• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
সাবেক সচিবের মেয়ে চুরি করেন ৮০০ মোবাইল  
অবসরপ্রাপ্ত এক যুগ্ম সচিবের মেয়ে জুবাইদা সুলতানা (৪৪) পরিবারের পরিচয় ব্যবহার না করে রাজধানীর অভিজাত পাড়ার বিভিন্ন হোটেল, ক্লাবে ভুয়া পরিচয়ে সেমিনার এবং নানা প্রোগ্রামে রেজিস্ট্রেশন ও অংশগ্রহণ করতেন। এর নেপথ্যে মূল উদ্দেশ্য চুরি। অভিজাত পাড়ায় অভিজাত চোরের খ্যাতি পাওয়া এই নারী গত ১২ বছরে প্রায় আট শতাধিক মোবাইল ফোন চুরি করেছেন। শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, গত ৩ মার্চ ঢাকা ক্লাবে গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজীবিষয়ক এক সিমিনারে অংশগ্রহণ করে জুবাইদা চুরি করেন ডা. ফারহানা হকের মোবাইল, ব্যাগ ও গহনা। ডা. ফারহানা হক গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজী বিভাগের চিকিৎসক। চুরির জিনিসপত্র বিক্রি করে দিলেও তার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি নিজের মোবাইলে হস্তান্তর করে নেন জুবাইদা। সেই থেকে ডা. ফারহানা সেজে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে যাচ্ছিলেন বিভিন্ন রোগীদের এবং হাতিয়ে নিচ্ছিলেন মোটা অংকের টাকা। এ বিষয়ে গত ১২ মার্চ রমনা মডেল থানায় একটি মামলা হয়। মামলা হওয়ার পর থেকে এ বিষয়ে ছায়াতদন্ত শুরু করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তদন্তের একপর্যায়ে শুক্রবার (১৫ মার্চ) জুবাইদা সুলতানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে নারীদের ১৬টি হ্যান্ডব্যাগ, চারটি মোবাইল, পাঁচটি বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, অলংকার, বিভিন্ন সুপারশপের কার্ড, চারটি পেনড্রাইভ জব্দ করা হয়। ডিবি জানায়, জুবাইদা সুলতানা ১২ বছর ধরে রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত ক্লাব ও হোটেলে চুরি করে আসছিলেন। এ পর্যন্ত প্রায় সাত থেকে আটশ মোবাইল, ল্যাপটপ ও দামি ভ্যানিটি ব্যাগ চুরি করেন অভিজাত এলাকা থেকে। হারুন অর রশীদ বলেন, জুবাইদা অভিজাত চোর। তার টার্গেট চাকরিজীবী নারী ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া নারী শিক্ষার্থীরা। তিনি ঢাকা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, রেডিসন এবং সোনারগাঁওয়ের মতো অভিজাত হোটেলে বিভিন্ন সভা-সেমিনারে অংশ নিয়ে চুরি করতেন। চোরাই জিনিস ব্যবহার করে অভিলাষী জীবন যাপন করতেন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার জুবাইদা বিভিন্ন পাঁচতারকা হোটেল ও রেস্টুরেন্টে পেশাজীবী সংগঠনের সভা-সিম্পোজিয়াম, সেমিনারে ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করে অংশগ্রহণ করতেন। সারাদিন গুরুগম্ভীর আলোচনার ফাঁকে চুরি করে সটকে পরতেন এই নারী। ডিবিপ্রধান বলেন, ১২ বছর ধরে জুবাইদা চুরি করে আসছিলেন। নিজেকে রাখতেন পরিমিতভাবে গুছিয়ে। রেজিস্ট্রেশন করে অংশ নিতেন বড় বড় সভা-সেমিনার ও ওয়ার্কশপে। এসব অনুষ্ঠানে গিয়ে সুকৌশলে চুরি করতেন দামি জিনিসপত্র। তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল ঢাকা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, উত্তরা ক্লাবসহ বিভিন্ন পাঁচতারকা হোটেল ও রেস্টুরেন্টে। জুবাইদা সুলতানা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন এসব তথ্য। তিনি আরও বলেন, জুবাইদার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব। তার বোন গ্রামীণফোনের একজন বড় কর্মকর্তা। তার এসব খারাপ অভ্যাসের জন্য তাকে পরিবার থেকে বিতারিত করা হয়েছে। জুবাইদা বিয়ে করেছেন দুটি। তার বর্তমান স্বামীর চতুর্থ স্ত্রী তিনি। তার স্বামী বর্তমানে সৌদি প্রবাসী। স্বামী সৌদিতে থাকলেও জুবাইদার চুরি করা জিনিসপত্র বিক্রি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতেন।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৩

ছেলে আরিয়ানের পরিচালনায় শাহরুখ ও মেয়ে সুহানা
বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। কাজ, দুই ছেলে এক মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বেশ সুখেই কাটছে তার জীবন। কন্যা সুহানা খানও নাম লিখিয়েছেন সিনেমায়। তবে এখনও জুটি বাঁধা হয়নি বাবা-মেয়ের। এবার সে গল্প রচিত হলো। বাবার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন সুহানা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য। তবে কোনো সিনেমায় নয় বিজ্ঞাপনে পর্দা ভাগ করেছেন বাবা-মেয়ে।   বিজ্ঞাপনটি পরিচালনা করেছেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান। ওই জায়গা থেকে ফ্যামিলি প্যাকেজ বলা যেতে পারে। আরিয়ানের পোশাক ব্র্যান্ড ডি’ইয়াভোলের প্রচারের জন্যই তৈরি করা হয়েছে বিজ্ঞাপনটি। এরইমধ্যে প্রকাশ পেয়েছের বিজ্ঞাপনটির টিজার। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সেটি শেয়ার করে কিং খান লিখেছেন, এই কোলাবরেশনের বিষয়টি যে প্রয়োজন ছিল, তা হয়ত আপনার জানাই ছিল না। প্রতিটি ভালো গল্পই সিকুয়েলের দাবি রাখে। এক্স-২ আসছে ১৭ মার্চ। টিজারে দেখা গেছে, আঙ্গুলে তিনটি আংটি পরা কিং খানের। যার ওপর ডি'ইয়াভোলের তিনটি অক্ষর লেখা। কোনোকিছুর ওপর ঘুষি মারতে দেখা যায় তকে। হাত রক্তে লাল হয়ে যায়। গালেও লাগে রক্তের ছিটে। এরপর সেই হাত দিয়ে একটা পরিত্যক্ত ট্রেনের বগির জানালার কাচে 'এক্স' চিহ্ন দিয়ে চিহ্নিত করেন। পরের দৃশ্যে এক মেয়েকে হেঁটে ঢুকতে দেখা যায়। মেঝে থেকে একটি যাদুকরী লাঠি তুলে নেয় সে। লাঠি থেকে বেরিয়ে আসা নীল রঙের আভা, আর তখনই তার মুখট সামনে আসে। বোঝা যায় তিনি সুহানা খান। সুহানা ট্রেনের জানালার পাশের অংশটি সেই জাদুকরী লাঠি দিয়ে ডিজনি লোগোর আকারে নীল রঙ দিয়ে এঁকে দেন। একে অপরের মুখোমুখি হয় বাবা ও মেয়ে,  চোখে চোখ পরতেই সুহানা ও শাহরুখের মুখে ফুটে ওঠে মৃদু হাসি। শোনা যাচ্ছে ‘পাঠান’ ছবির দ্বিতীয় কিস্তি ‘পাঠান ২’ নিয়ে আসছেন শাহরুখ। সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এ ছবি হবে যশরাজ ব্যানারে তৈরি স্পাই ইউনিভার্সের অষ্টম ছবি। দীপিকা পাড়ুকোন তো থাকছেনই, দেখা যেতে পারে আলিয়া ভাটকেও।   
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৪

ভাবনাকে কাজের মেয়ে বলে কটাক্ষ!
