• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তীব্র তাপদাহে খেটে খাওয়া মানুষের পাশে ডিএমপি
তীব্র তাপদাহে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। মানবিক সহায়তা হিসেবে ডিএমপির বিভিন্ন থানা পুলিশ সুপেয় পানি বিতরণ করছে। ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের নির্দেশনার পর এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দিনব্যাপী রাজধানীর তেজগাঁও, ধানমন্ডি, উত্তরখান, ডেমরাসহ কয়েকটি থানা এলাকায় চলে এই কার্যক্রম। যা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তেজগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন গণমাধ্যমকে বলেন, প্রচণ্ড তাপদাহে যখন জনজীবন বিপর্যস্ত তখন ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশক্রমে তেজগাঁও থানা এলাকায় অসহায় ও শ্রমজীবী মানুষের মাঝে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়। তাপদাহ যতদিন চলবে আমরাও আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাব। এর আগে শুক্রবার ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের জন্য ছাতা, ঠান্ডা পানি, স্যালাইনসহ বিভিন্ন সামগ্রী দেন ডিএমপি কমিশনার। এ সময় তিনি সাধারণ নগরবাসীর সেবায় সকলকে পাশে থাকার আহ্বান জানান। এরপরই থানা পুলিশ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষকে ঠান্ডা পানির বোতল,  ভ্রাম্যমাণ পানির ট্যাঙ্ক স্থাপন ও লেবু বা শরবত খেতে দিচ্ছেন।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৫৯

মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কেউ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা বারবার ক্ষমতায় এসেছে, তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, এটাই দুর্ভাগ্য। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্যমেলার মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ’৭৫ পরবর্তী যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তাদের কারও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা ছিল না মন্তব্য করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো। কিন্তু অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা বারবার ক্ষমতায় এসেছে, তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, এটাই দুর্ভাগ্য। খাদ্যের পর পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সরকারের লক্ষ্য জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির সময়ে খাদ্য ঘাটতি ছিল। এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে দেশ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করলাম, তখন দেখলাম ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি। এ অবস্থায় আমরা যাত্রা শুরু করেছি। তখন রিজার্ভ মানিও তেমন ছিল না। এশিয়ায় তখন খাদ্যমন্দা। আমাদের লক্ষ্য ছিল, আমরা কারও কাছে হাত পেতে চলব না। নিজের ফসল নিজে উৎপাদন করব। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সবসময় বলতেন, ‘আমরা কারও কাছে ভিক্ষা চাইব না, কারণ ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। আমরা মানসম্মান নিয়েই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চাই।’ সেই আদর্শে আমরা দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি। অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ১৮ থেকে ২২ এপ্রিল দেশব্যাপী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে ১৮ ও ১৯ এপ্রিল দুই দিন প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া দেশব্যাপী ৬৪টি জেলার ৪৬৬টি উপজেলায় এই প্রদর্শনী একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। এসব প্রদর্শনীতে স্ব স্ব উপজেলা থেকে উন্নত জাতের এবং অধিক উৎপাদনশীল জাতের গবাদিপশু যেমন- গাভী, বাছুর, ষাঁড়, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, মুরগি, হাঁস, দুম্বা, কবুতর, সৌখিন পাখি, পোষা প্রাণী এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রদর্শন ইত্যাদি স্থান পাবে।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫৯

দৌলতদিয়ায় কর্মস্থলগামী মানুষের চাপ, নেই ভোগান্তি
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ও পহেলা বৈশাখ উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ।  দৌলতদিয়া ঘাটে সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল থেকেই থেমে থেমে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে ঘাটে কোনো দুর্ভোগ ও যানজট নেই। ফেরি পারের অপেক্ষায় ভোগান্তিও নেই। ফলে যাত্রীবাহী যানবাহনগুলোর ফেরি পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ বাড়লেও কোনও প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই সবাই পার হতে পারছেন। পর্যাপ্ত ফেরি ও লঞ্চ থাকায় ঘাটে কোনও যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে না। মানুষ দুর্ভোগ ছাড়াই কর্মস্থলে ফিরতে পারছেন। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের চাপও কিছুটা বাড়ছে।’ সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সোমবার সকাল থেকে ফেরিঘাটে যাত্রীবাহী বাসের চাপ তেমন না থাকলেও ছোট গাড়ি ও মোটরসাইকেলের চাপ ছিল চোখে পড়ার মতো। এ ছাড়া লঞ্চেও পদ্মা নদী পাড়ি দিচ্ছেন কর্মস্থলমুখীরা। যা ছিল চোখে পড়ার মতো। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়ছে। এ দিকে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল ৬টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত মোট ২৪ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া ঘাট পদ্মা নদী পার হয়েছে ৩ হাজার ৯৪৪টি যানবাহন।  এর মধ্যে বাস-মিনিবাস রয়েছে ৫২১টি, পণ্যবাহী ট্রাক ২৯২টি, ছোট ও মাঝারি গাড়ি এক হাজার ৬১৭টি ও মোটরসাইকেল এক হাজার ৫১৪টি। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট-বড় ১৮ ফেরি চলাচল করছে। এ ছাড়াও ২০টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৪

