• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলো আরও একটি দেশ
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের মধ্যেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ জ্যামাইকা।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) জ্যামাইকা সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে আলজাজিরা ও মেহের নিউজ এজেন্সি। গাজায় ইসরায়েলের ব্যাপক আগ্রাসন এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অনবরত গভীর মানবিক সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জ্যামাইকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, জাতিসংঘ সনদের প্রতি জ্যামাইকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির সঙ্গে মিল রেখে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাশাপাশি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের কথা বলা হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামিনা জনসন স্মিথ বলেছেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান দেখতে চায় তার দেশ। আর সেটা সামরিক পদক্ষেপের পরিবর্তে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে হতে হবে বলেই মত তার। প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হলে দীর্ঘদিনের ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনে আবারও আলোচনায় আসে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের বিষয়টি। ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র পাশাপাশি শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করবে, সেটাই দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের মূলকথা। এরই অংশ হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে আসছে। এসব দেশের তালিকায় এবার যোগ হলো জ্যামাইকার নাম।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৪

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ইঙ্গিত অস্ট্রেলিয়ার
শান্তি ফেরানোর বিষয়ে দ্রুততা আনতে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। তবে সেক্ষেত্রে সরকার চালানোয় হামাসের যে কোনও ভূমিকা থাকতে পারবে না সে বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিরোধী দল এবং জায়নিস্ট ফেডারেশন অব অস্ট্রেলিয়া অবশ্য ভিন্নমত পোষণ করে। তাদের মতে, ফিলিস্তিনের বিষয়ে নেওয়া অস্ট্রেলিয়ার এ ধরনের সিদ্ধান্ত হবে অপরিপক্ক পদক্ষেপ। ক্যানবেরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে, ইসরায়েলের সঙ্গে মধ্যস্থতার মাধ্যমে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের অংশ হিসেবেই একমাত্র ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি আসতে পারে। তবে পেনি ওংয়ের মন্তব্যে কিন্তু এই বছরের গোড়ার দিকে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের একটি বক্তব্যের প্রতিফলন দেখা গেছে। সে সময় ডেভিড ক্যামেরন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ইসরায়েলের সমর্থন ছাড়াই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাজ্যও। গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। ইসরায়েলি বিমান হামলায় একজন অস্ট্রেলিয়ান ত্রাণকর্মী এবং আরও ছয়জন নিহত হওয়ার ঘটনাতেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাতে তার ভাষণে পেনি ওং জানিয়েছেন ‘সহিংসতার অন্তহীন চক্র’ ভাঙতে একমাত্র আশার আলো হতে পারে দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধান যেখানে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিরা পৃথক দেশে পাশাপাশি বসবাস করবে। তিনি বলেছেন, এই পন্থা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে দশকের পর দশক ধরে চলে আসা ব্যর্থতা এবং তার পাশাপাশি নেতানিয়াহু সরকারের ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করতেও অস্বীকার করা ব্যাপক হতাশার সৃষ্টি করেছে। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রশ্নকে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের দিকে গতি বাড়ানোর উপায় হিসেবে বিবেচনা করছে। বিরোধীদের পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র সাইমন বার্মিংহাম বলেছেন যে তারা এই পদক্ষেপকে সমর্থন করে না এবং প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজের সরকার ‘কয়েক দশক ধরে চলে আসা দ্বিপাক্ষীয় অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্রনীতি ভঙ্গ করার’ হুমকি দিচ্ছে। এক বিবৃতিতে সাইমন বার্মিংহাম বলেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে আগাম স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আলবানিজ সরকারের যুক্তিতে নিরাপত্তার আগে রাষ্ট্রকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যে সন্ত্রাসীরা বর্তমানে এই ভয়াবহ সংঘাতের সূচনা করেছে এতে তাদেরই