• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে হুট করে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন চারজন। এ ঘটনার প্রতিবাদ এবং সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা। এটির আয়োজক ছিল টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান অ্যাসোসিয়েশন। মানববন্ধনে বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নবনির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাসের সভাপতি রাজু আলীম ও সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিনেতা জয় চৌধুরী, শিবা শানু ও আলেকজান্ডার বো-কে সমিতির সদস্যপদ বাতিলসহ অন্যান্য শাস্তি নেওয়ার দাবি করেন। বক্তরা বলেন, সাংবাদিকরা নানা ক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদেরকে আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন? এদিকে ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশজনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে রাহাত সাইফুল, লিমন আহমেদ, আহমেদ তাওকীর, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানা শাহ, রুবেল, রত্না।
২১ ঘণ্টা আগে

গ্লোব শপিং সেন্টারের ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন
রাজধানীর ঢাকা কলেজের সামনে অবস্থিত গ্লোব শপিং সেন্টারের ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানের মালিকানা হস্তান্তর, রেজিস্ট্রেশনসহ বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেলে গ্লোব শপিং সেন্টারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ব্যবসায়ীরা জমির মালিক ও ডেভেলপার কোম্পানি গ্লোব কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের চলমান বিরোধ অবিলম্বে নিরসনের দাবি জানান। মানববন্ধনে গ্লোব শপিং সেন্টারের ব্যবসায়ী ও মার্কেট কমিটির সাবেক সেক্রেটারি আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরেই আমরা অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। গ্লোব কনস্ট্রাকশন আমাদের দোকানের মালিকানা রেজিস্ট্রি করে দিচ্ছে না। ভবনটিকে তারা নির্মাণাধীন দেখিয়ে প্রায় ২০ বছর ধরে দোকানের রেজিস্ট্রেশন ঝুলিয়ে রেখেছে। রেজিস্ট্রি করার দাবি জানালে আমাদের উচ্ছেদের হুমকি দিচ্ছি। এমনকি আমাদের ওপর একাধিকবার সন্ত্রাসী হামলাও হয়েছে। এ সময় মার্কেটের অন্যতম ব্যবসায়ী সাইদুল আলম বলেন, গ্লোব শপিং সেন্টারের জমির মালিক খ্যাতিমান ফটোসাংবাদিক প্রয়াত জহিরুল হক। তার মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে সন্তানেরা জমির মালিকানা পেয়েছে। ১৯৯৯ সালে গ্লোব কনস্ট্রাকশন লিমিটেডে সঙ্গে মার্কেট নির্মাণের চুক্তি হলেও অদ্যাবধি তারা ভূমি মালিকদের পাওনা বুঝিয়ে দেয়নি। জমির মালিক ও ডেভেলপার কোম্পানির বিরোধে ভুক্তভোগী হচ্ছে নিরীহ ব্যবসায়ীরা। অবিলম্বে আমরা এই বিরোধের অবসান চাই।    
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৫