মানুষের সেবা করাই হোক নতুন বছরের অঙ্গীকার : জয়
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ শুভেচ্ছা জানান তিনি। জয় লিখেছেন, সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা। সকল প্রকার ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে থেকে মানুষের সেবা করাই হোক নতুন বছরে আমাদের অঙ্গীকার। এদিকে, এক ভিডিও বার্তায় দেশবাসীকে ‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩১’-এর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আসুন, নতুন বছরে অতীতের সকল ব্যর্থতা-দুঃখ-গ্লানি পিছনে ফেলে সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করি। শেখ হাসিনা আরও বলেন, বর্ষ পরিক্রমায় আবারও আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে নতুন বছর। আপনারা যারা দেশে-বিদেশে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের সকল ভাই-বোনকে জানাই বঙ্গাব্দ ১৪৩১-এর শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ। কবি সুফিয়া কামালের ভাষায় উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন- ‘পুরাতন গত হোক! যবনিকা করি উন্মোচন তুমি এসো হে নবীন! হে বৈশাখ! নববর্ষ! এসো হে নতুন।’ শুভ নববর্ষ।  
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫২

‘বাউন্ডুলে মানুষের সন্তানের খবর নেওয়ার দরকার আছে নাকি’
সিনেমা করতে গিয়ে প্রেম এরপর হুট করেই বিয়ে করে বসেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকা পরীমণি ও চিত্রনায়ক শরিফুল রাজ। এই দম্পতির একমাত্র সন্তান শাহীম মুহম্মদ পূর্ণ। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর পরীমণির কাছেই বেড়ে উঠছে পূর্ণ। মা হিসেবে ছেলের প্রতি সব দায়িত্বই পালন করছেন পরী।  অন্যদিকে ছেলের পাশে দেখা যায় না বাবা শরিফুল রাজকে। পরীর অভিযোগ, সন্তানের কোনো খোঁজ নেন না এই নায়ক। এমনকি ঈদের দিনেও ছেলেকে দেখতে যাননি রাজ। গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন এই অভিনেতা নিজেই।  ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে রাজের তিনটি সিনেমা। ছবি তিনটি হলো ‘কাজলরেখা’, ‘ওমর’ ও ‘দেয়ালের দেশ’। সিনেমার মুক্তিকে কেন্দ্র করেই গণমাধ্যমে কথা বলেছেন রাজ। সেখানে জানিয়েছেন, ঈদের দিন ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ছেলের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তিনি।  এ বিষয়ে রাজ বলেন, ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দেখা করা সম্ভব হয়নি। অস্বীকার করার উপায় নেই, বিচ্ছেদের পর আমার আর পরীর মধ্যে সম্পর্কটা স্বাভাবিক জায়গায় নেই। বিষয়টি এমন একটি জায়গা এখন, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে হবে। এ ব্যাপারে আমার আইনজীবী সেভাবে আমাকে নির্দেশনা দেবেন, সেভাবেই আমাকে চলতে হবে। তবে এখন পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে আছে আমার সন্তান। সে হাসিখুশিতে সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠছে। এটাই আমার সন্তানের জন্য দরকার ছিল। সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন। এবারের ঈদ নিজের গ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাটিয়েছেন রাজ। সেখানেই মেতেছেন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায়। অভিনেতা বলেন, ‘চাঁদরাতেই এখানে এসেছি। অনেক দিন পর এলাম। বন্ধুদের অনেকে ঢাকায় থাকে, তারাও ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসেছে। এখন সবাই একসঙ্গে আছি আমরা। স্কুলবন্ধুদের সঙ্গে দারুণ সময় কাটছে।’ অন্যদিকে ঈদের দিন ছেলেকে নিয়েই কাটিয়েছেন পরীমণি। বাবা হিসেবে রাজ কোনো খোঁজ নিয়েছেন কি না ছেলের, এমন প্রশ্নে এই নায়িকা বলেন— ‘একজন বাউন্ডুলে মানুষের সন্তানের খবর নেওয়ার দরকার আছে নাকি? আর আসলেও কি আমি দেখতে দেব? সন্তানের ঈদ উপহারের বিষয়টি সে বুঝে কি না, সেটাও একটা ব্যাপার।’
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪১

