• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মালয়েশিয়া প্রবাসীদের জন্য সুসংবাদ
মালয়েশিয়া প্রবাসীদের প্রতীক্ষার অবসান হচ্ছে। নানা জটিলতা কাটিয়ে দেশটিতে চলতি মাসেই চালু হচ্ছে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম। আগামী শুক্রবার ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে আবেদন গ্রহণ। আর এ সেবাটি দেবে বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেড।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এক্সপ্যাট সার্ভিসের পরিচালক মো. গিয়াস উদ্দিন।  তিনি জানান, কল সেন্টার দিয়ে কার্যক্রম শুরু হলেও, বর্তমানে যুক্ত হয়েছে বিদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা সার্ভিস এবং পাসপোর্ট নেই এমন প্রবাসীদের জন্য ট্রাভেল পারমিট প্রদান, যা আগে সরাসরি হাইকমিশন থেকে সংগ্রহ করতে হতো প্রবাসীদের। প্রতিষ্ঠানটির মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিং পরিচালক এসএম আরমান পারভেজ বলেন, ই-পাসপোর্ট চালুর সব প্রক্রিয়া শেষ, আগামী শুক্রবার থেকে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হবে। আমরা প্রবাসীদের জন্য জালান চান সো লিনে (সিটি সেন্টারের পাশে) প্রায় ১৪ হাজার বর্গফুট প্রশস্ত ওয়ান স্টপ সার্ভিস নিয়ে আসছি, যেখানে একইসঙ্গে সব সেবা যুক্ত থাকবে। ৪৫টি কাউন্টারের মাধ্যমে চলবে এ সেবা। তিনি আরও বলেন, প্রবাসীরা পাসপোর্ট করতে চাইলে ব্যাংক ড্রাফট থেকে শুরু করে ফর্ম পূরণ পর্যন্ত সব কাজে সহযোগিতা করবে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা। সেবা গ্রহণকারী প্রবাসীদের প্রয়োজন হলে +৬০৩৯২১২০২৬৭ নম্বরে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং এক্সপ্যাট সার্ভিস দ্রুততম সময়ে প্রবাসীদের আন্তরিক সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে। রাজধানী কুয়ালালামপুরের বাইরে একাধিক রাজ্যে, যেমন জহরবারু ও পেনাংয়ে হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে মোবাইল টিমের মাধ্যমে সেবা প্রদান করা হবে। প্রসঙ্গত, প্রবাসে সেবা সহজতর ও দ্রুততরকরতে হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে ‌‘ওয়ান স্টপ’ সার্ভিস। যা সিসিটিভির মাধ্যমে তা হাইকমিশন থেকে সরাসরি মনিটরিং করা হবে।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৬

মালয়েশিয়া থেকে দলে দলে দেশে ফিরছেন প্রবাসীরা
মালয়েশিয়া সরকারের ‘অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচি’ ঘোষণার পর নামমাত্র জরিমানা দিয়ে প্রতিদিনই দেশে ফিরছেন শত শত অভিবাসী। কাগজপত্র বিহীন দেশে ফেরা এসব প্রবাসীদের একটি বড় অংশ বাংলাদেশী। তারা দলে দলে ভিড় জমাচ্ছেন দেশে ফেরার প্রত্যাশায়। এসময় প্রবাসীদের বেশিরভাগই নি:শ্ব অবস্থায় দেশে ফিরছেন। ধারনা করা হচ্ছে নানা জটিলতায় মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরতে পারে প্রায় ১ লাখ বাংলাদেশী যার প্রভাব পড়তে পারে রেমিটেন্স প্রেরণেও। অভিবাসন বিভাগের তথ্য বলছে ১ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচির অধীনে প্রথম ২০ দিনে এখনও পর্যন্ত নিজ নিজ দেশে ফিরেছে ১১ হাজার ৯৪৩ জন অভিবাসী এর মধ্যে ২ হাজার ৫৩০ জনই বাংলাদেশী। এখনও প্রতিদিনই অভিবাসন বিভাগে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকে। অভিবাসন বিভাগের অনলাইন এ্যাপয়েন্টমেন্ট এর জন্যও অপেক্ষা করছে হাজারো মানুষ। মার্চ থেকে শুরু হয়ে এ কর্মসূচি চলবে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত। অভিবাসন বিভাগ ধারনা করছে, বিভিন্ন দেশের ৩ থেকে ৪ লক্ষ কাগজপত্র বিহীন অবৈধ অভিবাসী এই কর্মসূচির আওতায় শাস্তি ছাড়াই নিজ নিজ দেশে ফিরবে।  ঘোষণা অনুযায়ী দেশে ফিরতে হলে সরাসরি এ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে অভিবাসন বিভাগের। সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে ওয়ানওয়ে টিকিট ও পাসপোর্ট। যাদের পাসপোর্ট নেই তাদেরকে নিজ নিজ হাইকমিশন থেকে সংগ্রহ করতে হবে ট্রাভেল পারমিট। অভিবাসন বিভাগ ৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা দিয়ে বিশেষ পাস দিলে পরবর্তী ১৪ দিনের মধ্যে নিজ দেশে ফিরতে হবে ঐ প্রবাসীকে।  দেশে ফেরা প্রবাসীদের এই তালিকায় বাংলাদেশীদের সংখ্যা বেশ লম্বা হবে বলে মনে করেন, কমিউনিটি নেতা রাশেদ বাদল। তিনি বলেন, দেশে ফেরা ছাড়া আসলে এসব কর্মীদের আর কোন উপায় নেই। যারা দেশে ফিরছেন তাদের বেশিরভাগই কর্মহীন কিংবা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। অনেকেই সাম্প্রতিক সময়ে কলিং ভিসায় এসে প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ না পেয়ে প্রতারণার শিকারও হয়েছেন। এভাবে দেশে ফেরাদের সংখ্যা বাড়লে তার প্রভাবে রেমিটেন্স প্রেরণেও পড়বে বলে মনে করেন, তিনি। দেশে ফেরার অপেক্ষায় থাকা নরসিংদী প্রবাসী সুমন মিয়া বলেন, ২০১৮ সালে মালয়েশিয়ায় এসেছি। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত ভিসা করতে পারিনি। বিভিন্ন স্থানে টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকারও হয়েছি। এখন ভিসার পাশাপাশি কাজেরও সমস্যা হচ্ছে। তাই দেশে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সুমন মিয়া’র মতো অনেকেই আছেন যারা নানা জটিলতায় ভিসা করতে পারিনি। অনেক প্রতিষ্ঠান আবার কর্মী ছাটাইও করছে। এছাড়া ফ্রি ভিসার নামে কলিং ভিসায় মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়ে এসেছেন অনেক নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান। যারা এসব কর্মীদের প্রতিশ্রুতি মতো কাজ দিতে পারেনি। এসব কর্মীদের অনেকেই মালয়েশিয়া সরকারের এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশে ফিরছে। দেশে ফেরার তালিকায় রয়েছে ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ ভিসায় মালয়েশিয়ায় আসা বাংলাদেশীরাও। বিশেষ করে ২০২৩ সালে বৈধকরণ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়ার প্রতিশ্রুতিতে যারা ভ্রমণ ভিসায় মালয়েশিয়ায় এসেছেন তারা কেউই ভিসা করতে পারেননি। বাধ্য হয়ে তাদেরকে ফিরতে হচ্ছে দেশে। এনিয়ে সম্প্রতি এক বক্তব্যে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামিম আহসান বলেন, মালয়েশিয়া সরকারের ঘোষিত এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কাগজপত্র বিহীন রয়েছে এমন বাংলাদেশীদের দেশে ফিরে যাওয়া উচিত। আর যাদের অবহেলায় কর্মীরা বৈধভাবে এসে প্রতারিত হয়েছে তাদের ব্যাপারেও হাইকমিশন বাড়তি সতর্ক থাকবে বলেও মন্তব্য করেন, তিনি।
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫৫

৩৯ প্রবাসী বন্দিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন অপরাধে আটক হওয়া ৩৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে অভিবাসন বিভাগ। বুধবার (২০ মার্চ) দেশটির জোহর অভিবাসন বিভাগের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, পেকান নেনাস ইমিগ্রেশন ডিপো থেকে সরাসরি কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (কেএলআইএ) গেট দিয়ে বন্দি ৩৯ বাংলাদেশিকে তাদের দেশে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের পুনরায় মালয়েশিয়া প্রবেশে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করা হয়েছে। অপরাধের মাত্রার ওপর নির্ভর করে তাদেরকে পাঁচ বছর বা চিরতরে মালয়েশিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সবাইকে ইমিগ্রেশন আইন-১৯৫৯/৬৩ ও ইমিগ্রেশন রেগুলেশন-১৯৬৩ এর পাশাপাশি অন্যান্য এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি আইনের অধীনে অপরাধের সাজা শেষে নিজ খরচে দেশে পাঠানো হয়। এ ছাড়া পেকান নেনাস ইমিগ্রেশন ডিপো থেকে রমজান মাসে ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এবং অন্যান্য দেশের নাগরিকদেরও ফেরত পাঠানো হয়েছে।
২২ মার্চ ২০২৪, ১২:০৩

মালয়েশিয়া বাংলাদেশের এক অকৃত্রিম বন্ধু : তথ‌্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ‌্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার হাই কমিশনার হাজনা মো. হাসিম। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ডাকভবনে প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে এ সৌজন‌্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিশেষ করে টেলিযোগাযোগ ও তথ‌্যপ্রযুক্তি খাত সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে মতবিনিময় করেন। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ‌্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া ভ্রাতৃপ্রতীম দুটি দেশের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ক তুলে ধরে বলেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের এক অকৃত্রিম বন্ধু। বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার কৃষ্টি, সংস্কৃতি প্রায় অভিন্ন হওয়ায় বাংলাদেশের মানুষ বৈদেশিক কর্মক্ষেত্র হিসেবে মালয়েশিয়ায় অত‌্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ এর দিকনির্দেশনা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে’ তিনি গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ‌্যপ্রযুক্তি খাতে অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন। প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত লাভজনক জায়গা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে বলে উল্লেখ করেন। সরকারের বিনিয়োগ বান্ধব নীতির এই সুযোগ কাজে লাগাতে মালয়েশিয়া ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করে হাই কমিশনার হাজনা মো. হাসিম বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের জন্য মালয়েশিয়া অত্যন্ত গর্বিত।’ এর আগে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ‌্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ডাকভবনে ডাক অধিদপ্তরে ডাকঘরের স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট স্থাপন বিষয়ক আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্মার্ট ডাকঘর নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। পরে প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে ডাক অধিদপ্তর ও মধুমতি ব‌্যাংকের মধ‌্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়