জাবিতে শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ছয় হাজার টাকা ‘শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি’ আদায়ের প্রতিবাদে ও ফি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আহসান লাবিবের সঞ্চালনায় বক্তারা শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি আদায়কে ‘অন্যায্য’ উল্লেখ করে অবিলম্বে এ ফি বাতিলের দাবি জানান। মানববন্ধনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সংগঠক সোহাগী সামিয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দিনের পর দিন লাইটিং করে অর্থ অপচয় করতে দ্বিধাবোধ করে না। কিন্তু শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্য তাদের পকেট থেকে টাকা নিতে চায়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হলো গরিব-দুঃখী মেহনতি মানুষদের আশ্রয়স্থল। খেটে খাওয়া মানুষের সন্তানরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। এখন এ প্রতিষ্ঠানগুলো যদি দিনের পর দিন খরচ বাড়াতে চায় তাহলে তারা কোথায় যাবে। ‘টাকা যার শিক্ষা তার’- এ নীতি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে না আসলে শিক্ষার্থীরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ইমন বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর অন্যায়ভাবে ছয় হাজার টাকার দায় চাপানো হয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ ‘অ্যামাউন্ট’ হয়তো খুব বেশি না। কিন্তু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর খুব কম অ্যাফোর্ডেবল ফি দিয়ে ভর্তি হয়ে আসছিলো। পরবর্তীতে বিভাগ উন্নয়ন ফি চালু করা হলেও ছাত্রদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বাদ দেওয়া হয়। এখন আবার নতুন করে শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি হিসেবে তা চাপানো হয়েছে। আমরা একে অন্যায্য বলে দাবি করছি। অনতিবিলম্বে এ ফি না কমালে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবো। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে ফি আদায়ের প্রবণতা বাদ দিতে হবে। বিভিন্ন বিভাগে উইকেন্ড কোর্স চালু আছে। বিভাগগুলো বলছে, এ টাকা যথেষ্ট নয়। তাদের অর্থসংকটের অতিরিক্ত টাকা কি শিক্ষার্থীরা বহন করবে? পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য হচ্ছে সর্বস্তরের সবার জন্য উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করা। পাবলিক ফান্ড ট্যাক্স বা ইউজিসি থেকে অন্য কোনোভাবে এ টাকা সমন্বয় করতে হবে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ টাকা নেওয়া যাবেনা। ছাত্রদের কাছ থেকে টাকা নিলে এ বিশ্ববিদ্যালয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এ বিশ্ববিদ্যালয় স্বার্থকতা হারাবে। কালকে থেকে ভর্তি শুরু হবে, অসংখ্য ছাত্রদের ওপর অন্যায্য অর্থনৈতিক চাপ আসবে। এটা কোনোভাবেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে কাম্য নয়। আমরা সকল শিক্ষার্থীকে এ যৌক্তিক দাবিতে সংযুক্ত হওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৪

৪ দফা দাবিতে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন
চার দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়ন। রবিবার (২১ এপ্রিল) বেলা ১১ টার দিকে পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। মানববন্ধন শেষে পাবনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চার দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন শ্রমিকরা। শ্রমিকদের দাবি গুলো হলো- বঙ্গবন্ধুর আমলে বিড়ি শিল্পে কোন শুল্ক ছিল না, তাই আগামী বাজেটে বিড়ির শুল্ক প্রত্যাহার করা, অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার, বিদেশী কোম্পানির নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধ এবং বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি করা। মানববন্ধনে বিড়ি শ্রমিকরা বলেন, বিড়ি শিল্প দেশের প্রাচীন শ্রমঘন একটি শিল্প। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই শিল্পের দ্বার উন্মোচিত হয়েছিল। তিনি এই শ্রমঘন শিল্পটি শুল্ক মুক্ত ঘোষণা করেছিলেন। পাবনা অঞ্চলসহ সারাদেশের ১৮ লক্ষ হতদরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা, শারীরিক বিকলাঙ্গ শ্রমিক বিড়ি কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। বিড়ি শ্রমিকদের দুর্দশা লাঘবের জন্য এবং তাদের কর্ম রক্ষার্থে সংসদের বাজেট বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলেছিলেন, বিড়ি উপর কর কমিয়ে সিগারেটের উপর একটু বেশি কর বাড়িয়ে দিতে হবে। সুতরাং বঙ্গবন্ধুর সময়ের মত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলেও বিড়ি শিল্পের উপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করার আহবান জানাচ্ছি। একইসাথে বিড়ি দেশীয় শ্রমিক নির্ভর শিল্প হিসেবে এই শিল্পের উপর থেকে অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি। শ্রমিকরা আরো বলেন, বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানি ও দেশের কিছু এনজিও এই শিল্পকে ধ্বংস করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বর্তমানে নিম্নস্তরের সিগারেট টোব্যাকো মার্কেটের ৭৫ শতাংশ দখল করে আছে। সুতরাং দেশীয় শ্রমঘন বিড়ি শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষার্থে এই দেশে বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানির নিম্নস্তরের সিগারেট উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। এছাড়া বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি করতে হবে। পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি হারিক হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন, সহ-সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন, পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শামীম ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর, আবুল হাসনাত লাভলু, আনোয়ার হোসেন, রাণী খাতুন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান, পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আলম হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক দুলাল মোল্ল্যা, সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল শেখ, কোষাধ্যক্ষ টোকন রায়, শ্রম সম্পাদক চামেলি খাতুনসহ অনেকে।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৬

