• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ইসরায়েলে ইরানের হামলা / মুখ খুলল রাশিয়া
ইসরাইলে ইরানের নজিরবিহীন হামলার পর রোববার (১৪ এপ্রিল) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে অবৈধভাবে ইসরায়েলের হামলায় নিরাপত্তা পরিষদ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়াতেই তেহরান হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া।  দেশটির রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া জানান, নিরাপত্তা পরিষদ সহিংসতাকে উসকে দিয়েছে। ১৩ এপ্রিল যা ঘটেছে তা এমনি এমনি হয়নি। দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলার ঘটনায় পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণেই তেহরান ইসরায়েলে হামলা করেছে। এদিকে, বিশেষ জরুরি এই বৈঠকে একে অপরকে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করেছে ইরান ও ইসরায়েল। পাশাপাশি দুটি দেশই একে অপরকে ‌‌‘চিরশত্রু’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। বৈঠকে ইসরায়েলের দূত জিলাড আরডান ইরানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এই হামলার মধ্য দিয়ে ইরানের মুখোশ খুলে গেছে। ইরান হলো বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসী তৎপরতার মদতদাতা। তাদের সত্যিকার চেহারা এখন সবার সামনে।  এ সময় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে দ্রুত তাদের ওপর সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানান ইসরায়েলের দূত। একইসঙ্গে তেহরানের বিরুদ্ধে পুনরায় আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান তিনি। অন্যদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাইদ ইরাভানি বলেন, ইরান আত্মরক্ষার সহজাত অধিকার চর্চা করছে। নিরাপত্তা পরিষদ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আত্মরক্ষায় সাড়া দেওয়া ছাড়া ইরানের সামনে আর কোনো উপায় ছিল না। তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে অবশ্যই গাজা উপত্যকায় গণহত্যা বন্ধে জরুরি ব্যবস্থা হিসেবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। এর আগে, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে সরাসরি দায়ী করেছে ইরান। হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলের দাবি, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র গুলো ইসরাইলের আকাশসীমায় পৌঁছানোর আগেই ভূপাতিত করা হয়েছে। শতাংশ হামলাই প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ইরান বলছে,হামলায় ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমান ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজার ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যা করে হামাস। পাশপাশি জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে। এরপর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দখলদারদের এমন হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ২৪ হাজারের বেশি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২০ লাখ মানুষ। ২২৯টি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩৪

জেলেনস্কিকে হত্যার চেষ্টা হয়নি: রাশিয়া
সম্প্রতি জেলেনস্কি থাকাকালীন ইউক্রেনের ওডেসায় হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া। ইউক্রেনের অভিযোগ, প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ইউক্রেনের ওডেসায় গেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ভলোদিমির জেলেনস্কি। যুদ্ধে ওই অঞ্চলের অবস্থা দেখাতেই তিনি সেখানে গ্রিসের প্রেসিডেন্টকে নিয়ে গেছিলেন। তাদের গাড়ির কনভয়ের মাত্র ৫০০ মিটার দূরে মিসাইল হামলা চালায় রাশিয়া। ইউক্রেনের অভিযোগ, জেলেনস্কি এবং গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করতেই এই আক্রমণ চালানো হয়। কিন্তু রাশিয়া তা অস্বীকার করেছে। রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেডভেডেভ জানিয়েছেন, রাশিয়া চাইলে জেলেনস্কির গাড়ির উপরেই হামলা চালাতো, গাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে নয়। জেলেনস্কিকে হত্যার জন্য ওই আক্রমণ চালানো হয়নি। ইউক্রেন অবশ্য রাশিয়ার এই বক্তব্য মানতে নারাজ। এদিকে মলডোভার প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সে গিয়ে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। জানিয়েছেন, শুধু ইউক্রেন নয়, প্রতিটি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেই একইরকম ব্যবহার করছে পুটিনের রাশিয়া। যে কোনো সময় তাদের উপরেও আক্রমণ নেমে আসতে পারে। ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানো নিয়ে জার্মানিতে ভোট জার্মান পাবলিক ব্রডকাস্টার এআরডি সম্প্রতি একটি জনমত সমীক্ষা করেছিল। সেখানে প্রশ্ন করা হয়েছিল, জার্মানির তৈরি দূরপাল্লার মিসাইল টরাস ইউক্রেনকে দেওয়া উচিত কি না। জার্মান চ্যান্সেলর দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। তবে সম্প্রতি জার্মান সেনার একটি কথপোকথন প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে বলা হচ্ছে, ইউক্রেনকে এই মিসাইল পাঠানো হবে। এআরডি-র সমীক্ষা অনুযায়ী ৬১ শতাংশ জার্মান মনে করেন ওই অস্ত্র ইউক্রেনকে দেওয়া উচিত নয়। কারণ, এরপর রাশিয়া জার্মানিতে হামলা চালালে তা প্রতিহত করার যথেষ্ট ক্ষমতা জার্মানির নেই। বস্তুত, ৭৪ শতাংশ মানুষ মনে করেন জার্মানির প্রতিরক্ষা খরচ বাড়ানো উচিত। ওই খাতে বাজেট অনেকটাই বৃদ্ধি করা উচিত। যদিও মাত্র ৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন, এই খরচ মানুষের উপর কর চাপিয়ে করা উচিত। অধিকাংশের বক্তব্য, অন্যখাতে খরচ কমিয়ে অথবা ধার নিয়ে একাজ করা দরকার। মানুষের উপর আরো করের বোঝা চাপিয়ে নয়। ২৯ শতাংশ মানুষ অবশ্য মনে করেন, টরাস মিসাইল ইউক্রেনকে দেয়া উচিত। এরমধ্যে অধিকাংশই গ্রিন এবং এফডিপি দলের সমর্থক। বস্তুত, এই দুই দলও তা-ই মনে করে।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫৮

অর্থনীতিতে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ হচ্ছে রাশিয়া
বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করছে রাশিয়া। সেখান থেকে আরও গম আমদানির পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ। গত বছর বাংলাদেশে ২.৭ মিলিয়ন টন গম রপ্তানি করেছিল রাশিয়া।  এছাড়া বাংলাদেশে সার রপ্তানিও বাড়িয়েছে দেশটি। পাশাপাশি পশ্চিম এশিয়ায় পরিশোধিত করার পর বাংলাদেশ বর্তমানে রাশিয়ার তেল আমদানি করছে। এছাড়া রাশিয়ার প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রম দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমে জড়িত। রাশিয়ার আর্থিক সহায়তায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। চলতি বছরের মধ্যেই প্লান্টের প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে জোর আশা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের প্রায় ৮৫% কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। ওই স্থাপনার জন্য মস্কো ১১.৩৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে।  রাশিয়ান বিনিয়োগকারীরা এখন বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকও আমদানি করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন রুশ কূটনীতিকরা। রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন, অনেক আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ২০২২ সাল থেকে রাশিয়া ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় বাংলাদেশসহ ব্যবসার নতুন উৎস খুঁজছে রাশিয়া। এখানে রাষ্ট্রীয় এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন আলেকজান্ডার মানটিটস্কি। তিনি আরো বলেন, রাশিয়ার কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের সাথে আইসিটি, ফার্মাসিউটিক্যালস, স্পেস টেকনোলজি, জিওলজিক্যাল সার্ভে, মেরিটাইম, রেলওয়ে এবং এয়ার ট্রান্সপোর্টেশনে যৌথ উদ্যোগ নিতে প্রস্তুত। ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়া আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সিস্টেম সুইফট থেকে বাদ পড়ে। পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাপক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। পেমেন্ট সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধানে বিকল্প না থাকায় রাশিয়ার পক্ষে অন্যান্য দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে, ক্রস-বর্ডার ইন্টারব্যাঙ্ক পেমেন্ট সিস্টেম নামক পেমেন্ট সিস্টেমে রাশিয়াকে যুক্ত করে চীন। সিআইপিএস সিস্টেমটি এখন অন্যান্য দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য পরিচালনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যানেলে পরিণত হয়েছে। গত মাসে বাংলাদেশের পেমেন্ট সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে চীনের মুদ্রা ইউয়ান। রিয়েল-টাইম গ্রস সিস্টেমভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় ক্লিয়ারিংয়ে এই অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে, বাংলাদেশের জন্য সিআইপিএস-এর সাথে সংযুক্ত হওয়া সহজ হবে বলে মনে করছেন রাশিয়ান পর্যবেক্ষক এবং বাংলাদেশি বিশ্লেষকরা। এতে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রাশিয়ার অংশগ্রহণ বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে করছেন তারা। রাশিয়ান একাডেমি অফ সায়েন্সের ইন্সটিটিউট অফ ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের রিসার্চ ফেলো আলেক্সি জাখারভ জানিয়েছেন, চীনের সম্পৃক্ততা ছাড়া রাশিয়ার পক্ষে দক্ষিণ এশিয়ার সাথে তার