• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বন কর্মকর্তা হত্যার রহস্য উন্মোচন
কক্সবাজার উখিয়া বন বিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। এই মামলার প্রধান আসামি ডাম্পার চালক মো. নুরুল ইসলাম বাপ্পিকে ৯ দিন পরে চট্টগ্রাম বন্দর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে ১২টার দিকে উখিয়া থানার হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও উখিয়া সার্কেল মো. রাসেল এ তথ্য জানিয়েছেন। জানা গেছে, গ্রেপ্তার বাপ্পি উখিয়া রাজা পালং ইউনিয়ন ৪ নম্বর ওয়ার্ড  হরিণ মারা গ্রামের মো. কাসেমের ছেলে। সোমবার চট্টগ্রাম বন্দর থানা এলাকায় থেকে উখিয়া থানা পুলিশের একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও উখিয়া সার্কেল মো. রাসেল জানান, উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বনবিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা চিহ্নিত পাহাড় কাটা সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য। তারা পরস্পর যোগসাজসে বিভিন্ন সময়ে দোছড়ি বিটের হরিণমারা এলাকার সরকারি বনভূমির পাহাড় কেটে ড্রাম ট্রাক (ডাম্পার) গাড়ি ভর্তি করে মাটি চুরি করে নিয়ে যেত। ওই দিন  বিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান মাটি পরিবহনে বাধা দিলে তাকে ডাম্পার ধাক্কায় গাড়ির চাকায় পিষ্ট করে হত্যা করে আসামিরা পালিয়ে গিয়েছিল। পরে উখিয়া থানা পুলিশ এ মামলার এজাহারনামীয় আসামি ছৈয়দ করিমকে (৩৫) গ্রেপ্তারে সক্ষম হলেও প্রধান আসামিসহ অন্যরা পলাতক ছিলেন। ঘটনার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে আসছে। মামলার এক নাম্বার আসামি ডাম্পার চালক বাপ্পি চট্টগ্রাম বন্দর থানা এলাকায় অবস্থান করছেন, এমন সংবাদে গত সোমবার ভোররাতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।    উল্লেখ্য, রোববার (৩১ মার্চ) ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় পাহাড় কেটে মাটি পাচার করছিল একদল পাহাড়খেকো। খবর পেয়ে বনবিভাগের দোছড়ি বিটের কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান সজলসহ কয়েকজন বনকর্মী ঘটনাস্থলে যান। এ সময় তিনিসহ মোটরসাইকেল আরোহী দুইজনকে পাচারকারীদের মাটিভর্তি ডাম্পট্রাক চাপা দেয়। এতে সাজ্জাদুজ্জামান ঘটনাস্থলে মারা যান এবং মোহাম্মদ আলী নামের এক বনরক্ষী আহত হন। এ ঘটনায় সোমবার (১ এপ্রিল) বিকালে বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত সাজ্জাদুজ্জামান সজল (৩০) কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বনবিটের বিট কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার মোহাম্মদ শাহজাহানের ছেলে। ঘটনায় আহত বনরক্ষী মোহাম্মদ আলী (২৭) টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ঝিমংখালী এলাকার আবুল মনজুরের ছেলে।  
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০১

সর্বহারা নেতা রাজ্জাক হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৫
পাবনা সদর উপজেলার চাঞ্চল্যকর আত্মসমর্পণকৃত সর্বহারা নেতা আবদুর রাজ্জাক হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত তিনটি বিদেশি পিস্তল ও গুলি জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) আকবর আলী মুন্সী। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের হরিনারায়নপুরের মো. বক্কর প্রামাণিকের ছেলে মো. ওহিদুল্লাহ (৪৫), পাবনা পৌর এলাকার পশ্চিম সাধুপাড়ার মহসিন রেজার ছেলে মো. আকাশ (৩০), একই এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. শোভন ওরফে শুভ ওরফে ভালা (২৮), চর সাধুপাড়া এলাকার মৃত রুস্তম প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল হান্নান (৪৮) এবং চর শিবরামপুর এলাকার কালু বিশ্বাসের ছেলে আব্দুর রহমান (৩৫)। পুলিশ সুপার জানান, গোপন সংবাদ এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ডিএমপির গুলশান থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিলিং মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণকারী আসামি মো. ওহিদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আকাশ এবং শোভনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আব্দুল হান্নানকে দুটি অস্ত্র এবং আব্দুর রহমানকে একটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরও জানান, ওহিদুল্লাহ এবং আত্মসমর্পণকৃত সর্বহারা নেতা আব্দুর রাজ্জাক গয়েশপুর ইউনিয়নের হরিনারায়নপুরের বাসিন্দা। পারিবারিক সূত্র ধরেই তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। পরবর্তীতে বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, মারামারি এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উভয়ের মধ্যে চরম শক্রতা শুরু হলে ওহিদুল্লাহ নিজ এলাকা ছেড়ে শহরের সাধুপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতে শুরু করে। এরই জেরে ওহিদুল্লাহের মনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং আব্দুর রাজ্জাককে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকেন। ঘটনার দিন গত ১৭ মার্চ আসামি ওহিদুল্লাহ স্থানীয়ভাবে তথ্য সংগ্রহ করে তার অপর দুই সহযোগীদের নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে সাধুপাড়া থেকে মানিকনগর বাজারে যায় এবং সুযোগ বুঝে বিল্টুর দোকানে চা খাওয়া অবস্থায় গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০৪

পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের মেয়ের মৃত্যু নিয়ে রহস্য
প্রয়াত জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের মেয়ে সামিয়া রহমান সৃষ্টির (৩৪) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী ক্যামব্রিয়ান স্কুল-সংলগ্ন ‘রংধনু’ আবাসিক হোটেলের ২১০ নম্বর কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। দুপুরে যাত্রাবাড়ীর ওই আবাসিক হোটেলে ওঠেন তিনি। সন্ধ্যায় হোটেল কর্তৃপক্ষ ইফতার নিয়ে ওই কক্ষের দরজা নক করে। তবে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পরবর্তীতে থানায় খবর দেয়। এরপর সেখানে গিয়ে রুমের দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাব্বির হোসেন বলেন, রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে যাত্রাবাড়ীর ওই আবাসিক হোটেলে ওঠেন সামিয়া রহমান। ইফতারির সময় হোটেল কর্তৃপক্ষ ইফতার নিয়ে ওই কক্ষের দরজা নক করে। তবে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পরবর্তীতে থানায় খবর দেয়। এরপর সেখানে গিয়ে হোটেলের রুমটির দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও বলেন, তার শরীরে দৃশ্যমান কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আঘাতের চিহ্ন দেখে মনে হয়েছে এগুলো সপ্তাহখানেক আগের। সামিয়া রহমান উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর রোডে স্বামী তানিমের সঙ্গে থাকতেন। আর তার বাবা চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান। পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:০২

বাবরের নেতৃত্ব ছাড়ার রহস্য উন্মোচন করলেন জাকা আশরাফ
ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন বাবর আজম। তবে তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব ছাড়া নিয়ে তৈরি হয় নানা প্রশ্ন। এবার বাবরের অধিনায়কত্ব ছাড়ার কারণ সম্পর্কে মুখ খুললেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সাবেক চেয়ারম্যান জাকা আশরাফ।  ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারেনি পাকিস্তান। তাই বাবরকে শুধু টেস্ট ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন জাকা আশরাফ।  কিন্তু এক ফরম্যাটের জন্যও যদি বাবরকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে কোনো সংস্করণেই বাবর অধিনায়কত্ব করবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন।  আসরের ৯ ম্যাচে চার জয়ের বিপরীতে ও পাঁচটিতেই হেরেছিল দ্য গ্রিন ম্যানরা। অধিনায়ক হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্বও দিতে পারেননি বাবর। ব্যাট হাতে ৯ ম্যাচে ৪০ গড়ে ৩২০ রান করেছিলেন তিনি। পাকিস্তানের লাহোরে এক সংবাদমাধ্যমকে জাকা আশরাফ বলেন, আমি বাবরকে লাল বলে নেতৃত্বে থাকতে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। সাদা বলে নতুন কাউকে নিয়োগ দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বাবর বলেছিল, যদি তাকে এক সংস্করণ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সব সংস্করণ থেকেই পদত্যাগ করবে। তিনি আরও বলেন, আমি তাকে দলের একজন সাধারণ সদস্য হিসেবে খেলতে পরামর্শ দিয়েছিলাম। কেননা এটা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছিল অধিনায়কত্বের চাপ ওর জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। বাবর সরে যাওয়ার পর পাকিস্তানের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব পান যথাক্রমে- শান মাসুদ ও শাহিন শাহ আফ্রিদি। মাত্র এক সিরিজ পরই আফ্রিদিকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্বে বহাল আছেন মাসুদ।  জাকা আশরাফ মনে করেন, টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে আফ্রিদিকে আরও বেশি সময় দেওয়া উচিত ছিল। পাশাপাশি সাদা বলের নতুন অধিনায়ক বাবরের জন্য শুভকামনাও জানিয়েছেন আশরাফ।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৩৩

সিলেট টেস্টে সাফল্যের রহস্য উন্মোচন করলেন ডি সিলভা
টাইগারদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩২৮ রানের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে লঙ্কানরা। ব্যাটে-বলে দুই বিভাগেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে সফরকারীরা। ম্যাচ শেষে দলের সাফল্য নিয়ে কথা বলেছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। সিলেট টেস্টে বড় অবদান রেখেন দুই সেঞ্চুরিয়ান কামিন্দু মেন্ডিস ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার। তবে আসল কাজটা করেছেন লঙ্কান পেসাররা। তিন পেসার মিলেই সংগ্রহ করেছেন বাংলাদেশের পুরো ২০ উইকেট। সোমবার (২৫ মার্চ) ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ধনাঞ্জয়া বলেন, এখানের উইকেট দেখে পেস বোলিং উইকেট মনে হয়েছিল। তাই আমরা ৩ পেসার খেলিয়েছি। দিনশেষে এটি কাজে লেগেছে বলে আমার মনে হয়।  ‘দিন যত গড়িয়েছে পেসারদের গতি কমেছে। তবে আমার মনে হয় যেভাবে আমাদের পেসাররা বোলিং করেছে তাতে আমি বেশ খুশি।’ লঙ্কানদের একাদশে খেলা তিন পেসার হলেন কাসুন রাজিথা, বিশ্ব ফার্নান্দো ও লাহিরু কুমারা। তাদের বাকি পেসারদের নিয়ে তিনি বলেন, আরও অনেকেই আছে। আসলে আমরা বলতে পারি না যে সে প্রথম সে শেষ। সবাই খেলার জন্য প্রস্তুত আছে। নির্বাচকরা আমাদের যে দল দিয়েছে তাতে আমি খুশি। তিনি আরও বলেন, আসলে আমাদের দেশেও আমরা ৩ পেসার নিয়ে খেলে থাকি। যেকোনো উইকেটে যদি নতুন বলে সুইং থাকে, রিভার্স সুইং থাকে, উইকেট নেওয়ার সুযোগ থাকে।  ‘এখানেই (পেসারদের দিয়ে) উইকেট নেওয়ার সুযোগ থাকে অধিনায়কের কাছে। স্পিনারদের উইকেট খুব বেশি সাহায্য করছিল না। ফলে আমি পেসারদের খেলিয়ে খুশি।’
২৫ মার্চ ২০২৪, ২০:৩১

শাহরুখের যে নায়িকার মৃত্যু আজও এক অজানা রহস্য