ঈদে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জয়ের
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই শুভেচ্ছা জানান। জয় লিখেছেন, সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। আজকের দিনটি সবার জন্য হোক আনন্দ ও উৎসবের। ঈদ বার্তা বয়ে আনুক শান্তি ও সম্প্রীতির। আনন্দ উদযাপনের পাশাপাশি আজকের দিনে সুবিধাবঞ্চিত সব শ্রেণীর মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি সবাই, এটাই ইসলামের শিক্ষা। ঈদ মোবারক! এদিকে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গভবনের কর্মকর্তারা জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এবার ১৫০০ জনকে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ, বিচারক, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি। অন্যদিকে গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে দেশে-বিদেশে সবাইকে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ঈদে সবার জীবনে সুখ শান্তি নেমে আসুক, অনাবিল আনন্দ বয়ে যাক এ কামনা করি। গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ছোটবোন শেখ রেহানা ও দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৭

দৌলতদিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ কম
আর একদিন পরই পবিত্র ঈদুল ফিতর। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে শেষ মুহূর্তে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। কিন্তু পদ্মা সেতুতে ট্রেন ও অসংখ্য পরিবহন চলছে বলে ঢাকার অধিকাংশ মানুষ সেপথেই যাত্রা করছে। ফলে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে ঘরে ফেরা মানুষের ভিড় কম লক্ষ্য করা গেছে। চাপ কম থাকায় ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ পাটুরিয়া থেকে লঞ্চে ও ফেরিতে পার হয়ে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্তে আসছেন।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। তবে সরেজমিনে দেখা যায়, গত কয়েক দিনের তুলনায় দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ঘরমুখো মানুষের চাপ কিছুটা বেড়েছে। পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরি ও লঞ্চে যাত্রীদের ভিড় ছিল। যাত্রীরা ফেরি ও লঞ্চ থেকে দৌলতদিয়া বাস টার্মিনালে এসে বিভিন্ন যানবাহনে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছে। ঘাট এলাকায় যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ফায়ার সার্ভিস, নৌপুলিশ, গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশসহ পরিবহন মালিকদের স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে। ঘাট এলাকায় যাত্রীদের সুবিধার্থে বাস কাউন্টারগুলোতে ভাড়ার চার্ট টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাস মালিকরা যাতে যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক কাজ করছে। এ ছাড়াও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘাট এলাকায় সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে। ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সুমী। ঈদ করতে নাড়ির টানে কুষ্টিয়া নিজ বাড়িতে যাচ্ছেন তিনি। ফেরিতে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় আসলে কথা হয় তার সঙ্গে।  তিনি বলেন, ঈদযাত্রায় এবার কোনো ভোগান্তি নেই। ভিড় থাকলেও পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় যাত্রীদের অসুবিধা হচ্ছে না। ঈদে চাপ একটু থাকে। পাটুরিয়া থেকে লঞ্চে দৌলতদিয়া ঘাটে আসা কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রীদের চাপ এবার খুবই কম। বেশির ভাগ যাত্রী পদ্মা সেতু ব্যবহার করছে। ফলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট ব্যবহারকারীদের এবার ভোগান্তি কম। আমি পরিবার নিয়ে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি। দৌলতদিয়া পর্যন্ত আসতে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়নি। ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও ফাঁকা ছিল। বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাটের সার্বিক পরিস্থিতি বলতে গেলে যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি নেই। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে আমাদের সক্ষমতা অনেক। কিন্তু সেই তুলনায় যানবাহন ও যাত্রী নেই। ঈদের আগে দৌলতদিয়াতে যাত্রীর চাপ বাড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সম্ভাবনা কম। কারণ, বেশির ভাগ যানবাহন ও যাত্রী পদ্মা সেতু ব্যবহার করছে। রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যাত্রীরা এবার স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদ করতে বাড়িতে যেতে পারছেন।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৪