ছোট ও বড় পর্দার পরিচিত মুখ অভিনেত্রী আশনা হাবীব ভাবনা। তিন বছর আগে সিনেমায় অভিনয় শুরু করেন তিনি। সেই সময়ে ভাবনা ও তার মাকে কটাক্ষ করে এক জনপ্রিয় অভিনেত্রী বলেছিলেন তাদের দেখতে অনেকটাই কাজের মেয়ের মতো। সম্প্রতি সহকর্মীর সেই কটাক্ষ নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন অভিনেত্রী।  এ ব্যাপারে দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে ভাবনা বলেন, শোবিজ অঙ্গনের কাছের একজন মানুষ আমাকে নিয়ে এমন কথা বলবে, সেটি কখনো কল্পনাই করিনি আমি। তার উদ্দেশ্য ছিল আমাকে সরাসরি অপমান বা ছোট করা। তবে তার ওই অপমান, ছোট করার চেষ্টাগুলোই শক্তি জুগিয়েছে আমায়। এমন অনেকেই আছে যারা সহ্য করতে পারে না যে কেনো একের পর এক নায়িকা হচ্ছি। কিন্তু যতই ছোট করা হোক না কেন আমায়, আমি কখনোই পেছনে ফিরে তাকাইনি। নিজের যোগ্যতার মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য চিন্তা করেছি সবসময়।  ‘ভয়ংকর সুন্দর’ সিনেমার এ নায়িকা জানান, তাকে ও তার মায়ের সম্পর্কে ওই অভিনেত্রী বলেছিলেন, ভাবনা কী করে নায়িকা হয়? ওর চেহারা তো ওর মায়ের মতো। আর ওর মা তো দেখতে আমাদের বাসার কাজের মেয়ে রহিমার মতো। ভাবনা বলেন, আমাকে নিয়ে কেউ একটা মন্তব্য করতেই পারে। কিন্ত আমার মাকে টেনে এনে কেন অপমান করা। আমি চাইলে সেদিন তাকে ওই কথার জবাব দিতে পারতাম; দেইনি। আমার মা-বাবা সেই শিক্ষা দেননি আমাকে। কাউকে ছোট করে কখনো বড় হওয়া যায় না। আমাদের সহকর্মীদের মধ্যেই অনেকে আছেন, যারা অন্যদের টেনে নিচে নামাতে চান। তবে ভাবনা সেই অভিনেত্রীর নাম জানাননি। নাম প্রকাশ করে তাকে ছোট করতে চাননি। ওই অভিনেত্রী একজন শিক্ষিত সংস্কৃতিমনা সহকর্মী। তাকে কখনোই ছোট করতে চান না ভাবনা। ভাবনা বলেন, এখনও কিন্তু আমরা কথা বলি, কখনো আবার আড্ডা দেই। তার নাম প্রকাশ করে ছোট করার কী প্রয়োজন। সে তার নিজের মতো থাক। আমাকে ও মাকে যারা ছোট করেছিলেন, আমি তাদের অন্যভাবে জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমাকে যেদিন অপমান করা হয়, ওই দিনই মাথায় আসে ‘কাজের মেয়ে’ নামে একটি বই লিখব আমি। যে মেয়েটি অনেক কাজের ও পরিশ্রমী। সেই বইটি এবার প্রকাশ হয়েছে বইমেলায়। আর শেষ দিন মনে হলো পেছনের ঘটনা সবাইকে জানানো দরকার। 
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৭

বেইলি রোডে আগুন / পুড়ে মারা গেলেন অতিরিক্ত ডিআইজির বুয়েটপড়ুয়া মেয়ে
বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুড়ে মারা গেছেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি নাসিরুল ইসলাম নাসিরের বড় মেয়ে লামিশা ইসলাম। দুই মেয়ের মধ্যে লামিশা বড়। ২০১৮ সালে অসুস্থতাজনিত কারণে মারা যান স্ত্রী। দুই কন্যাসন্তানের কথা চিন্তা করে পুলিশের এই কর্মকর্তা আর বিয়েও করেননি। লামিশা স্কুল-কলেজ পেরিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন বাংলাদেশের শীর্ষ বিদ্যাপীঠ বুয়েটে। মেধাবী এ শিক্ষার্থীর জীবন হঠাৎ থমকে গেল বেইলি রোডের আগুনে। মেয়ের মৃত্যুর খবরে বাবা পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড ক্যারিয়ার প্ল্যানিং-১) নাসিরুল ইসলাম হয়ে পড়েছেন বাকরুদ্ধ। তার সহকর্মীরাও শোকে বিহ্বল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন সহকর্মীদের অনেকেই। জানা গেছে, ২০১৮ সালে নাসিরুল ইসলামের স্ত্রী মারা যাওয়ার পর দুই কন্যাসন্তানের দিকে তাকিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেননি। সন্তানদের নিয়ে থাকতেন রমনার পুলিশ কমপ্লেক্সে। কন্যাদের মানুষের মতো মানুষ করতে মায়ের ভূমিকা পালন করতেন বাবা। স্বপ্ন ছিল কন্যারা বাবাকে ছাড়িয়ে যাবেন পৌঁছাবে অনন্য উচ্চতায়। বড় মেয়ে সেই পথেই হাঁটছিলেন। বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগে ভর্তিও হয়েছিলেন। কিন্তু আগুন মুহূর্তেই কেড়ে নিলো লামিশার প্রাণ। শোকে বিহ্বল বাবার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে তার একাধিক সহকর্মী জানান, লামিশা বাসার পাশেই ওই ভবনের কোনো একটি রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন। আগুন লাগার পর তিনি দৌড়ে ছাদের দিকে যাওয়ার চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছাদে উঠতে পারেননি। নিশ্বাসের সঙ্গে ধোঁয়া গিয়ে শ্বাসনালী পুড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছিলেন, আমাদের একজন সহকর্মীর মেয়ে মারা গেছেন। সেই মেয়েটিই নিহত লামিশা ইসলাম। স্বজনরা জানান, লামিশার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে। বুয়েটের বন্ধু নাহিয়ান আমিনের সঙ্গে ওই ভবনের একটি রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন। আগুনে দুজনই মারা গেছেন।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫২