নব্বই দশকের সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে পোস্টার নিয়ে বসতেন হকাররা। সেখানে বিক্রি হতো ভিউকার্ড। উৎসব-পার্বণে মেলা বসত। সেসব মেলায় কিছু দোকান থাকত, যেখানে তারকাদের মুখাবয়ব-সমৃদ্ধ পোস্টার বিক্রি হতো। সেসব পোস্টার-ভিউকার্ডে একটা মুখ খুব দেখা যেত, তিনি বলিউড অভিনেত্রী দিব্যা ভারতী। ছেলেদের মানিব্যাগে, আয়নার পেছনে, সেলুনে কিংবা মেলায় অথবা ভিসিআরের ক্যাসেটের কভারে থাকত তার লাস্যময়ী ছবি। দিব্যা ভারতী এক দীর্ঘশ্বাসের নাম। অভিমানে ঝরে যাওয়া ফুলের নাম। তিন বছরের অভিনয়জীবনেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠেছিলেন। ১৯৭৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দিব্যা জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র তিন বছরের উজ্জ্বল ক্যারিয়ার রেখে ১৯৯৩ সালের ৫ এপ্রিল ১৯ বছর বয়সে অকালেই চলে গিয়েছিলেন দিব্যা। দিব্যা ভারতীর মৃত্যু আজও এক অজানা রহস্য। শুধুই কি দুর্ঘটনা নাকি এর পেছনে ছিল কোনো ষড়যন্ত্র? উত্তর মেলেনি আজও। প্রসঙ্গত, দিব্যা ভারতীর মৃত্যুর সময় পাঁচ থেকে ছয়টি ছবি অসমাপ্ত ছিল। প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রযোজকদের নতুন নায়িকাদের নিয়ে নতুন করে শুটিং করে ছবি শেষ করতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে ‘লাডলা’, যা নতুন করে শুটিং করা হয় শ্রীদেবীকে নিয়ে। রয়েছে, ‘মোহরা’, ‘কর্তব্য’, ‘বিজয়পথ’, ‘দিলওয়ালে’ ও ‘আন্দোলন’। আরও কয়েকটি বড় ব্যানারের ছবির কাজও বন্ধ হয়ে যায়, যেগুলোয় অভিনয়শিল্পী চূড়ান্ত ছিল। বলিউড বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেন, মাত্র তিন বছরে যে অভিনেত্রী সাফল্যের এই উচ্চতায় উঠতে পারেন, বেঁচে থাকলে হয়তো আজকের দিনে তিনি মাধুরী অথবা শ্রীদেবীর মতোই হয়ে উঠতেন বলিউডের আরেক কিংবদন্তি নায়িকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিব্যার অকালমৃত্যু না হলে শ্রীদেবী, জুহি ও মাধুরী দীক্ষিতদের হিসাব-নিকাশটা অন্য রকম হতো।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৫:০৩

নেত্রকোণায় চাঞ্চল্যকর সুইটি হত্যার রহস্য উদঘাটন
নেত্রকোণার পূর্বধলায় চাঞ্চল্যকর সোনিয়া আক্তার ওরফে সুইটি (১৮) হত্যার রহস্য উদঘাটন ও মূল হত্যাকারী মো. এনামুল হককে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পূর্বধলা থানা পুলিশ। শুক্রবার (১৫ মার্চ) পূর্বধলা থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে খলিশাপুর বোনের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। এনামুল হক উপজেলার খলিশাউড় ইউনিয়নের খলিশাপুর (বনপাড়া মালবাড়ী) গ্রামের মৃত মঞ্জুল হকের ছেলে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার ঢেউয়াখোলা ইউপির চর শ্রীরামপুর গ্রামের মো. সুবহান'র মেয়ে সোনিয়া আক্তার ওরফে সুইটি খলিশাউড়ের রাজিবপুর গ্রামে তার বৃদ্ধ নানা-নানির দেখভাল করার জন্য গত এক বছর যাবৎ তার নানার বাড়িতে থাকতো। সেখানে খলিশাপুর (বনপাড়া মালবাড়ী) গ্রামের মো. এনামুল হকের সঙ্গে সুইটির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্ক থাকা অবস্থায় সুইটি ইরাক প্রবাসী শরিফুল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে পারিবারিকভাবে বিবাহের কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়। কিন্তু এনামুল হক বিয়ের সংবাদ মেনে নিতে পারেনি এবং সুইটিকে হত্যার সুযোগ খুঁজতে থাকেন। গত ১০ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার পর এনামুল সুইটিকে বাড়ি থেকে মোবাইলে কল দিয়ে স্থানীয় রাজিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের দক্ষিণ পূর্ব কোনায় ডেকে নিয়ে বিভিন্ন প্রকার আলাপ আলোচনা করেন। একপর্যায়ে তিনি একাই সুইটির গায়ে থাকা ওড়না গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং হত্যার পর লাশ নিয়ে সুইটির নানা মো. আবুল কাশেম'র টিনের বসত ঘরের সামনের খোলা বারান্দার ওড়না দ্বারা ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর ভিকটিমের বাবা অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে পূর্বধলা থানায় মামলা দায়ের করে। পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চাঞ্চল্যকর সোনিয়া আক্তার ওরফে সুইটি হত্যার আসামি মো. এনামুল হককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১১:১৯

