• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
বশেমুরবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে হিরা-মনিরুল
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে উপরেজিস্ট্রার মো. নজরুল ইসলাম হিরা সভাপতি এবং অর্থ ও হিসাব দপ্তরের সহকারী পরিচালক চৌধুরী মনিরুল হাসান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মত সংগঠনটির সভাপতি হলেন হিরা। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিট শাখার সহকারী পরিচালক ফয়সাল আহমেদ চূড়ান্তভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন। এর আগে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার প্রাক্কালে ১৫৩ জন অফিসারের একাংশ (মাত্র ৪৪ জন) মূল অ্যাসোসিয়েশনের থেকে বেরিয়ে গেলে বাকি সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৫টি পদের বিপরীতে আগামী ২১ মার্চ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হলেও কেবল হিরা-মনিরুল প্যানেল থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়। বিরোধী প্যানেল না থাকায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিনে সবকটি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হিরা-মনিরুল প্যানেলকে নির্বাচিত ঘোষণা করে কমিশন। অ্যাসোসিয়েশনের অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হলেন, সহসভাপতি-১ সেকশন অফিসার শেখ আনিকা, সহসভাপতি-২ সেকশন অফিসার বি. এম. আশিকুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক-১ সেকশন অফিসার মো. আরিফ হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক-২ সেকশন অফিসার জাহিদুর রহমান, অর্থসম্পাদক সেকশন অফিসার আকরাম হোসাইন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ, দপ্তর সম্পাদক সেকশন অফিসার মো. রাকিবুল ইসলাম, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ল্যাব) মো. রাসেল শেখ। এছাড়াও কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে সেকশন অফিসার মো. রবিউল ইসলাম, সেকশন অফিসার দীপক চন্দ্র ঘরামী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ আসলাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা শামসুর নাহার খানম ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ল্যাব) ইউসুফ মিয়া নির্বাচিত হয়েছেন। নব নির্বাচিত কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম হিরা ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মনিরুল হাসান অ্যাসোসিয়েশনের সকল সদস্যসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের প্রতিটি স্তরে কর্মরত সকলকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন। সেইসঙ্গে সকলের সহযোগিতায় জাতির পিতার নামাঙ্কিত এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তারা।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২১:৫১

আওয়ামী লীগের আলোচনাসভা আজ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মদিন উপলক্ষে আজ আলোচনাসভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সোমবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ওই সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে গত শনিবার (১৬ মার্চ) জাতির পিতার ১০৪তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। ওইদিন ক্ষমতাসীন দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির কথা জানানো হয়। ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছাড়াও সারা দেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রীসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর দিবসটিকে ঘিরে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ছাড়াও শিশু সমাবেশে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন সরকারপ্রধান।    
১৮ মার্চ ২০২৪, ১০:০৪

বাহরাইনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন
বাহরাইনে যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দমুখর পরিবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন হয়েছে।  স্থানীয় সময় রোববার (১৭ মার্চ) সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স এ. কে. এম. মহিউদ্দিন কায়েস জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা করেন। এরপর উপস্থিত সবাইকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তিনি।  বঙ্গবন্ধুর ওপর আলোচনা পর্বটি পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত দিয়ে শুরু হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত একটি বিশেষ তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।  এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বিশেষভাবে শিশুদের জন্য কোরআন প্রতিযোগিতা ও বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। যেখানে বাংলাদেশ স্কুল বাহরাইনের শিক্ষার্থীরা স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স মহিউদ্দিন কায়েস তার বক্তৃতার শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু একজন মহান নেতৃত্ব নয়, তিনি এদেশের জন্য ছিনিয়ে আনা লাল-সবুজের পতাকার একটি ইতিহাস। শৈশব থেকেই বঙ্গবন্ধু ছিলেন অত্যন্ত মানবদরদি এবং অধিকার আদায়ে আপসহীন। তার অপরিসীম সাহস, সীমাহীন ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং সঠিক দিকনির্দেশনার ফসল হিসেবে আমরা পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।  তিনি আরও বলেন, শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর মমতা ছিল অপরিসীম এবং তিনি বিশ্বাস করতেন শিশুরাই তার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ অনুসরণ করে শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।  এ সময় বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনা, দর্শন ও আর্দশকে বুকে ধারণ করে তার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ তথা প্রধানমন্ত্রীর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার জন্য সকল প্রবাসীকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান মহিউদ্দিন কায়েস।  এছাড়া তিনি আজকের কোরআন প্রতিযোগিতা ও বক্তব্য প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও অন্যান্য অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ স্কুলের শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান করেন এবং শিশুদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা ছড়িয়ে দিতে অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানান। অনুষ্ঠানের শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহিদ সদস্যদের পাশাপাশি বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনে সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বাংলাদেশ স্কুলের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, সাংবাদিক, বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ ও প্রবাসী বাংলাদেশীরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
১৭ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৫

‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বলেই বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে’
সাবেক পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, এ দেশের স্বাধীনতার প্রথম স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বলেই বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। আর আমরা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ পেয়েছি। রোববার (১৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শরীয়তপুরের নড়িয়া ও সখিপুরে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল পূর্ব আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এনামুল হক শামীম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেতনায় জাগ্রত, হৃদয়ে স্পন্দিত। মুজিব মরেনি, মরতে পারে না। শতবর্ষে শেখ মুজিব শতকোটি গুণ শক্তিশালী। তিনি বলেন, শেখ মুজিব মানেই বাঙালির ঠিকানা। শেখ মুজিব মানেই বাঙালি জাতির আশ্রয়-ভরসা। শেখ মুজিব মানেই বাঙালির আদর্শ। শেখ মুজিব মানেই ঝড়-ঝঞ্ঝার মাঝে মাথা উঁচু করে বাঙালির সঠিক পথে চলা।  তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মানেই বাঙালির মৃত্যুঞ্জয়ী চেতনা। শেখ মুজিব মানেই সাম্য-অধিকার-গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। শেখ মুজিব মানেই দেশের জনগণের প্রতি, মানুষের প্রতি ভালোবাসা। এনামুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গেছেন। তার কারণেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বসভায় অনন্য মর্যাদায় আসীন। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে  বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম ইসমাইল হক, ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির মোল্যা, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য জহির সিকদার, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন এবং সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকার প্রমুখ।
১৭ মার্চ ২০২৪, ২২:২৬

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে সিআরআইয়ের ‘দ্য ফিয়ারলেস কল : থ্রি’
দেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের সঙ্গে তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত হয়েছে ডিজিটাল আর্টওয়ার্ক প্রদর্শনী ‘দ্য ফিয়ারলেস কল’। রোববার (১৭ মার্চ) ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এই শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর আয়োজন করে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইয়াং বাংলা। ‘দ্য ফিয়ারলেস কল থ্রি’- নামে ডিজিটাল শিল্পকর্মটিতে ছিলেন এক ঝাঁক তরুণ শিল্পী। তারা হলেন, একেএম সালেহ আহমেদ অনিক, আরাফাত করিম, সুবর্না মোর্শেদা, সাবিহা হক, অনন্যা মেহপার আজাদ, অন্তরা মেহরুখ আজাদ, সায়েদ ফিদা হোসাইন, রিশান শাহাব তীর্থ, আপন জোয়ার্দার, মিতালি রায়, সুহাস নাহিয়ান এবং শুভ্র দাস। এই শিল্পকর্মটির কিউরেটর ছিলেন এমদাদুল হক তপু। গবেষণা সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেছেন জন্মজয় দে ও নভেরা কাজী। দ্য ফিয়ারলেস কলের এবারের আসরে অ্যা জার্নি টুওয়ার্ডস ওয়ার্ল্ড পিস, ইনোসেন্ট মিলিয়নস, দ্য ইন্ড অব ওয়ার, ডেড অ্যাস ফেমিন স্প্রেড, হোয়াট ইফ, লেটার টু ইউএন, অ্যা ফিল্ম বাই সহ আরও বেশ কিছু চিত্রকর্ম প্রদর্শন করা হয়। এই শিল্পকর্মগুলোর মাধ্যমে দ্বন্দ্ব-বিশৃঙ্খলা, গণহত্যা এবং দুর্ভিক্ষ, বর্ণবাদ এবং উদাসীনতা, অসমতা এবং পক্ষপাতের ভরা এই বিশ্বে  একটি ‘পিস পার্ক’ ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন শিল্পীরা। যেখানে ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে পটভূমি হিসেবে দেখানো হয়েছে। জাতিসংঘের ২৯তম অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু বাংলায় দেওয়া সেই ভাষণে বিশ্ব শান্তির কথা উল্লেখ করেছিলেন, যা এখনও প্রাসঙ্গিক।  ১৯৭৪ সালের জাতিসংঘের ভাষণে বঙ্গবন্ধু দুর্ভিক্ষ, যুদ্ধ ও সম্পদের সঠিক বণ্টন এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। ১৯৪৩ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর দর্শন এবং নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর সঙ্গে সম্পর্ক এবং তার রাজনৈতিক ভ্রমণ এই পার্কের পটভূমি হিসেবে ফুটিয়ে তোলা হয়। প্রদর্শনীতে আসা এক বিদেশি চিত্রশিল্পী বলেন, আমি এখানে আছি ৪ সপ্তাহ ধরে। আমি জলরং নিয়ে এখানে কাজ করেছি। আমি কোপেনহেগেন থেকে এসেছি। আমি প্রদর্শনীতে যেতে পছন্দ করি। এটা খুব মজার কারণ একদল তরুণ তাদের জাতির পিতার ১৯৭৪ সালের ভাষণের ওপর ছবিগুলো এঁকেছে। আমি আপনাদের মাতৃভাষার বর্ণগুলাও পছন্দ করি। এটা আমার কাছে মনে হয় একটি চিত্রকর্ম। আরেক বিদেশি বলেন, এটা খুব ভালোভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। ইতিহাসকে খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।   প্রদর্শনীতে বিভিন্ন টাইপোগ্রাফি ও ছবির বুননে জাতির পিতার জীবন ও স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস বর্ণনা করা হয়েছে। ২৩ বছরের ঔপনিবেশিক পরাধীনতা থেকে রক্তপাতের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুর জীবনে রাজনৈতিক বাঁকের নানা দিকে তার সিদ্ধান্ত নেয়ার দক্ষতা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কথা উঠে আসে শিল্পকর্মটিতে।  ২০১৫ সাল থেকে ৭ মার্চের ভাষণের দিনে জয় বাংলা কনসার্টের আয়োজন করতো ইয়াং বাংলা। তবে করোনাভাইরাসের কারণে মধ্যে দুই বছর সেটি বন্ধ থাকে। এরপর গত বছর ও এ বছর আবারও আয়োজিত হয়েছে জয় বাংলা কনসার্ট। প্রথমবারের মত জয় বাংলা কনসার্টটি ঢাকার বাইরে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমান তরুণদের বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও গর্ব করার মতো ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত করতে জয় বাংলা কনসার্টের মতোই ইয়াং বাংলার বিকল্প এক আয়োজন এই শিল্পকর্ম প্রদর্শন।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৯:০৩

জন্মদিনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে তার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১৭ মার্চ) সকাল ৭টা ৪ মিনিটে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে ছোট বোন রেহেনাকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এ শ্রদ্ধা জানান তিনি। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এবং পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারা দেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় নেতারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। একইসঙ্গে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং শিশু সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন তারা। এরপর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া যাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ঘিরে তার জন্মভিটায় বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে আয়োজন করা হয়েছে শিশু সমাবেশ। থাকবে নাচ-গান ও কবিতা আবৃত্তির আয়োজন। জানা গেছে, টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। এ সময় বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেবেন তারা। এরপর রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানিয়ে সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সের ১ নম্বর গেটে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত শিশু দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকা ফিরবেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন। তবে গোপালগঞ্জে বেশ কিছু অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। নানা কর্মসূচির পাশাপাশি দিনটিতে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতেও দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করা হবে। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সরকারি বেসরকারি টেলিভিশন ও বেতার এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। এছাড়াও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে আগামীকাল ১৮ মার্চ (সোমবার) সকালে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে দলের পক্ষ থেকে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উল্লেখ্য, জাতির মহানায়ক শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯২০ সালের এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। কিশোর বয়স থেকেই রাজনীতি সচেতন ছিলেন শেখ মুজিব। গোপালগঞ্জের মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে তৎকালীন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগদানের কারণে শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমবারের মতো কারাবরণ করেন। ম্যাট্রিক পাসের পর কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়নকালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশিমের মতো রাজনৈতিক নেতাদের সান্নিধ্যে আসেন তিনি। এসব নেতার সাহচার্যে নিজেকে ছাত্র-যুবনেতা হিসেবে রাজনীতির অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৯৪০ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদানের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। ১৯৪৬ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমানে মওলানা আযাদ কলেজ) ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ গঠন করেন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ গঠন হলে যুগ্ম সম্পাদক পদ পান বঙ্গবন্ধু। তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬-দফা ও পরবর্তী সময়ে ১১ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন এবং বঙ্গবন্ধু উপাধি লাভ করেন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জিত হলেও তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বাঙালি জাতির ওপর নানা নির্যাতন শুরু করে। এরপর বঙ্গবন্ধু স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনকে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে প্রথমে স্বাধিকার আন্দোলন এবং চূড়ান্ত পর্বে স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপ দেন। এ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় একাত্তরের মার্চে নজিরবিহীন অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেন বঙ্গবন্ধু। ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসমুদ্রে ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ মার্চে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু বেশি দিন দেশ গঠনের কাজ করতে পারেননি। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেন। ঠিক সেই মুহূর্তে তার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র শুরু করে। ওই ষড়যন্ত্রেরই অংশ হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি ধানমন্ডির বাসভবনে কতিপয় বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে সপরিবারে নিহত হন। বিদেশে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১১:১৩

শিশুদের ভালোবাসতেন বঙ্গবন্ধু 
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দেশকে ভালোবাসতেন। ভালোবাসতেন দেশের মানুষকে। এমনকি প্রতি ছিলেন দুর্বল। শিশুদের খুব ভালোবাসতেন তিনি। তার একাধিক নিদর্শন তিনি রেখেছেন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, বিভিন্ন কার্যক্রমে এমন চিত্র দেখা গেছে। শিশুরাও বঙ্গবন্ধুকে আপন করে নিত। তাই মহান নেতার জন্মদিনকে ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু। পিতা শেখ লুৎফর রহমান ও মাতা সায়রা খাতুনের চার মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে তৃতীয় সন্তান ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান।  ছোটবেলায় বঙ্গবন্ধুর ডাকনাম ছিল ‘খোকা’। আচরণে তিনি খোকাদের মতোই সহজ সরল, নিষ্পাপ ও জেদী ছিলেন। শিশুদের মতোই মানুষকে ভালোবাসতেন, সবাইকে সহজেই বিশ্বাস করতেন।  শিশুদের প্রতি তার ভালোবাসা স্মরণীয় করে রাখতে ১৯৯৭ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চকে ‘জাতীয় শিশু দিবস’ ঘোষণা করা হয়। ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু ছিলেন ভীষণ দয়ালু। টাকার অভাবে কোনো ছেলে বইপত্র কিনতে না পারলে নিজের বইপত্র দিয়ে দিতেন। এমনকি একদিন এক ছেলেকে ছেঁড়া কাপড় পরে থাকতে দেখে নিজের পরনের কাপড় খুলে দিয়েছিলেন তিনি। এমন অসংখ্য ঘটনা রয়েছে তার জীবনে। এছাড়া দেশ ও জনগণের বিভিন্ন কাজে বঙ্গবন্ধু যখন গ্রামেগঞ্জে যেতেন, তখন চলার পথে শিশুদের দেখলে গাড়ি থামিয়ে তাদের সঙ্গে গল্প করতেন। খোঁজ-খবর নিতেন। দুস্থ ও গরিব শিশুদের দেখলে কাছে টানতেন। কখনো কখনো নিজের গাড়িতে উঠিয়ে অফিসে বা নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতেন। এরপর কাপড়-চোপড়সহ নানা উপহার দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটাতেন। ১৯৭২ সালের ঘটনা। সকালে বঙ্গবন্ধু হাঁটতে বের হয়েছেন। সঙ্গে ছিলেন বড় ছেলে শেখ কামাল। তিনি দেখলেন, একটি ছোট ছেলে বইয়ের ব্যাগ কাঁধে ঝুলিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছে। কাছে ডাকার পর ছেলেটি জানায়, তার পা ব্যথা করছে। বঙ্গবন্ধু নিজে ছেলেটির জুতা খুলে দেখেন, জুতার মধ্যে পেরেকের সুঁচালো মাথা বের হয়ে আছে, ছেলেটির পা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। তখনই ছেলেটির চিকিৎসার জন্য তার দেহরক্ষী পুলিশকে নির্দেশ দিলেন বঙ্গবন্ধু, তার হাতে কিছু টাকাও দিলেন। পরম মমতায় তাকে কোলে নিয়ে আদর করলেন। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১৯৫৬ সালের ৫ অক্টোবর দেশের ঐতিহ্যবাহী শিশু সংগঠন ‘কচি-কাঁচার মেলা’ প্রতিষ্ঠিত হয়। শিক্ষা, সংস্কৃতিচর্চা, খেলাধুলার মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক চেতনা, দেশ ও মানুষকে ভালোবাসার মানসিকতা বিকাশে শিশুরা সুনাগরিক হিসেবে বেড়ে ওঠার প্রেরণা পাচ্ছে। দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার সুযোগ পাচ্ছে।  জাতির পিতা বুঝেছিলেন, দেশের আগামী দিনের নাগরিক আজকের শিশুরাই জাতিকে নেতৃত্ব দেবে। সুতরাং তাদের আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। শিশু মনে দেশপ্রেমের আগুন জ্বালাতে না পারলে তারা সুষ্ঠু নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে না। শিশুরাই আগামী প্রজন্ম। তারা গড়ে উঠুক কল্যাণকামী ও সৌন্দর্যমূলক জীবনবাদী দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যদিয়ে। এ স্বপ্ন আমাদের চেতনায় জাগিয়ে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর কাছে তার শিশুপুত্র রাসেল ছিল বাংলাদেশের সব শিশুর প্রতীক। তিনি অনুধাবন করেছেন, শিশুর কাছে জাত-পাত, ধনী-গরিবের ভেদাভেদ নেই। স্বাধীন বাংলাদেশকে গড়তে হলে শিশুদেরও গড়তে হবে। ওদের ভেতরে দেশপ্রেম জাগাতে হবে। তাই তো সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ে সব নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। সংবিধানের ২৮(৪) অনুচ্ছেদে শিশুদের অগ্রগতির বিশেষ বিধান প্রণয়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে শিশুদের জন্য অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষাসহ মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা, সুযোগের সমতা, অধিকার ও কর্তব্য এবং জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শিশু উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার অন্যতম শক্তি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। যারা আজকের শিশু-কিশোর। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণ এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার ভেতর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৎডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলছেন। সেই বাংলাদেশের আগামী নেতৃত্ব আজকের শিশু-কিশোরদের কাছে।   বঙ্গবন্ধু বলতেন, ‘শিশু হও, শিশুর মতো হও। শিশুর মতো হাসতে শেখো। দুনিয়ার ভালোবাসা পাবে।’
১৭ মার্চ ২০২৪, ০৯:০৯

রোববার টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (১৭ মার্চ) সকালে হেলিকপ্টারযোগে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছাবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। তাদের এই সফর ঘিরে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ঘিরে তার জন্মভিটায় বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে আয়োজন করা হয়েছে শিশু সমাবেশ। থাকবে নাচ-গান ও কবিতা আবৃত্তির আয়োজন।  এরই মধ্যে শেষ হয়েছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও শোভা বর্ধনের কাজ। জেলার বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। উৎসাহের কমতি নেই তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝেও। রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির পাশাপাশি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এছাড়া রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে এরইমধ্যে নিরাপত্তাসহ সব প্রস্তুতিও ইতোমধ্যে শেষ করেছে প্রশাসন। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে নিরাপত্তাময় ও উৎসবমুখর করার লক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় আমাদের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।  জানা গেছে, টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। এ সময় বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেবেন তারা। এরপর রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানিয়ে সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সের ১ নম্বর গেটে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত শিশু দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকা ফিরবেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন। তবে গোপালগঞ্জে বেশ কিছু অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।  
১৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০৮

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আ.লীগের কর্মসূচি
১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। এ উপলক্ষে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—রোববার (১৭ মার্চ) ভোর সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারাদেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল সাড়ে ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলটির নেতারা টুঙ্গিপাড়ায়  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এ ছাড়া মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং শিশু সমাবেশে অংশ নেবেন তারা। এদিন মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচি পালন করা হবে। এর অংশ হিসেবে বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, সন্ধ্যা ৬টায় মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় সবুজবাগ ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার এবং সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডাস্থ আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছে। পরদিন সোমবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে আলোচনা সভা হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৬ মার্চ ২০২৪, ০৮:৩০

১০৫ শিল্পীর কণ্ঠে এক গান!
১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৫তম জন্মদিন। দিনটিকে উদযাপনের লক্ষ্যে এরমধ্যে তৈরি হয়েছে নতুন একটি গান। যে গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ১০৫ জন শিল্পী। একই শিল্পীদের নিয়ে তৈরি হয়েছে ভিডিওচিত্র। যা ধারণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভে। বিশেষ এই গানটি লিখেছেন শিশুসাহিত্যিক আখতার হুসেন এবং সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন শাহীন সরদার। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন (১৭ মার্চ) থেকে বিশেষ গানটি বিটিভিতে ফিলার হিসেবে প্রচার হবে বলে জানা গেছে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের মধ্য থেকে ১০৫ জন শিল্পী গানটির অডিও আর ভিডিওতে অংশগ্রহণ করেন। সাংগঠনিকভাবে বুলবুল একাডেমি অব ফাইন আর্টস (বাফা), সারগাম ললিতকলা একাডেমি, জাগরণ সংস্কৃতি চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র, ভিন্নধারা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, মহীরুহ সাংস্কৃতিক সংগঠন, নির্ঝরিণী একাডেমি, স্বপ্নকুঁড়ি, গীতাঞ্জলি, নিবেদন, গীতিশতদল, রবিরশ্মি,  সঙ্গীতভবন, লোকাঙ্গন ও উঠোন-এর মোট ১০৫ জন শিল্পী সমবেত কণ্ঠে গানটি পরিবেশন করেন। গানটি প্রসঙ্গে গীতিকবি আখতার হুসেন বলেন, আমার বহু বছরের লালিত স্বপ্ন ছিল বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি বিশেষ গান করার। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে চলেছে। অসাধারণ সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন শাহীন সরদার। বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, আরও ভালো লাগছে গানটি সাংগঠনিকভাবে গেয়েছেন শিল্পীরা। এদিকে সংগীত পরিচালক শাহীন সরদার বলেন, প্রকৃত অর্থেই কবি আখতার হুসেন বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি অসাধারণ গান লিখেছেন। বঙ্গবন্ধুর ১০৫তম জন্মদিনে ১০৫ জন শিল্পীর সমন্বয়ে গানটির সুর ও সংগীত পরিচালনা করতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছে এই ভেবে, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই গানের সাথে যুক্ত হয়েছেন। গানটির ভিডিও নির্দেশনায় ছিলেন বিটিভির মহাপরিচালক নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর, সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন জেনারেল ম্যানেজার মাহফুজা আক্তার এবং প্রযোজনা করেছেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার আবু তৌহিদ।
০৯ মার্চ ২০২৪, ২২:০৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়