• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
নারী দিবস উপলক্ষে ভারতে রান্নার গ্যাসের দাম কমানোর ঘোষণা
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে রান্নার জন্য ব্যবহৃত এলপিজি গ্যাসের দাম সিলিন্ডারপ্রতি ১০০ রুপি কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সামাজিক মাধ্যম এক্সেও এ–সংক্রান্ত একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি। ঘোষণায় নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, রান্নার গ্যাসের দাম কমলে ভারতের কোটি কোটি পরিবারের আর্থিক চাপ কমবে। বিশেষ করে এই সিদ্ধান্তে ‘নারী শক্তি’ উপকৃত হবে।  তিনি আরও বলেন, ‘রান্নার গ্যাস আরও সাশ্রয়ী করার মাধ্যমে আমরা পরিবারের কল্যাণের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি।’ তবে, নরেন্দ্র মোদির এই ঘোষণা নিছক নারী শক্তির কল্যাণে নয় বলেই মনে করছে ভারতের রাজনৈতিক মহল। তারা মনে করছে, এপ্রিল মাসে দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচন। আসন্ন এই নির্বাচনে ভোটব্যাংক নিজের দিকে টানতেই রান্নার গ্যাসের দাম প্রতি সিলিন্ডারে ১০০ টাকা করে কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোদি। এক্স পোস্টে মোদি অবশ্য লিখেছেন, ‘নারীর ক্ষমতায়ন ও তাদের জীবনযাত্রা সহজতর করতে আমরা যে অঙ্গীকার করেছিলাম, এই সিদ্ধান্ত তার আলোকেই নেওয়া হয়েছে।’  ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকেই রান্নার গ্যাসের নতুন দাম কার্যকর হবে। নির্বাচনের আগে আগে মোদি সরকারের সিলিন্ডার গ্যাসের দাম কমানোর ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে গত বছরের আগস্টে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে গ্যাসের দাম সিলিন্ডারপ্রতি ২০০ রুপি করে কমিয়েছিল মোদি সরকার। ভারতে উজ্জ্বলা প্রকল্পের গ্রাহক নন যারা, তাদের জন্য এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ছিল ১ হাজার ১০০ রুপি। মোদি সরকার গত বছরের আগস্টে সিলিন্ডারপ্রতি ২০০ রুপি দাম কমানোয় তা ৯০০ রুপিতে নেমে আসে। এবার আরও ১০০ রুপি দাম কমায় উজ্জ্বলা প্রকল্প বহির্ভূত গ্রাহকরা ৮০০ রুপিতে এলপিজি সিলিন্ডার নিতে পারবেন।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫১

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা খেলেন মোদি
চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। তার আগে চলমান কৃষক অসন্তোষের ফলে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। এর মধ্যেই মোদি সরকারের জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা এসেছে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে। ইলেক্টোরাল বন্ড বা নির্বাচনী বন্ড ব্যবস্থা অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে এ রায় দিয়ে জানান, বেনামি নির্বাচনী বন্ডের ফলে নাগরিকদের তথ্য জানার অধিকার হরণ হচ্ছে। ফলে সংবিধানের ১৯ (১) (ক) ধারা ভঙ্গ হচ্ছে। তাই অবিলম্বে এ প্রকল্প প্রত্যাহার করতে হবে। ২০১৮ সালে নির্বাচনী বন্ড ব্যবস্থা চালু করেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। সরকারের দাবি ছিল, এর ফলে নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ হবে। নির্বাচনী তহবিলে স্বচ্ছতা আসবে। তবে, মামলার বিরোধিতা করে সরকার সর্বোচ্চ আদালতকে জানিয়েছিল, রাজনৈতিক দল কে, কার কাছ থেকে কত টাকা পাচ্ছে, তা জানার অধিকার ভোটারদের থাকতে পারে না। আর মামলাকারীদের বক্তব্য, অস্বচ্ছতা থেকেই যাচ্ছে। পৃথিবীতে এমন কোনো ব্যবস্থা চালু নেই। কোন করপোরেট সংস্থা কোন দলকে অর্থ সাহায্যের বিনিময়ে কী সুবিধা আদায় করছে, তা জানার উপায় থাকছে না। এ ছাড়া, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া যেহেতু কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন, তাই সরকার সব তথ্য জানার অধিকারী। সে ক্ষেত্রে ইচ্ছামতো দাতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে সরকার। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছেন, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়াকে অবিলম্বে এ ব্যবস্থায় অর্থ সংগ্রহ বন্ধ করে দিতে হবে। এতদিন ধরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক বন্ড মারফত কার কাছ থেকে কত টাকা সংগ্রহ করেছে, কোন দল কার কাছ থেকে কত অর্থ পেয়েছে, সব জানাতে হবে। চালুর পর থেকে এ পর্যন্ত বন্ড মারফত রাজনৈতিক দলগুলো যত অর্থ সংগ্রহ করেছে তা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সিংহভাগই (প্রায় ৯০ শতাংশ) পেয়েছে শাসক দল বিজেপি। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফমর্সের (এডিআর) সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২–২৩ অর্থবছরে ভারতের জাতীয় দলগুলো বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও করপোরেট সংস্থা থেকে ৮৫০ কোটি টাকার বেশি অর্থিক অনুদান পেয়েছে। এর শীর্ষে রয়েছে বিজেপি। এই অর্থের মধ্যে শুধু তাদেরই প্রাপ্তি হয়েছে ৭১৯ কোটি ৮০ লাখ রুপি। পক্ষান্তরে কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ৮০ কোটি রুপির মতো। রায়ে সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেন, দুটি কারণে রাজনৈতিক দলকে অর্থ দেয় দাতারা। একটি কারণ সমর্থনের জন্য। আবার ওই সাহায্যের মধ্য দিয়ে পারস্পরিক দেওয়া–নেওয়াও হতে পারে। বিচারপতিরা বলেন, কালো টাকা বন্ধের দাবি গ্রহণযোগ্য নয়। দাতাদের স্বার্থ রক্ষার দাবিও সমর্থনযোগ্য নয়। রায়ে বলা হয়েছে, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়াকে দাতা ও গ্রহীতাদের সব তথ্য অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে সেসব তথ্য ৩১ মার্চের মধ্যে তাদের ওয়েবসাইটে তুলে দিতে হবে, যাতে সবাই সব জানতে পারে।  
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৪

লোকসভা নির্বাচনের আগে কৃষক বিক্ষোভের মুখে মোদি  
চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। দেশ জুড়ে চলছে নির্বাচনের প্রস্তুতি। এর মধ্যেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে সামনে দাঁড়িয়েছে কৃষক বিক্ষোভ। নির্বাচনের প্রাক্কালে আন্দোলনের যে তীব্রতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তাতে পিছিয়ে যেতে পারে ভোটের আয়োজনও।  মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে ‘দিল্লি চলো’ রোডমার্চ শুরু করেছেন ভারতের কৃষকরা। ফসলের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) নিশ্চয়তা দেওয়ার আইন, কৃষকদের জন্য পেনশন, তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর বাতিল ও শস্যবিমার দাবিতে হাজার হাজার কৃষক রাস্তায় নেমেছেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও আনন্দবাজার পত্রিকার।  কৃষকদের এই রোডমার্চ ঠেকাতে ইতোমধ্যে রাজধানী দিল্লিকে নিরাপত্তা চাঁদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। দিল্লিতে এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ। এছাড়া কৃষকরা যাতে ট্রাক্টর, ট্রাক ও ট্রলি নিয়ে সড়কে নামতে না পারে সেজন্য জায়গায় জায়গায় বসানো হয়েছে ব্যারিকেড। নিষিদ্ধ করা হয়েছে যেকোনো জমায়েত ও সমাবেশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দিল্লিজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে সিএপিএফ, ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও ব্যাটালিয়নসহ দুই হাজারেরও বেশি সদস্য।   