আর্থিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব ছিল। এই অঞ্চলের দেশগুলোর সাথে রাশিয়ার কৃষি বা জ্বালানি নিয়ে লেনদেনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ সিআইপিএস-এর মাধ্যমে চলে। চীনের আর্থিক অবকাঠামোর বর্ধিত ব্যবহার এখন রাশিয়ান অর্থনৈতিক প্রকল্পগুলোর লাইফলাইন হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন আলেক্সি জাখারভ। কমনওয়েলথ অব ইনডিপেনডেন্ট স্টেটস-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিআইএস-বিসিসিআই) অনারারি উপদেষ্টা মাহবুব ইসলাম রুনু বলেন, ‘সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বিপুল ব্যবসায়িক সম্ভাবনা রয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির সাথে বাংলাদেশের সরাসরি বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে চীন বা ভারত এখানে বাংলাদেশের সহযোগী হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। বাংলাদেশে শাখা স্থাপনের মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা করার সুযোগ তৈরি করতে মস্কোতে চীনা ও ভারতীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৩

নির্বাচন দেখতে রাশিয়া যাচ্ছেন সিইসি
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পর্যবেক্ষণে রাশিয়া যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সফরে সঙ্গে থাকবেন তার একান্ত সচিব মো. রিয়াজ উদ্দিন। রোববার (২৮ জানুয়ারি) ইসির উপ-সচিব মো. শাহ আলম এ সংক্রান্ত একটি চিঠি প্রধান হিসাব ও অর্থ কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছেন। ইসির উপ-সচিব শাহ আলম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও তার একান্ত সচিব মো. রিয়াজ উদ্দিনের নেতৃত্বে রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে এবং নির্বাচনী সার্বভৌমত্ব অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাশিয়ান ফেডারেশন সফর করবেন। ১৪ থেকে ১৮ মার্চ সিইসিসহ তার একান্ত সচিব কিছু শর্তসাপেক্ষে রাশিয়া সফর করবেন। এতে আরও জানানো হয়, ১২ মার্চের দিকে সুবিধাজনক দিনে রাশিয়ার উদ্দেশ্যে তারা যাত্রা শুরু করবেন এবং ১৯ মার্চ ঢাকায় ফিরবেন। এই সফরের সময়কাল, ভ্রমণ এবং ট্রানজিটের জন্য ব্যয় করা সময়কে দায়িত্ব হিসেবে গণ্য করা হবে। তারা তাদের বেতন-ভাতা স্থানীয় মুদ্রায় নেবেন এবং এর কোনো অংশ বৈদেশিক মুদ্রায় নেওয়া যাবে না। সফরের সময় তারা দুইজন অংশগ্রহণকারী পাঁচ রাতের হোটেলে থাকার ব্যবস্থা এবং স্থানীয় আতিথেয়তা গ্রহণ করবেন। তবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বিমান ভাড়া এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ বহন করবে। এটি একটি সরকারি সফর।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩১

বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে ভূমিকা রাখতে আগ্রহী রাশিয়া
বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে ভূমিকা রাখতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাশিয়া। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসে এ আগ্রহের কথা জানান দেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভিকেনতেভিচ মান্টিটস্কি।  আজ বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রীর অফিস কক্ষে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। এ সময় তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দ্বি-পাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও গম রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।  সাক্ষাৎকালে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। এ সম্পর্ক বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রমান্বয়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে। রাশিয়াকে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী বন্ধু বলেও উল্লেখ করেন তিনি।  রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা আছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে ভূমিকা রাখতে আগ্রহী রাশিয়া।  এসময় দ্বিতীয় মেয়াদে মন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় খাদ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান তিনি। বাংলাদেশের উন্নয়নে অংশীদার হতে আগ্রহ প্রকাশের জন্য রুশ রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।  বৈঠকে রাশিয়া থেকে গম আমদানির ব্যাপারেও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গম মূলত রাশিয়া থেকেই কেনা হয়। রাশিয়ায় অধিকাংশ গম উৎপন্ন হয় মূলত জুন-জুলাইয়ের দিকে। সেক্ষেত্রে আগামী অর্থবছরেই কিনতে হবে। তবে প্রস্তুতি শুরু হবে এপ্রিলে। তবে চাইলে এখনই চাহিদামতো আমাদানি করা যাবে।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়