• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
‘ঘুমের ভেতর নারীর চেয়ে পুরুষ নাক ডাকে বেশি’
ঘুমের ভেতর নারীর চেয়ে পুরুষ নাক ডাকে বেশি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ। সোমবার (১৮ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত অফিসার্স ক্লাবের হাউজি রুমে আয়োজিত ‘ঘুম ও নাক ডাকা’ বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘একজন মানুষের দৈহিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য ঘুম অপরিহার্য। অক্সিজেন গ্রহণ জটিলতায় এ সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। পুরুষ মানুষের মধ্যে এ সমস্যা সবচেয়ে বেশি। পুরুষদের ৪০ শতাংশ ও নারীদের ২০ শতাংশ ঘুমের মধ্যে নাক ডাকেন।’ তিনি বলেন, ‘ঠিকমতো ঘুম না হলে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। অনেকে সন্ধ্যার পর চা কফি পান করেন। এতে তাদের ঘুম হয় না। আবার অনেকে না খেলে ঘুম হয় না। অনেকের এ ধরনের বিপরীতমুখী আচরণ লক্ষ্য করা যায়।’ তিনি আরও বলেন, যারা ওষুধের মাধ্যমে ঘুমের চেষ্টা করেন, তাদেরকে স্বাভাবিক নিয়মে ঘুমের চেষ্টা করা উচিত। এ জন্য দিনে ঘুমানো যাবে না। সন্ধ্যার পর চা-কফি পান করা যাবে না। বিষণ্ণতা, মেনিয়ার চিকিৎসা নিতে হবে। কেননা, সঠিকভাবে ঘুম না হওয়ায় ক্যানসার, উচ্চরক্তচাপসহ নানা রোগের সম্ভাবনা রয়েছে। ঘুমের মধ্যে বোবায় ধরা (স্লিপ প্যারালাইসিস) বিষয়ে তিনি বলেন, একটা কমন সমস্যা। অনেকের ধারণা বুকের ওপর জ্বিন-পরী এসে বসে। নাক চেপে ধরে, ধরতে গেলে দৌড় দেয়। চিকিৎসা বিজ্ঞান একে স্লিপ প্যারালাইসিস বলে। ঘুমের সমস্যার সমাধান প্রসঙ্গে ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ঘুমের জন্য মানসিক প্রশান্তির প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ধর্মীয় বিধিবিধান উপকারি হতে পারে। ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা ঘুমের আগে নামাজ পড়ে ঘুমাতে পারেন। অন্য ধর্মের লোকজন তাদের মতো করে ধর্মীয় আচার পালন করবেন। এতে মন প্রশান্ত থাকে। ঘুম ভালো হয়। মেডিটেশনও এক্ষেত্রে ভালো ভূমিকা রাখে।
১৫ ঘণ্টা আগে

রাজধানী থেকে তিন মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর পৃথক তিন স্থান থেকে দুই গৃহবধূ ও এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৯ মার্চ) যাত্রাবাড়ী, কদমতলী ও  গুলশান থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, তারা তিনজনই আত্মহত্যা করেছেন। নিহতরা হলেন, গৃহবধূ জুঁই আক্তার চাঁদনি (১৮) ও রুবিনা রিমি (২২) এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মুসকান মিম (২৩)।  যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তামান্না আক্তার জানান, গৃহবধূ জুঁই আক্তার চাঁদনি রংপুরের তাজহাট থানার আদর্শপাড়া গ্রামের হারুন অর রশিদের মেয়ে। তিনি স্বামী রিংকুকে নিয়ে যাত্রাবাড়ী গোবিন্দপুর কবরস্থান রোডে থাকতেন। তার মোবাইলে একটি আপত্তিকর ছবি দেখে ফেলেন স্বামী। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়াঝাঁটি হয়। এরপর রাতে রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস নেন জুই। ঘটনাটি টের পেয়ে তার স্বামী থানায় খবর দিলে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  কদমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিনাত রেহানা জানান, গৃহবধূ রুবিনা পিরোজপুর সদর উপজেলার রুস্তম আলীর মেয়ে। তিনি স্বামীর সঙ্গে কদমতলী উত্তর মুরাদপুর হাজি লাল মিয়া রোডে একটি বাড়িতে থাকতেন। শনিবার সকাল সাড়ে ৬টায় ওই বাসা থেকে তার শায়িত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার স্বামী জানিয়েছেন, তার সঙ্গে ঝগড়ার জের ধরে মাঝরাতে গ্রিলের সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস নিয়েছে রুবিনা। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মুসকান মিম পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পূর্বপানপট্টি গ্রামের ফরিদ হাওলাদারের মেয়ে। তিনি ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। মুসকানের বড় বোন জানান, গুলশান সুবাস্তু নজর ভ্যালির ১৫ তলায় একটি বাসায় মুসকান একাই থাকতেন। শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে সে তার স্বামী আশরাফুল ইসলাম হৃদয়কে ফোন দিয়ে জানায় তার প্রচণ্ড পেট ব্যথা করছে। এরপর মুসকানের স্বামী তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে নিতে নিতে মুসকান জানিয়েছিল সে কীটনাশক পান করেছে। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া মুসকানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আপাতত মরদেহটি ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। গুলশান থানাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৬

রাজধানী রক্ষায় সাধারণ মানুষকে অস্ত্র দিচ্ছে মিয়ানমার জান্তা
মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের তৎপরতা ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধে না পেরে আত্মসমর্পণ করেছে মিয়ানমারের অনেক সেনা। অনেকে বিদ্রোহীদের হাতে নিহতও হয়েছেন। একের পর এক ঘাঁটির দখল হারিয়ে এবার রাজধানী নেইপিদো হারানোর শঙ্কায় মিয়ানমার জান্তা সরকার। ফলে দেশটির সাধারণ মানুষের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে তারা। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) থাইল্যান্ড থেকে পরিচালিত মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাবতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের জান্তা সরকার আশঙ্কা করছে রাজধানীতেও ঢুকে পড়তে পারে বিদ্রোহীরা। তাদের হাত থেকে রাজধানীকে রক্ষায় ‘পিপলস মিলিশিয়া’ নামের একটি মিলিশিয়া বা আধাসামরিক বাহিনী গঠন করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। ইয়াঙ্গুন, বাগো এবং তানিনথারি অঞ্চল এবং মুন রাজ্যেও মিলিশিয়া বাহিনী গঠন করা হয়েছে। আর এ বাহিনীতে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করতে সাধারণ মানুষকে অস্ত্র, নগদ অর্থ এবং খাবার দেওয়া হচ্ছে। এদিকে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নারিনজারা নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) রাখাইন রাজ্যের মিনবায়ারে তিনটি ঘাঁটির সবকটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সেনাসহ তাদের পরিবারের পাঁচ শতাধিক সদস্য বিদ্রোহীদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাদের মধ্যে  জান্তা সরকারের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, জান্তা বাহিনীর ডিভিশন কমান্ডার, নন-কমিশন্ড কর্মকর্তা এবং আহত ১০০ সেনা রয়েছে।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়