান।    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইব্রাহীম রানা, সমাজসেবক জাহাঙ্গীর আলম, গৃহবধূ মিনারা বেগম প্রমুখ।   সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আল আমিন সরকার বলেন, ঘটনাস্থলে একবার সহকারী কমিশনার ভূমি অভিযান চালায়। তখন তিনি বালু উত্তোলন বন্ধ করে সরঞ্জামাদি স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রেখে আসেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ইউএনও বলেন, ভূমির মালিক বালু উত্তোলন করার জন্য জেলা প্রশাসকের থেকে অনুমতি নিয়েছে কিনা আমি জানিনা। জেলা প্রশাসক বালু উত্তোলনের অনুমতি দিলে তারা তাদের জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করতে পারবে। তবে বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে বিষয়টি আমি দেখব।  
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৬

ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তায় দুর্ঘটনার কবলে নোবিপ্রবির বাস
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের বহনকারী বিআরটিসির নয়নতারা নামের একটি লাল বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মাইজদী থেকে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে বিআরটিসি নয়নতারা বাসাটি সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। পথে সোনাপুর এলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের অর্ধেক অংশ রাস্তার বাইরে চলে যায়। এসময় বাসটিতে থাকা পাঁচ-ছয়জন শিক্ষার্থী আহত হন। এ ছাড়া ভয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন কয়েকজন। গাড়িতে থাকা নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী শহীদুর রহমান বলেন, আমাদের নিয়ে গাড়িটি মুহূর্তে রাস্তার বাইরের দিকে কাত হয়ে যায়। তবে অল্পের জন্য আমরা সবাই প্রাণে বেঁচে যাই। গাড়িটি পুরোপুরি পানিতে পড়তে পারেনি। নোবিপ্রবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আমাদের শিক্ষার্থীরা বেঁচে ফিরেছে। আমরা লোক পাঠিয়েছি। সার্বিক দিক বিবেচনায় পরবর্তী ব্যবস্থা নেব। নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, এখানে ড্রাইভারের ভুল ছিল সে অন্য গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে বাসটি রাস্তার বাইরে নামিয়ে দেয়। ড্রাইভারকে শোকজ করা হবে এবং পরবর্তীতে তার অপরাধ প্রমাণিত হলে তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, বিষয়টি পর্যালোচনা করে বিআরটিসি বাসের বিষয়ে আমরা অতিদ্রুত একটি সিদ্ধান্ত নেব এবং রাস্তাটি সংস্কার করতে আমরা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়