তবে, আন্দোলন ঠেকানোর জন্য মোদি সরকারের কোনও পায়তারাই তোয়াক্কা করছেন না কৃষকরা। দীর্ঘ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়েই তারা রাজধানী দিল্লির দিকে ধেয়ে যাচ্ছেন বলে খবর দেশটির গোয়েন্দা সূত্রের।  সূত্রের বরাতে ভারতের আনন্দবাজার বলছে, শুধু পঞ্জাব থেকেই ১৫০০টি ট্র্যাক্টর, ৫০০ গাড়ি নিয়ে দিল্লিতে যাচ্ছেন কৃষকেরা। ওইসব গাড়িতে প্রায় ৬ মাসের খাবার নিয়ে যাচ্ছেন তারা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে, তা হলে কি ২০২০ সালের পর আরও একটি দীর্ঘ সময়ের কৃষক আন্দোলন দেখতে চলেছে দিল্লি-সহ গোটা ভারত? ওই সময় দিল্লির সীমানায় যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন কৃষকেরা, সেই আন্দোলন ১৩ মাস ধরে চলেছিল। এবারও কৃষকেরা সেই পথেই হাঁটতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাই আগেভাগেই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে দিল্লির সীমানা। পাঞ্জাবের গুরদাসপুরের কৃষক হরভজন সিংহ এনডিটিভিকে বলেন, 'সুচ থেকে হাতুড়ি, সবকিছু ট্রলিতে করে নিয়ে যাচ্ছি আমরা। ব্যারিকেড ভাঙার যন্ত্রও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমরা ৬ মাসের জন্য খাবার নিয়ে রওনা দিয়েছি। আমাদের সঙ্গে প্রচুর জ্বালানিও আছে।' আরও এক কৃষক জানিয়েছেন, এর আগের আন্দোলন ১৩ মাস ধরে চলেছিল। এরপর কৃষকদের দাবি মেটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি তারা রাখেনি। তার ভাষ্য, 'এবার যত দিন না পর্যন্ত আমাদের দাবিদাওয়া মেনে না নেওয়া হবে, ততদিন আন্দোলন থেকে পিছু হটবো না।' কৃষকদের এই ‘দিল্লি চলো’ রোডমার্চ রুখে দেওয়ার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রচেষ্টা চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কৃষক নেতাদের সঙ্গে দেখা করে বৈঠকও করেন। কিন্তু সূত্রের খবর, সেই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। সোমবার রাত ১১টার পর বৈঠকে বসে ২০২০ সালের ইলেক্ট্রিসিটি আইন বাতিল করার বিষয়ে কৃষক নেতাদের আশ্বস্ত করেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির ঘটনায় কৃষকদের বিরুদ্ধে রুজু হওয়া মামলা প্রত্যাহার করা হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু কৃষকদের মূল তিনটি দাবি— ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্য, কৃষিঋণ মওকুফ এবং স্বামীনাথন কমিশনের প্রস্তাবের রূপায়ণ নিয়ে দুপক্ষ কোনও স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি। বৈঠকে যোগ দেওয়া কৃষকদের এক প্রতিনিধির অভিযোগ, দুই বছর আগে কৃষকদের অর্ধেক দাবি মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও সে ব্যাপারে কিছুই করেনি কেন্দ্র। কৃষকরা শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলেও মোদি সরকার সময় নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ তার।    
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৯

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই বড় চমক দিলেন মিঠুন
গুরুতর অসুস্থ হয়ে দুদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ছাড়া পেয়ে বাসায় ফেরেন মিঠুন চক্রবর্তী। বর্তমানে আগের চেয়ে বেশ ভালো আছেন তিনি। তবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই বড় চমক দিলেন এই অভিনেতা।   গণমাধ্যমে নিজের অসুস্থতার পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রসঙ্গ নিয়েও কথা বলেন মিঠুন। এ সময় তিনি জানান— চলতি বছর ভারতের লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী হবেন না তিনি। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ভীষণ খোশমেজাজেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মিঠুন। রাজনৈতিক প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এড়িয়ে না গিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, লোকসভা ভোটে প্রার্থী হচ্ছেন না তিনি।  তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের মতোই এবার চব্বিশের লোকসভা ভোটেও বিজেপির হয়ে প্রচার করতে দেখা যাবে মিঠুনকে। এ প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, আগামী ১ তারিখ থেকে লাগাতার প্রচার শুরু করব। একাধারে বাংলায় প্রচারের পাশাপাশি অন্য কোনো রাজ্যেও যদি যেতে হয়, তাহলেও যাব। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর ফোন পেয়েও ভীষণ খুশি হয়েছিলেন জানিয়ে মিঠুন বলেন, নরেন্দ্র মোদিকে খুব শ্রদ্ধা করি আমি। পাশাপাশি গণমাধ্যমে তৃণমূলের তারকা সংসদ তথা সহ-অভিনেতা দেবের প্রশংসা করতেও ভোলেননি এই অভিনেতা।  জানা গেছে, মিঠুনকে দেখতে নাকি হাসপাতালেও দেখতে গিয়েছিলেন দেব। সেই প্রসঙ্গে টেনে অভিনেতা বলেন, দেব খুব ভালো ছেলে। অত্যন্ত বুদ্ধিমান। ঠিক যেসময়ে দেবকে নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়, তখনই এই অভিনেতাকে ‘গুড বয়’ সার্টিফিকেট দিলেন মিঠুন।   গত ১০ ফেব্রুয়ারি মিঠুনের অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোবিজ থেকে শুরু করে  উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে রাজনৈতিকমহলও। রাজনৈতিক মতাদর্শ, রং সমস্ত কিছু দূরে সরিয়ে রেখে গত দুদিনে তাকে দেখতে ছুটে গিয়েছেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ ও বিধায়করাও।  সেই তালিকায় রয়েছেন— দেবশ্রী রায়, দেব, সোহম চক্রবর্তীরা রয়েছেন। এমনকি খোঁজ নিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। একসময়ে তৃণমূলের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের ‘রাজনৈতিক গুরু’ বলেছেন মিঠুন। তবে একুশের বিধানসভা ভোটেই বদলে যায় সেই সমীকরণ।  সূত্র : নিউজ ১৮    
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩২

বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির উদ্বোধন করলেন মোদি
অযোধ্যা শহরে হিন্দু জনতাদের ধ্বংস করে দেওয়া বাবরি মসজিদের জায়গায় হিন্দু দেবতা রামের নামে নির্মাণ করা হয়েছে রাম মন্দির। সোমবার (২২ জানুয়ারি) মন্দিরটি উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে চলচ্চিত্র তারকা, শিল্পপতি, ক্রিকেটারসহ কয়েক হাজার আমন্ত্রিত অতিথি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ভারত ও বিদেশ থেকে হাজার হাজার আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত ছিলেন। তবে কিছু হিন্দু সাধক এবং বেশির ভাগ বিরোধী এ মন্দিরের উদ্বোধনের বিরোধিতা করে বলছেন, মোদি রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য এটি ব্যবহার করছেন। মোদির রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা বলছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ভারতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তাই ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এমন একটি দেশে এই মন্দিরের নামে ভোট চাইবে, যেখানে মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ হিন্দু। অনেক হিন্দু বিশ্বাস করেন, অযোধ্যা হলো রামের জন্মস্থান। এ দেবতার জন্মস্থানে একটি রাম মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের ওপর মুসলিম আক্রমণকারীরা তৈরি করেছিল। একই স্থানে একটি মন্দির নির্মাণের আন্দোলনের মধ্য দিয়েই বিজেপি ১৯৯০-এর দশকে রাজনৈতিকভাবে ভারতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল।  ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরে ভূমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই চলেছে। অবশেষে ২০১৯ সালে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিতর্কিত ওই জমির মালিকানা হিন্দুদের প্রদান করেন এবং মসজিদ নির্মাণের জন্য মুসলিমদেরকে শহরের বাইরে একটি জমি দেওয়া হয় । ২১৭ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত নতুন তিনতলা রাম মন্দিরটি গোলাপি বেলেপাথর এবং কালো গ্রানাইট পাথর দিয়ে তৈরি। এটি ৭০ একর কমপ্লেক্সের ৭ দশমিক ২ একর জায়গা নিয়ে বিস্তৃত। মন্দিরের শুধু নিচতলা উদ্বোধন করবেন মোদি। বাকি অংশগুলো নির্মাণের কাজ বছরের শেষ নাগাদ সমাপ্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বড় জনসমাগম এড়াতে তীর্থযাত্রীদের অযোধ্যায় বেশি সংখ্যায় না এসে টেলিভিশনে অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখার জন্য আহ্বান করেছেন মোদি। এর জন্য বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোর স্কুল এবং কলেজগুলো বন্ধ ঘোষণা করার পাশাপাশি এবং পূর্ণ বা অর্ধ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। মোদি মানুষকে প্রদীপ জ্বালাতে বলেছেন এবং বিজেপির সমর্থকরা দিল্লির বেশ কয়েকটি এলাকাসহ দেশের অনেক জায়গায় বাড়ির ছাদে রামের ছবিসহ জাফরান রঙের পতাকা টাঙিয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে হিন্দু জনতা ধ্বংস করে দেয় ১৬ শতকের বাবরি মসজিদ। মসজিদ ধ্বংসের ফলে দেশব্যাপী দাঙ্গা শুরু হয়। সেই দাঙ্গায় প্রাণ হারান প্রায় ২ হাজার মানুষ। সেই মসজিদের জায়গায় নির্মাণ হলো রাম মন্দির।
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৮

ভারতে রাম মন্দির উদ্বোধনে জমকালো আয়োজন
জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে সোমবার (২২ জানুয়ারি) ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন করবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরই মধ্যে রঙিন বাতির আলোকসজ্জা ও গান-বাজনায় জমজমাট হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। স্থানীয় সময় সোমবার দুপুর ১২টার পর মন্দিরটির উদ্বোধন করবেন নরেন্দ্র মোদি। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত সেখানে উপস্থিত থাকবেন তিনি।  ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৮ হাজার অতিথি এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এ ছাড়াও ৫০৬ জনের আমন্ত্রিত তালিকায় রাজনীতিবিদ, শীর্ষস্থানীয় অতিথি, তারকা, কূটনীতিবিদ, বিচারক, মহাযাজকও উপস্থিত থাকবেন। বলিউড তারকা অমিতাভ বচ্চন, মাধুরী দিক্ষিত, কঙ্গনা রানাওয়াত, অক্ষয় কুমার, রনবীর কাপুর, আলিয়া ভাট, অনুপম খের, অজয় দেবগন, হেমা মালিনী, সানি দেওল, আনুশকা শর্মা ও ক্রিকেটার বিরাট কোহলি। এছাড়া দক্ষিণী তারকা রজনীকান্ত, আল্লু অর্জুন, চিরঞ্জীবিও রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়েছেন। সারাদেশের সিনেমা হলগুলোতে মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। সরাসরি সম্প্রচার হবে দেশের বাইরে ভারতের বিভিন্ন দূতাবাস, কনস্যুলেট ভবনগুলোতেও। অযোধ্যায় রাম মন্দিরটি ৭০ একরের কমপ্লেক্সের ভেতর দুই দশমিক ৬৭ একর জায়গার ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে এবং এর প্রথম পর্যায়ের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত পর্যায়ের নির্মাণকাজ শেষ হবে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে। প্রকল্পটির প্রাক্কলিত খরচ দেড় হাজার কোটি রূপি (১৮ কোটি ডলার)। সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস  
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:১৮

জনসভায় যে কথা বলে কেঁদে ফেললেন মোদি
