• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বুয়েটে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ছাত্রলীগের শ্রদ্ধা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতারা। রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের নেতৃত্বে একটি মিছিল প্রবেশ করে বুয়েট ক্যাম্পাসে। এর আগে, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থি ও শিক্ষাবিরোধী সিদ্ধান্ত বলে আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এতে বুয়েটের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির আবাসিক হলের বরাদ্দকৃত সিট বাতিল ঘোষণার প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্রলীগ। সেই সঙ্গে রাব্বির সিট ফেরত দিতে বুয়েট প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ছাত্র সংগঠনটি। এদিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে মিছিল নিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাসহ নেতাকর্মীরা। ফুল দিয়ে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে আবারও বুয়েট ত্যাগ করেন তারা। ছাত্রলীগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদক স্থান ত্যাগ করলেও ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীরা এরপরও বুয়েট শহীদ মিনারে ফুল দেন এবং ছবি তোলেন। তবে তারা কোনো স্লোগান দেননি। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন এবং সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তবে এ সময় বুয়েটের মূল ফটক এবং বিভিন্ন হলগুলোর প্রবেশ পথগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিকে, রোববার দুপুরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার জানিয়েছেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চাইলে ক্যাম্পাসে আবারও ছাত্ররাজনীতি চালু করা যেতে পারে।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৪

বুয়েট প্রশাসনকে এবার ছাত্রলীগের আল্টিমেটাম
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থি ও শিক্ষাবিরোধী সিদ্ধান্ত বলে আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এতে বুয়েটের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির আবাসিক হলের বরাদ্দকৃত সিট বাতিল ঘোষণার প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্রলীগ। সেই সঙ্গে রাব্বির সিট ফেরত দিতে বুয়েট প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ছাত্র সংগঠনটি।   রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশে ছাত্রলীগের পক্ষে এ আল্টিমেটাম দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি। তিনি বলেন, আমাদের এক ভাই ৭ মার্চের ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে স্বাধীনতা দিবসের প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ায় তার হলের সিট কেঁড়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা বুয়েট প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের ভাই রাব্বির সিট ফেরত দেওয়ার দাবি জানাই। অন্যথায়, যারা স্বাধীনতার বিপক্ষে কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা হবে, তাদেরকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।  তিনি আরও বলেন, জামিনে মুক্ত সিলেটের টাঙ্গুয়ার হাওরে শিবির ও জঙ্গি সদস্যরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন, তাদেরকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু বুয়েট শিবিরসহ অন্যান্য নিষিদ্ধ সংগঠনের কমিটি থাকলেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কোনো প্রোগ্রামে অংশ নিলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আমাদের দাবি, বুয়েট ক্যাম্পাসে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে। প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সঞ্চলনা করছেন সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, বাঙলা কলেজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ইউনিট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সমাবেশে সমবেত হয়েছেন।  
