• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
বিয়ে করেছেন রিয়েলিটি সিরিজে খ্যাতিমান মার্কিন সংযুক্ত যমজ অ্যাবি হেনসেল
টিএলসি রিয়েলিটি সিরিজ "অ্যাবি অ্যান্ড ব্রিটানি" তে খ্যাতি অর্জনকারী মার্কিন সংযুক্ত যমজ অ্যাবি ও ব্রিটানি হেনসেল বিয়ে করেছেন। তিন বছর আগে গোপনে বিয়ে করেছেন মার্কিন সেনাবাহিনীর একজন অভিজ্ঞ জোশ বোলিংকে। যমজ অ্যাবি এবং ব্রিটানি হেনসেল আমেরিকার সবচেয়ে বিখ্যাত সংযুক্ত যমজ। খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দ্যা স্ট্যান্ডার্ডের। সম্প্রতি, TikTok অ্যাকাউন্ট @abbyandbrittanyhensel অ্যাবির বড় দিন উদযাপন করার একটি ক্লিপ শেয়ার করেছে, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্রিট এবং অ্যাবি দম্পতির একটি ছবি পোস্ট করেছে। ১৯৯০ সালে জন্মগ্রহণ করা এই যমজের দুটি মাথা, দুটি হৃদয় এবং দুটি ফুসফুস রয়েছে। তবে অন্য সবকিছু ভাগ করে নেয় তারা। প্রতিটি যমজ তার শরীরের অর্ধেক নিয়ন্ত্রণ করে, তাই তাদের আশ্চর্যজনক সমন্বয় রয়েছে। তারা গাড়ি চালাতে পারে। উভয়ই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক। মেয়েরা ডাইসেফালিক প্যারাপাগাস, যার অর্থ তারা দুটি মাথার সাথে পাশাপাশি মিশ্রিত। তাদের পেলভিসে দুটি মেরুদণ্ড, দুটি হৃৎপিণ্ড, দুটি অন্ননালী, দুটি পাকস্থলী, তিনটি কিডনি, দুটি পিত্তথলি, চারটি ফুসফুস- দুটি যুক্ত হয়েছে। একটি যকৃত, একটি পাঁজর, একটি ভাগ করা সংবহনতন্ত্র এবং আংশিকভাবে ভাগ করা স্নায়ুতন্ত্র। কোমর থেকে নীচে, প্রজনন অঙ্গ সহ সমস্ত অঙ্গ আলাদা। তারা ১৯৯০ সালে একটি আংশিক-গঠিত তৃতীয় বাহু নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন যা ১২ বছর বয়সে অপসারণ করা হয়েছিল। মেরুদণ্ডের বক্রতা সংশোধন করতে এবং তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসে সহায়তা করার জন্য অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে দ্য অপরাহ উইনফ্রে শো এবং লাইফ ম্যাগাজিনের কভারে উপস্থিতির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করে তারা। তারা মিনেসোটাতে বসবাস করতেন, ১৬ বছর বয়সে একটি টিএলসি ডকুমেন্টারিতে অভিনয় করা পর্যন্ত মিডিয়া এড়িয়ে চলেন। তাদের বাবার নাম প্যাটি ও মা মাইক। জন্মের সময় যমজ সন্তানদের আলাদা করলে তাদের বাঁচানো যেত না। তাই অপারেশন করে তাদের আলাদা করার সিদ্ধান্ত নেননি তারা।
১৮ ঘণ্টা আগে

মার্কিন সংস্থার প্রতিবেদন নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মার্কিন সংস্থা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) এবং ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)-এর প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  রোববার (১৭ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‌এনডিআই-আইআরআই কী বলল না বলল তাতে কিছু আসে যায় না।  হাছান মাহমুদ বলেন, পূর্ববর্তী নির্বাচনগুলোর তুলনায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহিংসতা কম হয়েছে বলে এনডিআই ও আইআরআই স্বীকার করেছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশে আগের সব নির্বাচনের তুলনায় ৭ তারিখের নির্বাচনের মান অনেক উন্নত ছিল। তিনি বলেন, এনডিআই ও আইআরআই কী বলল না বলল, এতে কিছু আসে যায় না। কিন্তু দেশে একটি সুন্দর, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাত তারিখের নির্বাচনে বিএনপিসহ তার মিত্ররা অংশগ্রহণ না করে প্রতিহতের ডাক দিয়েছিল। তারা নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য সহিংসতা করেছে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে সে বিষয়গুলোও তো তাদের (এনডিআই ও আইআরআই) প্রতিবেদনে আসতে হবে। হাছান মাহমুদ বলেন, তারা প্রতিবেদন দিয়েছে, আমরা দেখছি। আমরা পর্যবেক্ষণগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি।  উল্লেখ্য, আইআরআই এবং এনডিআই হলো নির্দলীয় বেসরকারি সংস্থা যা বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং অনুশীলনকে সমর্থন ও শক্তিশালী করে। ইনস্টিটিউটগুলো গত ৩০ বছরে ৫০টিরও বেশি দেশে সম্মিলিতভাবে ২০০টিরও বেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে।  
