• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
নওগাঁয় হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন 
নওগাঁয় হত্যা মামলায় নিরঞ্জন উড়াও নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁর পোরশা উপজেলার বরবারিয়া গ্রামের রামেশ্বর চন্দ্র (৫৫) ২০২২ সালের ১ আগস্ট নিজের জমিতে আইল কাটার কাজ করছিলেন। জমিতে কাজ করা অবস্থায় প্রতিবেশি নিরঞ্জন উড়াও লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হন রামেশ্বর চন্দ্র। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।  সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই দিনই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩ আগস্ট রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রামেশ্বর চন্দ্র মারা যান। এ ঘটনায় ওই দিন রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। এই ঘটনায় তদন্ত শেষে নিরঞ্জন উড়াওয়ের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ১৬ মে দণ্ডবিধি-১৮৬০ এর ৩০২/২০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করে আদালতে জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে উল্লেখিত ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামি নিরঞ্জন উড়াওকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এছাড়া তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তাকে আরও ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।  মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সরকারি কৌসুলি (পিপি) আব্দুল খালেক। আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম সারোয়ার হোসেন।  
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৩

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আব্দুর রহিম হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে চাঞ্চল্যকর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আব্দুর রহিম হত্যা মামলায় সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ৫ জন পলাতক রয়েছেন। রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার বেগুনবাড়ি গ্রামের মৃত হযরত আলী সরদারের ছেলে ফরহাদ আলী সরদার ওরফে ঝন্টু, দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মাহমুদ তারিক ওরফে তারিক, ওসমান আলী সরদারের ছেলে আ. গফুর, মামুনুর রশিদের ছেলে সোহাগ, জাহাঙ্গীর আলম মন্ডলের ছেলে তৌফিকুল ইসলাম,  মৃত মনির উদ্দিন সরদারের ছেলে সেনা সদস্য জুয়েল ওরফে বখতিয়ার, দেলোয়ার হোসেনের ছেলে হাসিবুল হাসান ওরফে হাসিবুল।  মামলার বিবরণে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুর রহিম ২০০০ সালের ৭ জানুয়ারি ঈদ উদযাপনে নিজ বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার দক্ষিণ কানুপুর গ্রামে আসেন। তিনি ১১ জানুয়ারি বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত আর ফেরেননি। পরদিন সকালে দক্ষিণ কানুপুর গ্রামের পাশে একটি পুকুরপাড় থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আসাদুল ইসলাম বাবুল বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে আদালত আজ এ রায় দেন।
২৪ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৮

১৪ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১।   রোববার (২৪ মার্চ) ভোর রাতের দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানার বিটেক মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।    গ্রেপ্তার আব্দুল হক ওরফে কাদের (৫৬) নোয়াখালীর সদর উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের মৃত ছেরাজুল হকের ছেলে।   এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১১ সিপিসি-৩ ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডর এএসপি মো. গোলাম মোশের্দ।   বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসামি আব্দুল হক ওরফে কাদের ও তার বাবা ছেরাজল হক মিলে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভিকটিম রুহুলকে (৩৫) হত্যা করে। পরে এ ঘটনায় কবিরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়।  কবিরহাট থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাক্ষ্যপ্রমাণ ও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় আসামিদের অপরাধ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট প্রদান করে। আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ৩০২/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে আসামি আব্দুল হক কাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে।  এতে আরও বলা হয়, আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে কবিরহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।   
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩৫

ছেলেকে হত্যার দায়ে সৎ মায়ের যাবজ্জীবন
রাজবাড়ীতে সৎ ছেলেকে কীটনাশক খাইয়ে হত্যা মামলায় আকলিমা আক্তার নামে এক মায়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২০ মার্চ) বিকেলে রাজবাড়ীর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোছা. জাকিয়া পারভীন এ রায় দেন। রায় প্রদানের সময় মামলার প্রধান ও একমাত্র আসামি আকলিমা আক্তার আদালতে হাজির ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আকলিমা আক্তার রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের শাহ্মীরপুর এলাকার হজরত আলীর স্ত্রী। আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১০ আগস্ট সকালে সতীনের সঙ্গে ঝগড়ার জের ধরে চার বছর বয়সী ছেলে রিপনকে কীটনাশক খাইয়ে হত্যা করে হজরত আলীর ছোট স্ত্রী আকলিমা আক্তার। এ ঘটনায় হজরত আলী পাংশা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর আকলিমা আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হলে তিনি আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করেন। রাজবাড়ীর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট উজির আলী শেখ বলেন, আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযুক্ত আকলিমা আক্তারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৯

