• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
নওগাঁর মাঠ কাঁপাচ্ছে বাহুবলী টমেটো
দেখতে দেশীয় জাতের টমেটোর মতোই। এটি চাষাবাদে ভাগ্য বদলেছেন নওগাঁর চাষি মইনুল হক। আধুনিক মালচিং প্রযুক্তি অনুসরণ করে উৎপাদন খরচ হয়েছে কম বেড়েছে ফলনও। প্রথম দফায় মূলধনের চারগুণ বেশি লাভ করার পরও দ্বিতীয় দফায় সমপরিমাণ লাভের আশা দেখছেন কৃষক। কৃষি বিভাগের সহযোগিতা এবং কৃষকের পরিচর্যায় বেড়েছে উৎপাদন সঙ্গে পেয়েছেন মূল্য বলছেন সংশ্লিষ্টরা।  বাহুবলী টমেটো চাষ করছেন নওগাঁ সদর উপজেলার বর্ষাইল ইউনিয়নের চক-আতিথা গ্রামের চাষি মইনুল হক। অগ্রহণ মাসে ১০ শতক জমিতে আধুনিক মালচিং পদ্ধতিতে চারা রোপণ করেছিলেন বাহুবলী টমেটোর। দেড় মাসেই গাছে ফুল ও ফল আসে। বাজারে চাহিদাও বেশি। প্রথম চালানে প্রায় ৪০মণ টমেটো বিক্রি করেছেন প্রায় ৪২ হাজার টাকার। দ্বিতীয় চালানে ৫০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রির আশা করছেন তিনি। পূর্বে মিন্টু সুপার, রতন, রাজাবাবুসহ বেশ কয়েকটি জাতের টমেটো চাষ করেছেন কৃষক মইনুল হক। কিন্তু ফলন ও দাম না পাওয়ায় সেই জাতগুলো বাদ দিয়ে সদর উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে এবারই প্রথম বাহুবলী জাতের টমেটো চাষ করেন তিনি। প্রথমেই বাম্পার ফলন পেয়েছেন। কৃষক মইনুল হক জানান, সব জাতের থেকে বাহুবলী জাতের টমেটো চাষে ভাগ্য ফিরেছে তার। প্রতিমণ টমেটো ১২শ থেকে ১৪শ টাকা বিক্রি করেছেন তিনি। ১০ শতক জমিতে তার সর্বসাকুল্যে খরচ হয়েছে মাত্র ১২ হাজার টাকা। প্রথম চালানে ৪২ হাজার টাকা বিক্রি করেও দ্বিতীয় চালানে ঐ একই গাছ থেকে আরও ৫০ হাজার বিক্রির সম্ভাবনা দেখছেন তিনি। পাইকাররা মাঠে এসে তার কাছে থাকে টমেটো নিয়ে যায়। কৃষক মইনুলকে তার স্ত্রী শেলী আখতার সার্বিক সহযোগিতা করেন। গাছ থেকে টমেটো উত্তোলন বিক্রি হিসাব সংরক্ষণসহ সকল কাজে সহযোগিতা করেন।  তিনি জানান, এইবার ঈদে ফসল থেকে লাভের টাকায় বাড়ির সকলকে উপহার দেবেন। এতে করে বরাবরের তুলনায় এইবার ঈদে তাদের আনন্দটা ব্যতিক্রম হবে। বাহুবলী টমেটো তাদের পারিবারিক পরিবর্তন আনতে সহায়তা করবে। এদিকে কৃষক মইনুল হককে দেখে তার গ্রামের কৃষকরাও আগামীতে বাহুবলী টমেটো চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন। তারা বলেন, অল্প খরচে অধিক লাভ হয় বাহুবলী টমেটো চাষে। তাই তারাও তাদের জমিতে কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে বাহুবলী টমেটো চাষ করবেন। সদর উপজেলার মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বীজ, সার, কীটনাশকসহ সকল সুবিধা কৃষক মইনুলকে দেওয়া হয়েছে। তার সুফল তিনি পেয়েছেন। সার্বক্ষণিক সদর উপজেলা কৃষি বিভাগ তার পাশে ছিল এবং থাকবে। মইনুল হক বাহুবলী টমেটো অল্প খরচে যে উৎপাদন করেছেন তার লাভের ভাগ শতভাগ। তার মত অন্যান্য কৃষকদেরও বহুবলই টমেটো চাষে উদ্বুদ্ধকরণ করতে সার্বিক সহযোগিতা করবেন তারা বলে জানান। সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মুনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে মালচিং পদ্ধতিতে কৃষক মইনুল হক তার ১০ শতক জমিতে বাহুবলী টমেটো চাষে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন। সময় অনুযায়ী আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। এই বাহুবলী জাতের টমেটো বাজারে দাম বেশি। ফলে কৃষক লাভবানও হবে বেশি। উপজেলার আরও কৃষকদের বাহুবলী জাতের টমেটো চাষে মনযোগী করতে উপজেলা কৃষি বিভাগ নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে তিনি জানিয়েছেন। উৎপাদন বাড়াতে চাষাবাদেও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে উৎপাদন খরচ কম হচ্ছে বাহুবলী টমেটো চাষে। ফলে বাহুবলী টমেটো চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেক চাষিরা।  
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:১৫

বিপিএল-২০২৪ / রক্তাক্ত হয়ে মাঠ ছাড়লেন গুনাথিলাকা
