• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ময়মনসিংহে দৌড়ে ছিনতাইকারী ধরলেন ডিবির ওসি
ময়মনসিংহে ঈদ মার্কেটে এক যুবকের গলায় ছুরি ধরে ছিনতাই চেষ্টার ঘটনায় সজীব (৩০) নামের একজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে ওসি (ডিবি) ফারুক হোসেন। এ সময় এক রেস্টুরেন্ট কর্মচারীকে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেছে ছিনতাইকারীরা।   রোববার (৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে নগরীর সেহড়া চরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ছিনতাইকারী সজীব সেহড়া চামড়ার গুদাম এলাকার বাসিন্দা ইউসুফ আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাদকসেবন, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে।  জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুক হোসেন এ তথ‍্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঈদ মার্কেটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাতে নগরীতে টহল চলছিল। এ সময় নগরীর গার্লস ক‍্যাডেট কলেজের সামনের সড়কে হঠাৎ দুই ছিনতাইকারী এক যুবকের গলায় ছুরি ধরে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় ধস্তাধস্তি করছিল। বিষয়টি বুঝতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে ছিনতাইকারীরা। এ সময় তাদের ধাওয়া করে ধোপাখলা মোড় এলাকা থেকে সজীব নামের এক ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়। তবে এ ঘটনায় জড়িত সানি নামে অপর ছিনতাইকারী পালিয়েছে, তাকেও গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। এ দিকে ছিনতাই চেষ্টার শিকার এক রেস্টুরেন্টের কর্মচারী রক্তাক্ত জখম হয়েছে। তাকে আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।   এর আগে রাত ১০টার দিকে গ্রেপ্তার হওয়া ছিনতাইকারী সেহড়া এলাকার টুয়েলভ শো-রুমে ঈদ সালামি বাবদ চাঁদা দাবি করে। এ সময় সে শো-রুমের একটি গ্লাস ভাঙচুর করে বলে জানান প্রতিষ্ঠানের ম‍্যানেজার শরীফ রাকিব।    ডিবির ওসি মো. ফারুক হোসেন আরও বলেন, ঈদ মার্কেটকে সামনে রেখে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাছুম আহম্মেদ ভূঞার নির্দেশে চলতি রমজানের প্রথম দশদিন পৃথক পৃথক অভিযানে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৮ জন চিহ্নিত অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ছিনতাই, ডাকাতির চেষ্টা ও মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।   প্রসঙ্গত, বিগত দুটি ঈদে ছিনতাইকারীদের হাতে পৃথক পৃথক ঘটনায় বেশ কয়েকটি হত‍্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই বিষয়টি মাথায় রেখে এবার ঈদ মার্কেটে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জেলা পুলিশ। এতে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।    
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১২

তিন বছর পর আবারও চালু হচ্ছে মোবাইল ফোন নিবন্ধন
প্রথমবার চালুর ঠিক তিন বছর পর আবারও চালু হচ্ছে মোবাইল ফোন সেট নিবন্ধন (এনইআইআর) ব্যবস্থা। সরকার ২০২১ সালের ১ জুলাই প্রথমবারের মতো এই ব্যবস্থা চালু করে। সে সময় অনেক মোবাইল ফোন সেট নিবন্ধনও করা হয়। কিন্তু কিছুদিন চালু থাকার পর এই ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন আবারও মোবাইল ফোন সেটের নিবন্ধন চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এনইআইআর পদ্ধতি চালুর পর দেশে অবৈধ মোবাইল ফোন প্রবেশের সংখ্যা প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে গিয়েছিল। এতে স্বস্তি ফিরে এসেছিল দেশের মোবাইল ফোনের উৎপাদকদের মাঝে। ফোন সেট নিবন্ধনের আগে গ্রে মার্কেটের (অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করা মোবাইল) পরিধি মোট মোবাইল বাজারের অর্ধেক ছাড়িয়ে গিয়েছিল (৫৩ শতাংশ)। কিন্তু এই পদ্ধতি চালু হলে দেশে তৈরি এবং বৈধ চ্যানেলে আসা মোবাইল ফোন কিনতে বাধ্য হন ক্রেতারা। হঠাৎ প্রায় শূন্য হয়ে যায় গ্রে মার্কেট। এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র স্পেক্ট্রাম ম্যানেজমেন্ট বিভাগের কমিশনার শেখ রিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘আগামী ১ জুলাই থেকে মোবাইল ফোন সেট নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু হবে।’ প্রসঙ্গত, গত ২৩ জানুয়ারি বিটিআরসিতে এক মতবিনিময় সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘স্থানীয় উৎপাদন, কর্মসংস্থান ও রফতানি বৃদ্ধি, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নিবন্ধিত ও বৈধ মোবাইল ফোন ছাড়া কেউ যেন অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহার না করতে পারেন। এজন্য ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকর করতে হবে।’ টেলিকম খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কিছুকাল আগেও দেশে মোবাইল ফোন সেট বিক্রির সংখ্যা ছিল বছরে সাড়ে তিন কোটিরও বেশি। বর্তমানে ২ কোটির কিছু বেশি মোবাইল ফোন বিক্রি হয়। দেশে মোবাইল ফোনের উৎপাদন আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। ক্ষেত্র বিশেষে তা অর্ধেকে নেমেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গ্রে মার্কেট সেই জায়গাটা দখল করেছে বলে অভিযোগ তাদের। তারা মনে করছেন, এনইআইআর সিস্টেম চালু হলে দেশের মোবাইল শিল্পটা একটা টেকসই রূপ পাবে।  জানা যায়, এনইআইআর চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রথমবার চালুর সময় যেসব নিয়ম-কানুন মেনে চলা হয়েছে, যেমন- মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের নিবন্ধনের আগে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, ব্যবসায়ীদের সময় দেওয়া হয়েছে, বিদেশ থেকে ফোন আনার ক্ষেত্রে ব্যাগেজ রুলস অনুসরণ করা হয়েছে এবং বিদেশ থেকে উপহার পাওয়া ফোনের ক্ষেত্রে যেসব নিয়ম ছিল, সেসব এবারও থাকবে কি না—থাকলে কতটা থাকবে, নতুন আরও কী বিষয় যুক্ত হবে, এখন তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তবে মোবাইল ফোন সেট বৈধ নাকি অবৈধ, তা যাচাইয়ের জন্য বিটিআরসি গ্রাহকের জন্য একটি পদ্ধতি চালু করবে বল জানা গেছে। প্রথমবার এনইআইআর সিস্টেম চালুর জন্য বিটিআরসি সিনেসিস আইটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল।   
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়