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৪:১১

আজ বাদ জোহর সাদি মহম্মদের জানাজা
না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন কিংবদন্তি রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সাদি মহম্মদ। বুধবার (১৩ মার্চ) রাতে মারা যান তিনি। বাসার একটি কক্ষ থেকে প্রখ্যাত এই সঙ্গীতশিল্পীর  ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।   বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বাদ জোহর রাজধানীর মোহাম্মদপুর জামে মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।  জানাজা শেষে মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হবে সাদি মহম্মদকে। তবে তার মরদেহ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে না বলে জানান তার পারিবারিক সদস্য গাউসুল আলম শাওন।   নৃত্যশিল্পী ও সাদি মহম্মদের পারিবারিক বন্ধু শামীম আরা নীপা গণমাধ্যমে বলেন, মা মারা যাওয়ার পর থেকেই একটা ট্রমার মধ্যে চলে যান সাদি মহম্মদ। মানসিকভাবে ঠিক স্বাভাবিক ছিলেন না। মা হারানোর বেদনা সম্ভবত তিনি নিতে পারেননি। এভাবেই চলছিল। বুধবার রোজা রাখলেন। ইফতারও করলেন। এরপরই তিনি নীরবে না ফেরার দেশে পাড়ি জমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করছি। একাধারে রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, শিক্ষক ও সুরকার হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন সাদি মহম্মদ। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রবীন্দ্রসংগীতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন এই গায়ক। বেশকিছু চলচ্চিত্র ও নাটকে গান করেছেন তিনি।   
১৪ মার্চ ২০২৪, ১০:২১

২৩ ফেব্রুয়ারি : ইতিহাসে আজকের এই দিনে
আজ শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের আজকের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্ট জনদের জন্ম, মৃত্যুদিনসহ উল্লেখযোগ্য আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- ঘটনাবলি: ৬২৪ -  ঐতিহাসিক খন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ১৭৬৮ -  হায়দ্রাবাদের নিজামের সঙ্গে চুক্তি করে কর্নেল স্মিথে ব্রিটিশ আধিপত্য বিস্তার করে। ১৭৯৯ -  ফরাসী সেনা কমান্ডার নেপোলিয়ান বোনাপার্ট মিশর দখলের পর শ্যামে হামলা চালায়। ১৮৩১ -  সাপ্তাহিক ‘সংবাদ সুধাকর’ প্রকাশিত হয়। ১৮৭১ -  লন্ডনে ইউরোপীয় সরকারগুলোর প্রতিনিধিদের একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় । ১৮৮৬ -  বিশিষ্ট রসায়নবিদ চার্লস মার্টিন হল মূল্যবান এ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনের সুত্র আবিষ্কার করেন । ১৮৮৭ -  উচ্চমাত্রার ভূমিকম্প আঘাত করেছিল ফ্রান্সে, যাতে প্রায় ২০০০ লোক মারা যায়। ১৮৯৮ -  একটি খোলা চিঠি লেখার দায়ে ফ্রান্সে এমিল জোলাকে কারাবাস দেওয়া হয়। ১৯১৭ -  রাশিয়ার পিটার্সবার্গে প্রথম আন্দোলনের মাধ্যমে ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহের সূত্রপাত হয়। ১৯১৮ -  সোভিয়েত লাল ফৌজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯১৩ -  মেক্সিকোর পদচ্যুত রাষ্ট্রপতি ফ্রান্সিসকো মাদেরো গুলিতে নিহত হন। ১৯১৯ -  বেনিতো মুসোলিনি ইতালিতে ফ্যাসিবাদী দল গঠন করে। ১৯৪৭  - ‘দি ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর স্ট্যানডারডাইজেশন’ (ISO) প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৮ -  পাকিস্তানের গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দানের দাবি তোলেন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত কিন্তু প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল । ১৯৫২ -  ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণে প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ শুরু করে রাত্রির মধ্যে তা সম্পন্ন। ১৯৬৯ -  সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৬৯ -  গণঅভ্যুত্থানের মুখে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান পদত্যাগে বাধ্য হন। ১৯৯১ -  থাইল্যান্ডে সামরিক অথ্যুত্থান ঘটে। ১৯৯৭ -  স্কটল্যান্ডের ইডেনবার্গের রোর্সালন ইনস্টিটিউটের গবেষকগণ সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গ ক্লোন ভেড়া ডলির জন্মের কথা প্রকাশ করেন । জন্ম: ১৬৩৩ - ইংরেজ সৈনিক ও রাজনীতিক স্যামুয়েল পেপয়স জন্মগ্রহণ করেন । ১৬৮৫ -  জার্মান বংশোদ্ভূত ইংরেজ অর্গানবাদক ও সুরকার জর্জ ফ্রিডেরিক হান্ডেল জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৪০ -  অস্ট্রীয় অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ কার্ল মেনগের জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৬৮ -  আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী, ইতিহাসবিদ ও সমাজ সেবী ডব্লিউ. ই. বি. ডু বইস জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৭৪ -  এস্তোনিয়া আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও ১ম রাষ্ট্রপতি কনস্টানটিন পাটস জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৮৩ -  জার্মানি সুইস মনোবিজ্ঞানী ও দার্শনিক কার্ল জাস্পেরস জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৯৯ -  জার্মান লেখক ও কবি এরিক কাস্টনের জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১৩ -  খ্যাতনামা জাদুকর পি সি (প্রতুলচন্দ্র) সরকার জন্মগ্রহণ করেন। ১৯২৪ -   নোবেল পুরস্কার বিজয়ী দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত আমেরিকান পদার্থবিদ অ্যালান ম্যাকলিয়ড করমাক জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪০ -   আমেরিকান অভিনেতা পিটার ফন্দা জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৮ -   ইংরেজ পরিচালক ও প্রযোজক বিল আলেকজান্ডার জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৪ -   ইউক্রেনীয় রাজনীতিবিদ ও ৩য় প্রেসিডেন্ট ভিক্টর য়ুশ্চেনকো জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৫ -   আমেরিকান ব্যবসায়ী ও ডেল প্রতিষ্ঠিত মাইকেল সল ডেল জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৪ -   দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার হার্শেল গিবস জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮১ -   ইংরেজ ফুটবলার গ্যারেথ ব্যারি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯২ -   ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার সাসেমিরো জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৪ -   আমেরিকান অভিনেত্রী হ্যানা ডাকোটা ফ্যানিং জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যু: ০৬৬৫ -  বিশিষ্ট সাহাবী আবু মুসা আশরায়ী (র:) ইন্তেকাল করেন। ১৭৬৬ -  পোলিশ রাজা স্টানিস্লাও লেসযচয্য়ন্সকি মৃত্যুবরণ করেন। ১৭৯২ -  ইংরেজ চিত্রশিল্পী জশুয়া রেনল্ডস মৃত্যুবরণ করেন । ১৮২১ -  ইংরেজ কবি জন কিটস মৃত্যুবরণ করেন । ১৮৪৮ -  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি জন কুইন্সি অ্যাডামস মৃত্যুবরণ করেন । ১৮৫৫ -  জার্মান গণিতবিদ ও বিজ্ঞানী ইয়োহান কার্ল ফ্রিডরিশ গাউস মৃত্যুবরণ করেন । ১৯৩৪ -  মৃত্যুবরণ করেন এডওয়ার্ড ইলগার, তিনি ছিলেন ইংরেজ সুরকার ও শিক্ষাবিদ। ১৯৪৫ -  মৃত্যুবরণ করেন আলেক্সেই নিকলাইয়েভিচ তল্স্তোয়, তিনি ছিলেন সোভিয়েত রুশ লেখক। ১৯৪৭ -  আয়ুর্বেদীয় চিকিৎসক হাকীম হাবিবুর রহমান মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৫৫ -  ফরাসি কবি, লেখক ও নাট্যকার পল ক্লাউডেল মৃত্যুবরণ করেন । ১৯৬৫ -  ইংরেজ কমিক অভিনেতা, লেখক ও চলচ্চিত্র পরিচালক স্ট্যান লরেল মৃত্যুবরণ করেন । ১৯৬৯ -  ভারতীয় অভিনেত্রী মধুবালামৃত্যুবরণ করেন । ১৯৭৩ -  নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান ডাক্তার ডিকিনসন ডাব্লিউ রিচার্ডস মৃত্যুবরণ করেন । ১৯৭৬ -  নোবেলশান্তি পুরস্কার বিজয়ী রানে কাস্যাঁ মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৯৮ -  ভারতীয় ক্রিকেট খেলোয়াড় রমন লাম্বা মৃত্যুবরণ করেন । ২০০৮ -  স্লোভেনীয় অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ ও ২য় প্রেসিডেন্ট জানেয ডরনোভসেক মৃত্যুবরণ করেন ।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:১২