ইন্টার্ন চিকিৎসককে যৌন হয়রানি, শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের পোশাক পরিবর্তনের গোপনে ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেল করে যৌন হয়রানি করার প্রতিবাদে ও গ্রেপ্তার আসামিদের দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।  বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে হাসপাতাল চত্বরে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও জেনারেল হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন করে৷  আন্দোলনরত চিকিৎসকরা জানায়, গত ৬ এপ্রিল হাসপাতালে দায়িত্ব শেষে কোয়াটারে গিয়ে এক ইন্টার্ন চিকিৎসক পোশাক পরিবর্তন করার সময় নার্সদের কোয়াটারের ছাদ থেকে নাইমুর রহমান, ইমরুল হাসান, জাকারিয়া হোসেন বেনজির ও আরাফাত হোসেন ভিডিও ধারণ করে। পরে সেই ভিডিও নারী চিকিৎসকের কাছে পাঠিয়ে দেড় লাখ টাকা দাবি করে ও কুপ্রস্তাব দেয়। সেই প্রস্তাবে রাজি না হলে ভাইরাল করা হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় মামলার পর গত ১০ এপ্রিল চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।  ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. জাকারিয়া জাকি বলেন, মামলার পর থেকে অভিযুক্ত পরিবার ও প্রভাবশালীরা মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদান করে। এ অবস্থায় ভুক্তভোগীর পরিবার ভয়ে দিন পার করছে। গ্রেপ্তার আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞেসাবাদ ও দৃষ্টান্ত শাস্তিসহ ভুক্তভোগীর জীবনের নিরাপত্তার দাবি করছি। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির দেওয়া হয়।  আরেক ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. মোহনা দেব তৃষা বলেন, দেখুন হাসপাতালে এতো ভিড়ের মধ্যে আমরা চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকি। কোয়াটারে থেকেও আমরা নারী চিকিৎসকরা নিরাপদ না। এ বিষয়ে নানা ধরনের হুমকি আসছে। আসামিরা ছাড়া পেয়ে গেলে ভুক্তভোগীসহ যারা আছি তাদেরকে দেখে নেওয়ার কথাও শুনেছি। তারা যেনো জামিন না পায় ও তাদের রিমান্ডে এনে আরও কারো কাছে ভিডিও রয়েছে কি না তা তদন্তের দাবি জানাই। 
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪৪

নওগাঁয় প্রমি রানী সাহা হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ডঙ্গাপাড়া গ্রামের প্রমি রানী সাহাকে হত্যার প্রতিবাদে খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে তার পরিবার। রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে মুক্তির মোড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় মানববন্ধনে প্রমি রানীর পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের মেয়ে প্রমি রানী সাহাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে হত্যা করার পর গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করার নাটক সাজানো হয়েছে তারা আরও বলেন, প্রমি রানী সাহার স্বামী স্বপন সরকার ও তার পরিবারের লোকজন এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। হত্যারহস্য উদঘাটন করে খুনিদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার অনুরোধ জানান প্রমি রানীর পরিবারের সদস্যরা।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৮