১৭ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৩

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সহিংসতা কম হয়েছে : মার্কিন দুই সংস্থা
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পূর্ববর্তী নির্বাচনগুলোর তুলনায় সহিংসতা কম হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংস্থা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) এবং ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)-এর টেকনিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট মিশন (টিএএম)। রোববার (১৭ মার্চ) জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে, চলাকালীন ও পরে সম্ভাব্য নির্বাচনী সহিংসতা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশে প্রেরণ করা মার্কিন দুই সংস্থা তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মিশন সদস্যরা অবগত হয়েছেন যে, ২০২৪ সালের নির্বাচনের সময়কাল, প্রচারের সময়কাল, নির্বাচনের দিনসহ অন্যান্য সময়ে, পূর্ববর্তী নির্বাচন চক্রের তুলনায় শারীরিক এবং অনলাইন সহিংসতা কম হয়েছে। এটি হয়েছে প্রাথমিকভাবে দেশব্যাপী কার্যকর নির্বাচনী প্রতিযোগিতার অনুপস্থিতির কারণে এবং দেশের নিরাপত্তায় সরকারের বাড়তি নজর দেওয়ায়। তার পরও জানুয়ারির নির্বাচনের গুণগত মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। যেসব ঘটনার কারণে (এমন হয়েছে) তা হলো রাষ্ট্র, শাসক দল এবং বিরোধীদের সহিংসতা, সেই সঙ্গে একটি প্রাক-নির্বাচন পরিবেশ দ্বারা চিহ্নিত করা হয় শূন্য-সমষ্টির রাজনীতি, রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সহিংসতা, নাগরিক স্বাধীনতার সংকোচন, এবং বাক স্বাধীনতা ও সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতার অবনতি।’ মিশনটি একটি যৌথ প্রাক-নির্বাচনী মূল্যায়ন মিশন (পিইএএম) অনুসরণ করে যা এনডিআই এবং আইআরআই গত ৮ থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত পরিচালনা করেছিল।  এ প্রতিবেদনে বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনী সহিংসতার বিষয়ভিত্তিক বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে নির্বাচনে সহিংসতার ঝুঁকি প্রশমন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আইআরআই ও এনডিআইয়ের তুলনামূলক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, সরকারের নির্বাহী ও আইন বিভাগ, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য অংশীজনদের কাছে সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এনডিআইয়ের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক মনপ্রীত সিং আনন্দ বলেন, ‘প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের ভবিষ্যতে আরও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য একটি মূল্যবান রোডম্যাপ হিসেবে অবদান রাখবে। অহিংস রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল, সরকার এবং নাগরিক সমাজসহ সামাজিক-রাজনৈতিক পরিমণ্ডল জুড়ে নেতাদের নির্বাচনী রাজনীতির নিয়ম, অনুশীলন এবং নিয়মগুলো সংস্কার করার প্রয়োজন রয়েছে।’ আইআরআইয়ের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরিচালক জোহানা কাও বলেন, ‘নির্বাচনে সহিংসতা নাগরিকদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে একটি প্রধান প্রতিবন্ধক। বাংলাদেশের নির্বাচনকে পুরোপুরি অংশগ্রহণমূলক করতে হলে সব পক্ষকে অহিংস রাজনীতিকে প্রাধান্য দিতে হবে।’ বাংলাদেশে অবস্থানকালে টিএএম-এর স্বীকৃত পাঁচজন দীর্ঘমেয়াদের বিশ্লেষক নির্বাচন ও সরকারি কর্মকর্তা, নিরাপত্তা কর্মী, রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে রাজনৈতিক দলের নেতা, সাংবাদিক, নাগরিক সমাজের সংগঠনসহ যুবক, নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পাশাপাশি স্বীকৃত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক মিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন। পিইএএম-এর পর্যবেক্ষণে কারিগরি মূল্যায়নের কাঠামো ও পরিধি সম্পর্কে অবহিত করা হয়, যা বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এবং ২০০৫ সালে জাতিসংঘে অনুমোদিত আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণের নীতিমালার ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। উল্লেখ্য, আইআরআই এবং এনডিআই হলো নির্দলীয় বেসরকারি সংস্থা যা বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং অনুশীলনকে সমর্থন ও শক্তিশালী করে। ইনস্টিটিউটগুলো গত ৩০ বছরে ৫০টিরও বেশি দেশে সম্মিলিতভাবে ২০০টিরও বেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৭

মিলারসহ ২২৭ মার্কিন নাগরিকের ওপর রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারসহ ২২৭ মার্কিন নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাশিয়া। সরাসরি রাশিয়াবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, বিশেষ সামরিক অভিযান সমর্থন করায় রুশ নাগরিকদের ওপর মার্কিন কর্তৃপক্ষ যে ক্রমাগত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তার প্রতিক্রিয়ায় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার, সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন সুলিভান, সাবেক উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরম্যান ও সাবেক মার্কিন অর্থমন্ত্রী ল্যারি সামার্স রয়েছেন। একইসঙ্গে মার্কিন অ্যারোস্পেস কোম্পানি লকহিড মার্টিনের ভাইস প্রেসিডেন্ট শামালা লিটলফিল্ড এবং সামরিক ঠিকাদার ব্ল্যাকওয়াটারের প্রতিষ্ঠাতা আলফ্রেড ক্লার্কসহ মার্কিন প্রতিরক্ষা খাতের নির্বাহীদেরও এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং ওয়াশিংটন পোস্ট ও নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিকসহ কয়েকজন মার্কিন শিক্ষাবিদকেও এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে তারা রাশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন না। বিবৃতিতে বলা হয়, ওয়াশিংটনের যে কোনো আগ্রাসী প্রচেষ্টা বিনা শাস্তিতে ছেড়ে দেওয়া হবে না। প্রত্যেকটির প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। ২০২২ সালে ইউক্রেন সংঘাত বৃদ্ধির পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক তলানিতে নেমে গেছে। ওয়াশিংটন ও তার মিত্ররা মস্কোর ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ২২:০৫

চাপে আছে মার্কিন ডলার, কমছে মান 
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিও টালমাটাল হতে শুরু করেছে। অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দামে পতন হয়েছে। আগামী দিনও এই ধারা অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। শনিবার (৯ মার্চ) রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, গত শুক্রবার (৮ মার্চ) ডলারের সবচেয়ে বাজে অবস্থায় রয়েছে।  গেল জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে সুদের হার কমতে শুরু করবে বলে আশা প্রকাশ করায় অস্ট্রেলিয়ান ও নিউজিল্যান্ডের ডলার বেড়েছে। অস্ট্রেলিয়ান ডলারের সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ০৯ শতাংশ এবং নিউজিল্যান্ড ডলারের সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ০৫ শতাংশ। এদিকে জাপানি ইয়েন ডলারের বিপরীতে পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ দরে উঠেছিল। ডলার ০ দশমিক ৬৮ শতাংশ কমে ১৪৭ দশমিক ০৫ ইয়েনে ছিল, এটি ২ ফেব্রুয়ারির পর থেকে সবচেয়ে দুর্বলতম। ডলারের বিপরীতে ইউরোর দর ০ দশমিক ০৬ শতাংশ কমে ১ দশমিক ০৯৪২৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ডলার চাপে পড়ায় এই সপ্তাহে ইউরো উত্তোলন বেড়েছে। ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল বলেন, সুদের হার কমানোর জন্য যে আত্মবিশ্বাস দরকার ফেডারেল রিজার্ভ তা থেকে ‘খুব বেশি দূরে নয়’। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমালে মুদ্রা সাধারণত দুর্বল হয়ে পড়ে। ইক্যুইটি ক্যাপিটালের প্রধান অর্থনীতিবিদ স্টুয়ার্ট কোল বলেন, বাজার কিছুটা অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে, আমি মনে করি, সাম্প্রতিক মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফেডারেল রিজার্ভ শিগগিরই সুদের হার কমানোর অবস্থানে থেকে সরে আসবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রম বিভাগের শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো শুক্রবার কর্মসংস্থান প্রতিবেদনে বলেছে যে গত মাসে ২ লাখ ৭৫ হাজার চাকরি তৈরি হয়েছে। জানুয়ারির তথ্য সংশোধন করে দেখা গেছে, আগের রিপোর্ট অনুযায়ী ৩ লাখ ৫৩ হাজারের পরিবর্তে ২ লাখ ২৯ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। টানা তিন মাস বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ৭ শতাংশে থাকার পর ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৯ শতাংশে।
১০ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৮

পাকিস্তানের সরকারকে স্বীকৃতি না দিতে মার্কিন আইন প্রণেতাদের আহ্বান
নির্বাচনে হস্তক্ষেপের তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানের নতুন সরকারকে স্বীকৃতি না দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কাছে লেখা এক চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৩১ জন আইন প্রণেতা। এর আগে পাকিস্তানে ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কারচুপি, নির্বাচনী সহিংসতা এবং দেশব্যাপী ইন্টারনেট বন্ধের ব্যাপক অভিযোগ ওঠে। অস্বাভাবিকভাবে বিলম্বিত ফলাফলের কারনে ভোটে কারচুপির অভিযোগও উঠেছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচনে অনিয়মের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলো এবং তদন্তের আহ্বান জানিয়েছিলো। এখন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নাওয়াজ (পিএমএল-এন), পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) শাহবাজ শরীফকে প্রধানমন্ত্রী করে চারটি ছোট দলের মধ্যে একটি জোট সরকারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যদিও কারাবন্দী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থিত প্রার্থীরা বেশিরভাগ আসন জিতেছে। সেনাবাহিনী কর্তৃক দমন-পীড়ন সত্ত্বেও ইমরান সমর্থিত প্রার্থীরা জাতীয় পরিষদে ৯৩টি আসনে জয়ী হলেও সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা তাদের ছিল না। তিনি এবং তার দল নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ করে এবং কমপক্ষে ১৮০ টি আসন জয়ের দাবি করে। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি এবং ফলাফল কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ করে পাকিস্তানে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। বুধবার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ৩১ জন ডেমোক্র্যাট সদস্যের চিঠিতে বাইডেন ও ব্লিঙ্কেনের প্রতি ‘নির্বাচনে হস্তক্ষেপের পুঙ্খানুপুঙ্খ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানে নতুন সরকারের স্বীকৃতি না দেওয়ার’ আহ্বান জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক বক্তব্য বা কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে যাদেরকে আটক করা হয়েছে তাদের মুক্তি দিতে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাতে। একই সাথে এ ধরনের ঘটনা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও তাদের মুক্তির পক্ষে কথা বলার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিতে হবে বলেও চিঠিতে জানানো হয়েছে। আপিলের নেতৃত্বে ছিলেন প্রতিনিধি গ্রেগ কাসার এবং সুসান ওয়াইল্ড। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ছিলেন প্রতিনিধি প্রমীলা জয়পাল, রাশিদা তালিব, রো খান্না, জেমি রাসকিন, ইলহান ওমর, কোরি বুশ এবং বারবারা লি।  ‘গণতন্ত্র এবং সকল পাকিস্তানির স্বার্থে আমরা বাইডেন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যতক্ষণ না তদন্তে প্রমাণিত হয় যে নির্বাচনে কারচুপি হয়নি ততক্ষণ নতুন সরকারের স্বীকৃতি স্থগিত রাখতে,’ বলেন কাসার। আইন প্রণেতারা পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে এই বার্তা দেওয়ার তাৎপর্যের ওপর জোর দিয়ে বলেছেন যে, মার্কিন আইনে মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণতন্ত্রকে দুর্বল করা বা দুর্নীতিকে উৎসাহিত করার জন্য জবাবদিহিতার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব, নির্যাতনের ভিডিও প্রমাণ এবং ভোটের সংখ্যায় অসঙ্গতির কথা উল্লেখ করে তারা ভোট পরবর্তী কারচুপি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আইন প্রণেতারা যুক্তি দেখিয়েছেন যে, পাকিস্তানে গণতন্ত্র রক্ষা করা এবং নির্বাচনের ফলাফলে অভিজাত ও সামরিক বাহিনীর পরিবর্তে জনগণের স্বার্থের সত্যিকারের প্রতিফলন নিশ্চিত করা মার্কিন স্বার্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তারা একটি বিস্তৃত তদন্ত এবং গণতান্ত্রিক নীতি মেনে চলার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন। উল্লেখযোগ্য ভাবে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান ‘শক্তিমান’ সামরিক বাহিনীর সাথে বিরোধের পরে ২০২২ সালে ক্ষমতাচ্যুত হন এবং একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। উপরন্তু, তার দলের বেশ কয়েকজন সদস্যকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল এবং পিটিআইয়ের একটি নির্বাচনী প্রতীক ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল, যার অর্থ তাদের সদস্যরা কেবল স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারতেন। সাধারণ নির্বাচনের তিন সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার জাতীয় পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। উভয় পক্ষের শোরগোল বিক্ষোভের মধ্যে ৩০২ জন সংসদ সদস্য প্রথম দিনে শপথ গ্রহণ করেন। পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা যাদের বেশিরভাগই সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে (এসআইসি) যোগ দিয়েছেন, তারা ইমরান খানের মতো ফেসমাস্ক পরেছিলেন এবং তার মুক্তির দাবিতে ব্যানার বহন করেছিলেন। পিটিআইয়ের এমএনএ’রা ‘ইমরান খানকে মুক্তি দাও’, ‘বন্দী নম্বর ৮০৪’, ‘কে পাকিস্তানকে বাঁচাবে: ইমরান খান, ইমরান খান’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছিল। অন্যদিকে পিএমএল-এন নেতারা হাতঘড়ি পড়ে ইমরান খানের বিরুদ্ধে তোশাখানা মামলার প্রসঙ্গ তুলেছেন। বৃহস্পতিবার শপথ নেওয়া নাওয়াজ শরিফ ও শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন পিটিআই সমর্থকরা।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৭:০০

মার্কিন জাহাজে ফের হুতিদের হামলা
লোহিত সাগরের মূর্তিমান আতঙ্ক হুতিরা আবারও মার্কিন জাহাজে হামলার চালিয়েছে। বুধবার (৬ মার্চ) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ব্রিটিশ নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান অ্যামব্রে জানিয়েছে, ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলের এডেন বন্দরে একটি জাহাজে হামলার খবর পাওয়া গেছে। কাছাকাছি থাকা অন্য একটি জাহাজ থেকে এ খবর পাওয়া গেছে। হামলার শিকার জাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন ও বারবাডোজের পতাকাবাহী। অ্যামব্রে জানিয়েছে, এডেন বন্দর থেকে ৫৭ ন্যাটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল। এ সময় জাহাজটির কাছে অপর একটি জাহাজ যায়। তারা নিজেদের ইয়েমেনের নৌবাহিনী পরিচয় দিয়ে জাহাজটির পথ পরিবর্তনের নির্দেশ দেয়। টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, হামলার পর তারা অন্যান্য জাহাজকে জাহাজটির সঙ্গে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সতর্কতা জারি করেছে। হামলাটির সাথে হুতিদের হামলার ধরনের মিল রয়েছে বলেও জানিয়ে সংস্থাটি। যুক্তরাজ্যের আরেক সংস্থা ইউকেএমটিও এ হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে তারা এ হামলার বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানায়নি। মার্কিন সেনা সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৯ নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে ৩০টির বেশি জাহাজে হামলা চালিয়েছে হুতিরা। তাদের হামলার ভয়ে বেশিরভাগ জাহাজ কোম্পানি গুরুত্বপূর্ণ এই দুই নৌপথ এড়িয়ে গন্তব্যে পাড়ি দিচ্ছে। এতে পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে পশ্চিমারা।
০৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০৪

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পুরস্কার পাচ্ছেন বাংলাদেশের ফওজিয়া
মানবাধিকার কর্মী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফওজিয়া করিম ফিরোজ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার (ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ অ্যাওয়ার্ড) পাচ্ছেন।  শুক্রবার (১ মার্চ) আগামী ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে সামনে রেখে এ ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। জানা গেছে, এ বছর ফওজিয়া করিম ফিরোজসহ বিভিন্ন দেশের  ১২ জন নারী এ পুরস্কার পাচ্ছেন। সোমবার (৪ মার্চ) ওয়াশিংটন ডিসিতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ফওজিয়া করিম ফিরোজ তিন দশকেরও বেশি সময় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকারের জন্য লড়াই করেছেন। তিনি বর্তমানে তার নিজস্ব ল চেম্বারের প্রধান এবং ফাউন্ডেশন ফর ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এফএলএডি) চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার নেতৃত্বে এফএলএডি গৃহকর্মীদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি বিষয়ে একটি রায়ে জিতেছিল।  এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন যৌন হয়রানির মামলা পর্যালোচনা এবং আদালতে সুপারিশ করার জন্য তাদের পাঁচ সদস্যের কমিটিতে ফওজিয়া ফিরোজকে নির্বাচিত করেছে। তিনি ২০০৭ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি এসিড সারভাইভরস ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি। 
০২ মার্চ ২০২৪, ০৪:৪৬

বাইডেনের চিঠির জবাব দিয়েছেন শেখ হাসিনা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠির জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান চিঠির মূল কপি হোয়াইট হাউসের কাছে হস্তান্তর করবেন। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়ার জেষ্ঠ্য পরিচালক আইলিন লাউবাচার কাছে চিঠির একটি অনুলিপি হস্তান্তর করেন।  সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্ককে কীভাবে নতুন উচ্চতায় নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রধানমন্ত্রী সেই চিঠির জবাব দিয়েছেন।  উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাতে তিনি বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে সমর্থনের পাশাপাশি একটি অবাধ ও মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অভিন্ন স্বপ্নপূরণে অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠায় ঢাকার সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:২৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়