জয় হবে। জায়নিস্ট ফেডারেশন অব অস্ট্রেলিয়ার প্রেসিডেন্ট জেরেমি লেবলার বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির যেকোনো আলোচনার জন্য এখনও সঠিক সময় আসেনি। তিনি বলেন, রাষ্ট্র গঠনের কোনো আলোচনা বিশ্বাসযোগ্য হওয়ার আগে হামাসকে অবশ্যই অপসারণ করতে হবে এবং ফিলিস্তিনি নেতৃত্বের একটি নতুন প্রজন্মের উত্থান ঘটাতে হবে, যারা দুর্নীতিগ্রস্ত নয়, সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেবে না এবং ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকারকে স্বীকৃতি দেবে। অন্যদিকে, পেনি ওং জানিয়েছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিলে ‘শত্রুকে পুরস্কৃত’ করা হবে এই দাবি ‘ভুল’। তার মতে ইসরায়েলের নিরাপত্তা দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের ওপর নির্ভর করে এবং রাষ্ট্রের স্বীকৃতি হামাসকে দুর্বল ও দূরে সরাতে সাহায্য করবে। প্রায় ১৪০টি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিলেও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়া-সহ অনেক দেশ তা স্বীকার করে না। বর্তমানে ‘পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ হিসেবে থাকা ফিলিস্তিনকে আন্তর্জাতিক সংস্থার পূর্ণ সদস্যপদ দেয়ার বিষয়টা বিবেচনা করতে চলেছে জাতিসংঘ। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাতই অক্টোবর হামাস নেতৃত্বাধীন হামলায় যাতে প্রায় ১২০০ জন নিহত এবং ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি নেওয়া হয়েছিল তার উত্তরে ইসরায়েলের পাল্টা আক্রমণ চালায়। এর ফলে ৩৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। যুদ্ধ বিধ্বস্ত অঞ্চলটির বিরাট অংশ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এবং বহু ফিলিস্তিনি খাবারের দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনা চললেও এর সমাধানের জন্য তা কোন চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে তবে আন্তর্জাতিক চাপ ক্রমশ বাড়ছে। সূত্র : বিবিসি বাংলা
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৬

বাংলাদেশকে তাঁবেদার রাষ্ট্র বানিয়েছে আওয়ামী লীগ : রিজভী
অন্য দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে আরেকটা স্বাধীন দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী হত্যা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। বরং এটির সঙ্গে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন জড়িত। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি, শেখ হাসিনার ক্ষমতা লোভের ফলে নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশ আজ তাঁবেদারি রাষ্ট্র বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল (সোমবার) যশোর সীমান্তের ধান্যখোলা বিওপি জেলেপাড়া পোস্ট সংলগ্ন এলাকায় ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে মোহাম্মদ রইশুদ্দীন নামে এক বিজিবি সদস্য নিহত হয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।  রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের অভ্যন্তরে মানুষের নিরাপত্তা নেই, সীমান্তে কী বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা রয়েছে। এতদিন দেখেছি ভারতীয় বিএসএফের হাতে সাধারণ বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। এখন দেখছি সীমান্তে বিজিবিরও নিরাপত্তা নেই। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ক্ষমতাসীন সরকারের আচরণ এখন আর বন্ধুপ্রতিম নয়, বন্দুকপ্রতিম।’ তিনি দাবি করেন, ‘ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত ‘ডামি সরকার’ এখন ‘ডামি সংসদ’র জন্য ‘ডামি বিরোধী দল’ খুঁজছে।’ বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, একজন মাত্র ব্যক্তির ক্ষমতালিপ্সার কারণে দেশের পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে আস্থাহীন, অকার্যকর ও হাস্যকর করে ফেলা হয়েছে। জনগণের ভোট ছাড়াই যেহেতু ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকা যায়, ফলে জনগণের কাছে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই। ডামি সরকার অবৈধ ক্ষমতার উষ্ণতা অনুভব করলেও দেশের অধিকাংশ মানুষ এখন অসহায়। তিনি আরও বলেন, মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে শীতার্ত মানুষ কীভাবে গরম কাপড় জোগাড় করবে এমন প্রশ্ন তোলেন রিজভী। বলেন, এই মানুষগুলোর ব্যাপারে দুর্নীতিবাজ সরকার উদাসীন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানুষ মুখ খুললে তাদের পেছনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। হামলা-মামলায় জর্জরিত গণতন্ত্র কামী মানুষ।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:১২

রাষ্ট্র আজ ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে : সাকি