চাকরি স্থায়ীর দাবিতে বিআইডব্লিউটিসির অস্থায়ী কর্মচারীদের মানববন্ধন 
নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করে চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের কর্মরত অস্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারীরা। একই সঙ্গে মজুরী বৃদ্ধির দাবি জানান তারা। রাজধানীর বাংলামোটরে প্রতিষ্ঠানটির সামনের সড়কে ‘বিআইডব্লিউটিসির অস্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারীবৃন্দের’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা। বর্তমানে তারা ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা হারে বেতনে কাজ করছেন। দাবি আদায় না হলে আগামী ঈদুল ফিতরের পর বিক্ষোভ সমাবেশ, কর্মবিরতি ও আমরণ অনশনের মতো কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শ্রমিকরা।  মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিআইডব্লিউটিসিতে দীর্ঘদিন ধরে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির বিভিন্ন পদে প্রায় ৬০০ শ্রমিক ও কর্মচারী নিরলস অস্থায়ীভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু ২০১১ সাল থেকে আমাদের স্থায়ী করণ না করে বারবার পত্রপত্রিকাতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাপিয়ে স্থায়ীভাবে লোকবল নিযুক্ত করা হয়েছে। যেখানে ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক আদেশ জারি আছে, অভিজ্ঞ ও দীর্ঘ মেয়াদে চাকরিরতদের অগ্রাধিকার দিয়ে তারপর শূন্য পদে বাহির থেকে লোকবল নিযুক্ত করা যাবে। সেই ভিত্তিতে ২০০৬ সালে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণি পদে প্রায় ৪২৫ জনকে বোর্ড-বাই সার্কুলেশনের মাধ্যমে স্থায়ী করা হয়। বক্তারা আরও বলেন, বর্তমানে আমাদের ভিন্ন ভিন্ন বহুপদ শূন্য থাকা সত্ত্বেও পত্রিকাতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে লোকবল নিযুক্তির মতো ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এটি বার বার করে আসছে শুধু বিআইডব্লিউটিসি’র কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাদের নিজ নিজ স্বার্থ হাসিল করার জন্য। বর্তমানে আমাদের বিকাশের মাধ্যমে বেতন দেওয়া হয় যেখানে আমাদের প্রতিমাসে বেতন পেতে মাসের প্রায় ১০ তারিখ থেকে ২০ তারিখ লেগে যায়। বক্তারা আরও বলেন, আমরা বর্তমানে দৈনিক মাত্র ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা হারে বেতনে পরিবার পরিজন নিয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছি। বর্ধিত বাসা ভাড়া, বর্ধিত দ্রব্যমূল্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় মৌলিক চাহিদার সবকটি সেক্টরে মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমরা আমাদের পরিবারের মুখে দু’বেলা ভাতের যোগানটুকু দিতে পারছি না। অন্যদিকে আমাদের স্থায়ী না করে নিজেদের পকেট ভারী করার জন্য জনপ্রতি ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছে। অস্থায়ী পদে নিযুক্তির সময়েও লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এমতাবস্থায় আমাদের স্থায়ী না করে বরং এখন নতুন করে বিভিন্ন পদে স্থায়ীভাবে লোকবল নিযুক্তির মাধ্যমে আমাদের সমস্ত অস্থায়ীদের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। আমাদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। এ সময় তারা প্রকাশিত নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলসহ সংস্থার অস্থায়ী ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারীদের পর্ষদ সভার মাধ্যমে চাকরি স্থায়ী করা না হলে আগামী ঈদুল ফিতরের পর বিক্ষোভ সমাবেশ, কর্মবিরতি ও আমরণ অনশনের মতো কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৬

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতির দাবিতে শাবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন
বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি চালু ও বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির আবাসিক হলে সিট ফিরিয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সভাপতি মো. খলিলুর রহমান। খলিলুর রহমান বলেন, বুয়েটে আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল যা আমাদেরকে ব্যথিত ও লজ্জিত করেছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কোনো অপরাধকে প্রশ্রয় দেয় না। তারই দৃষ্টান্ত আবরার হত্যার বিচার। ছাত্রলীগের যেসকল পথভ্রষ্ট নেতারা এই হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল সকলের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ছাত্ররাজনীতি বন্ধের নামে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের আস্ফালন মেনে নেওয়া হবে না। মৌলবাদী গোষ্ঠীর কালোছায়া থেকে মুক্ত করে বুয়েটের নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি ফিরিয়ে দিতে হবে। ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক, মানবাধিকার পরিপন্থী ও শিক্ষাবিরোধী সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় ইমতিয়াজ রাব্বিকে আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার করা বুয়েট প্রশাসনের অযাচিত সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে তিনি হলের সিট ফিরিয়ে দিতে আহ্বান জানান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি মামুন শাহ, নাজমুল হাসান ও রেজাউল হক সিজার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমামুল হোসেন হৃদয়, সাজ্জাদ হোসেন ও উজ্জ্বল দাশ চিনু প্রমুখ। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) সহ বিভিন্ন ক্যাম্পাসে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি চালু করার দাবিতে দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানববন্ধন পালন করে শাবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৩

