• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘ঈদের পরই পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদামে চিরুনি অভিযান’
পুরান ঢাকায় অবৈধ রাসায়নিক গুদামগুলোতে ঈদুল ফিতরের পরে চিরুনি অভিযান চালানো হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) অডিটোরিয়ামে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। মেয়র তাপস বলেন, আইন অনুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে সেখানে স্থানান্তরিত হতে হবে ব্যবসায়ীদের। না হলে ঈদের পরে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। তিনি বলেন, পুরান ঢাকা আমরা আর ঝুঁকিপূর্ণ রাখতে পারি না। কিছুদিন আগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এবং এটা প্রতিনিয়ত ঘটছে। ইতোমধ্যে রাসায়নিক দ্রব্যাদি স্থানান্তরের জন্য যে গুদামঘর, কারখানা প্রয়োজন তা শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে শ্যামপুরে শিল্পাঞ্চলে করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত সেখানে মাত্র একজন গিয়েছেন। আমরা তাকে বাণিজ্য অনুমতি (ট্রেড লাইসেন্স) দিয়েছি। আরেকজন আবেদন করেছেন। সেটাও আমরা করে দিচ্ছি।   তিনি আরও বলেন, আমাদের তালিকাভুক্ত এক হাজার ৯২৪টি রাসায়নিক দ্রবাদির গুদাম ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সেখানে রয়েছে। আমরা ২০১৭ সালের পর থেকে সেসব প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন বন্ধ রেখেছি। তারপরও আপনারা বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে সেখানে ব্যবসা করছেন।   মেয়র তাপস বলেন, পুরান ঢাকায় ভবনের ওপরে অনেকেই আবাসন হিসেবে ব্যবহার করেন, আবার নিচে গুদামঘর। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক। তাই প্রয়োজনে সেসব ভবন সিলগালা করে বিদ্যুৎ-পানি বন্ধ করে দেওয়া হবে। এতে পুরো ভবন বন্ধ হয়ে যাবে। তখন যে ভোগান্তি হবে সেজন্য সিটি করপোরেশনকে দোষারোপ করা যাবে না।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫২

এক যুগ পর রাসায়নিক গুদামের ট্রেড লাইসেন্স দিলো দক্ষিণ সিটি
নিমতলী ও চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডের পর পুরান ঢাকা থেকে শ্যামপুরে স্থানান্তরিত হওয়ায় একটি প্রতিষ্ঠানকে ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এর ফলে দীর্ঘ এক যুগ পর রাসায়নিক গুদাম হিসেবে প্রথম কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্য করার অনুমতি দিলো দক্ষিণ সিটি।   রোববার (৩ মার্চ) ডিএসসিসির জনসংযোগ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক রাজধানীর শ্যামপুরে বাস্তবায়িত ‘অস্থায়ী ভিত্তিতে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য নির্মিত গুদাম’ প্রকল্পে স্থানান্তরিত হওয়ার প্রেক্ষিতে ‘মেসার্স রয়েল টন লেকার কোটিং’ নামে রাসায়নিক প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।  শ্যামপুরে স্থানান্তরিত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবসার অনুমতি নবায়নের আবেদন করা হলে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানকে নবায়নকৃত ট্রেড লাইসেন্স দেয় ডিএসসিসি। এ প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘শ্যামপুরে গুদাম স্থানান্তরিত করায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি, তাদের পথ অনুসরণ করে সব রাসায়নিক গুদাম ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও সেখানে স্থানান্তরিত হবে। নিরাপদ হবে আমাদের পুরান ঢাকার সামগ্রিক পরিবেশ।’ রাসায়নিক গুদাম যারা স্থানান্তরিত করবে না, পর্যায়ক্রমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শ্যামপুরে অস্থায়ী ভিত্তিতে যে রাসায়নিক গুদামগুলো নির্মাণ করা হয়েছে, সেখানে অগ্নিনির্বাপনের আধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া খোলামেলা পরিবেশ থাকায় সেখানে ঝুঁকির মাত্রাও অনেক কম। পাশাপাশি এসব রাসায়নিক গুদাম ও প্রতিষ্ঠানকে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ৩১০ একর জায়গার ওপরে যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, তা প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।’ মিজানুর রহমান আরও বলেন, জননিরাপত্তার জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টিকারী এসব রাসায়নিক গুদাম ও প্রতিষ্ঠান যদি সেখানে স্থানান্তরিত না হয়, তাহলে আমরা সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করব।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১০:২৫

ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার, মিষ্টি কানন সুইটসকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা
ময়মনসিংহ নগরীর দুর্গবাড়ী রোড এলাকায় মিষ্টা কাননের কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এ সময় মিষ্টি তৈরিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহারসহ নানা অসঙ্গতি পাওয়ায় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভ্রাম্যমাণ আদালত এই জরিমানা করেন। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাসীর হাসান এই অভিযান পরিচালনা করেন।   জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মির্জা শাহরান হোসাইন এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মিষ্টি কানন সুইটস কারখানাতে অভিযান পরিচালনা করে দেখা যায় তারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি তৈরি করছে। এ সময় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তাদের তৈরী মিষ্টিতে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক ও কাপড়ে দেওয়ার রং ব্যবহারসহ নানা ধরনের অসঙ্গতি পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে এই জরিমানা আদায় করে।   তিনি আরও জানান, খাদ্য তৈরী ও বিপননে কোনো ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না। আগামী রমজান মাসজুড়ে এই অভিযান চলমান থাকবে। অভিযানে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তাবৃন্দসহ র‌্যাব-১৪ এর কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়