• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যে কারণে নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবি, জানালেন রওশন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেতৃত্বের অদূরদর্শিতা, দল পরিচালনায় অনঅভিজ্ঞতা ও ভুল পদক্ষেপের কারণে জাতীয় পার্টির ভরাডুবি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ। বুধবার (২০ মার্চ) বিকেলে গুলশানে নিজ বাসভবনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৯৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রওশন এরশাদ বলেন, দ্বাদশ নির্বাচনের যে প্রভাব পার্টির ওপর পড়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমরা পার্টিকে রক্ষা করা এবং পার্টিকে পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি। পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। এখন দেশে সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারা চলমান রাখতে সুসংগঠিত জাতীয় পার্টির একান্ত প্রয়োজন। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এরশাদের জন্মদিনের শুভ মুহূর্তে- যারা একদিন তাকে ভালোবেসেছিলেন- তাদের সবার প্রতি আহবান- আসুন আমরা আবার জাতীয় পার্টির এক পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ হই, পল্লীবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করি। রওশন বলেন, আমার কারও প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ নেই। পার্টির যারা দশম কাউন্সিলের বাইরে ছিলেন তারাও ফিরে আসুন জাতীয় পার্টির সঙ্গে। আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টিকে জাতির সামনে উপহার দিতে চাই।
২০ মার্চ ২০২৪, ২০:১৩

আমরাই মূল জাতীয় পার্টি : চুন্নু
জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, আরেকটি ব্রাকেটবন্দী দল হতে পারে। কিন্তু আমরাই মূল জাতীয় পার্টি। শনিবার (৯ মার্চ) রওশন এরশাদপন্থীদের কাউন্সিল প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন। মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, রওশন এরশাদপন্থীদের পৃথক কাউন্সিল করা দলের গঠনতন্ত্রবিরোধী। তবে আমরা তাদের কার্যক্রমকে গুরুত্ব দিচ্ছি না। জি এম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে এবং থাকবে। এদিন ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় কাউন্সিল করেন রওশন এরশাদপন্থীরা। কাউন্সিলে রওশন এরশাদকে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে আগামী ৩ বছরের জন্য নির্বাচিত করা হয়। কাউন্সিলে আগামী তিন বছরের জন্য জাতীয় পার্টির মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন কাজী ফিরোজ রশীদ। সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা নির্বাচিত। এ ছাড়া পাঁচজন কো-চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। কো-চেয়ারম্যানরা হলেন- শাহিদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, সাদ এরশাদ, গোলাম সারওয়ার মিলন, সুনীল শুভ রায়। সুনীল শুভ রায় জাতীয় পার্টির মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করবেন। জাতীয় পার্টির দুই শীর্ষ নেতা রওশন এরশাদ ও জিএম কাদেরের দ্বন্দ্ব অনেক পুরোনো। তবে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ায় শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর ক্ষুব্ধ হন রওশনপন্থীরা। অন্যদিকে, ছেলে সাদ এরশাদকে রংপুরে মনোনয়ন না দেওয়ায় রওশন এরশাদ নির্বাচন থেকে বিরত থাকেন। এর জেরে নতুন করে জাপায় দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এখন শেষে পর্যন্ত দলটি দুই ভাগ হয়ে গেল।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫৬

জি এম কাদের বেইমানি করেছেন : রওশন
জি এম কাদের দলের সঙ্গে বেইমানি করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, নির্বাচনে সারাদেশের ২৫০ প্রার্থীকে কোরবানি দিয়েছেন তিনি। তাদের কোনো খোঁজ নেননি। শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে দলের দশম জাতীয় কাউন্সিলে তিনি এ কথা বলেন। রওশন এরশাদ বলেন, এরশাদ এদেশে যে নতুন ধারার রাজনীতির প্রবর্তন করেছিলেন, সেই রাজনীতি হারিয়ে যেতে বসেছিল। আজ এই কাউন্সিল যদি না হতো, তাহলে জাতীয় পার্টি হারিয়ে যেত। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতো। আমরা আমাদের  হাজার হাজার নেতাকর্মীকে আমরা হারিয়ে ফেলতাম। এই কাউন্সিলের মাধ্যমে এরশাদের নীতি-আদর্শ এবং উন্নয়ন-সমৃদ্ধি ও সংস্কারের রাজনীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। জনগণের মনে আবার আমরা বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি।’  তিনি বলেন, এরশাদের জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি এবং থাকব। অতীতে যারা পার্টি ছেড়ে গেছে, তারা কেউ এরশাদের নীতি-আদর্শ নিয়ে যায়নি। তাই জাতীয় পার্টি কখনো ভেঙেছে- তা আমি মনে করি না। লাঙ্গল প্রতীক এখনো আমাদের অনুকূলে আছে এবং আগামীতেও থাকবে। রওশন এরশাদ আরও বলেন, দলের চেয়ারম্যান হিসেবে আমি ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত না রেখে বিকেন্দ্রীকরণ করার প্রস্তাব রেখেছি। জাতীয় পার্টিতে গণতন্ত্র চর্চার একটা নিদর্শন আমরা সৃষ্টি করতে চাই। সেই লক্ষ্যে গঠনতন্ত্র সংশোধন উপকমিটি প্রয়োজনীয় সংশোধনীর প্রস্তাব আনবে।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৮

জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ
জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান হিসেবে আগামী ৩ বছরের জন্য নির্বাচিত হলেন রওশন এরশাদ।  শনিবার (৯ মার্চ) দশম জাতীয় কাউন্সিলে তার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। কাউন্সিলে আগামী তিন বছরের জন্য জাতীয় পার্টির মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন কাজী ফিরোজ রশীদ।  সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা নির্বাচিত। এ ছাড়া পাঁচজন কো-চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে।  কো-চেয়ারম্যানরা হলেন শাহিদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, সাদ এরশাদ, গোলাম সারওয়ার মিলন, সুনীল শুভ রায়। সুনীল শুভ রায় জাতীয় পার্টির মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করবেন। এর আগে, শনিবার (০৯ মার্চ) জাতীয় সংগীত এবং দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দুপুর ১২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান জিয়াউল হক মৃধা। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে পুরো ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টিউটসহ মৎস্যভবন এবং শাহবাগ এলাকা। নানা রংবেঙের পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে সম্মেলনস্থল। সড়কদ্বীপগুলোতে লাগানো হয়েছে এরশাদ শাসনামলের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ছবি সম্বলিত ফেস্টুন। নির্মাণ করা হয়েছে দ্বিতল বিশিষ্ট মঞ্চ। ১২ হাজার কাউন্সিলর এবং ডেলিগেট উপস্থিতির লক্ষ্য চুড়ান্ত করে সম্পন্ন করা হয়েছে সকল আয়োজন।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৮:১৬

অবশেষে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কারণ জানালেন রওশন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার বিষয়টি অবশেষে পরিষ্কার করেছেন জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে নিজ বাসভবনে আয়োজিত বর্ধিত সভায় তিনি বলেন, অনেকে প্রশ্ন করেন, আমি কেন নির্বাচনে অংশ নিলাম না। মূলত, ভোটে জয়ী হওয়ার মতো জাপার অনেক নেতাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তাদের বাদ দিয়ে তো আমি নির্বাচন করতে পারি না। তাছাড়া আমার ছেলের আসনও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তাকে ফেলে রেখে আমি নির্বাচনে যেতে পারি না। রওশান আরও বলেন, এতকিছুর পরেও সব কিছু মেনে নিতে পারতাম, যদি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবি না হতো। পার্টিকে ধ্বংসের শেষ সীমানায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এটা আমি কীভাবে মেনে নেব? তিনি বলেন, জাপার নেতাকর্মীদের দাবির মুখে আমি পার্টির চেয়াম্যানের দায়িত্ব নিতে বাধ্য হয়েছি। আপনারাই জাপার সব ক্ষমতার উৎস। আপনাদের চাওয়া মতেই পার্টি পরিচালিত হবে। জাতীয় পার্টিতে পূর্ণাঙ্গ গণতান্ত্রিক চর্চা হবে। জাপার একাংশের চেয়ারম্যান বলেন, আগামী ৯ মার্চ জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলনের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হতে পারে। এসব নিয়ে কেউ কান দেবেন না। ৯ মার্চ ওইদিন আপনারাই জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব নির্বাচিত করবেন। রওশন এরশাদ অভিযোগ করেন, জি এম কাদেরপন্থিরা জাপা থেকে এরশাদের স্মৃতি মুছে ফেলার চেষ্টা করছেন। জাপা প্রতিষ্ঠার পর এবারের নির্বাচনে পার্টির প্রার্থীদের পোস্টারে পল্লিবন্ধুর ছবি রাখতে দেওয়া হয়নি। যার কারণে অনেক নেতাকর্মী ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। এ সময় দেশের অর্থনীতির বিষয়ে সরকারকে সতর্ক করে তিনি বলেন, নতুন সরকারের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আমরা অশনিসংকেত দেখতে পাচ্ছি। সরকার যদি তা মোকাবিলা করতে না পারে, তাহলে বড় বিপর্যয় নেমে আসবে।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৬

‘মা সমতুল্য রওশনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন জিএম কাদের’
মা সমতুল্য রওশন এরশাদের সঙ্গে জিএম কাদের বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত এবং রওশন এরশাদের মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশীদ।  শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে জাতীয় মহিলা পার্টির নেতাদের মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। মামুনুর রশীদ বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের (জাতীয় পার্টি) সঙ্গে লীলাখেলা খেলেছেন জিএম কাদের। তাকে পাবনার মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন। সভায় রওশনপন্থি জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সেন্টু বলেন, জাতীয় পার্টি কার ও কার কাছে আছে এটা ৯ মার্চ সম্মেলনের মাধ্যমে সারাবিশ্বকে জানিয়ে দেওয়া হবে। মতবিনিময় সভায় জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, জাতীয় মহিলা পার্টির যুগ্ম মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শাহনাজ পারভীন, রওশনপন্থি জাতীয় পার্টির মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:১৫

জাতীয় পার্টির কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করলেন রওশন
আগামী ৯ মার্চ কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করেছেন জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ।  রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি। রওশন এরশাদ বলেন, এখন চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে জাতীয় পার্টি। এমন অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য এবং জাপাকে আবার সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে জাতীয় কাউন্সিল আয়োজনের ঘোষণা দিচ্ছি। নেতাকর্মীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করে আগামী ৯ মার্চ দশম জাতীয় কাউন্সিল আয়োজনের ঘোষণা দিচ্ছি। তিনি বলেন, জাপার সর্বস্তরের অসংখ্য নেতাকর্মী আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। সুন্দর একটি সম্মেলন উপহার দিয়ে জাতীয় পার্টিতে আবার প্রাণ শক্তি ফিরিয়ে আনতে চাই। তিনি আরও বলেন, সময়মতো পার্টির জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করা প্রতিটি রাজনৈতিক দলের গণতন্ত্র চর্চার প্রধান ক্ষেত্র। জাপার সম্মেলন আয়োজনের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। এখন জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানের যে ঘোষণা দিয়েছি সেই সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য আমি একটি সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করেছি। রওশন এরশাদ বলেন, আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কাজী ফিরোজ রশীদ, কো-আহ্বায়ক থাকবেন সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, যুগ্ম-আহ্বায়ক থাকবেন গোলাম সরোয়ার মিলন, সদস্য সচিব থাকবেন রফিকুল ইসলাম সেন্টু এবং কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা। এছাড়া জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব, প্রেসিডিয়াম সদস্য, উপদেষ্টা, ভাইস চেয়ারম্যান, যগ্ম-মহাসচিব, সম্পাদকমন্ডলী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং জেলা কমিটির সভাপতি/আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক/সদস্য সচিব-ক্রমানুসারে সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। পরবর্তীতে পার্টির সংগঠনিক বিষয়ে কোনো তথ্য জানার জন্য পার্টির মহাসচিব কাজী মো. মামুনুর রশিদ এবং মিডিয়া সংক্রান্ত কোনো তথ্য জানার জন্য মুখপাত্র সুনীল শুভ রায়ের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করার অনুরোধ করেন তিনি। প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি নিজেকে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। একই সঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন তিনি।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩১

