• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
সাইবার ট্রাইবুনালে ময়মনসিংহ যুবলীগ নেতার মামলা
সামাজিকমাধ‍্যম ফেসবুকে অপপ্রচার করায় ময়মনসিংহ সাইবার ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেছেন মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মো. শাহীনুর রহমান। এ সময় ট্রাইবুনালের বিজ্ঞ বিচারক মোহা. বজলুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দেন। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মো. শাহীনুর রহমান বাদী হয়ে সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ এর ৪টি ধারায় এই মামলাটি দায়ের করেন।       এই মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়। তারা হলেন- নগরীর ১৭ নং ওয়ার্ডের আকুয়া মড়লপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. আজাহারুল ইসলাম স্বপন(৪৫), আনোয়ার হোসেন আনু (৪৬) এবং আনিছুর রহমান আনিছ(২৮)। বুধবার (২০ মার্চ) বিকাল ৪টায় বাংলানিউজকে এই মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আব্দুল মালেক।     মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিগত প্রায় ৬ বছর পূর্বে একজন পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে বাদীর কথোপকথন হয়। যা পরবর্তীতে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এবং দলের শীর্ষ নেতারা ঘটনার বিস্তারিত জেনে আপস-মীমাংসা করে দেয়। কিন্তু সম্প্রতি আসামিরা ওই মীমাংসিত বিষয়টিকে ইস্যু করে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টির জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে ওই কথোপকথনটি কাটছাঁট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার করছে।   মামলার বাদী শাহীনুর রহমান বলেন, একটি মহলের ইন্ধনে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। ঘটনাটি বিব্রতকর, আমি এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।       প্রসঙ্গত, বাদী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করছেন ময়মনসিংহ বারের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাজাহান কবীর সাজু।
২০ মার্চ ২০২৪, ২০:৩১

যুবলীগ নেতার চোখ উপড়ে ফেলল দুর্বৃত্তরা
লক্ষ্মীপুরে কামাল হোসেন নামে এক যুবলীগ নেতার চোখ উপড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে চিকিৎসকরা। সোমবার (১৮ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নে নন্দীগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত কামাল হোসেন বশিকপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও পোদ্দার বাজারের ফল ব্যবসায়ী। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, কামাল হোসেন ইফতারের পর বাড়ি থেকে পোদ্দার বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। নন্দীগ্রাম এলাকায় পৌঁছালে তাকে এলোপাতাড়ি রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। এক পর্যায়ে রড দিয়ে খুঁচিয়ে তার চোখ উপড়ে ফেলে পালিয়ে যায় তারা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে তাকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। কামালের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, কামাল হোসেনের অবস্থায় আশঙ্কাজনক। তার ডান চোখসহ মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তার মাথা, নাখ-মুখ ও চোখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক জানান, জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ। 
১৮ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫২

যুবলীগ নেতা হত্যায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে পূর্বশত্রুতার জেরে যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেনকে হত্যার দায়ে দশজনকে মৃত্যুদণ্ড ও আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক বেগম মোছা. মরিয়ম মুন মুঞ্জুরী এই রায় ঘোষণা করেন। জাহাঙ্গীর মনোহরগঞ্জের সরসপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।  রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত ১৮ জনের মধ্যে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৮ জন আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১০ জনই অনুপস্থিত ছিলেন।  মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. মোবারক হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ বাতাবাড়িয়া গ্রামের তাজুল ইসলামের তিন ছেলে মো. রিয়াদ হোসেন, মীর হোসেন, আনোয়ার হোসেন, সামছুল হক পাটোয়ারীর দুই ছেলে মো. ইউসুফ, মো. ইসমাইল হোসেন, ছালেহ আহম্মদের ছেলে মিশু, শহীদ উল্লাহ মেম্বারের ছেলে মো. রাজন, তাজুল ইসলামের ছেলে মানিক মিয়া, আবুল হোসেনের ছেলে মো: মিজানুর রহমান, একই এলাকার সুলতান আহমেদের ছেলে মো. রাশেদ। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, একই এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে নোমান, সিরাজুল ইসলামের ছেলে সালাহ উদ্দিন, হাজী আবদুস সামাদের ছেলে আবুল কাশেম ওরফে পিচ্চি কাশেম, মৌলভী আলী আকবরের ছেলে মো. শহীদউল্লা মেম্বার, নূর আহম্মদের দুই ছেলে মো. সালেহ আহম্মদ ও মো. সোহাগ, মৃত সফিকুর রহমানের ছেলে মো. স্বপন, মৃত সুলতান আহম্মদের ছেলে মো. রাশেদ, মৃত মন্তাজুর রহমানের ছেলে মো. টিপু। মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৩ মে পূর্বশত্রুতার বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে মনোহরগঞ্জ দক্ষিণ বাতাবাড়িয়ার যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে হামলা চালায় আসামিরা। এ সময় তারা চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জাহাঙ্গীরকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহত জাহাঙ্গীর আলমের ভাই মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে ২০ জনকে আসামি করে মনোহরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনোহরগঞ্জ থানার এসআই মো. নাছির উদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৮ জুন তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর মামলাটির চার্জগঠন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ১২ জন সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন। মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. মোবারক হোসেন। 
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫৪

মদ পান করায় যুবলীগ নেতা বহিষ্কার
যশোরে ‘মদ্যপ’ অবস্থায় গ্রেপ্তার হয়ে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার হয়েছেন যশোর পৌরসভার কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলন। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিন রাতেই যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়।  জানা গেছে, কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলন যশোর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক। যশোর কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। বুধবার রাতে যশোর শহরের পালবাড়ি মোড়ে নিজের ব্যক্তিগত কার্যালয় থেকে মিলনসহ ৪ জনকে ‘মদ্যপ’ অবস্থায়  গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রাতেই যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তার অপর ৩ জন হলেন- শেখ দস্তগীর হোসেন (৪৪), শফিকুল ইসলাম (৩৭) ও মারুফুজ্জামান (৩৯)। জেলা পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, এদিন রাতে পৌনে ৮টার দিকে পুলিশ জানতে পারে শহরের পালবাড়ি এলাকার একটি ভবনে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় নিজেদের মধ্যে গোলযোগ করছেন। এরপর পুলিশ সেখানে হাজির হয়ে পৌর কাউন্সিলর মিলনসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করে। যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আল সাইফুল সোহাগ মিলনের বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যুবলীগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘যুবলীগ একটি সুশৃঙ্খল সংগঠন। এ সংগঠনের ভাবমূর্তি বজায় রাখার দায়িত্ব সবার। জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী ও শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রমাণ রয়েছে। যা সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও শৃঙ্খলা বিনষ্ট করেছে। এ কারণে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নির্দেশে জাহিদ হোসেন মিলনকে সংগঠন থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হলো। তবে বিজ্ঞপ্তিতে গঠনতন্ত্র পরিপন্থী ও শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে বলা হলেও সুনির্দিষ্টভাবে কোনো অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়নি। এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আল সাইফুল সোহাগ বলেন, সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে যশোর জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক পদ থেকে জাহিদ হোসেন মিলনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৮

যুবলীগ নেতার মামলায় যুব মহিলা লীগ নেত্রী গ্রেপ্তার
পাবনা জেলা যুব মহিলা লীগের সদস্য মিম খাতুন ওরফে আফসানা মিম (২৬) ও তার স্বামী ওবায়দুল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যুবলীগ নেতার করা অর্থ আত্মসাতের মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে গুলশান থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রতারণা মামলায় বুধবার তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই জেলার আটঘড়িয়া উপজেলা যুবলীগ নেতা ও ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান বাবুর করা মামলায় পাবনা সদর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার বাদী মনিরুজ্জামান বাবু বলেন, মিম ওবায়দুল্লাহ নামের এক ব্যক্তিকে তার দুলাভাই হিসেবে আমার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। পরে বিভিন্ন সময় ব্যবসার কথা বলে তারা আমার কাছ থেকে ১৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা নেয়। দলিল ছাড়া লেনদেন হলেও পরে দলিল করতে চাইলে তারা টালবাহানা শুরু করেন। পরে পাওনা টাকা ফেরত দেবেন না বলে আমাকে বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি ও হুমকি দেখায়। তিনি আরও বলেন, মিম ও ওবায়দুল্লাহ আমাকে প্রতারণার জালে ফেলে টাকা আত্মসাৎ করেছে। নিরুপায় হয়ে একপর্যায়ে আমি গুলশান থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করি।  
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:০৮

