• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নওগাঁয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সালাউদ্দিন ওরফে টনি (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।   জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আদালত ও মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে নিয়ামতপুর উপজেলার ধানসা গ্রামের আবু কালামের মেয়ে তুকাজ্জেবার (২৪) সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের সালাউদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সালাউদ্দিন তুকাজ্জেবার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। ২০২০ সালের ২৯ জুন তুকাজ্জেবা স্বামী সালাউদ্দিনকে নিয়ে বাবার বাড়ি নিয়ামতপুরের ধানসা গ্রামে বেড়াতে আসেন। পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুরবাড়িতে থাকা অবস্থায় ১ জুলাই সালাউদ্দিন তার স্ত্রী তুকাজ্জেবার গলায় কাঁচি দিয়ে খুঁচিয়ে গুরুতরভাবে জখম করে। ওই দিন সকাল সাড়ে ৫টার দিকে তুকাজ্জেবা ও সালাউদ্দিনের ঘর থেকে চিৎকারের শব্দ পেয়ে তুকাজ্জেবার বাবা ও মা  বাইরে থেকে ঘরের দরজা খোলার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে প্রতিবেশীরা দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে তুকাজ্জেবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় সালাউদ্দিনের হাতে কাপড় কাটার কাঁচি দেখতে পান প্রতিবেশীরা। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তুকাজ্জেবাকে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্ত্রীকে আহত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন সালাউদ্দিনকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় নিহত তুকাজ্জেবার বাবা আবু কালাম বাদী হয়ে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে নিয়ামতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে  মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ২০২২ সালের ২২ জুন আদালতে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল খালেক এবং আসামিপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আতিকুর রহমান। সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বলেন, সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করেছেন। রায়ে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা সাপেক্ষে আসামি সালাউদ্দিনকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে।  এ রায় হত্যা মামলার ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করেন আইনজীবী আব্দুল খালেক।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১২

সিএনজিচালককে হত্যায় ২ যুবকের মৃত্যুদণ্ড 
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের শুভপুর এলাকার বাসিন্দা সিএনজিচালক রাসেলকে (১৮) হত্যার দায়ে দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে এ রায় দেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জাহাঙ্গীর হোসেন। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর গ্রামের অলি ও গিয়াস উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুজিবুর রহমান জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গিয়াস উদ্দিনের প্রেমিকার কাছে গিয়াস উদ্দিন একজন মাদকসেবী এমন অভিযোগ করে সিএনজিচালক রাসেল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে গিয়াস উদ্দিন পরিকল্পনা করে। ২০১৭ সালের ১৮ জুন গিয়াস উদ্দিন ও অলি মিলে রাসেলের সিএনজিটি ভাড়া করে। পরে দিনভর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি শেষে তারা কুমিল্লা এয়ারপোর্টের পাশে একটি ঝোপের মধ্যে মাদকসেবন করে। মাদক সেবনের পর রাসেল অচেতন হয়ে গেলে গিয়াস উদ্দিন ও অলি মিলে রাসেলকে শাসরোধে হত্যা করে। এ ঘটনায় রাসেলের স্বজনরা চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রোববার আদালত অলি ও গিয়াস উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১৪

তিন ভাই-বোনকে গুলি করে হত্যা, ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার বালুছড়া এলাকায় আপন তিন ভাই–বোন হত্যা মামলায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাদের দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. কামাল হোসেন সিকদার এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন আবুল কাশেম প্রকাশ ওরফে জামাই কাশেম ও মো. ইউসুফ প্রকাশ ওরফে বাইট্যা কাশেম। সরকার পক্ষের আইনজীবী মো. ফয়েজ উল্লাহ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলার বরাত দিয়ে এই আইনজীবী জানান, ২০০৪ সালের ৩০ জুন বালুছড়ায় গুলিতে নিহত হন দুই সহোদর সাইফুল ও আলমগীর।  এতে আহত হন তাঁদের বোন মিনু আরা। ২০ দিন ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনিও মারা যান। এই ঘটনায় সাইফুলের স্ত্রী আয়েশা আক্তার বাদী হয়ে বায়েজিদ থানায় মামলা করেন। এই মামলার অপর দুই আসামি গিট্টু নাসির ও ফয়েজ মুন্না র‍্যাবের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হন। সরকার পক্ষের আইনজীবী আরও বলেন, অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আদালত দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আসামিদের স্বজন মো. পারভেজ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের নির্দোষ দাবি করে জানান, তারা উচ্চ আদালতে যাবেন।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২৭

