• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সাংবাদিক আতিকুর রহমান আর নেই
দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার যুগ্ম বার্তা সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান হাবিব মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আতিকুর রহমান ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবে বেলা দেড়টায় আতিকুর রহমানের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে তাকে দাফন করা হবে। উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক সম্পন্ন করেন আতিকুর রহমান। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় দৈনিক আলআমিন পত্রিকায় যোগদানের মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন। এরপর দৈনিক মানবজমিনসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় কাজ করেন। সবশেষ ১০ ধরে দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন তিনি।  
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:০০

বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য হলেন ডা. আতিকুর রহমান
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কোষাধ্যক্ষ ও বক্ষব্যাধি (রেসপিরেটরি মেডিসিন) বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। তিনি ভারপ্রাপ্ত উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. ছায়েফ উদ্দিন আহমেদের কাছ থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন।  সোমবার (২২ এপ্রিল) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪তম উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেলেন তিনি।  প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. সাহাবুদ্দিন অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুর রহমানকে আগামী ৪ বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছেন। উপ-উপাচার্য পদে নিয়োগের লক্ষ্যে কোষাধ্যক্ষ পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তাকে। উপ-উপাচার্য পদে নিয়োগ পাওয়ায় অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।  নতুন দায়িত্ব পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ডা. আতিকুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করাই হবে তার লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করার পাশাপাশি শিক্ষা ও গবেষণায় নজর দিতে প্রধানমন্ত্রী যে তাগিদ দিয়েছেন সেদিকে আরো নজর দেয়ার কথা জানান তিনি।  বিশিষ্ট বক্ষব্যধি চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের গ্রামের বাড়ি সিলেটের বালাগঞ্জে। তিনি ১৯৬৯ সালের ১৫ মে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট থেকে বক্ষব্যাধিতে এমডি ডিগ্রি অর্জন করে পেশাগত জীবনে দক্ষতা ও মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। ২০১৪ সালে আমেরিকান কলেজ অফ চেস্ট ফিজিশিয়ান্স থেকে এফসিসিপি ডিগ্রী অর্জন করেন তিনি। অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ২ মেয়াদে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয় অর্থ কমিটির সভাপতি এবং সিন্ডিকেট সদস্য। তিনি বিএসএমএমইউর জার্নালের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি)-এর মেম্বার সেক্রেটারি, ইনস্টিটিউশনাল রিভিউ বোর্ড (আইআরবি)-এর সদস্য এবং বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ স্পোর্টস মেডিসিন-এর সম্মানিত কোষাধ্যক্ষ-এর দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের সেন্ট্রাল কাউন্সিলর, ইথিক্যাল রিভিউ বোর্ড (ইআরবি)-এর সদস্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাহী সদস্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পালমোনলজি বিষয়ের ফাউন্ডার কোর্স কো-অর্ডিনেটর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন, এসোসিয়েশন অফ ফিজিশিয়ান্স অফ বাংলাদেশ, দি চেস্ট এন্ড হার্ট এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ, এজমা এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ ব্রনকোলোজি এন্ড ইন্টারভেনশনাল পালমোনলজি, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি এবং পাবলিক হেলথ এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ-এর সম্মানিত আজীবন সদস্য। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে ও চিকিৎসকদের অধিকার আদায়ে অধ্যাপক আতিক সবসময় সোচ্চার। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত। অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন জার্নালে ৪৭টি বৈজ্ঞানিক প্রকাশনাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বিভিন্ন সময়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় সংবাদপত্রের চিকিৎসা, জনস্বাস্থ্য ও সচেতনামূলক বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত কলাম লিখেন। ব্যক্তিজীবনে তিনি ২ কন্যা সন্তানের পিতা। তার সহধর্মিনী ডা. কাজী রাহিলা ফেরদৌসি একজন বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। তার বাবা মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, মা হাসিনা রহমান।  
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৫