বাবার মরদেহ ঘরে রেখে পরীক্ষা দিলেন মেয়ে
বাবার মরদেহ ঘরে রেখে অশ্রুসিক্ত নয়নে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার মেয়ে মেমেসিং মারমা।  মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) কাপ্তাই উপজেলা সদর বড়ইছড়ি নুরুল হুদা কাদেরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্ম বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি। জানা যায়, মেমেসিং মারমা ওয়াগ্গা ইউনিয়নের কুকিমারা পাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং ওয়াগ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। তার বাবা উপাচিং মারমা (৪৭) গতকাল সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কুকিমারা পাড়ায় নিজ বাড়িতে মারা যান। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।  দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনি রোগে ভুগছিলেন বলে জানান কুকিমারা এলাকার কারবারি (পাড়াপ্রধান) চিংসুই মং মারমা।  চিংসুই মং মারমা আরও জানান, মেমেসিং মারমার বাবার একটি কিডনি অনেক আগে থেকেই নষ্ট ছিল। তিনি এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে কৃষি কাজ করে সংসার চালাতান। তার মেয়ে বাবার মরদেহ রেখে আজ এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। বিকেলে ধর্মীয় কার্যাদি শেষে তাকে কুকিমারা শ্মশানে দাহ করা হবে।  ওয়াগ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবিমল তনচংগ্যা জানান, মেমেসিং মারমা ২০২৪ সালের চলমান এসএসসি পরীক্ষায় ব্যবসা শিক্ষা বিভাগ থেকে ওয়াগ্গা উচ্চ বিদ্যালয় হতে অংশ নিচ্ছেন। 
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৪

বাবা-মা বাড়ি ফিরে দেখলেন মেয়ে আড়ায় ঝুলছে
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে অনামিকা মন্ডল (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নের শেখরনগর দক্ষিণহাটী গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। অনামিকা শেখরনগর দক্ষিণহাটী গ্রামের অটোরিকশাচালক নারায়ণ মন্ডলের মেয়ে ও রায় বাহাদুর শ্রীনাথ ইনস্টিটিউশনের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। শেখরনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দেবব্রত সরকার টুটুল বলেন, ঘটনার সময় অনামিকার বাবা-মা বাড়িতে ছিল না। তারা এক এনজিওতে গিয়েছিল। রাতে বাড়ি ফিরে মেয়ের ঘরে গিয়ে দেখে ওড়না প্যাঁচানো মরদেহ আড়ায় ঝুলছে। সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজাহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, মরদেহ রাতেই উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে।  মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৮

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা কিশোরগঞ্জের মেয়ে তানজিম
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় মেধায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার তানজিম মুনতাকা সর্বা। ১০০ নম্বরের ১ ঘন্টার এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সর্বোচ্চ ৯২.৫ নম্বর পেয়ে দেশসেরা হয়েছে সে। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন।  কিশোরগঞ্জের  কটিয়াদী পৌরসভার বেথইর গ্রামের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহমান (সবুজ) ও গৃহিনী চায়না বেগমের মেয়ে তানজিম মুনতাকা সর্বা। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় সে। রাজধানীর হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল এই মেধাবী। তানজিমের এমন সাফল্যে আনন্দিত পরিবার ও এলাকার স্বজনরা। 
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০১

শতাধিক ধনীর মেয়ে তার ফাঁদে