সুনামগঞ্জে সড়কে ৩ হাজার গাছ কাটার প্রতিবাদে মানববন্ধন
সুনামগঞ্জ-সাচনাবাজার (জামালগঞ্জ) সড়কের ১৯ কিলোমিটার জুড়ে প্রায় তিন হাজার গাছ কাটার উদ্যোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে।  রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে সচেতন সুনামগঞ্জবাসীর ব্যানারে ওই সড়কের টুকের বাজার পয়েন্টে এ মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা সড়কের গাছ না কাটার দাবি জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রায় বক্তব্যে গাছ লাগানোর কথা বলেন। আর এরা (বনবিভাগ) তিন হাজার গাছ কাটতে ফন্দি করছে। কোনো কারণ ছাড়াই কেবল সামাজিক বনায়নের দোহাই দিয়ে বনবিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এই উদ্যোগ নিয়েছেন। এই সড়কের গাছগুলো রক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে উপকারভোগীদের সরকার থেকে ভুর্তকি দিতে হবে। তবুও গাছ কাটা যাবে না।  জেলা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার, হাওর বাঁচাও আন্দোলনের জেলা কমিটির সভাপতি ইয়াকুব বখত, জেলা সিপিবির সভাপতি অ্যাড. এনাম আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মাহবুবুল হাসান তালুকদার, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খলিল রহমান, সমাজকর্মী ওবায়দুল হক, স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ ফুজায়ের কিবরিয়া প্রমুখ। বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ-সাচনা (জামালগঞ্জ) সড়কে ২০ বছর আগে প্রায় ২০ হাজার গাছ লাগানো হয়েছিল। সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে এই গাছ রোপন করা হয়। এখন মেয়াদ শেষ হওয়ায় এসব গাছ কাটতে বনবিভাগ দরপত্র আহ্বান করেছে। এ জন্য প্রতিটি গাছের বাকল কেটে লাল কালিতে নাম্বার দেওয়া হয়েছে। অবশ্য বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সামাজিক বনায়ন বিধিমালা-২০০৪ অনুযায়ী গাছ বিক্রির টাকা উপকারভোগী ৫৫ ভাগ, বন অধিদপ্তর ১০ভাগ, ভূমির মালিক হিসেবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ২০ ভাগ, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ৫ ভাগ পাবে। বাকি ১০ভাগ টাকা রাখা হবে আবার বনায়নের জন্য। বনবিভাগের সুনামগঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মোহাম্মদ নাজমুল আলম বলেন, এই সড়কসহ বেশ কিছু জায়গার গাছ কাটার বিষয়ে দরপত্র আহবান করা হয়েছে। আগামী তিন এপ্রিল দরপত্র খোলার তারিখ। তবে গাছ কাটার বন্ধের দাবির বিষয়টি বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নজরে এসেছে। এখন আলোচনা সাপেক্ষ পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৮:১৭

পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে নওগাঁয় মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বেলা ১১টায় নওগাঁ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা শহরের মুক্তির মোড়ে এ মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সিফাত হোসেন, আরমান মন্ডল, বরকত মোল্লা, শাকিল, আরিফ, রিয়া, তামান্নাসহ অন্যান্যরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ১৯ মে থেকে শুরু হবে অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা। যেখানে রুটিনে প্রত্যেক পরীক্ষার মাঝে একদিন করে ছুটি রয়েছে। অথচ যেকোনো পরীক্ষা নিতে দেড় থেকে দুই মাস সময় বরাদ্দ থাকে। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্রুত পরীক্ষা শেষ করতে চাচ্ছে।  সেশনজট কমানোর নামে শিক্ষার্থীদের জীবন হুমকির মুখে ফেলে দিতে চায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই দ্রুত পরীক্ষার প্রকাশিত রুটিন পেছানোসহ প্রত্যেক পরীক্ষার মাঝে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ দিন করে ছুটির দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭:০১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়