‌‘এবার ঈদ ও নববর্ষে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি’
ডিএমপির প্রতিটি সদস্যের তৎপরতার কারণেই এবার রমজান, ঈদ ও বাংলা নববর্ষে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। সোমবার (১৫ এপ্রিল) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে ঈদপুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি ডিএমপির সহকর্মীদের নিয়ে গর্বিত। কারণ ডিএমপির প্রতিটি সদস্যের তৎপরতার কারণেই এবার রমজান, ঈদ ও বাংলা নববর্ষে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’ তিনি বলেন, ‘সদ্য সমাপ্ত রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে পুলিশের তৎপরতার জন্য কোনো ছিনতাইয়ের ঘটনা বা অজ্ঞান ও মলম পার্টির অপতৎপরতা চোখে পড়েনি। সচরাচর অতীতে যে ধরনের অপরাধ সংগঠনের কথা আমরা শুনে এসেছি তার একটিও এবারের রমজানে সংঘটিত হয়নি। সেইসঙ্গে সদ্য সমাপ্ত পহেলা বৈশাখের নানা অনুষ্ঠান আয়োজন হয়েছে, সেখানেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সবগুলো অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এর মাধ্যমে ডিএমপির প্রতি নগরবাসীর যে প্রত্যাশা তার পুরোপুরি পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এবারের রমজানে কাজ শেষে বাসায় ইফতার করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। অতীতে আমরা লোকজনকে রাস্তায় ইফতার করতে দেখেছি। অন্যান্যবারের চেয়ে এবার ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি ক্রাইম বিভাগের তৎপরতার কারণে রোজাদাররা বাসায় গিয়ে ইফতার করতে পেরেছেন। অতিরিক্ত কমিশনার, যুগ্ম কমিশনার ও ডেপুটি কমিশনার সবাই দায়িত্ব পালন করেছেন। অনেকে রাস্তায়ই ইফতার করেছেন। এজন্য আমি ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’ ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে প্রায় ৩৪ হাজার সদস্য কাজ করেন। এটা শুধু বাংলাদেশ পুলিশের জন্য নয়, সমগ্র দেশের জন্য একটি গর্বের বিষয়। একসঙ্গে এত অফিসার ও ফোর্স দেশের আর কোনো প্রতিষ্ঠানে নেই। আমরা একসঙ্গে একটি টিম হয়ে কাজ করি। ঢাকা মহানগরীর দুই কোটি মানুষের নিরাপত্তা দিতে ডিএমপির প্রতিটি সদস্য কাজ করেন।’ ঈদের ছুটি শেষে সোমবার প্রথম কর্মদিবসে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে কর্মরত সব পুলিশ কর্মকর্তা-কর্মচারী, দাপ্তরিক কর্মচারী এবং রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে কর্মরত সবস্তরের পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন কমিশনার হাবিবুর রহমান। এ সময় ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৭

জি এম কাদেরকে পা ছুঁয়ে সালাম করলেন রাঙ্গা
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় নেতা জি এম কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দল থেকে বহিষ্কৃত মহাসচিব ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা। এ সময় মশিউর রহমান রাঙ্গা জি এম কাদেরকে পা ছুঁয়ে সালাম করেন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রংপুর নগরীর স্কাইভিউ এর বাসায় জি এম কাদেরের কক্ষে গিয়ে সাক্ষাৎ শেষে পা ছুঁয়ে সালাম করেন তিনি। জি এম কাদেরকে সালাম করার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে দেখা যায়, জি এম কাদেরের সামনে হাঁটু গেরে বসে পায়ে একহাত রেখে কথা বলছেন মশিউর রহমান রাঙ্গা। আর মুচকি হেসে রাঙার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন জি এম কাদের। এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃত মহাসচিব ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা সাংবাদিকদের জানান, জি এম কাদেরের সঙ্গে তার পারিবারিকভাবে আত্মীয়তার সম্পর্ক আছে। এ কারণে প্রতিবার ঈদে জি এম কাদের এর সঙ্গে সাক্ষাৎ ও সালাম করেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে সন্ধ্যায় রংপুরের স্কাই ভিউয়ের বাসায় গিয়ে জি এম কাদেরের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করে পা ছুঁয়ে সালাম করেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রংপুরের রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে আমাদের। তবে এর বাইরে দল কিংবা দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। রাজনীতিতে কিংবা জাতীয় পার্টিতে আবার সক্রিয় হলে সবাই জানতে পারবেন।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৮

পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের মেয়ের মৃত্যু নিয়ে রহস্য
প্রয়াত জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের মেয়ে সামিয়া রহমান সৃষ্টির (৩৪) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী ক্যামব্রিয়ান স্কুল-সংলগ্ন ‘রংধনু’ আবাসিক হোটেলের ২১০ নম্বর কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। দুপুরে যাত্রাবাড়ীর ওই আবাসিক হোটেলে ওঠেন তিনি। সন্ধ্যায় হোটেল কর্তৃপক্ষ ইফতার নিয়ে ওই কক্ষের দরজা নক করে। তবে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পরবর্তীতে থানায় খবর দেয়। এরপর সেখানে গিয়ে রুমের দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাব্বির হোসেন বলেন, রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে যাত্রাবাড়ীর ওই আবাসিক হোটেলে ওঠেন সামিয়া রহমান। ইফতারির সময় হোটেল কর্তৃপক্ষ ইফতার নিয়ে ওই কক্ষের দরজা নক করে। তবে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পরবর্তীতে থানায় খবর দেয়। এরপর সেখানে গিয়ে হোটেলের রুমটির দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও বলেন, তার শরীরে দৃশ্যমান কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আঘাতের চিহ্ন দেখে মনে হয়েছে এগুলো সপ্তাহখানেক আগের। সামিয়া রহমান উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর রোডে স্বামী তানিমের সঙ্গে থাকতেন। আর তার বাবা চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান। পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:০২

হোটেলে চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহানের মেয়ের মরদেহ
প্রয়াত জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের মেয়ে সামিয়া রহমান সৃষ্টির (৩৪) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী ক্যামব্রিয়ান স্কুল সংলগ্ন ‘রংধনু’ আবাসিক হোটেলের ২১০ নম্বর কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।  দুপুরে যাত্রাবাড়ীর ওই আবাসিক হোটেলে ওঠেন তিনি। সন্ধ্যায় হোটেল কর্তৃপক্ষ ইফতার নিয়ে ওই কক্ষের দরজা নক করে। তবে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পরবর্তীতে থানায় খবর দেয়। এরপর সেখানে গিয়ে রুমের দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাব্বির হোসেন। তিনি জানান, সন্ধ্যার পর হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পেয়ে হোটেলের দ্বিতীয় তলার ২১০ নম্বর কক্ষ থেকে ওই নারীর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছিলেন তিনি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সামিয়া রহমান উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর রোডে স্বামী তানিমের সঙ্গে থাকতেন। আর তার বাবা চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান। পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০২

‘ঈদে দুই সিনেমায় কাজ করে আমি অভিনেতা হিসেবে তৃপ্ত’
শোবিজের জনপ্রিয় অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু। ছোট পর্দার পাশাপাশি বড় পর্দাতেও বেশ সরব তিনি। নিজ অভিনয়গুণে দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন এই অভিনেতা। আসন্ন ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার দুটি সিনেমা।  ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ফজলুর রহমান বাবু অভিনীত দুই সিনেমা ‘ওমর’ এবং ‘মেঘনা কন্যা’। ‘ওমর’ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। অন্যদিকে 'মেঘনা কন্যা' পরিচালনা করেছেন ফুয়াদ চৌধুরী।  এ প্রসঙ্গে ফজলুর রহমান বাবু বলেন, ‘দুই সিনেমায় দুরকম চরিত্রে অভিনয় করেছি। ‘ওমর’ সিনেমার গল্প একেবারেই অন্যরকম। চরিত্রটি নিয়ে এখনই বলতে চাই না। বলা যায় সবকিছুতেই নতুনত্ব আছে।’   অভিনেতা আরও বলেন, ‘সবসময়ই দর্শক ভালো গল্প চায়। ‘ওমর’ সিনেমায় শক্তিশালী একটি গল্প পাওয়া যাবে। অন্যদিকে ‘মেঘনা কন্যা’ সিনেমাটিও দারুণ গল্পে সাজানো হয়েছে। আসলে দুটি সিনেমা করে আমি অভিনেতা হিসেবে তৃপ্ত।’ ফজলুর রহমান বাবু বলেন, ‘দুটি সিনেমা নিয়েই আমি আশাবাদী। আশা করছি ঈদের ছুটিতে দর্শকরা প্রেক্ষাগৃহে যাবেন এবং সিনেমা দুটি দেখবেন।’  প্রসঙ্গত, ঈদুল ফিতরে এই দুটি চলচ্চিত্র ছাড়াও ফজলুর রহমান রহমান বাবু অভিনীত কয়েকটি নাটক প্রচারিত হবে বিভিন্ন চ্যানেলে।   
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০৯