নয়নতারার পোস্ট ঘিরে রহস্য
দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নয়নতারা। তাকে ইন্ডাস্ট্রির লেডি সুপারস্টারও বলা হয় তাকে। দুর্দান্ত অভিনয় গুণের মাধ্যমে ইতোমধ্যে দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। কয়েক দিন আগেই গুঞ্জন রটে সংসার ভাঙতে চলেছে নয়নতারা। এবার অভিনেত্রীর একটি পোস্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য।  নয়নতারা তার স্বামী পরিচালক বিঘ্নেশ শিবনকে ইনস্টাগ্রামে ‘আনফলো’ করে দিয়েছিলেন। মূলত এরপর থেকেই সংসার ভাঙার গুঞ্জন শুরু হয় নেটিজেনদের মধ্যে। এবার নেটিজেনদের সেই জল্পনাই উসকে দিলেন নয়নতারা।  এদিকে ইনস্টাগ্রামে স্বামীকে ‘আনফলো’ করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আবার বিঘ্নেশকে ‘ফলো’ করতে শুরু করেন নয়নতারা। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি পোস্ট দেন নয়নতারা। আর সেই স্ট্যাটাস ঘিরেই তৈরি হয়েছে রহস্য। পোস্টে নয়নতারা লেখেন, ‘সে চলে গেল সারা জীবনের মতো। ও বলল আর আমি অশ্রুভেজা চোখে মেনে নিলাম’। এরপরেই নয়নতারার অনুরাগীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এতদিন যে জল্পনায় মেতেছিলেন নেতিজেনরা, সেটাই যেন উস্কে দিয়ে ইনস্টাগ্রামে নতুন এই পোস্টটি করলেন নয়নতারা। একাধিক সম্পর্কের গুঞ্জনের পর  ২০২২ সালে দীর্ঘ দিনের প্রেমিক বিঘ্নেশ শিবনের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন নয়নতারা। বিয়ের কয়েক মাস পরেই সারোগেসির মাধ্যমে যমজ পুত্রের বাবা-মা হন এই তারকা দম্পতি।  বিঘ্নেশ-নয়নতারার দাম্পত্য সম্পর্কে আদৌ চিড় ধরেছে কি না— সে প্রসঙ্গে স্পষ্ট করে এখনও কিছু জানাননি এই অভিনেত্রী। তবে নয়নতারার পর পর পোস্টে সম্পর্ক ভাঙনের ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে।  সূত্র : আনন্দবাজার    
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৬

জেলখানার গল্পে বেরিয়ে এলো খুনের রহস্য
দুই বছর আগে নিখোঁজ হয় ছেলে। মা-বাবা ধরেই নিয়েছিলেন তাদের সন্তান হারিয়ে গেছে। অনেকটা ভুলেই গিয়েছিলেন সন্তান হারানোর বেদনা। তবে দুই বছর পর জানতে পারলেন তাদের সন্তানকে খুন করা হয়েছে। পুতে রাখা হয়েছে একটি মাদ্রাসার সেপটিক ট্যাঙ্কের পাশে। আর জেলখানার গল্প থেকে ওই খুনের রহস্য জানতে পেরেছে তারা। শুক্রবার (১ মার্চ) নাটোরের গুরুদাসপুর পৌরসভার খলিফাপাড়া মাফিজুল ইসলামের খুনের কথা জানতে পারে তার পরিবার।  শনিবার (২ মার্চ) সকাল থেকে ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ। জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ ছিলেন পৌরসভার খলিফাপাড়া মাফিজুল ইসলাম। প্রায় দুই বছর পর পরিবারটি জানতে পারে, তাকে খুন করা হয়েছে। পুঁতে রাখা লাশ রয়েছে চাঁচকৈড় পুরানপাড়ার একটি বালিকা মাদ্রাসার সেপটিক ট্যাঙ্কের পাশে। আসামিদের বরাত দিয়ে  র‌্যাব জানিয়েছে, বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে চাকরির সময় নিহত মাফিজুল ইসলামের সঙ্গে মাদ্রাসার নৈশপ্রহরীর মেয়ের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি নিয়ে আবু তাহের খলিফার কাছে অভিযোগ করে জামাতা আল হাবিব সরকার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আবু তাহের কৌশলে মাফিজুলকে ২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল তার বাসায় ডেকে নেয়। রাতে তাকে নিজের কর্মস্থল চাঁচকৈড় বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় নিয়ে যায়। সেখানে মাফিজুলকে হাত-পা বেঁধে ও মুখে স্কচটেপ দিয়ে হত্যা করে তারা।  