৪৪ বিলিয়ন ডলার জালিয়াতির দায়ে ভিয়েতনামের ধনকুবেরের মৃত্যুদণ্ড
ভিয়েতনামের এক শীর্ষস্থানীয় ধনী ব্যবসায়ী ৪৪ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের মামলায় মৃত্যুদণ্ডর মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনা এটি। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) তিনিসহ কয়েক ডজন আসামির বিরুদ্ধে এই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে।  ভিয়েতনাম এক্সপ্রেসের তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত ট্রুং মাই ল্যান একটি ডেভেলপার কোম্পানির চেয়ারপারসন। তিনি ভিয়েতনামের সাইগন কমার্শিয়াল ব্যাংক (এসসিবি) থেকে এক দশক ধরে জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে উঠে এসেছে।  ল্যান এবং অন্য ৮৫ জন পাঁচ সপ্তাহের বিচারকার্যের পরে ভিয়েতনামের ব্যবসাকেন্দ্র হো চি মিন সিটিতে আদালতের রায় ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছেন। অভিযুক্তদের তালিকায় সাবেক কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তা, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা এবং পূর্ববর্তী এসসিবি নির্বাহীরা রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ, ক্ষমতার অপব্যবহার, জালিয়াতি এবং ব্যাংকিং আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। তবে ল্যান অভিযোগ অস্বীকার করে তার অধস্তনদের ওপর দোষ চাপিয়েছেন। তার আইনজীবীরা বলেছেন, তিনি কোনো ধরনের তছরুপের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, কারণ এসসিবিতে তার কোনো আনুষ্ঠানিক পদ নেই।  তবে বিচারকরা এই যুক্তি মানেননি। তারা বলেছেন, এসসিবি ব্যাংকের ৯১ দশমিক ৫ শতাংশের শেয়ারের মালিক ল্যান। সুতরাং ব্যাংকে তিনিই ছিলেন সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। প্রকৃতপক্ষে তিনিই ব্যাংকের মালিক। তিনিই ঋণ অনুমোদনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পাশাপাশি ব্যাংকের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা নিয়োগেও তার হাত ছিল।  ভিয়েতনামে দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডেভিড ব্রাউন বলেন, আমার মনে হয়, কমিউনিস্ট যুগে এ ধরনের শো ট্রায়াল আগে কখনো হয়নি।  কমিউনিস্ট পার্টির সেক্রেটারি জেনারেল নগুয়েন ফু ট্রংয়ের নেতৃত্বে ‘ব্লেজিং ফার্নেস দুর্নীতি’ বিরোধী প্রচারণার এ পর্যন্ত সবচেয়ে নাটকীয় অধ্যায় ছিল এই বিচার। এদিকে ল্যান গত সপ্তাহে আদালতে তার শেষ মন্তব্যে বলেছেন, তিনি আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন। তিনি বলেন, ‘হতাশার মধ্যে ডুবে গিয়ে আমি মৃত্যুর কথা ভেবেছিলাম। আমি এতটাই ক্ষুব্ধ যে, এই অত্যন্ত ভয়ংকর ব্যবসায়িক পরিবেশে জড়িয়ে পড়ার জন্য আমি এতটা বোকা ছিলাম! ব্যাংকিং সেক্টর সম্পর্কে আমার জ্ঞান খুব কম।’  ২০২২ সালের অক্টোবরে ল্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় শত শত মানুষ রাজধানী হ্যানয় এবং হো চি মিন সিটিতে বিক্ষোভ শুরু করে। একদলীয় কমিউনিস্ট রাষ্ট্রে এটি ছিল বিরল ঘটনা।  গতকাল বুধবার হ্যানয়ে স্টেট ব্যাংক অব ভিয়েতনামের বাইরে প্রচুর পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে। এখানেই এর আগে বিক্ষোভ হয়েছিল। পুলিশ এই আর্থিক কেলেঙ্কারির প্রায় ৪২ হাজার ভুক্তভোগীকে চিহ্নিত করেছে। এ ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির সরকার ও সাধারণ মানুষ হতবাক হয়েছে।  ল্যান বিয়ে করেছেন হংকংয়ের একজন ধনী ব্যবসায়ীকে। তিনিও এখন বিচারাধীন। তার বিরুদ্ধে এসসিবি থেকে ঋণ নিতে জাল নথিপত্র ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। ল্যান এই ব্যাংকের ৯০ শতাংশের বেশি শেয়ারের মালিক ছিলেন।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৮