টাইগার পেসার আল-আমিনের বল বুঝে উঠার আগেই সজোরে হাঁকাতে চেয়েছিলেন দুর্দান্ত ঢাকার লঙ্কান ওপেনার দানুশকা গুনাথিলাকা। পরে ইনসাইড এজে হেলমেটে লাগে বল। এরপর পড়ে ঘিরে উঠেও দাঁড়ান এই ওপেনার। তবে খেলার মতো অবস্থায় নেই তিনি। তার গাল থেকে রক্ত বের হচ্ছিল।  লঙ্কান এই ক্রিকেটার আঘাত পাওয়ার পরই মাঠে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন ঢাকার ফিজিও। তবে শেষ পর্যন্ত আর মাঠে নামা হয়নি ঢাকার ওপেনারের। তবে চাইলেই কোনো কনকাশন সাবস্টিটিউট নামাতে পারবে ঢাকা। লঙ্কান এই ওপেনার মাঠ ছেড়ে যাওয়ার পরই গতি হারিয়েছে ঢাকা। ক্রিজে এসে থিতু হতে পারেননি সাইফ হাসান। আল-আমিনের ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। উড়িয়ে মারতে গিয়ে নাজিবুল্লাহ জাদরানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই টপ-অর্ডার ব্যাটার। পরের ওভারেই ডাক খান ঢাকার দলপতি সৈকত। এরপর ফেরেন অজি ব্যাটার অ্যালেক্স রস। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০ ওভার শেষে ঢাকার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৫১ রান।  এর আগে, সোমবার দিনের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তবে একাদশে পরিবর্তন আনেনি চট্টগ্রাম। অন্যদিকে ঢাকায় অ্যালেক্স রস যুক্ত হয়েছেন।  
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৪

স্টেডিয়াম নয়, খেলার মাঠ বাড়াতে চান নতুন ক্রীড়ামন্ত্রী 
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথমদিন অফিস করেছেন নাজমুল হাসান পাপন। রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে ও বিকেলে যান জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে। সেখানে ক্রীড়াঙ্গনের সর্বস্তরে মানুষের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন নতুন ক্রীড়ামন্ত্রী। এরপর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন নাজমুল হাসান পাপর। এ সময় নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের  স্টেডিয়ামসহ যথেষ্ট পরিমাণ ক্রীড়া অবকাঠামো রয়েছে।  ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে স্টেডিয়াম এর চেয়েও আমাদের খেলার মাঠ বেশি জরুরি। যেটি আমাদের তরুণ প্রজন্মসহ সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। খেলোয়াড় সৃষ্টিতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন এর পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের উপর গুরুত্বারোপ করা হবে।’  শুধু ক্রিকেট নয়, তিনি সব ধরনের খেলার উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন বলেন তিনি। পাপন বলেন, ফুটবল ক্রিকেটসহ  অন্যান্য খেলাতেও আমাদের ভালো করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে আমাদের অগ্রাধিকার ঠিক করতে হবে। বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনগুলো, যারা আমাদের থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়ে থাকে তাদের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে।  ‘আগামী তিন বছর পর তারা কোথায় যেতে চাই,  কি অর্জন করতে চাই সেটি তাদের জানাতে হবে। আমি অল্প সময়ের মধ্যেই ইনডিভিজুয়ালি প্রতিটি ফেডারেশনের সাথে বসবো। তাদের সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা শুনবো।’  তিনি আরও বলেন, আমাদের অনেক ফেডারেশন ভালো ফলাফল করছে। আমাদের ফুটবল এগিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে নারী ফুটবলাররা ভালো করছে। ছেলেরাও উন্নতি করেছে। শুটিং, আর্চারিসহ আরও অনেকে উন্নতি করছে। ক্রিকেটের মতো অন্যান্য খেলাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সব রকমের সহযোগিতা করা হবে। এ সময়ে  দেশের যুব গোষ্ঠীর সার্বিক  উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে বলে মন্ত্রী জানান।  এদিন সকাল ৯ টায় মন্ত্রণালয়ে তার অফিস কক্ষে আসেন এবং সচিবসহ মন্ত্রণালয়ের  ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করেন নতুন ক্রীড়ামন্ত্রী। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।  পরে আনুষ্ঠানিক  সভায় যুব ও ক্রীড়ার উন্নয়নে বিভিন্ন বিষয়ে কর্মকর্তাদের বিভিন্ন  দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। সভার পূর্বে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ক্রীড়া পরিদপ্তর এর পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।  এরপর বেলা ৩ টায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সভাকক্ষে বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দসহ  ক্রীড়াঙ্গনের নানা স্তরের ব্যক্তিবর্গ ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। শুভেচ্ছা গ্রহণ শেষে বিকেলে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন নতুন মন্ত্রী।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:১০