হত্যাকাণ্ডের পর লাশ প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে মাটিতে পুঁতে রাখে। ছেলে নিখোঁজের ঘটনায় মাফিজুলের মা গুরুদাসপুর থানায় একই বছরের ৭মে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডের পর দম্পতির পারিবারিক কলহ বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলা করে মেয়েটি। এ মামলায় জেলহাজতে রয়েছে আল হাবিব। এরপর হাবিব কারাগারে থাকা অবস্থায় গুরুদাসপুরের খলিফাপাড়ার জাকির মুন্সির (৪০) সঙ্গে তার বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি তাকে জানায় সে। জাকির জামিনে মুক্তি পেয়ে মাফিজুলের পরিবারকে ঘটনাটি খুলে বলে। পরে পুলিশকে জানান পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ বিষয়টি আমলে নিয়ে অভিযুক্ত মেয়ে ও তার বাবা আবু তাহেরকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পুলিশের কাছে স্বীকার করে তারা। এ ঘটনায় র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়াতদন্ত শুরু করে। র‌্যাব-৫ নাটোর ক্যাম্পের সদস্যরা আসামি আশরাফুলকে শনিবার সিরাগঞ্জের গোলচত্বর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। গুরুদাসপুর থানার ওসি উজ্জ্বল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, লাশ উত্তোলনের জন্য আদালতের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছেন। এ ঘটনায় মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী আবু তাহের খলিফা (৫৫), তার মেয়ে (২৮), মেয়ের স্বামী আল হাবিব সরকার (৩৫) ও স্বজন আশরাফুল ইসলামকে (৪২) গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাতে নিহত মাফিজুলের মা মাইনুর বেগম বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় গ্রেপ্তার চারজনসহ আরও তিন থেকে চারজনকে সন্দেহভাজন আসামি করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন নিহত মাফিজুলের মা মাইনুর বেগম।  শনিবার (২ মার্চ) আদালতের অনুমতি না মেলায় মরদেহ উত্তোলন করতে পারেনি পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাজাহারুল ইসলাম বলেন, রোববার মরদেহ উত্তোলন করা হবে।  
০৩ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩১

কোচ সালাউদ্দিনের সাফল্যের রহস্য উন্মোচন করলেন লিটন
বিপিএলের আগের নয় আসরে সর্বোচ্চ চার বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দশম আসরেও ফাইনালের টিকিট পেয়েছে তারা। দলটির অন্যতম মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করে আসছেন প্রধান কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। দেশসেরা এই কোচ কেনো অন্য সবার থেকে আলাদা এবং সফল তা প্রকাশ করেছেন কুমিল্লার অধিনায়ক লিটন দাস। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে সংবাদ সম্মেলনে এসে লিটন বলেন, আমার মনে হয় রংপুর তো কুমিল্লার মতনই কাছাকাছি। তারাও একই কোচিং স্টাফ, প্রায় একই প্লেয়ার নিয়ে অনেক দিন যাচ্ছে।  ‘আমার মনে হয় (সালাউদ্দিন) স্যারের কিছু ধরাবাঁধা নিয়ম আছে স্যার এক প্লেয়ারকে অনেক দিন সুযোগ দেয়। এটা স্বাভাবিক হওয়া উচিত। আপনি একটা প্লেয়ারকে এক সিজনে জাজ করতে পারবেন না।' কোচ সালাউদ্দিনের মানসিকতা নিয়েও প্রশংসা করেছেন এই টাইগার ব্যাটার। তিনি বলেন, স্যার দেখে সবাই ঘরোয়া ক্রিকেটও খেলে। আমার মনে হয় এদিক দিয়ে ভালো। তার থেকে বড় জিনিস আমরা সবাই খুবই ফ্রেন্ডলি।  ‘আমাদের ম্যানেজমেন্ট থেকে যদি কোনো ছেলে নতুন আসে সে কখনওই বুঝবে না যে আমরা এত সিনিয়রদের সাথে বসে আড্ডা মারতেসি। সবাই অনেক ফ্রি, স্যার অনেক ফ্রি মাইন্ডের। একটা প্লেয়ারকে যদি স্বাধীনতা দেন খেলো, মজা করো। তারা তাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে। এদিক দিয়ে সালাউদ্দিন স্যার বেস্ট।’  
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়