ঝিনাইদহে মানবপাচার মামলায় ৩ জনকে যাবজ্জীবন 
ঝিনাইদহে মানবপাচার মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  বুধবার (২০ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মহেশপুরের নলপাড়ুয়া গ্রামের রওশনারা বেগম, ছানোয়ার হোসেন ও বাপ্পী।  রায়ের বিবরণে জানা যায়, পারিবারিক পরিচয়ের জেরে আসামিরা ঝিনাইদহ সদর থানার সোনারদাইড় গ্রামের রহিমা বেগমের বাড়িতে যাওয়া করতেন। তারা বিভিন্ন সময় বাদীর ১৩ বছরের কন্যাকে সেলাই মেশিনের কাজ পাইয়ে দেবে বলে বলতে থাকেন। ২০১১ সালের ২৮ ডিসেম্বর সকালে স্থানীয় কয়েকজনের সামনে তাদের কাছে মেয়েকে তুলে দেয় রহিমা বেগম। এরপর তিন মাস ওই মেয়ের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। এরপর আসামিদের কাছে মেয়েকে ফেরত চাইলে তারা সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। ২০১২ সালের ১৩ মে আসামিদের বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করে। পরে ওই মাসের ৩১ তারিখে মানবপাচার আইনে মামলা করেন ভিকটিমের মা। তদন্ত শেষে সেই মামলায় পুলিশ ২০১২ সালের ৩০ জুলাই আদালতে চাজশির্ট দাখিল করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারক রওশনারা বেগম, ছানোয়ার হোসেন ও বাপ্পীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বজলুর রহমান জানান, মামলার যে রায় হয়েছে তাতে আমরা খুশি।
২০ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫০

হলমার্ক কেলেঙ্কারি / তানভীর-জেসমিনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী এবং গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেম এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, দেশের ব্যাংকিং ইতিহাসে এক বিস্ময়কর ঘটনা হলমার্ক। যে অপরাধীরা দেশের জনগণের আমানত, দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা, দেশের অর্থনীতিকে খেলা মনে করে তাদের মৃত্যুদণ্ডের মতো সাজা হওয়া উচিত মর্মে অত্র আদালত মনে করেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট আইনে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। গত ১২ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেম রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। মামলায় আদালত অভিযোগপত্রে মোট ৮১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী জেসমিন ইসলামসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার আসামিদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার তুষার আহমেদ, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সাবেক জি এম মীর মহিদুর রহমান, উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. সফিজউদ্দিন আহমেদ, ডিএমডি মাইনুল হক, এ জি এম মো. কামরুল হোসেন খান ও নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক কারাগারে রয়েছেন। পলাতক আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, প্যারাগন গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জি এম ননী গোপাল নাথ, প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, সহকারী উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, ডিএমডি মো. আতিকুর রহমান ও সোনালী ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরি। এ ছাড়া জামিনে রয়েছেন, উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন (সাময়িক বরখাস্ত) ও সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার। ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন। 
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৬

কিশোরী ধর্ষণের দায়ে দুজনের যাবজ্জীবন
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় কিশোরী ধর্ষণ মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন এবং এক তরুণকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আবদুর রহিম তিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  যাবজ্জীবন দণ্ডিতরা হলেন ওই উপজেলার মোমিনপুর উত্তরপাড়া এলাকা মিঠুন মণ্ডল (২৩) এবং আশরাফুল ইসলাম (২৩)। এ ছাড়া ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ছাব্বির হোসেন (১৮) ওই এলাকার বাসিন্দা। যাবজ্জীবনের পাশাপাশি মিঠনকে ৫০ হাজার ও আশরাফুলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় রায়ে। মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ৩১ মে সকালে ওই উপজেলায় একটি মাঠে মামাতো বোনদের সঙ্গে ছাগল চড়াতে যায় ১৪ বছর বয়সি এক কিশোরী। দুপুরে কথার ছলে আশরাফুল ও ছাব্বিরের সহযোগিতায় তাকে একটি আখ খেতে নিয়ে ধর্ষণ করে মিঠুন। ওই কিশোরীর চিৎকারে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে মিঠুন ও আশরাফুলকে আটক করে পুলিশে দেয়। এ ঘটনার পরদিন কিশোরী নিজে বাদী হয়ে মিঠুন, আশরাফুল এবং ছাব্বিরকে আসামি করে নলডাঙ্গা থানায় মামলা করে। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৩০ জুলাই তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. মোশারফ হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার আদালত এ রায় দেয়।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩৫

মানিকগঞ্জে স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
মানিকগঞ্জে স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।  বুধবার (১৩ মার্চ) বেলা ১১টায় মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।  দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ইয়াহিয়া আমিন, যশোরের ঝিকরগাছার আমিনুর রহমান, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মনিরুজ্জামান রনি, ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডের জাহিদুল ইসলাম ও জহিুরুল ইসলাম। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর আসামিরা ধানমন্ডির শংকর বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি বাসে যাত্রীবেশে প্রায় ৪৪ কেজি স্বর্ণ পাচারের উদ্দেশে বেনাপোল যাচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ মানিকগঞ্জ সদর থানার পুলিশের সহায়তায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের তরা এলাকায় চেকপোস্ট বসায়। এ সময় বাস থেকে নেমে আসামিরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে তাদের র‌্যাব ও পুলিশ আটক করে। দেহ তল্লাশি করে ২২৭টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন প্রায় ৪৪ কেজি। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা হয়। তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। আদালত এই মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেন।  
১৩ মার্চ ২০২৪, ২১:৪৫

রাজশাহীতে সানি হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
কিশোর গ্যাংয়ের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বে রাজশাহীতে সানি হত্যা মামলায় ২ আসামির যাবজ্জীবন এবং দুজনকে খালাস দিয়েছেন রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।  সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মহিদুজ্জামান এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মো. মঈন আন্নাফ মাহবুব আলম (১৯) ও হাবিবা কুমকুম ঔষি (২৮)।  খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মো. নাজরিন আক্তার বিথি বেগম (৪২) ও মো. সালাউদ্দিন বিপ্লব (৩৫)। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর পিপি অ্যাডভোকেট এনতাজুল হক বাবু। তিনি বলেন, ২০২২ সালের ৩ জুলাই সন্ধ্যায় নগরীর দড়ি খরবোনার রফিকুল ইসলাম পাখির ছেলে সনি (১৭) তার বন্ধুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ি ফেরার পথে রাত পৌনে ৯টায় ৪ জন আসামি সনিকে কৌশলে হেতেমখাঁ সাহাজী পাড়া কফিল উদ্দিন জামে মসজিদের পাশে নিয়ে যায়। সেখানে পূর্ব থেকেই আরও ১৪-১৫ জন আসামি উপস্থিত ছিলেন। সনি সেখানে পৌঁছানো মাত্রই আসামিরা অতর্কিতভাবে তাকে চাকু, লোহার হাতুড়ি, চাইনিজ কুড়াল ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর জখম করেন। ‘পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন সনিকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সনির বাবা রফিকুল ইসলাম পাখির এমন অভিযোগে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়।’ অ্যাডভোকেট এনতাজুল হক আরও বলেন, সনি হত্যা মামলায় মোট আসামি ছিল ৯ জন। এদর মধ্যে ৫ জন শিশু। তাদের বিচার শিশু আদালতে হচ্ছে। ৪ জন আসামির রায় আজ ঘোষণা করা হলো। এদের মধ্যে মো. মঈন আন্নাফ মাহবুব আলম (১৯) ও হাবিবা কুমকুম ঔষিকে (২৮) ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন ও ৩৬৪ ধারয় ১০ বছর কারদণ্ড প্রদান করেন আদালত। অপর আসামিদের খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৫

শিশু গর্ভবতী হওয়ার ঘটনায় বৃদ্ধের যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সোহরাব আলী (৬৫) নামে এক বৃদ্ধকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ের আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকালে সিরাজগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক বেগম সালমা খাতুন এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সোহরাব আলী কাজীপুর উপজেলার কিনারবেড় গ্রামের মৃত আবুল শেখের ছেলে। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. আব্দুল হামিদ লাবলু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২০১২ সালের ৬ নভেম্বর বিভিন্ন সময় আসামী সোহরাব আলী শিশুকে (১৫) জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করেন। যার ফলে শিশুটি ২৬ সপ্তাহের গর্ভবতী হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করলে তিনি স্বেচ্ছায় আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত আজ সোহরাব আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।  
০৭ মার্চ ২০২৪, ২০:২৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়