খাতায় শহীদ মিনার এঁকে ভাষাশহীদদের স্মরণ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তঘেঁষা উপজেলা শিবগঞ্জ। এ উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ২৪০টি। যেখানে ৬০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। তবে অনেক বিদ্যালয়েই নেই শহীদ মিনার। ফলে ভাষাশহীদদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এসব শিক্ষার্থীরা। তবে শহীদ মিনার না থাকা সত্ত্বেও ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার কমতি নেই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে খাতায় শহীদ মিনার এঁকে তারা ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছে। অনেক বিদ্যালয়ে প্রতীকী শহীদ মিনার স্থাপন করে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার মিঠিপুর-জগনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিদ্যালয়, চন্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মর্দানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নেই শহীদ মিনার। তাই ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারেনি কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এজন্য শ্রেণিকক্ষে সাদা কাগজে শহীদ মিনার এঁকে দিবসটিকে স্মরণ করছে। চন্ডিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আশপাশে কোথাও শহীদ মিনার নেই। স্কুলেও নেই। পাশের বাজারে শহীদ মিনার আছে কিন্তু মহাসড়ক পার হতে হয়। স্কুলের ৪০০ কোমলমতি শিক্ষার্থীর মহাসড়ক পারাপারে সমস্যা হয়। এজন্য স্কুলেই একটি প্রতীকী শহীদ মিনার তৈরি করে ভাষাশহীদদের প্রতি কীভাবে শ্রদ্ধা জানাতে হয় তা শিশুদের দেখিয়েছি। শিবগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল কুমার সিংহ গণমাধ্যমকে জানান, উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে মোট ২৪০টি। এরমধ্যে মাত্র ২৫-৩০টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে। বাকিগুলোতে নেই। আমরা আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছি।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:২৪

২২ ফেব্রুয়ারি : ইতিহাসে আজকের এই দিনে
আজ বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের আজকের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্ট জনদের জন্ম, মৃত্যুদিনসহ উল্লেখযোগ্য আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- ঘটনাবলি: ১৬৩২ – গ্যালিলিও গ্যালিলির ডায়ালগ কনসার্নিং‌ দ্য টু চিফ ওয়ার্ল্ড সিস্টেমস প্রকাশিত। ১৮৪৭ – মেক্সিকান-আমেরিকান যুদ্ধ: বুয়েনা ভিস্তার যুদ্ধ – ৫,০০০ আমেরিকান সৈনিক ১৫,০০০ মেক্সিকানকে পরাজিত করে। ১৮৫৩ – এলিয়ট সেমিনারি হিসেবে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ইন সেইন্ট লুইস প্রতিষ্ঠিত। ১৮৫৫ – ফার্মা‌র্স‌ হাই স্কুল হিসেবে পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত। ১৮৬২ – জেফারসন ডেভিস আনুষ্ঠানিকভাবে কনফেডারেট স্টেটস অফ আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হন। ইতিপূর্বে ১৮৬১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তিনি অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। ১৯২৪ – প্রথমবার কোনো রাষ্ট্রপতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ক্যালভিন কুলিজ হোয়াইট হাউস থেকে রেডিওতে বক্তব্য রাখেন। ১৯৪২ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: জাপানিদের বিজয় অবশ্যম্ভাবী হওয়ায় রাষ্ট্রপতি ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট জেনারেল ডগলাস ম্যাকআর্থা‌রকে ফিলিপাইন ত্যাগের নির্দেশ দেন। ১৯৫২ - ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা শহীদ মিনার বানানোর সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৫৮ – মিসর ও সিরিয়া যুক্ত হয়ে সংযুক্ত আরব প্রজাতন্ত্র গঠন করে। ১৯৭৪ – পাকিস্তানের লাহোরে ওআইসি সম্মেলন শুরু হয়। এখানে একযোগে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় পাকিস্তান, ইরান ও তুরস্ক। ১৯৭৯ – সেন্ট লুসিয়া যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীন হয়। ২০০৬ - ইরাকের রাজধানী বাগদাদে উত্তরে সামারা শহরে অবস্থিত আহলে বাইতের দশম ইমাম হজরত হাদী ও একাদশ ইমাম হজরত হাসান আসকারীর পবিত্র মাজার শরিফে কয়েকটি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। ২০১১ - নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টাচার্চে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১৮৫ জন মৃত্যুবরণ করে। জন্ম: ১০৪০ - রেশি, ফরাসি রেবাই ও লেখক। ১৭৩২ - জর্জ ওয়াশিংটন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি। ১৮০৬ - জোসেফ ক্রেমার, পোলিশ ইতিহাসবিদ ও দার্শনিক। ১৮২৭ - ভূদেব মুখোপাধ্যায় বাঙালি শিক্ষাবিদ চিন্তাবিদ ও সাহিত্যিক। ১৮৩৬ - মহেশচন্দ্র ন্যায়রত্ন ভারতের বাঙালি পণ্ডিত। ১৮৪০ - আগস্ট বেবেল, জার্মান তাত্ত্বিক ও রাজনীতিবিদ। ১৮৪৯ - নিকোলাই ইয়াকোভলেভিচ সনিন, রুশ গণিতবিদ ও একাডেমিক। ১৮৫৭ - বিশ্বব্যপী স্কাউট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা রবার্ট ব্যাডেন পাওয়েল লন্ডনের স্ট্যানহোকে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৫৭ - হেনরিখ হার্টজ, জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী। ১৮৬৩ - চার্লস ম্যাকলিয়ান এন্ড্রুজ, আমেরিকান ইতিহাসবিদ, লেখক ও একাডেমিক। ১৮৮৫ - যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত, ভারতের জাতীয়তাবাদী আইনজীবী। ১৮৮৭ - মুকুন্দ দাস,বাঙালি চারণকবি। ১৮৯৮ - অতুল বসু, প্রখ্যাত বাঙালি চিত্রশিল্পী। ১৯০০ - লুইস বুনুয়েল, স্পেনীয় চলচ্চিত্র পরিচালক ও সুরিয়ালিস্ট আন্দোলনের নেতা। ১৯০৩ - শিবপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, ভারতীয় বাঙালি ভূগোলবিদ ও ভারতীয় ভূগোলের জনক। ১৯০৬ -হুমায়ুন কবির, লেখক রাজনীতিবিদ এবং পাহাড়ী সান্যাল, একজন বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেতা। ১৯২২ -দীপালি নাগ, রাগপ্রধান গানের প্রথম মহিলা বাঙালি শিল্পী। এবং সৈয়দ হায়দার রাজা, ভারতের প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী। ১৯৪৩ - গাজী মাজহারুল আনোয়ার, বাংলাদেশের জনপ্রিয় সুরকার ও গীতিকার। ১৯৫৫ - ফরিদুর রেজা সাগর, বাংলাদেশি শিশুসাহিত্যিক, চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক ও একুশে পদক বিজয়ী গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব। ১৯৬২ - স্টিভ আরউইন, অস্ট্রেলীয় প্রকৃতিবাদী ও টিভি ব্যক্তিত্ত্ব। মৃত্যু: ৫৫৬ - ম্যাক্সিমিয়ানাস, ইতালীয় বিশপ ও সন্ত। ৬০৬ - পোপ সাবিনিয়ান ১৬২৭ - অলিভিয়ার ভ্যান নুর্ট‌, ডাচ অভিযাত্রী। ১৮১৬ - অ্যাডাম ফার্গু‌সন, স্কটিশ ইতিহাসবিদ ও দার্শনিক। ১৯০৩ - হুগো উলফ, অস্ট্রীয় সুরকার। ১৯০৪ - লেসলি স্টিফেন, ইংরেজ লেখক ও সমালোচক। ১৯৪৪ - কস্তুরবা গান্ধী, মহাত্মা গান্ধীর স্ত্রী। ১৯৫২ - শহীদ শফিকুর রহমান ১৯৫৮ - আবুল কালাম আজাদ, ভারতীয় পণ্ডিত, স্বাধীনতা আন্দোলন কর্মী, রাজনীতিবিদ, ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী। (জন্ম ১৮৮৮) ১৯৯৯ - কবি তালিম হোসেন। ২০০৬ - আতওয়ার বাহজাত, ইরাকি সাংবাদিক। ২০০৭ - ডেনিস জনসন, আমেরিকান বাস্কেটবল খেলোয়াড় ও কোচ।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৪৭

‘চুরি করা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর মাঝেও আনন্দ ছিল’