৬ কোটি টাকার সেতুর কাজ বন্ধ করে দিল যুবলীগ
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে প্রায় ৬ কোটি টাকার একটি নির্মাণাধীন সেতুর ঢালাই কাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা কর্মরত নির্মাণ শ্রমিকদের মারধর করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।     রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার সোহাগী-শাহীদপুর সংযোগ খালের ওপর নির্মাণাধীন সেতুর ঢালাই কাজ চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।   স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী মো: তৌফিক আহম্মেদ সজল সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আমরা ঢালাই কাজ করছিলাম। এ সময় হঠাৎ একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবক এসে কর্মরত শ্রমিকদের উপর লাঠি নিয়ে হামলা করে। ‘কাজ বন্ধ কর’ বলেই তারা মারধর শুরু করে শ্রমিকদেরকে। এতে আমরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি।   সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার লুৎফর রহমান জানান, এলজিইউডির অধিনে ৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা বরাদ্দে সোহাগী-শাহীদপুর সংযোগ খালের ওপর ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মাণে কাজ করছিলাম। গতকাল ওই কাজের ঢালাই চলছিল। এতে উপজেলা প্রকৌশলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় স্থানীয় যুবলীগ নেতা সুজনের নেতৃত্বে একদল নেতাকর্মী এসে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়ে শ্রমিকদের মারধর করে। এ সময় তারা বলে যে, উপজেলা যুবলীগ সভাপতির সঙ্গে কথা বলে কাজ শুরু করবি, না হলে কাজ বন্ধ থাকবে।   খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হামলায় নেতৃত্বদানকারী ওই যুবলীগ নেতার নাম জুলহাস উদ্দিন সুজন। তিনি নিজেকে সোহাগী ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক বলে পরিচয় দেন।     ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভালো কাজ না করায় এলাকার মানুষ আমার কাছে গিয়েছিল। তাই আমি কাজ বন্ধ রাখতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা কাজ বন্ধ না করায় আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করতে বলেছি। এ সময় এলাকার শত শত লোক তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। তবে তাদের কেউ মারধর করেনি। যোগাযোগ করা হলে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল খায়ের  বলেন, ফেইসবুক লাইভে ঘটনাটি জেনেছি। আমার মনে হচ্ছে ঠিকাদার নিম্নমানের কাজ করায় এই ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: আরিফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, ঘটনাটি মৌখিকভাবে আমাকে জানানো হয়েছে। তবে এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।   একই ধরনের মন্তব্য করেন ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মাজেদুর রহমান। তিনি বলেন, ইউএনও স্যার ঘটনাটি আমাকে জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৪১

যশোরে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
যশোরের অভয়নগরের নওয়াপাড়ায় মুরাদ হোসেন নামে ওয়ার্ড যুবলীগের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় নওয়াপাড়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় দুর্বৃত্তরা তার ওপর অতর্কিত হামলা করে। পরে স্থানীয়রা তাকে জখম অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এরপর খুলনা মেডিকেলে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভয়নগর থানার ওসি আকিকুল ইসলাম। ওসি আকিকুল ইসলাম জানান, নিহত মুরাদ হোসেন নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড শাখা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রোববার রাতে নওয়াপাড়া বাজার থেকে হেঁটে তরফদার পাড়ার বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন মুরাদ। পথে কবরস্থানের কাছে পৌঁছালে তার ওপর হামলা করা হয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তিনি মারাত্মক জখম হন।  ওসি বলেন, মুরাদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওসি আরও বলেন, মুরাদের মৃত্যুর সংবাদ তার স্বজনরা অবহিত করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ও জড়িতদের শনাক্তে তদন্ত শুরু করেছে।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২৪

কুমিল্লায় প্রতিপক্ষের হামলায় যুবলীগ নেতা নিহত
কুমিল্লার মেঘনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় কামরুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) উপজেলার চালিভাঙ্গা এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড। নিহত কামরুল ইসলাম চালিভাঙ্গা গ্রামের আবদুর রবের ছেলে। তিনি চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মেঘনা থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন। স্থানীয়রা জানান, চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ও জেলা পরিষদের সদস্য (মেঘনা) মো. কাইয়ুম হোসেন গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এতে কয়েক মাস আগে কাইয়ুম গ্রুপের হামলায় হুমায়ুন চেয়ারম্যানের ছোট ভাই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নিজাম সরকার নিহত হন। সম্প্রতি নিজাম সরকার হত্যায় অভিযুক্ত আসামিরা আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পায়। আসামিরা বাড়িতে ফিরতে চাইলে গত রোববার (২৮ জানুয়ারি) তাদের ধাওয়া দেয় হুমায়ুন চেয়ারম্যান গ্রুপের লোকজন। বিষয়টি থানা পুলিশ অবগত থাকায় পরবর্তীতে রোববার রাত থেকে চালিভাঙ্গা বাজারে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। কাইয়ুম গ্রুপের নলচর, ফরাজিকান্দি, চালিভাঙ্গার লোকজন সোমবার দুপুরে (২৯ জানুয়ারি) ফের যার যার বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করলে হুমায়ুন চেয়ারম্যানের ছোট ভাই টিটু সরকারের নেতৃত্বে তাদের ওপর আবারও হামলা চালানো হয়। এ সময় উভয় গ্রুপের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে কাইয়ুম গ্রুপের কামরুল ইসলামসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন। এদের মধ্যে যুবলীগ নেতা কামরুল ও দাইয়ানকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে কামরুল মারা যান। এ বিষয়ে মেঘনা থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে নেমেছে।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:১৩