রাজউকের নতুন চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান পদে মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমান সরকারকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখা থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, দ্য টাউন ইমপ্রুভমেন্ট অ্যাক্ট, ১৯৫৩-এর ধারা ৪(২) অনুযায়ী অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান সরকারকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছর মেয়াদে রাজউকের চেয়ারম্যান পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলো। এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। সিদ্দিকুর রহমানের জন্ম ১৯৬৩ সালের ১০ আগস্ট নরসিংদী জেলায়। ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সামরিক একাডেমিতে যোগ দেন তিনি।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০৮

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রো-ভিসি মিজানুর রহমান
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাবির অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৯২-এর ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ করা হয়েছে। এই নিয়োগে কিছু শর্তও দেওয়া হয়েছে। শর্তগুলো হলো— প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ থেকে ৪ (চার) বছর হবে, এই পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতা পাবেন, তিনি বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন এবং সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধি ও আইন দ্বারা নির্ধারিত ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করবেন, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলেও জানানো হয় প্রজ্ঞাপনে।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১১

এবার ঈদে হিন্দি গান শোনাবেন ড. মাহফুজুর রহমান
প্রতি বছরের মতো এবার ঈদেও একগুচ্ছ গান নিয়ে আসছেন বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান। তার গান মানেই শ্রোতাদের বাড়তি আগ্রহ। ঈদের বিশেষ একক সংগীতানুষ্ঠানে তিনি প্রায় ১০টির মতো গান শোনাবেন বলে জানা গেছে। এটিএন নিউজে ঈদের দিন রাত ৯টায় এবং দ্বিতীয় দিন একই সময় গান শোনাবেন। দুইদিনের জন্য নির্ধারিত তার সংগীত অনুষ্ঠান দুটির নাম যথাক্রমে দিল মে হো তুম এবং দু চোখে শুধু তুমি। সংগীত পরিচালনা করেছেন মান্নান মোহাম্মদ ও রাজেশ ঘোষ। দিল মে হো তুম অনুষ্ঠানে তার সহশিল্পী হিসেবে থাকবেন ভাবনা, সামিয়া, পুনম নীলিমা। অন্যদিকে এটিএন বাংলায়ও ঈদের দিন ও পরের দিন থাকছে মাহফুজুর রহমানের একক সংগীতানুষ্ঠান। চ্যানেলটিতে ঈদের দিন ১০.৩০ মিনিটে প্রচার হবে ‘তুমি শুধু আমারই থেকো’। অনুষ্ঠানে রয়েছে মোট ১০ টি গান। অ্যালবামের গানগুলোতে সুরারোপ করেছেন মান্নান মোহাম্মদ ও রাজেশ ঘোষ। বাংলা গানের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে থাকছে জনপ্রিয় কয়েকটি গজল। অ্যালবামে রয়েছে আমায় ভালোবাসো না, তোমার চোখ দুটি, তুমি যে শুধু আমার, যাবে যদি চলে যাও এবং বুকের মাঝে রাখবো শিরোনামের গান। গজলের মধ্যে রয়েছে মেরে মিতুয়া, ম্যায় জিস দিন, জানে কাহা, ম্যায় সায়ের তো নেহি এবং চিটঠি আয়ি হ্যায়। ঈদের পরদিন রাত ১০.৩০ মিনিটে প্রচার হবে সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘লেকে পেহেলা পেহেলা পেয়ার’। একক এবং ডুয়েট হিন্দি গান দিয়ে সাজানো হয়েছে এই অনুষ্ঠানটি। অনুষ্ঠানে থাকছে দিল কিয়া কারে, মেরে মেহেবুব, রাজাকো রাণি সে পেয়ার, লেকে পেহেলা পেহেলা পেয়ার, বারিস মে তু, তুহি এ মুঝকো বাতাদে, ধীরে ধীরে সে, হামকো হামিসে, ম্যায় জিস দিন ভুলাদু এবং মিলে হো তুম হামকো শিরোনামের গান।  ডুয়েট গানগুলোতে ড. মাহফুজুর রহমানের সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন সামিয়া জাহান, নীলিমা, ভাবনা আহমেদ ও মারিয়া চৌধুরী।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৫১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়