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছেন তারাকারাও। অন্যান্যদের মতো নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক জ্যোতিকা জ্যোতিও।     বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দেশের এক গণমাধ্যমে ছোটবেলার একুশে ফেব্রুয়ারির নানান স্মৃতি শেয়ার করেন জ্যোতি। এসময় অনুভূতি শেয়ারের পাশাপাশি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাও জানান এই অভিনেত্রী। জ্যোতি বলেন, আমার শৈশব কেটেছে গ্রামের বাড়িতে। আমি যে স্কুলে পড়াশোনা করতাম সেখানে কোনো শহীদ মিনার ছিল না। একুশে ফেব্রুয়ারির দিন সকালে মাইকে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটি বাজানো হতো। এটি ভীষণ আবেগতাড়িত করে। আমরা তখন গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি থেকে ফুল সংগ্রহ করতাম। এরপর স্কুলে গিয়ে ইট দিয়ে শহীদ মিনারের মতো তৈরি করে শ্রদ্ধা জানাতাম। অভিনেত্রী বলেন, এদিন গ্রামের সবাই নিজেদের গাছের ফুলগুলোর প্রতি বিশেষ নজর রাখতেন, যাতে কেউ ছিঁড়ে নিতে না পারেন। কারণ গ্রামে তো ফুল কিনতে পাওয়া যায় না। ফুলের প্রতি নজর রাখাটা এক প্রকার কপট রাগ বলা যেতে পারে। যার কারণে সবাই একটু সতর্ক থাকেন। তবে চুরি করা ফুল দিয়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর মাঝেও দারুণ আনন্দ ছিল, এটা অন্যরকম আনন্দ। একুশে ফেব্রুয়ারিতে স্কুলে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন উল্লেখ করে   জ্যোতি বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারিতে স্কুলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতাম। কখনও রচনা প্রতিযোগিতা, কখনও আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতাম। এই সময়গুলো খুব মনে পড়ে, স্মৃতিকাতর করে তোলে।  ঢাকায় আসার পর একুশে ফেব্রুয়ারিতে নিয়মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জ্যোতি। তবে মাঝে কয়েক বছর যেতে পারেননি তিনি। শহীদ মিনারে না যেতে পারলে ভীষণ খারাপ লাগে বলেও জানান এই অভিনেত্রী। একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে বহুবার শহীদ মিনারে সারা রাত কাটিয়েছেন। সেটা স্মরণ করে জ্যোতি বলেন, কয়েক বছর ২০ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কাটিয়েছি। সেসময়টাতে রাস্তায় আল্পনা এঁকেছি, কখনও গালে শহীদ মিনার কিংবা বাংলা বর্ণ এঁকেছি। এসব স্মৃতি এখন আবেগ তাড়িত করে।   
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৮

একুশ বরণে প্রস্তুত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার 
ভাষা কেবল ভাব প্রকাশের বাহনই নয়, একটা জাতির অস্তিত্ব আর আত্মপরিচয়েরও বাহক। সেই আত্মপরিচয়ই বাঙালির কাছ থেকে কেড়ে নিতে চেয়েছিল পাকিস্তানের শোষক সরকার। বাংলার জমিনে বুনে দিতে চেয়েছিল উর্দু ভাষার বীজ। কিন্তু মেনে নেয়নি বাংলার বীর সন্তানরা। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। মাতৃভাষার অধিকার রক্ষায় সেদিন সালাম, বরকত, রফিক, শফিক, জব্বাররা অকাতরে ঢেলে দিয়েছিলেন বুকের তাজা রক্ত। তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের পুলিশের অস্ত্রের মুখে ভয়ডরহীন দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন নাম না জানা আরও অনেকে। জীবন দিয়ে রক্ষা করেছিলেন প্রাণের বাংলা ভাষার মর্যাদা। ফেব্রুয়ারি এলেই বাঙালির জীবনে ফিরে ফিরে আসে ’৫২-এর সেই ভাষা আন্দোলন আর একুশের মিছিলে বাংলার অকুতোভয় সৈনিকদের মহান আত্মদানের স্মৃতি। একুশের প্রথম প্রহর থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ভাষা শহীদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। ভোরে প্রভাতফেরী থেকে শুরু করে দিনব্যাপী বিভিন্ন আয়োজনে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করার হয় প্রাণের বাংলা ভাষার অধিকারের জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের।  