• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
রমজানে সমগ্র মুসলিম বিশ্বের কল্যাণ কামনা প্রধানমন্ত্রীর
দেশের আকাশে দেখা গেছে মাহে রমজানের চাঁদ। এ অনুযায়ী আগামীকাল মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। এ উপলক্ষে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও সমগ্র মুসলিম বিশ্বের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।   সোমবার (১১ মার্চ) রাতে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বাণী দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। এতে তিনি বলেছেন, ‘মহান আল্লাহ আমাদের জাতীয় জীবনে পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষা কার্যকর করার তাওফিক দান করুন। মাহে রমজান আমাদের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল শান্তি। সবার জীবন মঙ্গলময় হোক। পবিত্র মাহে রমজানে আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম জাহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করছি।’     দেশবাসী ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর প্রতি আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সিয়াম সাধনা ও সংযমের মাস পবিত্র মাহে রমজান আমাদের মাঝে সমাগত। পবিত্র এ মাসে আত্মসংযমের মাধ্যমে আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটে ও সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি, নৈকট্যলাভ এবং ক্ষমা লাভের অপূর্ব সুযোগ হয়। সিয়াম ধনী-গরিব সবার মাঝে পারস্পরিক সহমর্মিতা, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা পালন করে। বাণীতে পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যাবতীয় ভোগবিলাস, হিংসা-বিদ্বেষ, উচ্ছলতা ও সংঘাত পরিহার এবং জীবনের সর্বস্তরে পরিমিতিবোধ, ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শনের মাধ্যমে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।  দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আসুন, সব ধরনের কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠা করি। সিয়াম পালনের পাশাপাশি বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করি ও ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকি। মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন, আমিন।’  
১২ মার্চ ২০২৪, ০০:৪৪

মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে অভিন্ন মুদ্রা চালুর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে একটি অভিন্ন মুদ্রা চালুর পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) গণভবনে তুরস্কের বাণিজ্য উপমন্ত্রী মোস্তফা তুজকুর নেতৃত্বে ডি-৮ বাণিজ্যমন্ত্রীদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, মুসলিম দেশগুলো তাদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মতো একটি অভিন্ন মুদ্রা চালু করতে পারে।  তিনি বলেন, আমরা মুসলিম দেশগুলো যদি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধার্থে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো একটি অভিন্ন মুদ্রা চালু করতে পারি, তাহলে খুব ভালো হবে।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের আটটি সর্বাধিক জনবহুল মুসলিম দেশকে নিয়ে ডি-৮ গঠন করা হয়েছে, যার লক্ষ্য তাদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি এই দেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বন্ধুত্বের উন্নতি ঘটানো। আমার লক্ষ্য হলো সাধারণ মানুষের ভাগ্য ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করা এবং এটা তখনই সম্ভব, যখন আমরা আমাদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে পারব। ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর জন্য প্রচুর সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যদি আমাদের মধ্যে বাণিজ্য উন্নত করতে পারি, তবে অন্যের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে না। রোহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের এক বা দুই প্রজন্ম হারিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের অনেকেই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হচ্ছে। মিয়ানমারের বর্তমান অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে এটি দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, ডি-৮-এর উচিত ব্যবসা-বাণিজ্যে পরিবারের মতো একসঙ্গে কাজ করার পাশাপাশি নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য একে অপরকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া।  বৈঠকের মূল এজেন্ডা ছিল ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) বাস্তবায়ন এবং এর কার্যকারিতার ক্ষেত্রগুলো প্রসারিত করা। ডি-৮ দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বাণিজ্য জোরদারে সম্মত হওয়ায় ঢাকা ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। প্রতিনিধি দলটি ২৭ বছর আগে ডি-৮ প্রতিষ্ঠার অন্যতম সূচনাকারী হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং শেখ হাসিনাই একমাত্র ডি-৮ প্রতিষ্ঠাকালীন সরকারপ্রধান, যিনি বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।  প্রতিনিধি দলটি আরও বলেছে, বৈঠকে তারা ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেনের পরিমাণ ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা এখন ১৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।  এ ছাড়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও খাওয়ানোর জন্য প্রতিনিধি দলটি প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে বলেন, ডি-৮ এবং মুসলিম দেশগুলো রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।  গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ডি-৮ মন্ত্রী গাজার পক্ষে শেখ হাসিনার অবস্থানের প্রশংসা করেন। এ সময় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, অ্যাম্বাসেডর অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া ও সিনিয়র বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস  
০৬ মার্চ ২০২৪, ১১:২৮