শবে কদরের রাতে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করলেন বাবা
শবে কদরের রাতে নিজের ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে দিয়ে আলোচনায় এসেছেন সৌদি আরবের আতি আল-মালিকি নামের এক ব্যক্তি।  রোববার (৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে দুবাই ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ। এতে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের মক্কার বাসিন্দা আতি আল-মালিকির ছেলে আবদুল্লাহকে হত্যা করে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন এক ব্যক্তি। চলতি মাসের ১৭ তারিখে ওই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু দণ্ড কার্যকরের আগেই খুনিকে ক্ষমা করে দিয়েছেন নিহতের বাবা। এর বিনিময়ে কোন ক্ষতিপূরণও নেননি তিনি। এরই মধ্যে আল-মালিকির ক্ষমা করার ঘোষণার মুহূর্তটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এক্সের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, রমজান মাসের পবিত্রতম রাত শবে কদরে অভিযুক্তকে ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত জানাচ্ছেন সন্তান হারানো বাবা। ঘোষণা শেষ হওয়া মাত্রই উপস্থিত অনেকে তাকে জড়িয়ে ধরে ওই বাবার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন।   الشيخ عاطي بن عطيه المالكي يعفو عن قاتل إبنه . شاهر ضيف الله الحارثي لوجه الله الكريم بيض الله وجهك وجزاك الله خير فمن عفى وأصلح فأجره على الله سبحانه والله يعتق رقابكم من النار pic.twitter.com/BP7Yyqy5Uz — موسى المالكي (@moussa_saudi) April 5, 2024 প্রসঙ্গত, সৌদি আরবের নিয়মে হত্যার বদলে হত্যা। অর্থাৎ, হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া ব্যক্তির পরিবার চাইলে ক্ষতিপূরণ নিয়ে কিংবা ক্ষতিপূরণ ছাড়াই অপরাধীকে ক্ষমা করে দিতে পারেন।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৭

শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ গুম, যুবকের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ডাকাতিয়া নদীতে ফেলার দায়ে মোহাম্মদ আলী ওরফে বাপ্পী (২৬) নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন আসামি মোহাম্মদ আলী। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ওই শিশুকে তেঁতুল খাওয়ানোর কথা বলে মোহাম্মদ আলী টিনের ঘরে নিয়ে যান। এরপর তিনি শিশুটিকে ধর্ষণ করে হত্যার পর লাশ কাঁথা দিয়ে মুড়িয়ে ডাকাতিয়া নদীতে ফেলে দেন। ঘটনার পর নিজেই অটোরিকশা ভাড়া করে শিশুটির নিখোঁজের সংবাদ মাইকিং করেন। একপর্যায়ে তার আচরণে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। পরে তাকে পিটুনি দিলে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ গুমের কথা স্বীকার করেন। পরে শিশুটির বাবা পরদিন চৌদ্দগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। মামলায় মোহাম্মদ আলীকে একমাত্র আসামি করা হয়। ২০১৯ সালের ২ জুন মোহাম্মদ আলী ও একই গ্রামের মো. মিজানের (২২) নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক ইকবাল মনির। ২০২০ সালের ৮ মার্চ এই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) আদালত মোহাম্মদ আলীকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। অপর আসামি মো. মিজানকে বেকসুর খালাস দেন বিচারক। শিশুটির বাবা বলেন, এ রায়ে আমি খুশি। দ্রুত ফাঁসির আদেশ কার্যকর দেখতে চাই। আমার অবুঝ শিশুর মুখে ও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ঘাড় মটকিয়ে দেওয়া হয়। পরে কাঁথা মুড়িয়ে লাশ বাড়ির পাশের ডাকাতিয়া নদীতে ভাসিয়ে দেয় মোহাম্মদ আলী। একসঙ্গে এতগুলো অপরাধ করা ব্যক্তির ফাঁসি দ্রুত হলে আমি শান্তি পাব। কুমিল্লা আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি প্রদীপ কুমার দত্ত গণমাধ্যমকে বলেন, রায়ের দ্রুত কার্যকর চান তারা। অবুঝ শিশুর ওপর নির্মম নির্যাতন করেছেন মোহাম্মদ আলী। এই রায় ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, রায়ে বিবাদী পক্ষ খুবই অসন্তুষ্ট। রায়ের কপি পাওয়ার পর তারা আপিল করবেন।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৬