এরই ধারাবাহিকতায় বাঙালি জাতি ও বিশ্ববাসীর সামনে হাজির আরেকটি ২১ ফেব্রুয়ারি। জাতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা মহান এই দিনটিকে বরণ করে নিতে ইতোমধ্যে প্রস্তুত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ। যথাযথ ও সুশৃঙ্খলভাবে দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে শহীদ মিনার ঘিরে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শিল্পীদের আঁকা আলপনায় সেজেছে মিনারের মূল বেদি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিমে জগন্নাথ হলের দিক থেকে আসা রাস্তার দুপাশের দেয়ালও রেঙেছে রং-তুলির আঁচড়ে। জাদুকরি হাতের ছোঁয়ায় সেখানে ফুঁটিয়ে তোলা হয়েছে একুশ স্মরণে বিভিন্ন গান আর কবিতার লাইন।    মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহীদ মিনার ঘুরে দেখা মেলে এমন চিত্রের।   আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাদেই মহান একুশের প্রথম প্রহর। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। প্রথম প্রহর থেকেই শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমবেত হবে দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। প্রতিবারের মতো এবারও শহীদ মিনার এলাকা রাঙানোর কাজ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা।     শহীদ মিনারের উত্তর পাশের দেয়ালের প্রতিটি ব্লকে লেখা হয়েছে বিভিন্ন লেখকের কবিতা ও উক্তি।   দেয়ালে লেখা হয়েছে কবি জসীম উদ্দীনের কবিতার অংশ- ‘এ ভাষারি মান রাখিতে/হয় যদিবা জীবন দিতে/চার কোটি ভাই রক্ত দিয়ে/পুরাবে এর মনের আশা।’ লেখা হয়েছে মীর মশাররফ হোসেনের উক্তি, ‘মাতৃভাষায় যাহার শ্রদ্ধা নাই, সে মানুষ নহে।’ আবুল ফজলের ‘একুশ মানে মাথা নত না করা।’ আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর কবিতার অংশ- ‘মাগো ওরা বলে/সবার কথা কেড়ে নেবে/তোমার কোলে শুয়ে/ গল্প শুনতে দেবে না/ বলো মা তাই কি হয়?’ এর পাশেই আঁকা হয়েছে ভাষা আন্দোলনের উত্তাল সময়ের চিত্র। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি নিয়ে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগানরত আন্দোলনকারীদের প্রতিচ্ছবি। ‘উর্দু নয় বাংলা’, ‘অ আ ক খ’ প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিলে গলা ফাটানো তরুণ-তরুণীদের ছবি, মৃত কিশোরের মরদেহ কোলে মায়ের চিত্র।   সড়কের অন্য পাশের দেয়ালে লাল রঙে লেখা হয়েছে জাতীয় সংগীতের প্রথম লাইন ‘আমার সোনার বাংলা/আমি তোমায় ভালোবাসি।’ সঙ্গে আঁকা হয়েছে টেপা পুতুলের আদলে ঘোড়া, মাছ, পাখি, ময়ূর খরগোশ, নৌকাসহ বাংলার বিভিন্ন চিত্র।   চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নেসার হোসেন বলেন, একুশ বরণে এবার আমাদের শতাধিক সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী আঁকাআঁকিতে অংশ নিয়েছেন। রাঙানো হয়েছে রাস্তার পাশের ফুটপাতের সাদাকালো ব্লকগুলোও। সরকারপ্রধান হিসেবে এবার ২১তম বারের মতো কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভাষা শহীদদের প্রতি তার এই ২১টি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের দূর্লভ ছবি দিয়ে শহীদ মিনারের দক্ষিণ পাশের প্রবেশমুখে প্রদর্শনী করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সে আয়োজনের প্রস্তুতিও ইতোমধ্যে সম্পন্ন।  এদিকে দুপুর সাড়ে ১২টায় শহীদ মিনার প্রস্তুতির সার্বিক অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আগের বছরগুলোয় আমাদের কোথায় ভুল ছিল, কোথায় গ্যাপ ছিল, সেগুলো বিশ্লেষণ করে এবার তা কমানোর চেষ্টা করেছি। পুরো অনুষ্ঠান যেন ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালিত হয়, সে ব্যবস্থা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় করেছে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের বক্তৃতায় বাংলা ভাষার প্রতি অনুরক্ততা প্রকাশ করে যে কথা বলেছিলেন, তার ছবিসহ সে উক্তিও আমরা এখানে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেছি, যাতে তরুণ প্রজন্ম ইতিহাস জানতে পারে।   একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে যাতায়াতের রুটম্যাপ একুশে ফেব্রুয়ারি ঘিরে ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের গেট থেকে ফুলার রোড মোড়, টিএসসির সড়কদ্বীপ থেকে বকশীবাজার সড়ক, কাজী মোতাহার হোসেন থেকে শহীদ মিনারের সড়ক এবং দোয়েল চত্বর থেকে চানখারপুল পর্যন্ত সড়ক বন্ধ থাকবে।   শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের পর সেখান থেকে শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠের সামনের রাস্তা হয়ে দোয়েল চত্বর ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রাস্তা দিয়ে চানখারপুল হয়ে প্রস্থান করা যাবে। শহীদ মিনারের দিকে আসা যাবে না।   এ ছাড়া শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য জনসাধারণকে হোম ইকোনোমিকস মোড় দিয়ে আজিমপুর কবরস্থানের উত্তর গেটের দিকে গিয়ে শ্রদ্ধা প্রদর্শনের পর দক্ষিণ গেট দিয়ে ইডেন মোড় হয়ে বের হতে বলা হয়েছে।   চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এ বছর শহীদ মিনারে চারস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শহীদ মিনার এলাকা সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশের বোম্ব ডিসপোজাল টিম, সোয়াত টিম, ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিমমহ অন্যান্য টিম নিরাপদ দূরত্বে প্রস্তুত থাকবে। শহীদ মিনার এলাকায় সার্বক্ষণিক তল্লাশি ব্যবস্থা এবং পেট্রলিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। ড্রোন পেট্রলিং, মোবাইল পেট্রলিং এবং সাইবার পেট্রলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:২১

পাথরঘাটার ১৬৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই স্থায়ী শহীদ মিনার
বরগুনার পাথরঘাটায় ১৬৮ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই স্থায়ী শহীদ মিনার। মহান ভাষা দিবসের দিন এলাকার হাজারো শিক্ষার্থীকে অস্থায়ীভাবে কলাগাছ ও বাঁশ দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। আবার কিছু প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ফুল দিতে যায় দূরের কোনো শহীদ মিনারে। কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাও হয় না। যেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে সেগুলো সারা বছর পড়ে থাকে অযত্ন-অবহেলায়। ফেব্রুয়ারি মাস শুরু হলেই এই সকল প্রতিষ্ঠানে শুরু হয় অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনারের নির্মাণের কাজ।  পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুসারে, পাথরঘাটা ১৪৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ৩ টিতে আছে স্থায়ী শহীদ মিনার আর বাকি ১৪৬ নেই শহীদ মিনার। একইভাবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে জানা গেছে, উপজেলার শিক্ষা অফিসের আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৫৪ টি। ২৯টি স্কুল, ১৮টি মাদরাসা ও ৭টি কলেজ। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী শহীদ মিনার আছে ২৯ টি নেই ২২টি প্রতিষ্ঠানে। একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। শহীদ মিনার না থাকায় শিক্ষার্থীরা কলাগাছ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়, এটা খুবই দুঃখজনক। পাথরঘাটা উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার মনিরুল ইসলামের বলেন, সরকারি বরাদ্দ না থাকার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না, আমি এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো। সেসব স্কুলের স্থায়ী শহীদ মিনার নেই, সে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফেব্রুয়ারির দিন অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে দিবসটি পালন করতে হবে।  
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়