ফুটবলের মাঠ ছেড়ে সংসার জীবনে সাফজয়ী ফুটবলকন্যা স্বপ্না
ফুটবল মাঠ ছেড়ে জীবনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন সাফজয়ী ফুটবলকন্যা সিরাত জাহান স্বপ্না। গত বছর মে মাসে হঠাৎ ছুটি নিয়ে বাফুফে ক্যাম্প ছাড়েন স্বপ্না। এরপর আর মাঠে ফেরেননি জাতীয় দলের এই তারকা খেলোয়াড়। সেই সময় থেকেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, বিয়ে করছেন তিনি, আর ফুটবলও খেলবেন না। অবশেষে সেই কথাই সত্য হলো। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিয়ের পিড়িতে বসেছেন সাফজয়ী স্বপ্না। পারিবারিকভাবে বিয়ের মাধ্যমে পূর্ব পরিচিত প্রবাসী সুবহে সাদিক মুন্নাকে সঙ্গী করে নিয়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় হবার চার বছরের মধ্যে বিয়ে করলেন তারা।  স্বপ্নার বর মুন্না সৌদি আরব প্রবাসী। তিনি ব্রাক্ষণবাড়িয়ার পায়রা চর গ্রামের সরকার বাড়ির ছেলে। প্রবাসী বাবার হাত ধরে মুন্না ৫ বছর ধরে সৌদি আরবের একটি কোম্পানিতে চাকরি করছেন। বিয়ের পর দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন ফুটবল ছেড়ে সংসার জীবনের শুরু করতে যাওয়া স্বপ্না। জাতীয় এবং বয়সভিত্তিক দলের বিভিন্ন সাফল্যের সাক্ষী স্বপ্না। এখন সংসারেও মনোযোগী হতে চান। জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা নারী ফুটবলার স্বপ্না জানান, আমাদের সম্পর্ক ৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে। কিন্তু তিনি আমাকে চিনতেন আরও আগে থেকেই। আমার খেলা সব সময় দেখতেন। আমার সম্পর্কে সব কিছুই জানতেন। কিন্তু আমি তাকে চিনতাম না। তার সঙ্গে কথা হওয়ার পরই চিনেছি। তিনি ক্রীড়া মনস্ক মানুষ। তাই পারিবারিকভাবে তাকে বিয়ে করছি। আপনারা সবাই দোয়া করবেন আমাদের জন্য। অন্যদিকে বর সুবহে সাদিক মুন্না বলেন, আমি সৌভাগ্যবান। কারণ, স্বপ্না শুধু রংপুর কিংবা উত্তরবঙ্গের গর্ব নয়, স্বপ্না আমাদের বাংলাদেশের গর্ব। তাকে সম্মানের সঙ্গে রাখব ইনশা-আল্লাহ। গেল বছর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ের পথে ৪ গোল করেন স্বপ্না। পরে ঢাকায় ফিরে মে মাসে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ক্যাম্প থেকে হঠাৎ ছুটি নিয়ে নিজ জেলা রংপুরের বাড়িতে চলে যান এই ফুটবলার। পরে ২৬ মে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফুটবলকে বিদায় জানান তিনি। প্রসঙ্গত, সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাজয়ী স্বপ্নারা তিন বোন। তার বড় দুই বোনের বিয়ে হয়েছে। স্বপ্নার বাবা মোকছার আলী একসময় বর্গাচাষী ছিলেন। আর মা লিপি বেগম অভাব অনটনের সংসারে সন্তানদের মুখে একবেলা ভাত তুলে দিতে করেছেন ধান ভাঙার কাজ। সেই কষ্টের সংসারে স্বপ্না যেন ভাঙা ঘরে চাঁদের আলো। ২০১১ সালে বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে স্বপ্নার আত্মপ্রকাশ। এরপর তার খেলায় নজর পড়ে বাফুফের। সিরাত জাহান স্বপ্না ২০১৩ সালে জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পান। ২০১৪ সালে ঢাকায় খেলেন আঞ্চলিক বাছাইপর্ব। ২০১৫ সালে নেপালে এএফসি অনূর্ধ্ব–১৪ ফুটবলের আঞ্চলিক পর্বে বাংলাদেশ শিরোপা জিতেছিল। স্বপ্না ছিলেন সে দলের সদস্য। অনূর্ধ্ব–১৬ এএফসি বাছাইয়েও খেলেছেন ২০১৬ সালে। সে বছরই শিলং–গুয়াহাটি এসএ গেমসে জাতীয় নারী দলের জার্সি পরেন। সেই থেকে জাতীয় দলে খেলেছেন। ২০১৭ সালে নারী সাফে ৫ গোল করেছিলেন। ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব–১৮ নারী সাফে ৮ গোল করেছিলেন তিনি। সবশেষ সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে ৪ গোল করে দেশের জয়ে ভূমিকা রেখেছেন স্বপ্না। এই চার গোলের মধ্যে দুটিই ছিল ভারতের জালে।
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৫