কমলাপুরে ঘরমুখো মানুষের চাপ
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা। নাড়ির টানে বাড়ির পথে মানুষ। বাস, লঞ্চ টার্মিনালের মতো কমলাপুর রেলস্টেশনেও বেড়েছে চাপ। এতে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে কমলাপুর রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ভোর থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছাদভর্তি যাত্রী নিয়েই রওনা করছে ট্রেন। ঈদে ঘরমুখো মানুষের এ চাপকে স্বাভাবিক বলছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। মানুষের চাপের কারণে কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। তবে আগের মতো ট্রেন দেরিতে ছাড়া, ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকার অভিযোগ নেই যাত্রীদের। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঈদে বাড়ি ফেরার তাগিদে সকাল থেকে স্টেশন ভিড় করছেন যাত্রীরা। অনেকের ট্রেনের সময় হয়নি, কিন্তু আগেই চলে এসেছেন। অনেকে টিকিট পাননি, কিন্তু এসেছেন কোনোভাবে যাওয়া যায় কি না। টিকিট কাউন্টারের সামনেও কিছু লোকের জটলা চোখে পড়েছে। এ ছাড়া ভোর থেকে কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া ময়মনসিংহ-জামালপুর আর উত্তরবঙ্গের সব ট্রেনেই ছিল উপচে পড়া ভিড়। ট্রেনের ভেতর গাদাগাদি করেই উঠছে ঘরে ফেরা মানুষেরা। বাড়ি ফিরতে মরিয়া যাত্রীরা ট্রেনের সিট না পেয়ে উঠেছেন ছাদে। তীব্র গরমেও ভোগান্তি বেড়েছে কয়েক গুণ। তবে স্বস্তির খবর প্রতিটি ট্রেন কমলাপুর থেকে শিডিউল মেনে সঠিক সময়ে ছাড়ছে। ভোগান্তি থাকলেও যথাসময়ে ট্রেন যাত্রা করায় স্বস্তির কথা জানিয়েছে কেউ কেউ। রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী মারিয়া বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন পাওয়া ঈদের আগে যেন বাড়তি আনন্দ। সময়মতোই পরিবারের কাছে যেতে পারবো, এই ভেবে বাকি কষ্ট, কষ্টই মনে হচ্ছে না। সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী আজাদ হোসেন বলেন, অনলাইনে টিকিট কাটায় কোনো ভোগান্তি হয়নি। আর এখানে এসে মানুষের চাপের কারণে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তবে এটি ঈদে স্বাভাবিক পরিস্থিতি। আমরা এতে অভ্যস্ত। সুবর্ণ এক্সপ্রেসের যাত্রী ফারিন বলেন, অনলাইনে টিকিট কাটায় কোনো ভোগান্তি হয়নি। আর এখানে এসে মানুষের চাপের কারণে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তবে এটি ঈদে স্বাভাবিক পরিস্থিতি। আমরা এতে অভ্যস্ত। নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন পাওয়া ঈদের আগে যেন বাড়তি আনন্দ। সময়মতোই পরিবারের কাছে যেতে পারবো, এই ভেবে বাকি কষ্ট, কষ্টই মনে হচ্ছে না। এ বিষয়ে কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ১৭টি ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে কমলাপুর ছেড়েছে। আজ সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়লেও সবগুলো ট্রেন যথাসময়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে। যাত্রী সাধারণের কোনো অভিযোগ-আপত্তি নেই। দিনের বাকি সময়ও নিরাপদ যাত্রা হবে বলে আশা করছি।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২১