জাতীয় পার্টিতে সম্মেলনের ডাক রওশন এরশাদের
জাতীয় পার্টিতে চলছে একের পর এক ঘটনা। এবার জাতীয় সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন রওশন এরশাদ। দলটির (একাংশের) চেয়ারম্যান ও সাবেক বিরোধীদলীয় নেত্রী তিনি। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি জানান, আগামী ৯ মার্চ দলটির দশম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। গুলশানে নিজ বাসভবনে অনুষ্ঠিত সভায় এই ঘোষণা দেন তিনি। রওশন এরশাদ বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর আজ আমি পার্টির শীর্ষ নেতা এবং অন্যান্য স্তরের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছি। বৈঠকে আমরা জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন প্রসঙ্গে আলোচনা করেছি। প্রাথমিকভাবে আমরা আগামী ২ মার্চ জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করেছিলাম। কিন্তু রমজানের আগে রাজধানীতে নানা আনুষ্ঠানিকতা থাকায় ওই দিনে সম্মেলনের জন্য উপযুক্ত ভেন্যু না পাওয়ায় আমরা তারিখ পরিবর্তন করে ৯ মার্চ সম্মেলনের দিন নির্ধারণ করেছি। তিনি বলেন, যে দলের লাখ লাখ নেতাকর্মী দক্ষতা ও যোগ্যতায় এখনও সরকার পরিচালনার স্বপ্ন দেখছে সেই দলটির সাংগঠনিক অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এরশাদের রেখে যাওয়া জাতীয় পার্টির জনপ্রিয়তায় চরম ধস নেমেছে। পার্টি থেকে পল্লীবন্ধুর নামটাও প্রায় মুছে ফেলা হয়েছে।  রওশন এরশাদ বলেন, পার্টির এই ক্রান্তিলগ্নে দেশের অগণিত এরশাদ পাগল নেতাকর্মীর দাবির মুখে এক কঠিন পরিস্থিতি জাতীয় পার্টিকে রক্ষার জন্য আমি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছি, তা আপনারা জানেন। একই সভায় জাতীয় পার্টির একাংশের মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ বলেন, জাতীয় পার্টির বিভক্ত হওয়া সকল পক্ষ কাউন্সিলে উপস্থিত থাকবে। তাদের সাথে আলোচনা চলছে। রাজনৈতিকভাবে টিকে থাকতে হলে জিএম কাদের, মুজিবুল হক চুন্নুসহ সবাইকেই রওশন এরশাদের নেতৃত্বে থাকা জাতীয় পার্টিতে ফিরতে হবে। সংসদে যারা আছেন তারা সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবেন আর দল দলের মত করে পরিচালিত হবে এতে কোনো সংকট হবে না।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৬

জাতীয় পার্টি থেকে জি এম কাদের ও চুন্নুকে অব্যাহতি
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে অব্যাহতি দিয়ে কাজী মামুনুর রশীদকে মহাসচিব ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে নিজেকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন বেগম রওশন এরশাদ। রোববার (২৮ জানুয়ারি) জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা কো-চেয়ারম্যান এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমি বেগম রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা কো-চেয়ারম্যান এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক- এই মর্মে ঘোষণা করছি যে, বিগত দিনের জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক ব্যর্থতা পর্যালোচনা করে আমি কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি। আমাদের প্রাণপ্রিয় সংগঠন জাতীয় পার্টিতে এখন একটি ক্রান্তিকাল বিরাজ করছে। 
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫৬

নিজেকে জাপার চেয়ারম্যান ঘোষণা করলেন রওশন এরশাদ
জাতীয় পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে অব্যাহতি দিয়েছেন দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। একই সঙ্গে নিজেকে জাপার চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন তিনি। রোববার (২৮ জানুয়ারি) জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা কো-চেয়ারম্যান এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমি বেগম রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা কো-চেয়ারম্যান এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক- এই মর্মে ঘোষণা করছি যে, বিগত দিনের জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক ব্যর্থতা পর্যালোচনা করে আমি কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি। আমাদের প্রাণপ্রিয় সংগঠন জাতীয় পার্টিতে এখন একটি ক্রান্তিকাল বিরাজ করছে। এক. দ্বাদশ নির্বাচনের পূর্বে পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের বক্তব্য ও বিবৃতি এবং দ্বাদশ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে তাদের ভূমিকা পার্টিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। দুই. জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৭টি আসনে প্রার্থী মনোনয়ন প্রদান করে ২৬টি আসনে সমঝোতা করা এবং আসন সমঝোতার পরেও জনসম্মুখে অস্বীকার করে- দেশবাসী এবং পার্টির মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে পার্টিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। তিন. ২৬টি আসন সমঝোতার পর বাকি আসনের প্রার্থীদের রাজনৈতিকভাবে জনগণের বিরূপ সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে। চেয়ারম্যান ও মহাসচিব তাদের কোনো খোঁজ-খবর না নেয়ার ফলে ভোটের মাঠে পার্টি চরমভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। চার. নির্বাচনে ভরাডুবি হওয়ায় পার্টির নেতাকর্মীরা তার প্রতিবাদ করার অধিকার রাখেন। এই প্রতিবাদী নেতাকর্মীদের সঙ্গে কোনোরূপ আলোচনা কিংবা সান্ত্বনা প্রদান না করে ক্রমাগত বহিষ্কার ও অব্যাহতির মাধ্যমে পার্টির অস্তিত্ব নষ্ট করা হয়েছে। পাঁচ. পার্টির অবস্থা সার্বিকভাবে বিবেচনায় করে আমি গত ২২ জানুয়ারি, ২০২৪ ইং তারিখ পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে দলে ঐক্য ফিরিয়ে এনে সকল বহিষ্কার ও অব্যাহতির আদেশ বাতিল করে ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টি গঠনের আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় তারা তা আমলে নেননি। ছয়. এই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ জানুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে পল্লীবন্ধুর ৬৬৮ জন নেতাকর্মী পার্টি থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করায় দলে বিরাট সংকট সৃষ্টি হয়েছে। আমার সিদ্ধান্ত- এক. এমতাবস্থায় উল্লেখিত সংকট নিরসনে পার্টির নেতাকর্মীদের অনুরোধে এবং পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/১ ধারায় বর্ণিত ক্ষমতাবলে আমি পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে জি. এম. কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে অব্যাহতি প্রদান করলাম। দুই. নেতাকর্মীদের অনুরোধে আমি পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করলাম। তিন. পরবর্তী সম্মেলন না হওয়া পর্যন্ত আমি কাজী মো. মামুনুর রশিদকে মহাসচিবের দায়িত্ব প্রদান করলাম। তিনি সার্বিকভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। চার. পার্টির অন্যান্য পদ-পদবী স্ব স্ব অবস্থায় বহাল থাকবে এবং পার্টির যে সকল নেতাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে কিংবা বহিষ্কার করা হয়েছে এবং যাদের পার্টির কমিটির  বাইরে রাখা হয়েছিল, তাদের পূর্বেকার স্ব-পদে পুনর্বহাল করা হবে। পাঁচ. যথা-শিগগিরই পার্টির জাতীয় সম্মেলন আহ্বান করা হবে।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়