• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি প্রসঙ্গে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্ররাজনীতি বন্ধ কোনো গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নয়, এটি হটকারি সিদ্ধান্ত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছাত্রলীগের উদ্যোগে ভাসমান মানুষদের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ কোনো গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নয়, এটি হটকারি সিদ্ধান্ত ছিল। একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে সেখানে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার হটকারি সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, দেশের সব গণতান্ত্রিক অর্জনে ছাত্রলীগের অবদান রয়েছে। তাই শুধু বুয়েট নয়, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি করতে ছাত্রলীগকে নির্দেশ দিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, আদালতের রায় এসেছে। ছাত্রলীগকে বলব সেখানে যেন নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি হয়, হিংসার রাজনীতি না হয়। পড়াশোনার কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। হাছান মাহমুদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কিছু রাজনীতির ব্যাঙ বের হয়েছে। ছাত্রলীগকে বলব, তাদের থেকে সাবধান থাকতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা মেট্রোরেলের বিরোধিতা করেছিলেন, তাদের টিকিট কেটে মেট্রোরেলে ঘোরানোর অনুরোধ করছি ছাত্রলীগকে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। আর এই সুযোগে সেখানে ধর্মীয় উগ্রবাদীরা অনুপ্রবেশ করে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করার অপচেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠে।  সবশেষ গত সপ্তাহে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এর ফলে পাঁচ বছর পর বুয়েটে আবার ছাত্র সংগঠনগুলোর রাজনীতি করার সুযোগ তৈরি হয়।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১১

বুয়েট থেকেই শুরু হবে ছাত্রলীগের আধুনিক রাজনীতি : সাদ্দাম
বুয়েট থেকেই ছাত্রলীগের আধুনিক রাজনীতি শুরু হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।  মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।  বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সব রাজনৈতিক সংগঠন ও তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তির’ কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের এ রায়ে বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির বিজয় হয়েছে উল্লেখ করে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, বুয়েটের মর্যাদা ধরে রেখে সুষ্ঠু ও  নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি শুরু করবে ছাত্রলীগ। প্রয়োজনে সব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকদের সঙ্গেও আলাপ করে সাংস্কৃতি চর্চা শুরু হবে। ক্যালেন্ডার তৈরি হবে।  জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির আহ্বান জানিয়ে সাদ্দাম এরপর বলেন, বুয়েটের মর্যাদা ক্ষুণ্ন  হতে দেবে না ছাত্রলীগ। বুয়েট থেকেই শুরু হবে ছাত্রলীগের আধুনিক ও পরিবর্তিত রাজনীতি। বাইরে থেকে নেতৃত্ব তৈরি হবে না, নিজেরাই নেতৃত্ব করবে বুয়েট শিক্ষার্থীরা। বুয়েট থেকে হবে মডেল ছাত্র রাজনীতির শুরু।  আলোচনা সাপেক্ষে ছাত্রলীগ বুয়েটে নিজেদের কমিটি দেবে উল্লেখ করে এ ছাত্রনেতা আরও বলেন, বুয়েটে কমিটি গঠনে তাড়াহুড়া নেই। শিক্ষক সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সবার সঙ্গে আলোচনা করে সুবিধাজনক সময়ে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হবে।  সংবাদ সম্মেলনে এরপর ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। ঘোষণা অনুযায়ী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বীর আবাসিক হল ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে বুয়েট শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে ছাত্রলীগ। আধুনিক, স্মার্ট, পলিসি নির্ভর নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি প্রতিষ্ঠার কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে বুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে সংগঠনটি। এরপর সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী ও জঙ্গীবাদী কালোছায়া থেকে বুয়েটকে মুক্ত করতে সেমিনার ও সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া বুয়েটে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আলোচনায় বসা হবে প্রশাসনের সঙ্গে।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২৫

বুয়েটে রাজনীতি চালু রাখার সিদ্ধান্তে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সব রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তির’ কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ক্যাম্পাসে রাজনীতি চালু রাখার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বুয়েটে অবস্থিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ছাত্রলীগের সমমনা কয়েকজন শিক্ষার্থী। সোমবার (১ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৫ টার দিকে ওই শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সেখানে কিছুক্ষণ ‘জয় বাংলা’ স্লোগানও দেন তারা।  ছাত্রলীগের তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ও বুয়েটের সদ্য সাবেক ছাত্র হাসিন আজফারসহ ১১ জন শিক্ষার্থী এতে অংশ নেন। কর্মসূচি পালনের সময় প্রতিকৃতি সংলগ্ন শহীদ মিনারের সামনেই অবস্থান করছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ কনক। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বুয়েটের ২০তম ব্যাচের ছাত্র আশিক আলম বলেন, ‘উচ্চ আদালতের রায়ের মাধ্যমে নিজেদের রাজনৈতিক মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পেয়েছি আমরা। জয় বাংলা স্লোগান ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে আমরা এ রায়কে সাধুবাদ জানালাম। প্রগতিশীল সব সংগঠনকে আমরা বুয়েটে স্বাগত জানাই। অন্ধকার কোনো সংগঠন এবং স্বাধীনতাবিরোধী কোনো চেতনা বুয়েটে ঠাঁই পাবে না।’ বুয়েটে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সব প্রগতিশীল সংগঠন যেন বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি শুরু করে এবং শিক্ষার্থীদের অধিকারের জন্য লড়াই করে, এটাই আমাদের চাওয়া। পরিবেশ তৈরি হলে যদি ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়া হয়, তাহলে আমরা অবশ্যই খুশি হব।’ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হাসিন আজফারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আদালতের এ রায়ের মাধ্যমে বুয়েটে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠিত হলো, এমন নয়; বরং ছাত্ররাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হলো।’
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩৫

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি করার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে রিট
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্র রাজনীতি করার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।  সোমবার (১ এপ্রিল) বুয়েটের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বি এ রিট দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। তিনি বলেন, রাজনীতি বন্ধ করে যে নোটিশ দিয়েছিল, তা স্থগিত চাওয়া হয়েছে। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের বেঞ্চে দুপুর ১টায় এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। রিটে শিক্ষা সচিব, বুয়েটের ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মতপ্রকাশে সক্রিয় বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে শেরেবাংলা হলের একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন। এ হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে জোরালোভাবে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি ওঠে। সে সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কাগজে-কলমে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রতিষ্ঠানটিতে এক মুহূর্তের জন্যও বন্ধ হয়নি রাজনীতি। বরং ছাত্র রাজনীতি বন্ধের ফায়দা নিচ্ছে উগ্রবাদী রাজনৈতিক সংগঠন। এদিকে গত ২৮ মার্চ মধ্য রাত থেকে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বুয়েট। ক্যাম্পাসে রাজনীতির বীজ বপনের চেষ্টা হচ্ছে এমন অভিযোগ আনা হয় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এরপর শুক্রবার (২৯ মার্চ) থেকে আন্দোলনে নামেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।  
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১২

‘ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিএনপি রাজনীতি করে না’
বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. মঈন খান বলেছেন, আজকে আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিএনপি কখনো রাজনীতি করে না। আমরা চাই বাংলাদেশে মানুষের অধিকার ফিরে আসুক, মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে আসুক, মানবাধিকার ফিরে আসুক, নারীর অধিকার ফিরে আসুক, শিশুর অধিকার ফিরে আসুক। এটাই হচ্ছে আমাদের প্রত্যাশা। রোববার (৩১ মার্চ) বিকেল ৩টায় শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের ধামলই গ্রামের বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান খান হিরার কবর জিয়ারত ও পরিবারের সদস্যদেরকে সমবেদনা জানাতে এসে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। ড. মঈন খান বলেন, সরকারকে আমরা অনুরোধ করবো তারা যেন বাংলাদেশের মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা এটা যেন উপলদ্ধি করে। এই সরকার মুখে বলে তারা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। তারা যদি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হতো তাহলে কেন তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। কেন তারা বাংলাদেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। কেন তারা বাংলাদেশে বাকশাল কায়েম করেছে। এটা আমাদের কথা নয়। সারা বিশ্ব এখন এ কথা বলে। আজকে সরকারকে বুঝতে হবে ক্ষমতার জোরে, বুলেটের জোরে, বন্ধুকের জোরে, টিয়ার গ্যাস মেরে, গ্রেনেড মেরে হয়তো বিরোধী দলের মুখ স্তব্দ করে রাখার প্রয়াস নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তাদের সেই দুরাশা সফল হবে না। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রীকামী মানুষ সারা জীবন যুদ্ধ করেছে কথা বলার জন্য। আপনারা জানেন ১৫২ সালে আজকে থেকে প্রায় ৭৫ বছর আগে এই বাংলাদেশের মানুষ তাদের মুখের ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বুকের তাজা রক্ত দিয়েছিল। তারা স্বাধীনতা চায়, কথা বলতে চায়, ভোট দিতে চায়, গণতন্ত্র চায়। এই পরিস্থিতিতে আমাদের একটি কথা, একটি মাত্র দাবী এটা হচ্ছে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। বিএনপি নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী । আওয়ামী লীগের মতো লগি বৈঠার রাজনীতি বিএনপি করে না। বিএনপি জনগনের জন্য রাজনীতি করে, জনগনের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতি করে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। আমরা সেই আন্দোলন করেছি। সারা বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ আমাদের সেই আন্দোলনে সাড়া দিয়ে এ সরকারকে চলে যেতে বলেছে। আসাদুজ্জামান হিরা খান (৪৫) গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের ধামলই গ্রামের গিয়াস উদ্দিন খানের ছেলে। সে কাওরাইদ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ২-এ বন্দি থাকা অবস্থায় মারা যায়। এ সময় বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান ও শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আক্তারুল আলম মাস্টার, সাবেক সভাপতি উসিরাজ উদ্দিন কাইয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. শফিকুল ইসলাম আকন্দ, আব্দুল মোতালেব, শ্রীপুর পৌর সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন বেপারি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৫

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের নাটক বন্ধ করতে হবে : সাদ্দাম
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের নাটক বন্ধ করতে হবে। বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে।  রোববার (৩১ মার্চ) দুপুর ১২টায় বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে ছাত্রলীগ। সেখানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সাদ্দাম হোসেন বলেন, নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীর, জেএমবি ও ছাত্র শিবিরের প্রশিক্ষিত ক্যাডাররা বুয়েটে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। দেয়ালে পোস্টার লাগাচ্ছে, শিক্ষার্থীদের ই-মেইলে দাওয়াত দিচ্ছে, টাঙ্গুয়ার হাওরে শিবির দেশবিরোধী মিটিং করছে। তাই বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত একটি নাটক। তিনি বলেন, আমরা আজ এখানে মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছি। বুয়েটের এই সিদ্ধান্ত মৌলিক অধিকার পরিপন্থী, সংবিধান পরিপন্থী, শিক্ষাবিরোধী সিদ্ধান্ত। ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, আমরা নাকি বুয়েটে অনুপ্রবেশ করেছি। অনুপ্রবেশের রাজনীতি ছাত্রলীগ করে না। আমরা প্রবেশ করি এবং পরিবর্তন করি। একজন নাগরিক হিসেবে শুধু বুয়েট কেন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যাওয়ার অধিকার আমাদের রয়েছে। আমি বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতেও অনেকবার বুয়েটে গিয়েছি। বুয়েটে যেতে হলে কাদের কাছে অনুমতি নেব আমরা? যারা ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চের বিরোধিতা করে তাদের কাছে? বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেনের সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাব্বির অপরাধ কী? সে ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিনে, যিনি বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছেন, তার জন্মদিনে ইফতার বিতরণ করেছে। ২৬ মার্চ শহীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়েছে। এই দেশের পতাকা, এই দেশের মানচিত্র এই দেশের ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য যে সংগঠনের কর্মীরা রক্ত দিয়েছে, সেই সংগঠনের কর্মী হওয়ার কারণে কাউকে যদি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় সেই এলাকাকেই নিষিদ্ধ করতে হবে।’ সাদ্দাম হোসেন বলেন, এই ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার নাটক বাংলাদেশ থেকে বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় নাগরিক হিসেবে যাওয়ার অধিকার আমার হয়েছে। তাদের কাছে পারমিশন নিতে হবে? যে অধিকার আমাকে সংবিধান দিয়েছে তাকে আপনারা ঠুনকো বানিয়ে দেবেন এবং সেটা আমরা মেনে নেব, এই আশা যারা করছে তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছে। বুয়েট কি পাকিস্তান যে ভিসা-পাসপোর্ট দিয়ে পারমিশন নিয়ে ঢুকতে হবে? তিনি বলেন, বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে ‘অন্ধকারের রাজনীতি’র চাষাবাদ হচ্ছে। তাই বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চালুর পাশাপাশি ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতেও কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ছাত্র নেতাদের নির্যাতনে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার নিহত হন। সে সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্বিবদ্যালয়টিতে কাগজে-কলমে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রতিষ্ঠানটিতে এক মুহূর্তের জন্যও বন্ধ হয়নি রাজনীতি। বরং ছাত্র রাজনীতি বন্ধের ফায়দা নিচ্ছে উগ্রবাদী রাজনৈতিক সংগঠন। এদিকে গত ২৮ মার্চ মধ্য রাত থেকে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বুয়েট। ক্যাম্পাসে রাজনীতির বীজ বপনের চেষ্টা হচ্ছে এমন অভিযোগ আনা হয় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আন্দোলনে নামেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৫

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চালু নিয়ে যা জানালেন উপাচার্য
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার জানিয়েছেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চাইলে ক্যাম্পাসে আবারও ছাত্ররাজনীতি চালু করা যেতে পারে। রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, পূর্বে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা যদি বুয়েটে রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তবে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হলে তাদেরকেই আবার উদ্যোগী হতে হবে। এ জন্য রাজনীতি শিখতে হবে। তারা যদি চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেন, তখন হয়তো রাজনীতি চালু হতে পারে। এ সময় আন্দোলনকারীদের ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান বুয়েট উপাচার্য। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ছাত্র নেতাদের নির্যাতনে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার নিহত হন। সে সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্বিবদ্যালয়টিতে কাগজে-কলমে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রতিষ্ঠানটিতে এক মুহূর্তের জন্যও বন্ধ হয়নি রাজনীতি। বরং ছাত্র রাজনীতি বন্ধের ফায়দা নিচ্ছে উগ্রবাদী রাজনৈতিক সংগঠন। এদিকে গত ২৮ মার্চ মধ্য রাত থেকে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বুয়েট। ক্যাম্পাসে রাজনীতির বীজ বপনের চেষ্টা হচ্ছে এমন অভিযোগ আনা হয় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আন্দোলনে নামেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।  
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫১

‘ভারত বর্জনের ডাকে পাকিস্তান আমলের রাজনীতি চালুর চেষ্টা চলছে’
ভারত বর্জনের ডাক দিয়ে দেশে পাকিস্তান আমলের রাজনীতি চালুর অপচেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। সোমবার (২৫ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ মন্তব্য করেন তিনি। মেনন বলেন, আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। কিন্তু এখনও তারা এবং তাদের সংগঠন রাজনীতি করে চলেছে। সম্প্রতি তারা নতুন করে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে। বয়কট ইন্ডিয়া স্লোগান তুলেছে। এই স্লোগান দিয়ে তারা কার্যত পাকিস্তান আমলের রাজনীতিকেই বাংলাদেশে চালুর চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, গণহত্যার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের উদ্যোগ গ্রহণ করার কথা রাষ্ট্রের। কিন্তু আমরা দেখেছি, বিএনপির শাসনামলে আমাদের শহীদদের সংখ্যা নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর দীর্ঘ সময় পার গেছে, কিন্তু গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে খুব একটা ব্যবস্থা নিতে পারিনি। গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীর দেশে দেশে যে গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে, আজ ফিলিস্তিনে যে গণহত্যা হচ্ছে অথবা এর আগে যেখানে গণহত্যা হয়েছিল সেগুলোর বিচারের জন্য এই স্বীকৃতি গুরুত্বপূর্ণ।’  বিএনপি-জামায়াত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তি উল্লেখ করে মেনন এরপর বলেন, যুদ্ধাপরাধীরা এখনও দেশে রাজনীতি করছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সহযোগীদের ঘৃণ্য রাজনীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে আমাদের।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:০১

