• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পদ্মা সেতুতে স্বস্তিতে চলছে যানবাহন
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নাড়ির টানে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। এ জন্য মহাসড়কগুলোতে বেড়েছে যানবাহন। এর ফলে সড়কগুলোতে তৈরি হচ্ছে যানজট। তবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমবঙ্গের প্রবেশদ্বার পদ্মা সেতুতে স্বস্তিতে চলাচল করছে যানবাহন। শনিবার (৬ এপ্রিল) পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে  এমন চিত্র দেখা গেছে। পদ্মা সেতুতে ওঠার আগ পর্যন্ত পথে যানজট বা গাড়ি চলাচলে ধীরগতি নেই। নির্বিঘ্নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিচ্ছে যানবাহনগুলো। তবে দূরপাল্লার গণপরিবহনের চেয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি বেশি দেখা গেছে। পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, এবার ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজায় ৭টি টোল বুথে প্রতি পাঁচ সেকেন্ডে একটি করে যানবাহনে টোল আদায় করা হচ্ছে। ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যেই ভোগান্তিহীনভাবে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাচ্ছে যান চালক ও যাত্রীরা। এ ছাড়া  মোটরসাইকেলের চাপ বেশি থাকায় আলাদা দুটি লেন তৈরি করে টোল আদায় করা হচ্ছে। ঈদ পর্যন্ত এভাবে টোল আদায় করা হবে। পদ্মা সেতুর সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আমিরুল হায়দার চৌধুরী জানান, তেমন চাপ নেই। কোথাও কোনো বিড়ম্বনা নেই। মানুষ সহজেই পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফিরছেন। পদ্মা সেতু (উত্তর) থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, শুক্রবার মাওয়া প্রান্তে তীব্র যানজট থাকলেও আজকে তা দেখা যাচ্ছে না। তবে ভোরে সেহরির পরে কিছু চাপ ছিল। সেগুলোও ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার। তিনি জানান, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে সড়কে বিশৃঙ্খলা এড়াতে মহাসড়কের ৬টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আসা করছি এ বছর ঈদে দক্ষিণবঙ্গের ঘরমুখো যাত্রীরা নির্বিঘ্নে পারাপার করতে পারবে।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৮

মহাসড়কে গাড়ি ও যাত্রীর চাপ, থেমে থেমে চলছে যানবাহন
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ছোট ছোট শিল্প কারখানা ছুটি ঘোষণা করে দেওয়ায় চন্দ্রা এলাকাজুড়ে যাত্রী ও গণপরিবহনের চাপ বেড়েছে। মহাসড়কে থেমে থেমে চলছে যানবাহন। তবে যাত্রীদের অভিযোগ গত ঈদের চাইতে এবার দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের।  শুক্রবার (৫ এপ্রিল) ভোর থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এলাকাজুড়ে এমনই চিত্র দেখা গেছে। স্থানীয়রা জানান, উত্তরবঙ্গের ২২টি জেলার মানুষের প্রবেশ মুখ চন্দ্রা। এখানে ছোট-বড় অসংখ্য শিল্প কারখানা রয়েছে। এসব শিল্প কারখানা ছুটি হলেই চন্দ্রাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অপরদিকে সরকারি অফিস আদালত বন্ধ থাকায় ও ছোট ছোট অনেক শিল্প কারখানা ছুটি ঘোষণা করায় চন্দ্রা এলাকাজুড়ে যাত্রী ও গণপরিবহনের চাপ বেড়েছে। এদিকে কোনাবাড়ি থেকে চন্দ্রা, চন্দ্রা থেকে মির্জাপুর ও চন্দ্রা থেকে বাইপাল পর্যন্ত ধীরগতিতে চলছে গণপরিবহন। তবে যাত্রীদের অভিযোগ, গত বছরের চেয়ে এবার গন্তব্যস্থলে যেতে দ্বিগুণ ভাড়া তাদের গুনতে হচ্ছে। আগের মতো এবারও যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশের থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। তবে মহাসড়কের চন্দ্রাজুড়ে রয়েছে অসংখ্য বাস কাউন্টার। যত্রতত্রভাবে গাড়ি পার্কিংসহ ফুটপাতে রয়েছে দোকানপাট, যার ফলে প্রতি বছর ঈদ আসলেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চন্দ্রা এলাকাজুড়ে চরম যানজটের সৃষ্টি হয়। হাইওয়ে পুলিশের ওসি শাহাদাত হোসেন জানান, এবার মহাসড়ক পর্যবেক্ষণ করতে ড্রোনসহ ৩২টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। চন্দ্রা এলাকাজুড়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। কোনো ধরনের যাত্রীদের যেন হয়রানি না করতে পারে তার জন্য সকল প্রস্তুতি রয়েছে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩৬

চাঁদপুরে ৩০ যানবাহন মালিককে অর্থদণ্ড
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৩০ টি যানবাহনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে মালিকদেরকে ২০ হাজার ৮০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টায় শাহরাস্তি  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াসির আরাফাত এ অভিযান পরিচালনা করেন।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানানো হয়, শাহরাস্তি পৌরসভার উপলতা এলাকায় প্রধান সড়কের পাশে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়। ওই সময় মোটরসাইকেল, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ট্রাক ও পিকআপসহ ৩০ টি যানবাহনের বিরুদ্ধে নিবন্ধনবিহীন, মেয়াদোত্তীর্ণ টেক্স টোকেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন যান চালনা ও হেলমেট বিহীন মোটরসাইকেল আরোহণের অভিযোগে ২০ হাজার ৮০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়াসির আরাফাত জানান, জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানে শাহরাস্তি মডেল থানা ও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা সহায়তা করেন।
০১ মার্চ ২০২৪, ০৮:১০

মহাসড়কে নাশকতার নতুন কৌশল, বিকল হচ্ছে যানবাহন
এবার মহাসড়কে নাশকতার নতুন কৌশল নেয়া হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা হচ্ছে স্টিলের টুকরো। তারকার মতো ত্রিকোণ আকৃতির ধারালো এসব লোহার পাত যানবাহন চলাচল করলেই ঢুকে পড়ছে চাকায়। এতে ফেটে যাচ্ছে চাকা। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাতে মহাসড়কের হাদিফকিরহাট, নয়দুয়ার, নিজামপুর, বিশ্বরোড ও মীরসরাই পৌরসভা এলাকায় এসব স্টিলের টুকরো ফেলে রাখা হয়। একে একে বিকল হয়ে পড়তে থাকে নানা ধরনের যানবাহন। এদিন সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই ও সীতাকুণ্ডে প্রায় ৮০টির মতো যানবাহন বিকল হয়ে পড়ার খবর পাওয়া যায়। মহাসড়কে নাশকতা চালানোর উদ্দেশ্যেই এসব ফেলে রাখা হয় ধারণা করছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, মহাসড়কের মিরসরাই অংশের ২৯ কিলোমিটার এলাকায় এমন লোহার পাত ছড়ানো ছিল। এতে ওই এলাকার অর্ধশত যানবাহন বিকল হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন এক ওয়েল্ডিং মিস্ত্রিকে আটক করেছে পুলিশ। জানা গেছে, মহাসড়কের সীতাকুণ্ড ও ফৌজদারহাট-বায়েজিদ বোস্তামী সংযোগ সড়কে লোহার পাতে ৩০টি যানবাহনের চাকা ফেটে গেছে। খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড থানার পুলিশ অন্তত ৫০০টি ত্রিকোণ আকৃতির টুকরা উদ্ধার করেছে। সেগুলোতে গাড়ির চাকা পাংচার হলে নাশকতা চালানোর লক্ষ্য ছিল দুর্বৃত্তদের। শনিবার (৬ জানুয়ারি) ভোরে এভাবে ত্রিকোণ আকৃতি লোহার পাতে একটি পিকআপের চাকা পাংচার হলে সেটি লক্ষ্য করে পেট্রলবোমা ছুড়ে মারে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় গাড়ি মেকানিক রিপন মিয়া বলেন, দেখতে তারকার মতো অভিনব এক ধরনের ধাতব বস্তু এটি। এটি স্টিলের তৈরি। মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। মহাসড়কে চলাচলরত গাড়িগুলোর চাকা পাংচার হচ্ছে। জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের ইনচার্জ সোহেল সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় দুর্বৃত্তরা স্টিলের ধারালো যন্ত্র ছড়িয়ে রেখেছে। এতে বেশ কয়েকটি গাড়ির চাকা পাংচার হয়ে বিকল হয়ে যায়। মহাসড়কে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন এক ওয়েল্ডিং মিস্ত্রিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঘটনাটি নাশকতা কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:২১

ভোটের দিন যেসব যানবাহন বন্ধ থাকবে
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন চার ধরনের যানবাহন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এতে বলা হয়, আগামী ৬ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ৭ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া ৫ জানুয়ারি রাত ১২টা হতে ৮ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে। যেসব যানবাহনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে ১. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন ও অনুমতিপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক। ২. জরুরি সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন এবং ওষুধ, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা ও অনুরূপ কাজে ব্যবহৃত দ্রব্য ও সংবাদপত্র বহনকারী সব ধরনের যানবাহন। ৩. আত্মীয়-স্বজনের জন্য বিমানবন্দরে যাওয়া, বিমানবন্দর হতে যাত্রী বা আত্মীয়-স্বজনসহ নিজ বাসস্থানে অথবা আত্মীয়স্বজনের বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত যানবাহন (টিকিট বা অনুরূপ প্রমাণ প্রদর্শন) এবং দূরপাল্লার যাত্রী বহনকারী অথবা দূরপাল্লার যাত্রী হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ে যাতায়াতের জন্য যেকোনো যানবাহন। ৪. প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর জন্য একটি, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টের (যথাযথ নিয়োগপত্র/পরিচয়পত্র থাকা সাপেক্ষে) জন্য একটি গাড়ি (জিপ, কার, মাইক্রোবাস ইত্যাদি ছোট আকৃতির যানবাহন) রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমোদন ও গাড়িতে স্টিকার প্রদর্শন সাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি প্রদান। ৫. সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক অথবা জরুরি কোনো কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমোদন সাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি প্রদান। ৬. নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা বা কর্মচারী অথবা অন্য কোনো ব্যক্তির জন্য মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি প্রদান। ৭. প্রতিবন্ধী ভোটারদের সহযোগিতায় নিয়োজিত যানবাহন। ৮. ঢাকা মহানগর থেকে বাহির বা প্রবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মহাসড়ক ও প্রধান প্রধান রাস্তার সংযোগ বা উক্তরূপ সকল রাস্তায় নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৪০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়