নির্মাতা হারুনর রশীদ আর নেই
না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন নির্মাতা হারুনর রশীদ। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৮৩।
দেশের একটি গণমাধ্যমে হারুনর রশীদের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন নির্মাতার মেয়ে রোমানা রশীদ।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাদ জুমা বাড্ডা লিংক রোডের বাড়ির সামনের মসজিদে হারুনর রশীদের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাকে ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশে সমাহিত করা হবে বলে জানা গেছে।
রোমানা বলেন, আব্বা গত ২৭ দিন যাবত অসুস্থ। ব্রেন স্ট্রোক করেছিলেন। এরপর আব্বাকে লাইফ সাপোর্টে দেওয়া হয়। পরশু দিনও আব্বা আমার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। গতকাল রাতে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন।
নির্মাতার মেয়ে আরও বলেন, উঠতি বয়সে ঢাকায় আসেন আব্বা। এরপর চলচ্চিত্র নির্মাণে মনোযোগী হন তিনি। আমার বাবার বন্ধুদের মধ্যে ছিলেন জহির রায়হান, খান আতাউর রহমান ও সালাউদ্দিন জাকী আঙ্কেলরা।
১৯৪০ সালের ১৫ মার্চ কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন হারুনর রশীদ। মৃত্যুর সময় ব্যক্তিগত জীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন তিনি। বাবার অসুস্থতার খবর পাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে এসেছেন নির্মাতার ছেলে।
১৯৬৩ সালে পরিচালক সালাউদ্দিনের সহকারী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে বশীর হোসেন, জহির রায়হানের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। ঢালিউডে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের কাহিনি নির্ভর অন্যতম সিনেমা ‘মেঘের অনেক রং’ ১৯৭৬ সালে মুক্তি পায়। ওই বছরে সেরা সিনেমা, পরিচালক, সংগীত পরিচালক (ফেরদৌসী রহমান), চিত্রগ্রাহক (হারুন অর রশিদ) ও শিশুশিল্পী (মাস্টার আদনান) বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায় সিনেমাটি।
এছাড়া হারুনর রশীদের উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হচ্ছে— ‘আমরা তোমাদের ভুলব না’, ‘গৌরব’, ‘রঙিন গুনাই বিবি’, ‘ধনবান’, ‘অসতী’। সহকারী পরিচালক হিসেবে হারুনর রশীদ কাজ করেছেন ‘সুয়োরানী দুয়োরানী’, ‘কাঞ্চনমালা’ ও ‘রূপবান’ সিনেমায়।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫২