• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পেরুর রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন রাষ্ট্রদূত মুহিত
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে সমবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে পরিচয়পত্র পেশ করলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। রাষ্ট্রদূত মুহিত পেরু প্রজাতন্ত্রের রাজধানী লিমায় ও পেরুর রাষ্ট্রপতির কার্যালয়- গভর্মেন্ট প্যালেসে ৮ ফেব্রুয়ারি পেরুর রাষ্ট্রপতি দিনা বুলোরাটের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন।  পরিচয়পত্র পেশ করার সময় রাষ্ট্রদূত মুহিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে পেরুর রাষ্ট্রপতি ও জনগণকে শুভেচ্ছা জানান। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, আমাদের অভিন্ন মূল্যবোধ এবং পারস্পরিক সুবিধার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও পেরুর মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব। বাংলাদেশে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন যে, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য এটি উপযুক্ত মূহুর্ত। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ ও পেরুর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে। এছাড়া জাতিসংঘ ও বহুপাক্ষিক প্লাটফর্মের মাধ্যমে শান্তিরক্ষা, শান্তি বিনির্মাণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে এক সঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। পেরুর রাষ্ট্রপতি দিনা বুলোরাটে রাষ্ট্রদূত মুহিতের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করেন এবং তার মেয়াদে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত মুহিতের সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী মিসেস রুবি পারভীন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের মিনিস্টার শাহানারা মনিকা।  
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫২

জাতিসংঘের ৩ সংস্থার বোর্ড সভাপতি রাষ্ট্রদূত মুহিত
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত ২০২৪ সালের জন্য জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) ও জাতিসংঘ প্রকল্প সেবাগুলোর কার্যালয়ের (ইউএনওপিএস) নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার (১০ জানুয়ারি) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আর এতে কলম্বিয়া, জার্মানি, রোমানিয়া ও ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রদূতরা সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০৩০ সাল পর্যন্ত উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়নে এই তিন সংস্থার সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট রয়েছে। ইউএনডিপি মূলত দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই উন্নয়নে সদস্য দেশগুলোকে সহায়তা করে থাকে। ইউএনএফপিএ কাজ করে জনসংখ্যা ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে। আর শান্তি, উন্নয়ন ও মানবিক বিষয়াবলির প্রকল্পসংক্রান্ত চূড়ান্ত কাজগুলো সম্পাদন করে ইউএনওপিএস। সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ সংস্থাগুলোর এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার সুযোগ পাবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ বোর্ডের অন্যান্য সদস্য এবং এই তিনটি সংস্থার নেতৃত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সুযোগ পাবে। বিশ্বব্যাপী তাদের কার্যক্রমে কৌশলগত দিকনির্দেশনা দিতে পারবে। স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মুহিত তাকে সভাপতি নির্বাচিত করার জন্য নির্বাহী বোর্ডের সদস্যদের ধন্যবাদ দেন। তিনি বিশ্বব্যাপী জনগণের ক্ষমতায়নে এবং তাদের উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষাকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য এই সংস্থাগুলোর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানান। মুহিত বলেন, বিভিন্ন মহামারি, চলমান মানবিক এবং জলবায়ু সংকট জনিত কারণে জাতিসংঘের উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন যেসব প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে, তা উত্তরণে ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ, ইউএনওপিএসকে আরও অধিকতর সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রয়োজন হবে। আর তাদের এই প্রচেষ্টায় নির্বাহী বোর্ড সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত থাকবে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ বহুপাক্ষিক ফোরামে ইতোমধ্যে একটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। এর ফলে জাতিসংঘ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের সঙ্গে বাংলাদেশের যে সুদৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, এই নির্বাচন তারই প্রতিফলন। তা ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে অনন্য সাফল্য অর্জন করেছে, তার স্বীকৃতি বহন করে এই নির্বাচন। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে যোগদানের পর থেকে রাষ্ট্রদূত মুহিত জাতিসংঘ শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের সভাপতি, ইউএন উইমেনের নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি এবং ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ, ইউএনওপিএসের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়