শেষ সময়ে ভোটের মাঠ ছাড়ছেন স্বতন্ত্র-জাপার প্রার্থীরা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি। আর মাত্র একদিন পরই নির্বাচন। নির্বাচনি প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন অর্ধশতাধিক প্রার্থী। এদের অধিকাংশ জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী। শুধু জাতীয় পার্টির নয়, ভোটের মাঠ ছাড়ছেন বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও। জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের অনেকে ভোটের মাঠ থেকে সরে যাওয়ার কারণ হিসেবে দলের হাইকমান্ডের বিরুদ্ধে প্রতারণাসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন। তারা বলেছেন, জাতীয় পার্টির এককভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা থাকলেও ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে কিছু আসনের সমঝোতা করে বাকি প্রার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। কেউ কেউ নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার কারণ হিসেবে আর্থিক সংকট, কেউ পারিবারিক নানা সমস্যার কথা বলেছেন। কেউ কেউ আবার অন্য প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচনের মাঠ ছেড়েছেন। জাতীয় পার্টির চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সোহরাব হোসেন ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের  জাতীয় পার্টির রবিউল ইসলাম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। দুই নেতাই বলেছেন অর্থসংকটের কথা। পাশাপাশি ক্ষোভ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের কর্মকাণ্ডে। দিনাজপুর-২ আসনে ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মো. মাহবুব আলম। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সন্দিহান বলে জানান তিনি। তাইতো নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে গেছেন নাটোর-৪ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও দলের জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মৃধা। ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি, অন্যান্য আসনে জেলা জাতীয় পার্টির মতের বাইরে ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ তার। নানা বিষয়ে দলের হাইকমান্ডের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন। ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন গাইবান্ধা-৫ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতাউর রহমান সরকার। তিনি নির্বাচনি ক্যাম্প আগুনে পোড়ানো, কর্মীদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর, প্রশাসনের অসহযোগিতা, কর্মীদের মারধর ও হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের প্রতি জনগণের আগ্রহ নেই দাবি করে নির্বাচন থেকে সরে গেলেন যশোর-৫ (মনিরামপুর উপজেলা) আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এ হালিম। বরিশাল-২ ও বরিশাল-৫ আসনে ভোটের মাঠ থেকে সরে গেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস। তিনি দলের শীর্ষ নেতাদের দায়ী করে বলেন, আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ২৬টি আসন দিচ্ছে। তাহলে বাকি আসনে পার্টির মনোনীত প্রার্থীদের নির্বাচন করে লাভ কী? তিনি দাবি করেন, তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এ কারণেই নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছেন। বরগুনা-১ আসনের জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী খলিলুর রহমান বলেন, ২৬টি আসন নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সমঝোতা করায় এখন আমরা ভোটারদের সামনে যেতে পারছি না। ভোটাররা আমাদের বিশ্বাস করেন না। তাই ভোটের মাঠ ছেড়েছি। ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত প্রার্থী ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ। তিনি বলেন, নির্বাচন সাজানো এবং ভাগাভাগির নির্বাচন। একপেশে, টাকার খেলার সহিংস নির্বাচন। প্রতিপক্ষ আমাকে মাঠে থাকতে দিচ্ছে না। প্রশাসনও কোনও সহযোগিতা করছে না। তাই বিবেকের তাড়নায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম। নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া টাঙ্গাইল-৭ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনে এনেছিল তারা তাদের সে কথা রাখেনি। এখানে নির্বাচনের পরিবেশ নেই। গাজীপুর-১ ও ৫ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন বলেন, মূলত আমি আর পারছি না, তাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।