মালয়েশিয়ায় বসতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক মুসলিম নারী সম্মেলন
ওআইসি অন্তর্ভুক্ত দেশের নারিদের নিয়ে মালয়েশিয়ায় শুরু হতে যাচ্ছে নারী সম্মেলন-২০২৪। সোমবার কুয়ালালামপুরের মান্দারিন ওরিয়েন্টাল হোটেলের বলরুমে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি ড. জাহিদ হামিদি। এ বছরের জুনে কুয়ালালামপুরে বসবে এ নারী সম্মেলন।      আয়োজকরা বলছেন, এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপি নারী জাগরণের শুরু আর এবারের প্রতিপাদ্য ‘শক্তিমান নারী পরবর্তী প্রজন্মের নারী শক্তির অগ্রগামী’। এ সম্মেলনে নারীর ক্ষমতায়নের পাশাপাশি ওআইসি সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃবাণিজ্য বৃদ্ধি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সমাজকল্যাণ এবং নারী ও শিশুদের সুরক্ষায় কাজ করার আহ্বান জানানো হবে। জুনে অনুষ্ঠিত এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডল থেকে ৫ শতাধিক প্রতিষ্ঠান বুথ নিয়ে থাকবে এবং ছোট আকারে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে নারী, পরিবার ও সমাজ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী দাতুক সেরি ড. নুরাইনি আহমেদ ও ওআইসি’র পরিচালক লাতিফা এল বওয়াবেডেল্লাওয়ী উপস্থিত ছিলেন।    সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশ হিসাবে বাংলাদেশ, আরব আমিরাত, কাতার, ইন্দোনেশিয়া, মরক্কো, সেনেগাল, পাকিস্তান, আজারবাইজান, উজেবেকিস্তান, তুরস্ক, নাইজেরিয়া, মালয়েশিয়াসহ ২৫টি দেশের বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান উপস্থিত থাকবে। এই সম্মেলনে ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ, এনজিও, নীতি নির্ধারক এবং আইনজীবিদের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হবে। যা নারীর ক্ষমতায়নে সহায়ক হবে বলে মনে করেন আয়োজকরা। একই সঙ্গে বিশ্বব্যাপি নারীদের উজ্জল ভবিষ্যত নিশ্চিত হবে বলে প্রত্যাশা তাদের।        এর আগে, ২৩ ফেব্রুয়ারি মুসলিম ওয়ার্ল্ড রায়না অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয় কেএলসিসি’র কনভেনশন সেন্টারে।
০১ মার্চ ২০২৪, ২২:২৯

নওয়াজ-বিলাওয়ালের সঙ্গে জোট করবে না পিটিআই : ইমরান খান
পাকিস্তান মুসলিম লীগের (পিএমএল) নওয়াজ শরীফ এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির সঙ্গে সরকার গঠনে জোট করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) লাহোরের আদিয়ালা জেলে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। ইমরান খান বলেন, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তানের (এমকিউএম-পি) সঙ্গেও জোট গঠন করা হবে না। তবে অন্য দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠনের ব্যাপারে আলোচনা করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, জোট না করতে চাওয়া দলগুলো অর্থপাচারকারী। যাদের ক্ষমতায় নিয়ে আসা হয়েছে তারা সবাই পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় অর্থপাচারকারী। তবে গত ৮ ফেব্রুয়ারি যে নির্বাচন হয়েছে; তা পাকিস্তানে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনবে। তিনি আরও বলেন, যখন জানতে পেরেছি যে, নওয়াজ শরীফ ও তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ সাংবাদিক সম্মেলন বাতিল করেছেন; তখনই বুঝতে পেরেছি, তারা দুজনই নির্বাচনে হেরে গেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে ইমরান খান বলেন, আগে আমরা নির্বাচনের কারচুপির বিরুদ্ধে আদালতে যাব। আমরা নির্বাচনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবো। তিনি বলেন, পিটিআই সরকার গঠনের সুযোগ পেলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, তা এখনও ঠিক করা হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে কাজ করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রার্থী ঠিক না করলেও খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রাদেশিক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুরের নাম ঠিক করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নজিরবিহীন বিলম্বের পর রোববার ২৬৪টি আসনে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় পরিষদে সরকার গঠনের জন্য ১৩৪টি আসন প্রয়োজন। নির্বাচনে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ৯৩ জনই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই-সমর্থিত। ৭৫ আসনে জিতে এরপরের অবস্থানে আছেন নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল)। আর ৫৪ আসনে জয়লাভ করে তৃতীয় অবস্থানে বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। এ ছাড়া এমকিউএম ১৭টি ও অন্যান্য দল ১৭টি আসনে জয়লাভ করেছে। ফলে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে সরকার গঠনের জন্য নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি কোনো দলই। তাই জোট গঠনে তোড়জোর চালাচ্ছে দলগুলো। বিশেষ করে নওয়াজ শরিফের পিএমএল ও বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপির জোটবদ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখন অনেকটাই পাকা। তবে, বড় এ দুই দলের মোট আসনও পূরণ করতে পারছে না সরকার গঠনের জন্য ন্যূনতম আসন পূরণের শর্ত। এ জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিশেষ করে কারাগারে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শিবিরে হানা দিচ্ছেন নওয়াজ। সূত্র : জিও টিভি
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:১৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়