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি একতরফা ও নজিরবিহীন দখল কায়েমের ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে দেশকে এমন জায়গায় ঠেলে দেওয়া হয়েছে, রাষ্ট্র আজকে ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এরা আসলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার নামে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা গণতন্ত্র ও সার্বজনীন ভোটাধিকারকেই ধ্বংস করেছে। শনিবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে শহীদ আসাদ স্মৃতিফলকে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন । সাকি বলেন, ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদের জীবন দান এ অঞ্চলের গণমানুষের মধ্যে এমন এক চেতনার উত্থান ঘটিয়েছিল, আইয়ুব খানের মতো স্বৈরশাসকেরও পতন নিশ্চিত হয়েছিল। শুধু তাই নয়, এ গণঅভ্যুত্থানের ভেতর দিয়েই ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের জমিন তৈরি হয়েছিল। জোনায়েদ সাকি বলেন, শহীদ আসাদের চেতনায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে সার্বভৌম ও আত্মমর্যাদাসম্পন্ন দেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের লক্ষ্যে সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, শহীদ আসাদ শুধু একজন রাজনীতি সচেতন ছাত্র আন্দোলনের নেতাই ছিলেন না, তিনি কৃষক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। মওলানা ভাসানীর ডাকে যখন এ দেশের বঞ্চিত নিপীড়িত কৃষক জনতা একের পর এক ঘেরাও ও হাট-হরতাল পালন করছিলেন, সে সময় শহীদ আসাদ এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে নিবিড়ভাবে যুক্ত ছিলেন। এ কারণেই শহীদ আসাদের জীবন দান সে লড়াইয়ের প্রেরণাকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়, সারা দেশে বিদ্রোহের দাবানল সৃষ্টি হয় ও সামরিক শাসক জেনারেল আইয়ুবের পতন হয়। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এবং ’৬৯-এর গণঅভ্যূত্থানের ৫৫ বছর পর এসে মুক্তিযুদ্ধের যে অঙ্গীকার ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার-তা এমনভাবে ভূলুণ্ঠিত হয়েছে, মানুষকে ন্যূনতম ভোটাধিকার রক্ষার জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে। এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জাতীয় পরিষদের সদস্য সেন্টু খান, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ডসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:৩০

রাষ্ট্র নায়কের দেওয়া দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করাটাই বড় বিষয় : দীপু মনি
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, একজন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা তার একজন সহকর্মীকে যে দায়িত্ব দেবেন, আমি মনে করি সেটি তার জন্য সঠিক। সে সেই দায়িত্ব কতটা সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করল সেটি বড় বিষয়। অতীতে আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি এবং তার আত্মবিশ্বাসের মর্যাদা দিতে এবং সেই চেষ্টা অব্যাহত রাখবো ইনশাআল্লাহ। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে চাঁদপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত কার্যকরী কমিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডা. দীপু মনি বলেন, আমাদের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় একেবারে প্রান্তিক মানুষের সেবায় অনেক কাজ করার সুযোগ আছে। প্রান্তিক মানুষকে সহায়তা করা, তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং উন্নয়নের মাধ্যমে তাদেরকে গুছিয়ে মূলধারায় নিয়ে আসার; নতুন অনেক চিন্তাভাবনার সুযোগ রয়েছে বলে আমি মনে করি। মন্ত্রী বলেন, আমি সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। আজ থেকে ২৫ বছর আগে চাঁদপুরের তৎকালীন সংবাদিকদের সঙ্গে বসে আমি কাজ শুরু করেছি। দীর্ঘ এই পথ চলায় আপনারা আমাকে সহযোগিতা করেছেন এবং তা অব্যাহত আছে। মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত। সাবেক সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহর সঞ্চালনায় অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান। প্রেস ক্লাব নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন, সাবেক সভাপতি জালাল চৌধুরী, বিএম হান্নান, শহীদ পাটওয়ারী, গিয়াস উদ্দিন মিলন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা, সোহেল রুশদী, টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আল-ইমরান শোভন, সাধারণ সম্পাদক কাদের পলাশ ও প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ তালহা জুবায়ের ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ওমর পাটওয়ারী। চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক মাসুদা নুর, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিন মিজিসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়