চুয়াডাঙ্গায় দম্পতিকে খুনের দায়ে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় স্বামী-স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। একই মামলায় একজনকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী আসামিদের উপস্থিতিতে চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার আসাননগর গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে সাহাবুল হক (২৬), একই গ্রামের পিন্টু রহমানের ছেলে রাজিব হোসেন (২৭) ও মাসুদ আলীর ছেলে বিদ্যুৎ আলী (২৫)। দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেন একই উপজেলার আসাননগর গ্রামেরতাহাজ উদ্দিনের ছেলে শাকিল হোসেন (২৫)। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে আলমডাঙ্গা শহরের পুরাতন বাজার এলাকার নজির মিয়া (৭০) ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুনকে (৬০) শ্বাসরোধ করে গলাকেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত দম্পতির মেয়ে ডালিয়ারা পারভীন শিলা। চাঞ্চল্যকর ওই মামলার তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে একই বছর ২৮ সেপ্টেম্বর চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) একরামুল হক। সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ ওই রায় দেন বিচারক।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪১

তেঁতুলের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ শেষে হত্যা, যুবকের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লায় তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহিদা ইসলাম ইলমা নামে এক শিশুকে তেঁতুলের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ শেষে হত্যার দায়ে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।   মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতের বিচারক মো. আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোহাম্মদ আলী বাপ্পি কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গজারিয়া গ্রামের বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মুজিবুর রহমান। মামলার বিবরণের সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ দুপুরে তাহিদা ইসলাম ইলমা বাসার সামনে খেলছিল। এ সময় আসামি বাপ্পি তেঁতুলের লোভ দেখিয়ে ইলমাকে তার ঘরে নিয়ে প্রথমে ধর্ষণ করে। পরে মরদেহটি কাঁথা পেঁচিয়ে পাশের ডাকাতিয়া নদীতে ফেলে দেয়। পরদিন ইলমার মরদেহ খুঁজে পায় স্বজনরা। এ ঘটনায় ইলমার বাবা দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।  পুলিশ আসামি বাপ্পিকে গ্রেপ্তার করে। পরে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত একজনকে খালাস এবং একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। 
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১১

প্রেম-সংক্রান্ত বিরোধে যুবক খুন, দুজনের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লার হোমনায় প্রেম-সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ফয়সাল নামে এক যুবককে গলাকেটে হত্যার দায়ে ২ যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কুমিল্লা হোমনা উপজেলার রাজনগর গ্রামের মো. ফুল মিঞার ছেলে মো. শামীম মিয়া (২৪) ও একই উপজেলার সাফলেজি গ্রামের মো. বেদন মিয়ার ছেলে মো. দুলাল মিয়া (২০)। জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের শিকার ফয়সালের সঙ্গে আসামি শামীম মিয়ার কলেজপড়ুয়া বোন মেহেদী আক্তারের (১৮) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই প্রেমের জের ধরে ২০২০ সালের ৫ জুন জবাই করে ফয়সালকে হত্যা করে মরদেহটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের মাঠে মাটিতে পুঁতে রাখে শামীম। খুনের ৮ দিন পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি মো. শামীম মিয়া ও মো. দুলাল মিয়াকে আটক করলে আসামিদের দেখানো স্থান থেকে ফয়সালের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ মামলায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনা করে তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড এবং একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত। রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. শামীম মিয়া ও মো. দুলাল মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার ও মো. নূরুল ইসলাম বলেন, আমরা আশা করছি উচ্চ আদালতেও এ রায় বহাল থাকবে। আর রায় দ্রুত বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দেওয়া হবে। অপরদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বিমল কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, এ রায়ে আসামিপক্ষ অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ। রায়ের কপি হাতে পেলে শিগগিরই উচ্চ আদালতে আপিল করব।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১২

কুমিল্লার হোমনায় স্বামীকে হত্যা, স্ত্রীসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লার হোমনায় প্রবাসী আব্দুল জলিল হত্যা মামলায় তার স্ত্রী শাহনাজ বেগমসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। এ মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় মো. শাহজাহান নামের এক আসামিকে খালাস দিয়েছেন বিচারক।  রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলায় মোট ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করেন।   রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আবু ইউসুফ মুন্সী জানান, ২০১৩ সালের ৯ জুন ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে হোমনার বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন আবদুল জলিল৷ পরদিন বাহের খোলা এলাকার রাস্তার পাশ থেকে জলিলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হোমনা থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই তাজুল ইসলাম। পরে আব্দুল জলিলের স্ত্রী শাহানাজ বেগম, মো. শাহজাহান, মো. কুদ্দুস মিয়া, আবদুল খালেক ও মো. রাজিব নামে ৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।   তিনি আরও জানান, দীর্ঘ তদন্ত ও শুনানি শেষে আজ সকালে চারজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন বিচারক। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি পলাতক ছিলেন। আদালতে হাজির মো. শাহজাহান নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে খালাস প্রদান করেন বিচারক।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়