সরকারের একতরফা নির্বাচন, সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ব্যক্তিগত কারণে সরে দাঁড়িয়েছি। সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও কোনও আলোচনা হয়নি। ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনের জাপার প্রার্থী মো. সামসুদ্দিন খান। তিনি বলেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা ঘোলাটে। বিভিন্ন চাপ আছে, হুমকিও আছে। সেই চাপ সামলানোর মতো শারীরিক বা মানসিক শক্তি নেই। সব মিলিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেহেতু প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ নেই, তাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম। এদিকে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে নিজের জন্য ভোট চেয়ে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি অসুস্থ, জরুরি চিকিৎসা নিতে বিদেশ যাবো। তাই, নির্বাচনে সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারছি না। আমার দুই উপজেলা শ্রীনগর ও সিরাজদিখানের নেতাকর্মীরা মাঠে থাকবেন। পোলিং এজেন্ট থাক বা না থাক জনগণ যাতে আমাকে ভোট দিতে যায়। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন সুনামগঞ্জ-১ (জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, মধ্যনগর ও ধর্মপাশা) আসনের জাপার প্রার্থী মান্নান তালুকদার। কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছ থেকে সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি এটা আসন ভাগাভাগি ও প্রহসনের নির্বাচন। সিলেট-৫ আসনের জাপা প্রার্থী সাব্বির আহমেদ ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ না থাকার কারণ দেখিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। নানাভাবে হুমকি-ধমকি ও চাপ দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য ভোট প্রত্যাখ্যান করলাম। হবিগঞ্জ-২ আসনে ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জাপা মনোনীত প্রার্থী শংকর পাল। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের কথার পরিপ্রেক্ষিতেই নির্বাচন থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, কৌশল আছে, কৌশল আছে। তারা কী কৌশল যে করে!, ২৬টা আসন লইয়া তারা কৌশল করতেছে, আর আমরারে সাগরে ভাসায় দিসে। নির্বচনের মাঠ ছেড়েছেন লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী রাকিব হোসেন। তিনি বলেন, নির্বাচনি আসনে ৮০ ভাগ এলাকায় তার লাগানো পোস্টার ছিঁড়ে নেওয়া হয়েছে। কর্মী, পোলিং এজেন্টদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কালো টাকার এমন ছড়াছড়ি শুরু হয়েছে। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে নিশ্চিত হয়ে গেছি, নির্বাচনটা সুষ্ঠু হবে না। এছাড়া ভোটের মাঠ ছেড়েছেন কুমিল্লা-২ আসনের এ টি এম মঞ্জুরুল ইসলাম, গাজীপুর-২ আসনের জয়নাল আবেদীন, নওগাঁ-২ আসনের মো. তোফাজ্জল হোসেন ও সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের প্রার্থী জাকির হোসেনসহ আরও কয়েকজন। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও দলের কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদসহ জাতীয় পার্টির ১৪ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। এককভাবে ভোট করার কথা থাকলেও সরকারের সঙ্গে আসন সমঝোতা হওয়ায় এই ১৪ প্রার্থী নির্বাচনের মাঠ ছেড়েছেন। অবশ্য এর আগে ১ জানুয়ারি জি এম কাদের রংপুরে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত থাকবেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তখন বলেন, জাতীয় পার্টির কোনও প্রার্থী যদি নির্বাচন করতে না চায়, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা প্রার্থীর রয়েছে। এদিকে নীলফামারী-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মার্জিয়া সুলতানাকে সমর্থন দিয়ে ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন অপর দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু সাঈদ শামিম এবং হুকুম আলী খান। রাজশাহী-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আখতারুজ্জামান আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানীকে সমর্থন জানিয়ে সরে গেছেন। ঝিনাইদহ-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোট থেকে সরে গিয়ে সাবেক এমপি নবী নেওয়াজ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সালাহ উদ্দিন মিয়াজীকে সমর্থন দিয়েছেন। নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন যশোর-২ আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম হাবিবুর রহমান হাবিব। নিজ দল আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে ভোটের মাঠ থেকে সরেছেন যশোর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি রণজিৎ কুমার রায়। নড়াইল-২ আসনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে শতভাগ সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিএনপির বহিষ্কৃত শাহজাহান ওমরকে চ্যালেঞ্জে ছুড়ে দিলেও শেষ সময়ে ভোটের মাঠ থেকে সরে গেলেন ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর, কাঁঠালিয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা এম মনিরুজ্জামান মনির। সরে যাওয়ার কারণ হিসেবে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণের কথা উল্লেখ করেন তিনি । নেত্রকোনা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাক আহমেদ রুহীকে সমর্থন দিয়ে মাঠ ছেড়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আফতাব উদ্দিন। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী (ফুলকপি প্রতীক) মোর্শেদুজ্জামান সেলিম, হবিগঞ্জ-১(নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহেদ (ঈগল প্রতীক), যশোর-৪ আসনে বিএনএম প্রার্থী সুকৃতি কুমার মণ্ডল, চট্টগ্রাম-২ আসন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও বর্তমান সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী। সুনামগঞ্জ-৪ আসনে বিএনএমের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান শামছুল আবেদীন নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়িয়েছেন। এর বাইরে সিরাজগঞ্জ-৫ (চৌহালী-বেলকুচি) আসনের বিএনএম প্রার্থী আব্দুল হাকিম স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর মামুনকে সমর্থন দিয়ে তিনি ভোটের লড়াই থেকে সরে গেছেন।   অবশ্য প্রত্যাহারের সময় পার হওয়ার পর আইনগতভাবে ভোট ছেড়ে দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। এ সময় ভোট ছাড়লেও ব্যালটে তাদের প্রতীক থাকবে। তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে বৈধ প্রার্থী হিসেবেই গণ্য হবেন। এমনকি ভোটের মাঠ ছেড়ে দেওয়া কেউ যদি বিজয়ী হন—আইনত সেটা বৈধ হবে। ফলে শেষ ‍মুহূর্তে সরে গেলেও নির্বাচনে কোনও প্রভাব পড়বে না। উল্লেখ্য, জাতীয় পার্টির বেশ কয়েকজন প্রার্থী নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে গেলেও আওয়ামী লীগের সাথে যে ২৬টি আসনে সমঝোতা হয়েছে সেখানকার কেউ নির্বাচন থেকে সরেনি। তারা সক্রিয়ভাবে নির্বাচনে রয়েছেন। তাদের অনেকে নিজেদের পোস্টারে ‘জাতীয় পার্টি মনোনীত ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ২৮টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৯৭০ জনের মত প্রার্থী। তাদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪৩৬ জন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী  ২৬৬ জন। জাতীয় পাটির ২৬৫ , তৃণমূল বিএনপির ১৩৫ , ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১২২ , বাংলাদেশ কংগ্রেসের ৯৬, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ৫৬ জনসহ ২৮টি রাজনৈতিক দলের মোট প্রার্থী এক হাজার ৫৩৪ জন। এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯০ জন নারী প্রার্থী ও ৭৯ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রার্থী ।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:০২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়