রমজানে দরিদ্রের প্রতি আওয়ামী লীগের সহানুভূতি ও বিএনপির ইফতারের রাজনীতি
রমজান উপলক্ষে রাজনৈতিক দলগুলো চাঙ্গা হয়ে ওঠে। রমজান মাসজুড়ে ইফতার পার্টির মাধ্যমে দলীয় রাজনীতি চাঙ্গা করার পাশাপাশি মানুষের দৃস্টি আকর্ষণের কৌশল নেয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তারা নামিদামি হোটেল, রেস্তোরাঁ ও কমিউনিটি সেন্টার বুকিং দিয়ে বিশাল ইফতার পার্টির আয়োজন করে। তবে এবার কিছুটা ভিন্ন। কিছুদিন আগে শেষ হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।সেই নির্বাচন বর্জন করে সরকার পতনের আন্দোলন ডাক দিয়েছিল বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে, আবার সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচন ’বয়কটের’  ডাক দিয়ে ব্যর্থ বিএনপি এখন ইফতার মাহফিলের নামে দলটির নেতা কর্মীদের চাঙ্গা করতে চাইছে। কিন্তু বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার এই সময়ে কম আয়ের মানুষের জন্য কোনো কর্মসূচি নেই। অথচ  রোজায় ‘মানবসেবা’মূলক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে রয়েছে আওয়ামী লীগ। দলটি এবার পুরো রোজায় ঢাকা ও ঢাকার বাইরে দরিদ্রদের মধ্যে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করছে। রোজার শেষ সপ্তাহে ঈদসামগ্রীও বিতরণ করা হবে। রমজানে বিএনপির ইফতার রাজনীতি মঙ্গলবার রোজা শুরুর দিনে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নানা স্তরে পাঁচশ’র বেশি ইফতার আয়োজন করেছে বিএনপি। এইদিনেই রাজধানীর ইস্কাটন লেডিস ক্লাবে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এবং দলের সিনিয়র নেতারা এতিম, আলেম ও ওলামা মাশায়েখদের সঙ্গে নিয়ে ইফতার করেন। সেখানে মেন্যু হিসেবে ছিল- খেজুর, ফল, পেয়াজু, বেগুনি, ছোলা, জিলাপি, জুস, ডিমসহ মোরগ পোলাও রোজার মাসে রাজপথে তেমন কোনো কর্মসূচি না থাকলেও ইফতার ‘পার্টি’র নামে কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি। বিএনপির নেতারা মনে করছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে বিএনপিতে নানামুখী সংকটের কারণে সৃষ্ট ক্ষোভ ও হতাশা কাটিয়ে ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে চান তারা।  গেল ১২ মার্চে ঢাকার ইস্কাটন লেডিস ক্লাবে বিএনপির ইফতার পার্টি। কাচ্চি বিরিয়ানির পাশাপাশি ৬-৭ পদের আইটেম দিয়ে অনুষ্ঠিত ওই ইফতার পার্টিতে দেখা গেল পাকিস্তানি ব্র্যান্ড ‘সেজান’ জ্যুস। অথচ গত ১১ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য সস্তা খাবার বরাদ্দ রেখে নিজেরা ‘দামি ফল, খেজুর, আঙুর’ খাবে।’ আর বাস্তবতা হলো, ঢাকার ইস্কাটন লেডিস ক্লাবে বিএনপির ইফতার পার্টিতেই দেখা মিললো দামী খেজুরের। রমজানে আওয়ামী লীগের কৃচ্ছ্রতা সাধন অসহায়-ছিন্নমূল ও গরীব মানুষের কথা চিন্তা করে এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি বাসভবন গণভবনে কোনো ইফতারের আয়োজন না করার কথা রোজা শুরুর আগেই জানিয়েছেন। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ইফতার মাহফিল না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দলীয়প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগ এবার তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত কোথাও ইফতার মাহফিল না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ইফতার আয়োজনের সকল অর্থ অসহায়-গরিব মানুষের মাঝে সহায়তা হিসেবে প্রদান করবে। রমজানে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা রমজান ইফতার পার্টি করতাম। এবার রমজানে আমরা ইফতার পার্টির না করে সব টাকা ও খাদ্য সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা মানুষের জন্য কাজ করি। মানুষের কল্যাণে কাজ করি।” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন দলের নেতারা। তারা মনে করছেন, এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে আওয়ামী লীগ সরকারের ইতিবাচক ভাবমূর্তি বাড়াবে।  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলো কোন ইফতার মাহফিলের আয়োজন করবেন না। সেই টাকা দিয়ে দরিদ্র মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করবেন।’