‘আমার স্ট্রাইক রেট নিয়ে মানুষের এত সমস্যা কেন’
ব্যাট হাতে প্রতিটি ফরম্যাটেই নিয়মিত রান করেন পাকিস্তানি তারকা ব্যাটার বাবর আজম। তবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের সঙ্গে বাবর আজমের স্ট্রাইক রেট নিয়ে বাবর অভিযোগ উঠছে। এবার নিজের স্ট্রাইক রেট নিয়ে কথা বলেছেন এই ডান হাতি ব্যাটার। বাবর বলেন, ইনিংসের শুরুতে উইকেট হারালে মেরে খেলা কঠিন। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে মুক্তভাবে খেলাও সম্ভব হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত বাবর ম্যাচ খেলেছেন ২৯০টি। ব্যাট করেছেন প্রায় ১৩০ স্ট্রাইক রেটে। তিনি বলেন, আমি শুধু দলের জয়ের কথাই ভাবি। কীভাবে ইনিংসটাকে গড়ে তুললাম, সেটা ভাবি। স্ট্রাইক রেট ব্যাপারটা ভিন্ন গল্প। ইনিংস গড়া আর ম্যাচ জেতানো দুইটি ভিন্ন বিষয়।  ‘আমি ক্রিকেট খেলতে জানি। আমি জানি, বাড়তি কী যোগ করতে হবে, স্টাইলে কী সংযোজন করতে হবে। এখানে পরিস্থিতিটাই আসল। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে তো আমি মুক্তভাবেই খেলব।’ তিনি আরও বলেন, ২০০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করলেও অনেকে প্রশ্ন তুলবে। হাতে উইকেট থাকলে ২০০ স্ট্রাইক রেটেও খেলা যায়। আমি বুঝি না, আমার স্ট্রাইক রেট নিয়ে মানুষের কেন এত সমস্যা। তারা বলবে ১৫০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করা উচিত।  ‘এরপর আমি যদি ১৭০-এ ব্যাট করি, তখন বলবে ২০০ স্ট্রাইক রেটে খেলা উচিত। প্রত্যেকের খেলার নিজস্ব স্টাইল আছে, আমি অন্য কারো সঙ্গে নিজেকে তুলনা করতে পছন্দ করি না।’  
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৫

কমলাপুর স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের চাপ, অতিরিক্ত নিরাপত্তা
ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা। নাড়ির টানে বাড়ির পথে মানুষ। টার্মিনাল ও মহাসড়কে বেড়েছে ভিড়। ঈদযাত্রার ৬ষ্ঠ দিনে সকাল থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে প্রচণ্ড যাত্রীর চাপ লক্ষ্য করা গেছে। স্টেশনে বিশৃঙ্খলা এড়াতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষ। সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকেই কমলাপুর স্টেশনে দেখা যায়, চেকিংয়ের আওতায় এসে শত শত মানুষ স্টেশনে প্রবেশ করছেন। সবার সঙ্গেই রয়েছে ট্রেন যাত্রার টিকিট। ব্যাগ-ট্রলি নিয়ে নির্ধারিত ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন তারা। ট্রেন এলেই দ্রুত উঠে পড়ছেন ঘরমুখী এসব মানুষ। তবে কারও কাছে টিকিট না থাকলে তাকে ফেরত পাঠাচ্ছেন পুলিশ ও স্কাউটসের কর্মীরা। রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পুরো বিষয়টি স্টেশনে দাঁড়িয়ে তদারকি করছেন। এদিকে অতিরিক্ত যাত্রীচাপ সামাল দিতে ট্রেন না বাড়ালে কোচ যুক্ত করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এখন পর্যন্ত ঈদযাত্রার ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় না থাকায় অভিযোগ নেই যাত্রীদের।   সকাল ৬টা থেকে ঢাকা (কমলাপুর) রেলস্টেশন থেকে সকাল সাড়ে পর্যন্ত ছেড়ে গেছে ২০টি ট্রেন। সোমবার (৮ এপ্রিল) আন্তঃনগর ৪২, লোকাল-কমিউটার ২৫টি ট্রেন ও ২টি স্পেশাল ট্রেন ঢাকা অঞ্চলের তিন স্টেশন থেকে ছেড়ে যাবে। ঢাকা রেলস্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আজ দু-একটি ট্রেন কিছু সময়ের জন্য দেরি হচ্ছে কিন্তু কোনো শিডিউল বিপর্যয় কিংবা ট্রেন বিলম্বের ঘটনা ঘটেনি। সকাল থেকে এ পর্যন্ত ২০টি ট্রেন যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। তিনি বলেন, সাড়ে ১০টায় কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস, বেলা সাড়ে ১১টায় তারাকান্দির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস এবং বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস। এবার ঈদে যাত্রীচাপ সামাল দিতে কমলাপুর স্টেশনে প্রবেশের জন্য করা হয়েছে আলাদা গেট। বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করা এসব অস্থায়ী গেটের সামনে দায়িত্ব পালন করছেন রেলওয়ের নির্ধারিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে বসানো হয়েছে বেশ কয়েকটি সংস্থার অস্থায়ী বুথ। পুলিশ, আরএনবি, র‌্যাব সদস্যদের এসব বুথে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। আর দালালের দৌরাত্ম্য ও টিকেট কালোবাজারি না থাকায় বাড়তি যাত্রী যাওয়ার সুযোগও নেই বলে জানিয়েছেন রেল কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দেশের আকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেলে বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আর চাঁদ দেখা না গেলে বুধবার ৩০ রোজা পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে ঈদ হবে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল)।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়