ভারতে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় আবেগে চোঁখের পানি ফেলেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) মহারাষ্ট্রের সোলারপুরে দরিদ্রদের মাঝে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’র বাড়ি বিতরণ করতে যান তিনি। সেখানে জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় মোদি বলেন, ‘এই বাড়িগুলো দেখে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমার ছোটবেলায় যদি এই রকমের বাড়ি থাকত...’- এই কথা বলতে বলতে আবেগী হয়ে পড়েন তিনি। এসম তার চোখে পানি চলে আসে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এবং আমার দল বিজেপি যে কথা একবার দিই, সেটা রাখি। এরই অংশ হিসেবে আমরা নিম্ন আয়ের মানুষদের ঘর তৈরি করে দিয়েছি। আক্ষেপের সুরে মোদি বলেন, দীর্ঘদিন এই দেশে ‘গরিবি হটাও’ বলে স্লোগান দেওয়া হত। কিন্তু এত স্লোগানের পরও গরিবি কমেনি। আমি তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলে এই দেশে গরিবি পুরোপুরি শেষ করব। মহারাষ্ট্রে দরিদ্র নাগরিকদের জন্য পিএমএওয়াই-আরবান প্রকল্পের অংশ হিসেবে ৯০ হাজার এবং সোলাপুরের রায়নগর হাউজিং সোসাইটিতে ১৫ হাজার বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। সোলাপুরের এসব বাড়ি পেয়েছেন তাঁতী, হকার, পাওয়ার লুমের কর্মচারী, নেকড়া সংগ্রহকারী, বিড়ি শ্রমিক এবং গাড়ি চালকরা। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন ও এনডিটিভি।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:২৬

হাসিনাকে মোদির ফোন, বললেন টানা চতুর্থ মেয়াদের বিজয় ঐতিহাসিক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাতটার দিকে মোদি তার এক্স অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এই কথা জানান। টানা চতুর্থ মেয়াদে এই জয়ের জন্য শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি তিনি ‘সফল নির্বাচনে’র জন্য বাংলাদেশের জনগণেরও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। আরও পড়ুন : ঢাকায় কর্মসূচি দিলো ইসলামী আন্দোলন   পোস্টে মোদি লিখেছেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছি। সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো ঐতিহাসিক বিজয়ের জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি।  মোদি লিখেছেন, নির্বাচন সফলভাবে পরিচালনার জন্য আমি বাংলাদেশের জনগণকেও অভিনন্দন জানাই। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের স্থায়ী এবং জনকেন্দ্রিক অংশীদারত্বকে আরও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর আগে, শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের এই জয়ে আমার অভিনন্দন। অভিনন্দন রইল হাসিনা জি ও তার পরিবার এবং তার দল আওয়ামী লীগের প্রতি। যারা এবারের নির্বাচনে জয় পেয়েছেন তাদের সবার প্রতি অভিনন্দন। প্রত্যেককে আমার ও পশ্চিমবঙ্গবাসীর তরফ থেকে অভিনন্দন। হাসিনা জি যেন ভালো থাকেন, আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থনা করি। আরও পড়ুন : নরসিংদীতে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, শিশুসহ দগ্ধ ৬   এদিকে সকালে নির্বাচনে জয়ের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ঢাকায় বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে তিনিই সবার আগে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ও অভিনন্দন জানান। রোববার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে আওয়ামী লীগ। গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) আসন থেকে নির্বাচন করেন শেখ হাসিনা। সেখানে অষ্টমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়