কানাডায় স্থায়ী বসবাসের গ্রিনকার্ড হোল্ডার, পিএইচডিধারী এবং দেশের একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকের সন্তান হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতেন নেত্রেকোনার পূর্বধলার নারান্দিয়া এলাকার আব্দুর রবের ছেলে এহসান আহমেদ (৩০)। বিদেশে উচ্চশিক্ষায় যেতে ইচ্ছুক উচ্চবিত্ত পরিবারের এমন তরুণীদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত হতেন তিনি। তাদের সঙ্গে দেখা করার সময় ভালো বেশভূষা ও নামিদামি গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে যেতেন ওই যুবক। এরপর গড়ে তুলতেন প্রেমের সম্পর্ক। এমন মিথ্যা পরিচয়ে শতাধিক নারীর সঙ্গে প্রেম করে প্রতারণা করেছেন এহসান। সবশেষ তার ফাঁদে পা দেন ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যয়নরত এক তরুণী। কানাডায় স্ত্রী হিসেবে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এহসান। এরপর কৌশলে ওই তরুণীর ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও হাতিয়ে নিয়ে ব্ল্যাকমেইল শুরু করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে তার প্রতারণায় অতিষ্ঠ হয়ে সম্প্রতি রাজধানীর মুগদা থানায় মামলা করেন ওই ভুক্তভোগী তরুণী। এরপর বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রমনা থেকে এহসানকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। ডিবিপ্রধান জানান, ফেসবুকের মাধ্যমে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সাবেক এক ছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় প্রতারক এহসানের। তিনি নিজেকে গ্রিনকার্ডধারী কানাডা প্রবাসী, পিএইচডি ডিগ্রিধারী ও বড় শিল্পপতি পরিবারের সন্তান পরিচয় দেন। তাদের গুলশানে বাড়ি ও বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে এমন তথ্য দেন। এসব পরিচয় ব্যবহার করে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। প্রেমের সুযোগে ভুক্তভোগী তরুণীর কাছ থেকে হাতিয়ে নেন ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও। পরে সেগুলো সামাজিক মাধ্যম ও স্বজনদের কাছে প্রকাশ করার হুমকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। তিনি বলেন, এর আগেও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ এ ধরনের অনেক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে। প্রতারকরা নিজেদের মন্ত্রী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সচিব, বড় ব্যবসায়ীর সন্তান দাবি করে মেয়েদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে শারীরিক ও আর্থিকভাবে প্রতারণা করে আসছিলেন। মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধুত্ব গড়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। এসব মাধ্যমে কেউ বড়লোক, ব্যবসায়ী বা সরকারি চাকরিজীবী পরিচয় দিলে যাচাই করা উচিত। সেই সঙ্গে অনলাইনে বন্ধুত্বের নামে ব্যক্তিগত এসব ছবি-ভিডিও আদান-প্রদানে সতর্ক হতে হবে। তবে কেউ এ ধরনের প্রতারণার শিকার হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ দিতে হবে।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:০০

ইউনূসের কারাদণ্ড নিয়ে যা বললেন মেয়ে মনিকা
‘আমার বাবাকে হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি নির্দোষ এবং নিপীড়িত।’ শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় জামিন আবেদনের আগে ড. ইউনূসের কারাদণ্ড নিয়ে ব্রিটিশ টেলিভিশন ‘চ্যানেল ফোর’ এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ইউনূসের মেয়ে মনিকা ইউনূস। রোববার (২৮ জানুয়ারি) প্রকাশিত সাক্ষাৎকারটিতে বাবাকে নির্দোষ এবং নিপীড়িত দাবি করেন ইউনূসকন্যা। মনিকা ইউনূস বলেন, আমার বাবা পৃথিবীকে বদলাতে চেয়েছেন উল্লেখ করে মনিকা বলেন, ড. ইউনূস দারিদ্র্যকে মুছে ফেলতে চেয়েছেন। এটাই ছিল আমার বাবার স্বপ্ন। যে স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার পুরো জীবনটাই প্রতিষ্ঠান এবং কর্মীদের জন্য উৎসর্গ করেছেন। তিনি আরও বলেন, বাবার পক্ষে থাকার কারণে তার আরও তিন সহকর্মীকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু আদালত কোনো অভিযোগই প্রমাণ করতে পারেননি। তারা বাবা কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বা রাজনৈতিক হুমকির সম্মুখীন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমার বাবা জড়িত নন। একসময় তিনি রাজনীতিতে যুক্ত হতে চেয়েছিলেন। পরে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন রাজনীতি তার জন্য না। তাই আগামীতেও তার রাজনীতিতে যাওয়ার ইচ্ছা নেই। তিনি সবসময় রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে মানুষের জন্য কিছু করতে চেয়েছেন।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়