নোয়াখালীতে যুবলীগ কর্মীকে গুলি করে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নে যুবলীগ কর্মী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্ট শহিদুজ্জামান পলাশকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রোববার (১৪ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হলেও প্রথমে তদন্তের স্বার্থে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়নি। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মনসুর আলী বেপারী বাড়ির হাজী আবুল কাসেমের ছেলে আহছান উল্যা ওরফে কল্লা হাসান (৩৮), একই ইউনিয়নের অজি উল্যার ছেলে মো. আকবর হোসেন সোহেল (৩৬) এবং নাটেশ্বর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব মির্জানগর গ্রামের অজি বাড়ির নুরনবীর ছেলে মো. মিরাজ (২১)। তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামলার ভিকটিম মৃত শহিদুজ্জামান পলাশের মৃত্যুর আগে ও পরের সময়ে আসামিরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করার বিষয়টি স্বীকার করে। আসামিরা তাদের অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের সহায়তায় পরস্পর যোগসাজশে পূর্বশত্রুতার জেরে ভিকটিমকে গুলি করে হত্যা করে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলায় ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এর আগে, গত শনিবার (১৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাটেশ্বর ইউনিয়নের পূর্ব মির্জানগর গ্রামের নিজ বাড়িতে পলাশ হত্যার শিকার হয়। পলাশ ওই গ্রামের মৃত জামাল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় রোববার (১৪ জানুয়ারি) রাতে নিহতের স্ত্রী শারমিন আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।   যুবলীগ কর্মী হত্যার ঘটনায় তাৎক্ষণিক তীব্র নিন্দা জানিয়ে খুনিদের শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ মোরশেদ আলম।   তিনি জানান, ‘গত ১০ বছর নোয়াখালী-২ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি। দীর্ঘ এই সময়ে এলাকায় কোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা কিংবা হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে অপপ্রচারে নেমেছেন।’ তবে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানার পর তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার জন্য সোনাইমুড়ী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।  
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৫৬

যুবলীগ কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় মামলা
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নে যুবলীগ কর্মী শাহিদুজ্জামান পলাশের (৩৫) রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী। রোববার (১৪ জানুয়ারি) নিহতের স্ত্রী শারমিন আক্তার বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। এর আগে, শনিবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার পূর্ব মির্জানগর গ্রামে নিজবাড়ির পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের মোহাম্মদ জামাল উদ্দিনের ছেলে এবং স্থানীয় যুবলীগ কর্মী। আরও পড়ুন : গফরগাঁওয়ে হোমিও চিকিৎসককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা   পলাশের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিজবাড়ির আঙিনায় রক্তাক্ত অবস্থায় পলাশের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন লোকজন। তার কপাল ও মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে খুনিদের শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ মোরশেদ আলম। তিনি জানান, তিনি গত ১০ বছর নোয়াখালী-২ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। দীর্ঘ এই সময়ে এলাকায় কোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা কিংবা হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে অপপ্রচারে নেমেছেন। তবে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানার পর তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার জন্য সোনাইমুড়ী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ ঘটনা প্রসঙ্গে এমপি মোরশেদ আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘গতকাল ৬নং নাটেশ্বর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা শাহিদুজ্জামান পলাশকে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। আমি এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সকলকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। আরও পড়ুন : যুবলীগ কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় মামলা   কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি আরও লেখেন, খুনি যে দলেরই হোক শাস্তি তাকে পেতেই হবে। আমি নিহত পলাশের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে টানা তিনবারের এই সংসদ সদস্য জানান, এই হত্যাকাণ্ড সুষ্ঠু তদন্তে প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি সেই সঙ্গে কোনো নিরীহ লোক যেন হয়রানির শিকার না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। সোনাইমুড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে জোর চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়