তিনি আরও বলেন, ‘রমজান সংযমের মাস। রমজান মাসে  কর্মসূচি চলমান রাখার ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিএনপি জনগণের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতির বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। তারা দেশের জনগণকে কোনোভাবেই স্বস্তিতে থাকতে দিতে চায় না। আমরা আগেই বলেছি, রমজানে ঘোষিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিএনপি আরও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।’ পবিত্র রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কাজে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সারাদেশের নেতাকর্মীদের আটটি নির্দেশনা দিয়ে মাঠ থাকার নির্দেশ দিয়েছে সংগঠনটি। এরমধ্যে- শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী, অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার ও সেহরি বিতরণ; বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় উপকরণ বিতরণ; রমজান মাসে স্বেচ্ছা রক্তদান ইত্যাদি। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সারাদেশে অসচ্ছল মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণের আয়োজন করেছে সংগঠনটি।  রমজান সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ একটি মাস রমজান মুসলিম জাতির কাছে সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ একটি মাস। মহাগ্রন্থ আল-কোরআন অবতীর্ণ হওয়া, ইবাদতের মাধ্যমে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে ক্ষমা পাওয়ার উপযুক্ত সময়ও রমজান মাস। ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের তৃতীয় স্তম্ভ রোজা। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন- 'আর তোমরা জমিনে বিপর্যয় ও বিশৃংখলা সৃষ্টি করো না তার সংশোধনের পর এবং তাঁকে ডাক ভয় ও আশা নিয়ে। নিশ্চয়ই আল্লাহর রহমত সৎকর্মশীলদের কাছাকাছি।' (সুরা আরাফ : আয়াত ৫৬) রোজাদারদের পারস্পরিক সমবেদনা, সহমর্মিতা ও সহানুভূতি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে রমজান মাসের রোজার ভূমিকা অপরিসীম উল্লেখ করে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইকবাল হোছাইন বলেন, ‘একজন রোজাদার ব্যক্তি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে গরিব-দুঃখীদের অপরিমেয় দুঃখ-কষ্ট উপলব্ধি করতে শেখার মধ্য দিয়ে সহানুভূতিশীল হয়ে ওঠেন ও তাদের জন্য সেহরি ও ইফতারের ব্যবস্থা করেন এবং তাদের দান-খয়রাত, জাকাত-সাদকা প্রদানসহ বিভিন্নভাবে সাহায্য-সহযোগিতা ও সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।’ নানা ধর্ম ও বর্ণের মানুষের বাস এই প্রিয় বাংলাদেশে। মাহে রমজানে সমাজের স্থিতিশীলতা, শান্তি, সম্প্রীতির সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিদ্যমান। সমাজের প্রত্যেক ধর্মপ্রাণ মানুষ যদি মাহে রমজানের মতো অন্যান্য মাসেও আত্মসংযমের সঙ্গে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব ধরনের বিরোধ এড়িয়ে যান, তাহলে কোনো রকম সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় না। তাই সমাজ-জীবনে পরস্পরের প্রতি সাহায্য-সহযোগিতা, সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের জন্য ভূমিকা অনস্বীকার্য। লেখক : গণমাধ্যমকর্মী  
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৮

বিএনপি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না : মঈন খান
বিএনপি ক্ষমতার জন্য না, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতি করে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের পতন ঘটানোর প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন তিনি। বুধবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর শাহজাহানপুরে সদ্য কারামুক্তি পাওয়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর বাসায় তাকে দেখতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন বিএনপির এ নেতা। মঈন খান বলেন, গত বছরের ২৮ অক্টোবরের পর থেকে ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রিমান্ডে ও কারাগারে তাদের নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। বিএনপিকে রাজনীতি থেকে দূরে সরাতেই নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার, নির্যাতন করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি বলেন, সরকার বুলেট, বন্দুক ও গায়ের জোরে ক্ষমতায় এসেছে। নির্যাতন করে কোনো স্বৈরাচার পার পায়নি, এই সরকারও পাবে না। বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতি করে। সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিতের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করেই এই সরকারের পতন ঘটানো হবে।  
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৪:১৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়